গরম নিয়ে অনুচ্ছেদ
সময়টা বেশ আধুনিক হওয়ার সাথে সাথে যেন প্রাকৃতিক সম্পদ ধ্বংসের এক সেরা প্রক্রিয়া হিসেবে ষড়যন্ত্র করছে। বর্তমান সময়ে বৃক্ষনিধণ যে মাত্রায় বেড়েছে সে তুলনায় ১০ শতাংশ ও বৃক্ষ রোপন করা হয় না। এই বর্তমান প্রেক্ষাপটে সাথে তাল মিলিয়ে আমাকে আমরা বহু মুখী সমস্যার মুখে পরছি। যার মধ্যে গরব বা বৈশিক উষ্ণতা অন্যতম। আজকে আমরা গরম নিয়ে অনুচ্ছেদ, গরম নিয়ে গল্প, গরম নিয়ে প্রবন্ধ পড়বো এই আর্টিকেলের মাধ্যমে।
[caption id="attachment_12143" align="alignnone" width="1280"] গরম নিয়ে অনুচ্ছেদ, গল্প ও প্রবন্ধ[/caption]
রাফি : এতো গরম পড়েছে যে অতিষ্ঠ হয়ে যাই।আল্লাহ কি মানুষ'কে ভালোবাসে না?
আব্দুর রহমান : অবশ্যই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা মানুষ'কে অত্যন্ত ভালোবাসেন।ভালোবাসেন বলেই তো তিনি তোমাকে রিজিক দান করেন।তুমি কি রবের ভালোবাসা,দয়া এবং তোমার কষ্টগুলোকে একত্র করতে চাও?তুমি কি জানো না,রব আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা অত্যন্ত দয়াময়?
.
শুধু তোমার প্রয়োজনে তুমি রবকে ডাকো রবের স্মরণাপন্ন হও!—এটা কী বাঞ্ছনীয়?প্রকৃতির এই পরিবেশ প্রয়োজন বলেই তো আল্লাহ এতোটা তাপমাত্রা দিয়েছেন।তুমি তোমার অবস্থান থেকে নিজের শান্তির কথা ভাবলে?অন্যের কথা বাদ দিয়ে দিলে? তুমি নিজে পেট ভরে খাওয়া দাওয়া করলে আর পরিবারের সবাই খাওয়া-দাওয়া করলো কি না তা তুমি খেয়াল করলে না?
.
রব আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা শুধু তোমার সন্তুষ্টির জন্য নয় বরং সকল কিছুর সন্তুষ্টি দান করেন।
রব যখন যেখানে,যতটুকু প্রয়োজন—তিনি তখন সেখানে ততটুকু দান করেন।
.
এই সময়টাতে বৃষ্টি পেলে হয়তো কোনো ফসলে ক্ষতি হবে,এই রোদ্দুরের কারণে হয়তো কোনো ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
.
এই যে চিন্তাধারা এগুলো উন্মুক্ত করতে হবে।ভাবতে হবে।রবের সৃষ্টি শুধু তুমিই একা নয়।১৮ হাজার মাখলুক।তিনি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা সকলের দায়িত্ব নিয়েছেন।
বৃষ্টি না দিয়েও আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বান্দা'কে পরিক্ষা করেন।হতে পারে এটাও তোমার জন্য ধৈর্যের পরিক্ষা।তিনি আল্লাহ বলেন—
—“আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব, কখনো ভয়ভীতি, কখনো অনাহার দিয়ে, কখনো তোমাদের জানমাল ও ফসলাদির ক্ষতির মাধ্যমে। (এমন পরিস্থিতিতে ধৈর্যধারণ করতে হবে) তুমি ধৈর্যশীলদের (জান্নাতের) সুসংবাদ দান করো।”[১]সূরা বাকারা, আয়াত:১৫৫.
সুতরাং তুমি যে অবস্থাতে আছো সেই অবস্থার শুকরিয়া আদায় করো।আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বলেন—
যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করো, তবে আমি অবশ্যই তোমাদের নেয়ামত বাড়িয়ে দেব। আর যদি তোমরা অকৃতজ্ঞ হও, নিশ্চয়ই আমার শাস্তি অত্যন্ত ভয়াবহ।”[২]সূরা ইবরাহিম : ৭.
রাফি : মাশাআল্লাহ—এতো সুন্দর উপমা দিয়ে বুঝানোর জন্য তোমাকে জাযাকাল্লাহু খাইরান দোস্ত!
[caption id="attachment_12144" align="alignnone" width="1280"] গরম নিয়ে গল্প, গরম নিয়ে অনুচ্ছেদ[/caption]
গরমের বাবা মা কে আমি জানি না৷ তবে সৃষ্টিকর্তা একজন আছেন উনকে সৃষ্টি করেছেন৷ সৃষ্টিকর্তার অনুমতিতেই আমাদের সবার মাঝে অনুভব করান৷ দেখুন গরম আসে আমাদের তো কোন দোষ নেই৷ গরম আসতে আমার কেউ বলিনি৷ দিনের বেলা বাহিরে রোদ৷ ঘরের ভিতরে ও অশান্তি রাতে শুনতে গেলে যখন প্রচন্ড গরম লাগে৷ আমার স্বামী গরমের সাথে রাগ করে মশারী টেনে ছিড়ে ফেলে আমার অনেক কষ্ট লাগে৷ বাচ্চাকে কাঁদিয়ে মশারিটা টাঙ্গালাম আর এখন রশি, টেনে ছিড়ে ফেলল৷ পরে আমার স্বামী আমাকে বলে এই পাখা দিয়ে সারা রাত বাতাস কর৷ কি আর করার , বাতাস করতে করতে হঠাৎ ঘুমিয়ে পড়ি৷ স্বামী আমার আরামে ঘুমান৷ যখন সজাগ হয়ে দেখতে পান, আমি ঘুময়ে গেছি তখন আমাকে হাত দিয়ে ধাক্কা দেন৷ আমি বুঝতে পারি বাতাস করতে থাকি৷ অপরদিকে বাচ্চাদের গরমে উ,আ, শুরু হয়ে যায়৷ কাউকে কাপড় ভিজিয়ে শরির মুছে দেই৷ কাউকে বলি শরিরে হালকা কাপড় গায়ে রাখ, দিনের বেলা গাছের নিচে বসি৷ তাই গরমকে উদ্দেশ্য করে বাড়ির চারপাশে বেশি করে গাছ লাগানো উচিৎ গরমকে আল্লাহর নিয়ামত মনে করে সবাইকে ধৈর্য্য করা উচিৎ
[caption id="attachment_12145" align="alignnone" width="1280"] সূর্য যখন ক্ষিপ্ত | গরম নিয়ে অনুচ্ছেদ[/caption]
জনজীবন যখন সূর্যের তীব্রতায় টিকে থাকতে অসহায় তখনই যেন জীবনে শুরু হয় ছটফট। গ্রীষ্মকাল চলছে, তাই গরমও তীব্র। এই তীব্র গরমে মানুষ থেকে শুরু করে সকল প্রাণীরই কষ্ট হচ্ছে। সূর্যের প্রখরতা দিন দিন বেড়েই চলেছে ; তাই মানুষ সূর্যের উত্তাপের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে। সূর্যের ক্ষিপ্ততায় পুড়ছে মানুষ। ঠিকঠাক মত বিদ্যুৎও পাওয়া যাচ্ছে না,জীবন এখন গরমের মসিবতে আটকা পড়ে আছে। এখানে একটা বিষয় খেয়াল করা যায় যে,মানুষ কত দূর্বল, তাই না! কতকোটি মাইল দূর থেকে সূর্য তাপ দিচ্ছে তা নির্দিষ্ট করে জানা নেই। তবুও গ্রীষ্মের সূর্য আমাদের সহ্য করতে কষ্ট হয়। আর হাশরের মাঠে যখন সূর্য মাথার আধহাত উপরে থাকবে তখন আমারা কিভাবে সহ্য করবো! একটু উপলব্ধি করে দেখেন তো! সত্যিই অজানা কষ্ট হবে। এই কষ্টের তীব্রতা কত,তা উপলব্ধি করলে শরীর কেঁপে ওঠে।
হাদিসে এসেছে, রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “জাহান্নাম তার রবের কাছে অভিযোগ করে বলে,হে রব! আমার এক অংশ অন্য অংশকে খেয়ে ফেলেছে। মহান আল্লাহ তাআলা তখন তাকে দুটি নিঃশ্বাস ফেলার অনুমতি দেন। একটি নিঃশ্বাস শীতকালে, আরেকটি গ্রীষ্মকালে।
কাজেই তোমরা শীতকালের তীব্রতা ও গ্রীষ্মকালে সূর্যের প্রখরতা পেয়ে থাকো।(বুখারী : ৩২৬০)
এই হাদিস দ্বারা সুস্পষ্ট হয়ে গেলো যে, জাহান্নাম কত ভয়ংকর! আমরা তো সামান্য দুনিয়ার শীত ও গরম সহ্য করতে পারিনা ; তাহলে জাহান্নামের ভয়াবহতা কিভাবে সহ্য করবো!
তাই আসুন আমরা এই গরম থেকে নিজেকে সেইফ রাখতে চেষ্টা করি এবং রবের নিকট দোয়া করি, বেশি বেশি পানি পান করি।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সহায় হোন।
আমীন!
পাখির জীবন
নারগিস খাতুন
মা ওমা খুব জল তেষ্টা পেয়েছে একটু জল খাবো। দাওয়না আনিয়ে ওই পাশের বাড়ি থেকে, ওরা কত জল নষ্ট করে চলেছে প্রত্যেকদিন আর আমি একটু জল পাছি না খেতে। গলা যে শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেলো। দাড়াও বাচ্চা আমি দেখছি কি ভাবে জল আনা যায়। ওরা তো আমাদের দেখলেই জল না দিয়েই তাড়িয়ে দেয় অবশেষে উড়ে চলে আসতে হয় এই ছোট বাসায়, অথচ ওরা কত জল নষ্ট করে চলেছে।
ওমা ওরা তো কত ভালো ভালো খাবার খাচ্ছে আমাদের কি একটুও দেবে না দুই দিন ধরে তো কিছুই খায়নি। শরীর যে আর চলেনা, ওই সুন্দর খোলা আকাশে যে মন খুলে উড়ে বেরাবো সেটাও পারছি না মা। একটু খাবার এনে দাও না মা। আকাশে এখন উড়তে ভয় করে মা ওই মানুষগুলো আকাশে ধোঁয়া ছড়ায় নিশ্বাস নিতে যে খুব কষ্ট হয়। মা তুমি কান্না করছো।
না না বাচ্চা আমি কান্না করিনি।
এই রোদ্রের আমার সব ভাই বোনকে তুমি তোমার ডানা দিয়ে ছায়া করে রেখে দাও আমার কষ্ট না হয় সেই জন্য। কিন্তু মা তোমার যে কষ্ট হয় রোদ্রের তোমার শরীর যে উত্তপ্ত হয়ে গিয়েছে মা।
না বাচ্চা আমার কোনো কষ্ট হচ্ছে না, তুমি একটু ঘুমাও তোমার ভাই বোন দুটি ঘুমিয়ে আছে। আমি খাবারের সন্ধানে যায়। দেখি তোমাদের জন্য কি খাবার আনতে পারি।
মা চলনা আমরা এখান থেকে উড়ে অনেক দূরে চলে যায় যেখানে কোনো মানুষ সুন্দর আকাশে বিষাক্ত ধোঁয়া দেবে না। যেখানে আমরা অনেক খাবার খেতে পারবো।
তাই হবে বাচ্চা, আগে তোমার ভাই বোন উড়তে শিখে যাবে, তারপরেই এই জায়গা থেকে অনেক দূরে নিয়ে যাবো তোমাদের। এখন তুমি ঘুমাও আমি খবরের সন্ধানে গেলাম।
ও বাচ্চারা তোমরা ঘুম থেকে উঠো আমি তোমাদের জন্য খাবার নিয়ে এসেছি। কয় মা খাবার নিয়ে এসেছ, মা খুব খিদে পেয়েছে। নাও সবাই খেয়ে নাও। মা তুমি খাবেনা, তুমিও আমাদের সাথে এক সাথে খাবার খেয়ে নাও। না বাচ্চারা আমি খেয়েছি তুমি খেয়ে নাও। জানি মা তুমি মিথ্যা বলছো একসাথে সবাই মিলে, যে খাবার আছে তাই খেয়ে নেবো। রাত হয়েছে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে যাবো সবাই।
ওমা ওমা দেখো বোন আর ভাই কিছুই বলছে না নড়াচড়াও করছে না কেনো মা। বাচ্চা তোর বোন ও ভাই আর এই পৃথিবীতে নেই কাল জল জল করছিল আমি দিতে পারিনি, সূর্যের তাপ ওদের নরম শরীর গরম হয়ে গিয়ে মারা গিয়েছে বাচ্চা। কান্না করোনা বাচ্চা আমার। মা চলো এই দেশ ছেড়ে আমরা বহু দূরে চলে যায় যেখানে আমরা খুব ভালোভাবে থাকতে পারবো। যেখানে আমাদের জলের, খাবারের
[caption id="attachment_12146" align="alignnone" width="1280"] গরম নিয়ে রচনা | গরম নিয়ে অনুচ্ছেদ[/caption]
[বাস্তব উপলব্ধি থেকে লেখা]
"শীতময় দিনের কষ্টের কাছে, এই গরমের অতিষ্ঠ এত বেশি যন্ত্রনার নয়"। ওহ্ প্রচুর গরম! তাইনা?
কিন্তু আমি গরমে অতিষ্ঠ হলেও "গরম"কেই আমি পছন্দ করি। অনেকেই শীত পছন্দ করে।
তারা আমার শত্রু! হ্যাঁ শত্রু! হ্যাঁ শত্রু!
ডিসেম্বর, জানুয়ারি, ফ্রেবুয়ারি,বেশ জ্বালিয়েছে শীত। এখন শান্তিময় জীবন কাটাচ্ছি।
"শীত একটা কুটিল ঋতু"
শীতের সকালে ঘুম থেকে উঠা, ভীষণ বিরক্তিকর।
কাজ করতে গেলেই, মনে হয় শাস্তি! শাস্তি! শাস্তি!
তারপর যদি কুয়াশায় ঢাকা থাকে, রৌদ্র না উঠে,
তাহলে তো দুঃখের শেষ নাই। শীতের সকালে,
ও সন্ধ্যায় পড়তে বসা কী অশান্তির। শীতের দিনে, এত এত জামা কাপড় পড়তে হয়। আর সপ্তাহের শেষে, ময়লা জামা-কাপড়ের ধোঁয়া কষ্ট! তারপর যদি রৌদ না থাকে৷ দুই বা তিন দিন লাগবে। জামা কাপড় শুকাতে। ঘরে পূজা দেওয়া, জপ করা, এইসবের জন্য, প্রতিদিন একপ্রকার বাধ্য হয়েই স্নান করতে হয়। কিন্তু শীতের দিন স্নান করা শাস্তি। তারপর নারকেল তেল জমে চুলে তো জট বেঁধে যায়। সে চুল ঠিক করতে শত শত চুল কে হারাতে হয়। আর সাথে মাথা ব্যথা তো ফ্রী। ওহ্ ভীষণ যন্ত্রণার। শীতের তো কালো কুচকুচে হয়ে যাই। আর এত এত প্রসাধনী ব্যবহার করতে হয়। এটা বেশ বিরক্তিকর। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠার পর, বিছানা গুছিয়ে রাখতে জীবনটা বেদনার হয়ে যায়। শীত আসলেই আমার মন টা খারাপ হয়ে যায়। কুটিল ঋতু একটা। মনে হয়,,এমন কোথাও চলে যাই। যেখানে শীত নাই। তবুও ভালো, মাত্র তিন মাস থাকে। ওহ্ কী যন্ত্রনার দিনগুলো। সন্ধ্যায় সন্ধ্যা দেবার জন্য জামা পরিবর্তন সে যে কতটা দুঃখের।
এবার বলি, আমার প্রিয় গরমের কথা।
সত্যি বলতে, গরমে যে অসহ্য হয়ে যাইনা, এমনটা নয়। হ্যাঁ, গরম ও খুব কষ্টকর। গরমে বাপু বেশ সুবিধা আছে। ঘুম থেকে উঠার কোন সমস্যা নেই। বিছানা গুছিয়ে রাখতে এত কষ্ট হয় না। সকলে কাজ করতেও বেশ ভালোই লাগে। সন্ধ্যা ও সকালে পড়তেও বেশ শান্তি, শান্তি। ইচ্ছে মতো স্নান করতে পারি, ২০ মিনিট এবং তার বেশিও। এত এত জামা কাপড় পড়তে হয় না। পছন্দের প্লাজু-কামিস পড়তে পারি৷ গরমে কালো কুচকুচে হওয়া থেকে বাঁচা যায়। এত এত প্রসাধনী ব্যবহার করতেই হয় না। রৌদের তাপে সমস্ত ভিজে জামা কাপড় দ্রুত শুকিয়ে যায়।
গরমে অতিষ্ঠ একটু হই, মিথ্যা বলবো না। কিন্তু ওটা তেমন কষ্ট মনে করিনা। ফ্যান অন করলেই শান্তি। কারেন্ট চলে গেলে একটু সমস্যা হয়। তা শীতের কষ্টের কাছে গরমের অতিষ্ঠ এত বেশি যন্ত্রনা নয়। আর রইল খাবার এর কথা। শীতে খাবার ভালো থাকে। গরমে খাবার দ্রুত নষ্ট হয়। গরমে কারেন্ট থাকেনা, তাতে ফ্রীজে সব নষ্ট হয়, তবুও এটা স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিলাম। তবে গরমের এত এত সুবিধার আছে, এই কারণেই শীতের দিন গুলো যন্ত্রনার। গরম কে এত অশান্তির মনে করিনা। কারণ কিছু দোষ থাকলেও গরম, শীতের তুলনায় একশতগুণ ভালো। আর ওই শীত হলো একটা ভয়ংকর কুটিল ঋতু। এই কয়েক মাস বেশ শান্তিতে থাকতে পারবো। অসহ্য শীতকে তো সহ্য করতে হবেনা।
==সমাপ্ত==
[caption id="attachment_12147" align="alignnone" width="1280"] গরম নিয়ে প্রবন্ধ | গরম নিয়ে অনুচ্ছেদ[/caption]
বৈশাখী মেঘের কাছে হাত পেতেছিলাম জলের আশায়। পাইনি দেখে সূর্যের দয়া হয়। তাইতো আমাকে বেশ করে স্নান করিয়ে দিয়েছে গরম নোনাজলে। লবণাক্ত চটচটে শরীরে খুব অস্বস্তি হচ্ছিলো। এদিকে আবার অবিশ্রান্ত সূর্যের গনগনে তাপে মাথার খুলি গলে মগজ গড়িয়ে পড়ার উপক্রম হলো। শরীর চাচ্ছে একটু শীতল পরশ। দিকবিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে আমি ছায়াঘেরা একটা জলাধারে ঝাঁপিয়ে পড়ি। সম্বিত ফিরে পেতে দেখি যেটাকে আমি শীতল জলাশয় ভেবেছিলাম সেটা আসলে একটা পঁচা ডোবা। যার পানিগুলো চারপাশের গাছের পাতা পড়ে পঁচে সবুজ ঘন তরলে পরিণত হয়েছে। নিচের তলানিতে জমেছে দুর্গন্ধ যুক্ত থকথকে কাদা। সারা গায়ে নোংরা মাখামাখি হয়ে যাওয়ায় আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ি। লাফঝাঁপ দিয়ে ময়লা ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করলে ঘন তরল বেয়ে পড়ে শরীরের ফাঁকা অংশও ভরে যায়।
সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ নাহিদ হাসান প্রধান
Copyright © 2024 Chirkute Sahitto. Powered by Chirkute Team.