আসসালামু আলাইকুম। সবাইকে অগ্রিম ঈদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। ঈদ মানে আনন্দ, অন্যদিকে ঈদুল ফিতর তো তো রোজা ভঙ্গেট আনন্দ। তবে আবার কষ্টের কারণ, যাই হোক ছোট বাচ্চাদের হাসি খুশিতে বাড়িতে আনন্দ নতুন সাজ সাজুক। আমরা সবাই বড় হয়ে গেছি, আমরা নিজের থেকে অন্যজনকে বেশি খুশি করার চেষ্টা করবো এতো আমরা বেশি শান্তি পাবো। নিজের ভোগ বিলাসে জীবন নয়, ত্যাগ বা আত্মত্যাগের মাধ্যমে পরিবার, আত্মীয় স্বজনদের খুশি করার চেষ্টা করবো ইন শা আল্লাহ। নিম্নে কিছু ঈদ নিয়ে কবিতা, ঈদ নিয়ে স্ট্যাটাস, ক্যাপশন ও কিছু কথা শেয়ার করা হয়েছে যেগুলো আশা করি আপনাদের অবশ্যই ভালো লাগবে। ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না কিন্তু।
[caption id="attachment_11589" align="alignnone" width="720"] ঈদ নিয়ে স্ট্যাটাস, ঈদ নিয়ে কবিতা[/caption]
[caption id="attachment_11590" align="alignnone" width="1280"] ঈদ নিয়ে ছন্দ, ঈদ নিয়ে কবিতা[/caption]
ঈদ নিয়ে অনেক লেখক লেখিকা লেখেছেন, তাদের মধ্যে আমার সেরা গুলো বাছাই করেছি। নিচে উল্লেখিত কবিতা গুলো ২০২৪ সালের সদ্য ঈদ নিয়ে কবিতা লেখা।যেগুলো পড়লে অবশ্যই আপনার ভালো লাগবে। এখানে প্রায় ৪০ টির ও অধিক কবিতা রয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের প্রখ্যাত কবি ও মহিলা কবিদের কবিতা নিয়ে প্রকাশিত আমাদের এই আর্টিকেল।
আনন্দেতে হৃদয় নাচে
ঈদটা যখন আসে,
আনন্দটা হয় যে সুখের
সবাই যখন পাশে!
ঈদ মানে তো ধনী "গরীব
এক কাতারে থাকা
ঈদের খুশি ভাগ করে নাও
যদি ওদের সাথে
ঈদ হবে খুব আনন্দময়,
সন্দেহ নেই তাতে!
চাঁদ উঠেছে ফুল ফুটেছে
কালকে হবে ঈদ,
ঘরে বসে খুশির আমেজ
নেইকো চোখে নিদ
ঈদের মাঠে ছোটো বড়ো
পড়ব নতুন জামা।
রোজা শেষে ঈদ এসে
শান্তির পরিবেশে
আনন্দ হাসি খুশিময়
ঈদ মানে কোলাকুলি
বুকে বুক রয়,
ঈদ মানে সমতা যে
ভেদাভেদ নয়।
একটি দিনের খুশির তরে
কত আয়োজনে
ঈদের দিনের সমান শুভ
হোক মানুষের মনে।
নেইতো যাদের নতুন জামা
তাদের পাশে দাঁড়াই
তারাও মানুষ আমরা চলো,
দানের হাতটা বাড়াই।
এইতো আর কয়টা দিন
আসছে ঈদুল ফিতর,
ঈদগাহে পড়বে নামাজ
মাখবে গায়ে আতর।
কেউ খাবে গোশত পোলাও
কেউবা পিঠাপুলি,
গরিবেরও যে হক আছে
কেমনে আমরা ভুলি?
কেউ পড়বে নতুন জামা
কেউবা দামী গেঞ্জি,
ঈদ কি শুধু ধনীর জন্য
গরিবের নয় বুঝি?
কারো পায়ে দামী জুতা
কারো আবার ব্র্যান্ড সু,
খোঁজ রাখিনা চারপাশে
অসহায় মানুষ গুলোর।
একটি বছর ঘুরে আবার
ঈদের আগমন,
ধনী গরীব বিভেদ ভুলে
এক হয়ে যাক মন।
ঈদ মানে আনন্দ আর ঈদ মানে খুশি
ঈদের দিনে করব গোসল পরব জামা টুপি,
ঈদের দিনে পড়ব নামাজ করব কোলাকুলি
হিঃসা বিদ্বেষ ভুবল সবাই ভুলব দলাদলি।
ঈদ মানে ভালোবাসা আর ঈদ মানে আশা
ঈদের দিনে করব দাওয়াত ধনী কিংবা চাষা,
ধনী গরিব সবাই মিলে আসবে ছুটে দলে,দলে
তৈরি হবে পিঠা পায়েস খাইবো আমরা সবাই মিলে।
ধনীরা যাবে গরিবের দ্বারে খোঁজ খবর নিতে তারে
সবার মুখে হাসি দেখে বুকটা যাবে খুশিতে ভরে,
আনন্দ করব সবাই মিলে ইসলামেরই পতাকা তলে
সমাজে তবে শান্তি রবে হাদিস, কুরআন এটায় বলে।
[caption id="attachment_11591" align="alignnone" width="1276"] ঈদ নিয়ে কবিতার, ঈদ ছন্দের[/caption]
ঘরে ঘরে আলো জ্বেলে
আসছে ঈদ বছর ঘুরে,
পড়বে নামাজ ঈদের দিনে
যাবে সবাই দলে দলে।
নামাজের নামে সবাই
তুলবে ছবি,করবে পোস্ট
ওই ফেসবুকের পাতাই
হায়রে ডিজিটাল মানুষ।
বছর ঘুরে একটি মাস
যার নাম রমজান,
করবে চুরি ব্যবসায়ীরা
ডিজিটাল পদ্ধতিতে।
লেবু দাম শোয়ে ওঠবে
হাজারে ওঠবে নানান ফল,
মদ্য পানি হবে সস্তা
বাড়বে দাম চিনি পেঁয়াজ তেল।
নতুন জামা কেনার বায়না
ধরে ছোটো ছোটো ছেলে,
নতুন জামা না কিনলে
বন্ধু হবে পর।
বসুন্ধরার বক্ষ মাঝারে হেরিয়া ঈদের সোম,
মুসলিম মাঝে সৃষ্টি হইলো উৎসব মনোরম।
ধরনীবক্ষে ঈদ আনন্দ সর্বদা উত্তম,
সাঁঝের বেলায় গগন মাঝারে হেরিয়া ঈদের সোম।
সহস্র কোটি মুসলিম প্রানে জাগে নব উদ্যম,
শত সহস্র উৎসব মাঝে ঈদ সর্বোত্তম।
শত আনন্দ আয়োজন মাঝে ঈদ উত্তম মাধ্যম,
ঈদ এলে তাই সকল প্রানের গ্লানি হয় খতম।
ধরনী মাঝারে হেরিয়া সকলে ইদ- উল আযহার শশী,
স্রষ্টার তরে মুসলিম করে চালনা কুরবান অসি।
তাই মোরা যারা মুসলিম তারা কুরবানী ভালোবাসি,
বৎসরে দুটি ঈদ আনন্দ প্রায় যেন পাশাপাশি।
ঈদ আনন্দে করে মুসলিম, মাতামাতি, হাসাহাসি।
বংশ বর্ণ ভেদাভেদ ভুলে, জাতিস্বত্ত্বাটি মুসলিম বলে, চলে আসে কাছাকাছি,
বসুন্ধরায় মুসলিম মোরা ঈদ আনন্দ ভাগাভাগী করা সকলেই ভালোবাসি।
ঈদ উল আযহায় কুরবানী করি, পশু মোরা রাশী রাশী,
সেই পশু হোক, মহিষ, উট, গরু, দুম্বা, ভেঁড়া, বা খাসি।
মূলকথা হলো মোরা মুসলিম তাই কুরবানী ভালোবাসি।
তাই বলি শোন মোর এ কথন, শোন হে মুসলমান,
যদি করো কুরবানী পূণ্য হইবে পশু পশম সমান।
শোন মুসলিম, যদি সামর্থ্য থাকে কারো,
স্বীয় স্রষ্টার তরে কুরবানী করে পাঁপের কালিমা ঝাড়ো।
সামর্থ্যহীন মুসলিম যারা কুরবানী নাহী পারো,
ঈদ উল ফিতর পূর্বে তাহারা সিয়াম পালন করো।
আর সামর্থ্যবান মুসলিম যারা পশুর মাংস ভাগ করে তারা দাও সামর্থ্যহীনে,
তা নাহলে তোমার কুরবানী যাবে স্রষ্টার ডাস্টবিনে।
মুসলিম জাতী যবে হেরিবে তোমরা ঈদ উল আযহার সোম,
তখন সামর্থ্যবান মুসলিমদের কুরবানী উত্তম।
স্রষ্টার এক অপার মহীমা দুইটি ঈদের সোম,
ঈদের আমেজ রয় সবখানে, সেথা হোক পারস্য কি-বা রোম।
ধরনী মাঝারে ঈদ স্রষ্টার উত্তম আয়োজন,
আযহা, ফিতর, ঈদ দুইটিই সকলের প্রয়োজন।
এ ধরার বুকে যদি হেরিতে না পারি দুইটি ঈদের চন্দ্র,
মোরা মুসলিমদের আনন্দধারা হবে চিরতরে বন্ধ।
তাহলে তো গোটা মুসলিম জাতী হয়ে যাবে সবে স্তব্ধ,
তাই ঈদ আনন্দ সদা ফিরে পেতে মোর একখানি পদ্য।
স্রষ্টা তুমি যে বড় দয়াময়, তুমি অতিশয় উত্তম,
প্রতি বৎসর গগনের পানে দেখাও ঈদের সোম।
[caption id="attachment_11592" align="alignnone" width="1275"] ঈদ নিয়ে কবিতা[/caption]
মুসলিমদের আনন্দের দিন ঈদের দিন,
দীঘ মাস ব্যপী সিয়াম সাধনা করে,
এলো ঈদ মোদের মাঝে।
ঈদ এলে নতুন জামা,
ঈদ এলে সবাই এক হওয়া
ঈদ এলে মিষ্টিন্ন তৈরি করা,
সবাই মিলে আনন্দ করা।
ঈদে এলে খুশি সবে,
ঈদ দেয় নতুন বার্তা
সবে মিলে পালন করি
এক সাথে সব ভেদাভেদ ভূলে গিয়ে
ঈদ মোবারক ঈদ মোবারক।
এসো বন্ধু, ঈদের দিনে
আমার কুঁড়ে ঘরে,
সবাই মিলেই ঘুরতে যাব
নতুন পোশাক পরে।
শিশু-চাঁদের হাসি দেখেই
পুলকিত এই মন,
সাঁঝের বেলায় ঠিক করেছি
করব রে ঈদ-পার্বন।
কাকভোরেই-আজ ভেঙেছে ঘুম
পাখির কলরবে,
হাসব খেলব নাচব গাইব
খুশির ঈদ-উৎসবে।
আমীর ফকির সবাই মিলেই
করব কোলাকুলি,
হৃদয়-সাগর খুশির জোয়ার
দুঃখ যাব ভুলি।
ঈদের দিনে-- ভুরিভোজন--
সিমাই-পায়েস-রুটি,
ঘর-বাড়ি--সব মাথায় করেই--
করব ছুটোছুটি।
রাম-শ্যামেরাও-- আসবে ঘরে
করেছি-- নিমন্ত্রণ,
নানান রকম হালুয়ার-- তাই
রেখেছি-- আয়োজন।
বুকের সাথে-- বুক মিলিয়েই
কাঁধে মিলিয়ে কাঁধ,
রোজার শেষে-- ঈদের দিনেই--
মেটাব মনের সাধ।
আল্লা-হরির-- রহমতেই--
খুশিতে ডাকবে বান,
খুশির ঈদেই একাকার-- সব
এক জাতি ও এক প্রাণ।
ছোটো--বড়োর নেই ভেদাভেদ--
ধনী-গরীব সমান,
জাতি বিদ্বেষ-- তুচ্ছ জিনিস
মানুষ খোদার সন্তান।
আয়-- খেলি আয়, খুশির ঈদে
সারাদিনমান ধরে,
গরীব বন্ধুর আমন্ত্রণেই--
এসো-- আমার ঘরে।
[caption id="attachment_11593" align="alignnone" width="1276"] ঈদ নিয়ে কবিতা, ঈদ নিয়ে ছোট কবিতা[/caption]
আকাশের ঐ চাঁদমামা
জানে বুঝি সব!
কোনদিনে ঈদ হয় আর
কবে দুর্গোৎসব।
কোন স্কুলে পড়ো তুমি
যদি বলো আমায়,
প্রতিদিনই টিফিন দিতাম
হতো নাকো কামাই।
দিনরাত বকা খেতে হয়
মনে থাকেনা বলে,
স্মৃতিশক্তি প্রখর তোমার
নেবে তোমার দলে?
নতুন সকাল নতুন দিন
শুভ হোক ঈদের দিন
নতুন রাত বাঁকা চাঁদ
রঙিন হোক,
ঈদের রাত
স্বপ্নগুলো সত্যি হোক
আশাগুলো পূর্ণ হোক
দুঃখরা সব দূরে থাক
সুখে জীবন ভরে থাক ।
খুশির ঈদ- নেইকো জিদ
আনন্দ আর আনন্দ,
খুশির পরব - সবাই সরব
ছন্দ আর ছন্দ।
খুশির দিন - অন্তহীন
খাবার আর খাবার,
ভালোবাসি- মিষ্টি হাসি
সবাই যেন সবার।
আকাশে উঠে চাঁদ
এই বলে দিলো ডাক
এলো ঈদের দিন
দুঃখ-কষ্ট ভুলে গিয়ে
দিনটাকে করো রঙ্গিন।
প্রিয় মানুষ তারা
যারা এই দিনটাতে
বন্ধুতা গড়ে নেয়
শত্রুতা মুছে দেয়
প্রেম মমতা ভালোবাসায়
মনটাকে ভরে দেয়।
বন্ধুতা গড়ে নাও
শত্রুতা মুছে দাও
আকাশে উঠে চাঁদ
এই বলে দিলো ডাক।
আজ বিকেলে দেখা গিয়েছে
ঈদের নতুন চাঁদ,
আনন্দের ঐ জোয়ার এসেছে
ভাঙবে খুশির বাঁধ।
ভোর বেলাতেই গোসল করে
পরবো ভালো কাপড়,
জামার ভাঁজে লাগাবো সবাই
সুগন্ধিময় আতর।
সেমাই খাবো ঈদগাহে যাবো
পড়তে দুই রাকাত
গরীব-ধনী সকলের সাথে
করবো মুলাকাত।
একা একা খাবোনা কিছুই
দেবো সবার ঘরে,
ঈদের খুশি বিলিয়ে দেবো
পাড়া-পড়শির তরে।
ঈদের ছুটিতে বেড়াতে যাবো
আত্মীয়দের বাসায়,
অনেকেই মোরা বসে আছি
এ সুযোগের আশায়
আকাশ কোণে চাঁদ উঠেছে
কোমল আলোয় হেসে।
আনন্দে তাই মোহিত ধরা
ঈদের আমেজ খোশে।
খুশির ফল্গু বইছে আজি
অবিরাম অবিরত।
যাচ্ছে মুছে দ্বেষ- কলহ
পাপ-পঙ্কিল যত।
আমির-গরিব, সাদা- কালো
সব ভেদাভেদ ভুলে,
মিলবে আজি পরস্পরে ,
হৃদয় তোরণ খুলে ।
এই চাঁদের ছটা সব মুমিনের
হৃদয় ছুঁয়ে যাক।
অনৈক্য আজ হোক নিহিত
হৃদয় টা হোক পাক।
সন্ধ্যা রাতে হুড়োহুড়ি
হৃদয়ে বাজে কলরব
রাত পেরোলেই ঈদের দিন
হবে কত কি সব!
নামাজ শেষে কোলাকুলি
কত মানুষ চেনা
ঈদের আনন্দ কত বেশী
হয়না বেচা-কেনা!
পবিত্র রমজান শেষে
ছড়ালো খুশির বার্তা
ঈদ এসেছে, ঈদ এসেছে
ভুলিয়ে দিতে মনের সব ব্যাথা।
ঈদ এলো খুশির বার্তা নিয়ে
ভেঙে দিয়ে সব ভেদাভেদ
হৃদয় থেকে সকল কে জানাই
ঈদ মোবারক আর প্রভেদ।
ঈদ এসেছে চাঁদ উঠেছে
আনন্দের দ্বার আজ খুলেছে।
উল্লসিত হয়েছি মোরা
দুঃখি থাকবে কেন তোরা?
চল! নতুন জামা পড়বো এখন,
খাবো পিঠা, সেমাই মাখন।
এক সাথে আজ ঈদগাহে যাবো,
প্রিয়জনদের সাথে দেখা করবো।
এক কাতারে পড়বো নামাজ,
ছাড়বো মোরা সব কাম-কাজ।
আনন্দ তো সবার মাএ একদিন,
নতুন সাজে সাজি যে-দিন।
তাইতো শুনা যায় চারদিকে আজ ;
বাজছে খুশির বীণ।
আজ তো মোদের ঈদের দিন,
ঈদের খুশি থেকে যেনো যায় না কেহ বাদ,
আসসালাম ইয়া হাবিবী ঈদ মোবারকবাদ।
ছোট্ট মেয়ে রুপা
জড়িয়ে আমার দু’পা।
বলল কেঁদে -দাওনা খেতে ভাই,
মা-বাপ আমার নাই।
দু'দিন ধরে খাইনি কিছু
ঘুরছি সবার পিছু পিছু
কেউ দিলনা খেতে আমায়
কেউ দিলনা ঠাই।
ঈদের জামা নাইকো আমার,
উদাম গায়ে রই।
বুঝলো না কেউ আমার ব্যাথা,
মুই কি মানুষ নই?
আমার মতো অমনি এতিম
লাখে লাখে হায়!
ফুলের মতো আপনি ফোটে,
আপনি ঝরে যায়।
পরান কি তোমার কাঁদে নাকো?
দেখে আমার হাল।
মোদের চোখে এমনি অশ্রু
রইবে চিরকাল।
ঐ দেখো ভাই চাঁদ উঠেছে উঠলো কলরব ,
জনে জনে আসছে সবাই দেখতে ঈদের চাঁদ;
বছর ঘুরে রোজার শেষে এলো মোদের ঈদ,
তাইতো সবাই উঠলো মেতে নাইকো চোখে নিদ।
রুটি-সেমাই-কোরমা- পোলাও সবার ঘরে ঘরে;
পবিত্র ঈদ খুশি আনুক সবার অন্তরে।।
ধনী-গরীব একত্র হোক চাইনা ভেদাভেদ,
সবার জীবনে প্রশান্তি আসুক এটাই মোদের নিয়েত।
অন্ধকারের পথঘাট-টাও উঠলো সেজে আলোয়,
শিশুরা সব মেতেছে খেলায় সেই আলোর-ই নীচেই।।
ঘরে ঘরে পড়লো মেয়ের সাজ-সজ্জার ধূম;
মেহেন্দি রাঙাতে ব্যস্ত সবাই নাইকো তাদের ঘুম।
পড়বো সবাই নতুন জামা যাবো ঈদগাহ-ই ,
দুঃখগুলো সব দূর হয়ে যাক ঈদের ওসিলা-ই ।
বিভেদ ভুলে করবো সবাই সালাম বিনিময়,
হৃদয় থেকে জানাই সকলকে অগ্রিম ঈদ মোবারক।।
একটি বছর পরে আবার
আসলো ঈদের দিন,
ঈদগাহে যাবো সবাই
কই হে নবীন।
গরীব দুখী সবার সাথে ভাগ
করবো ঈদের খুশি,
ঈদ এলে সবার মাঝে
আনন্দ রাশি রাশি।
ঝগড়া ফাঁসাত ভুলে গিয়ে
মিলাবো সবাই কাঁধ,
ঈদের দিন কারো খুশিতে
সাধবো না তো বাঁধ।
নতুন জামা নতুন জুতা
কিনবো সবাই ভাই,
ঈদের খুশি সবার মাঝে
বিলিয়ে দিতে চাই।
পশ্চিম আকাশে চাঁদ ওঠেছে,
রোজা শেষে ঈদ এসেছে।
নতুন জামা গায়ে দিয়ে,
আঁকা বাঁকা রাস্তা পাড়ি দিয়ে।
ছোট্ট সোনামণিরা দলে দলে,
মিলে মিশে ঈদগাহে চলে।
হিংসা বিভেদ ভুলে সবাই,
ঈদের আনন্দে ভূবন সাজাই
ধনী গরীব ভেদাভেদ ভুলে,
ঈদ আনন্দ সাজিয়ে তুলে।
ঈদ ঈদ ঈদ এসেছে,
সারা বিশ্ব আজ খুশিতে মেতেছে।
রমজানের ঐ রোজার পরে
ঈদের আমেজ সবার ঘরে
গরীব দুঃখী সবার তরে
ঈদের খুশি ঘরে ঘরে
নতুন জামা পড়বে সবাই
রান্না হবে নুডলস সেমাই
শশুর বাড়ি নতুন জামাই
দিতে হবে মোরগ জবাই
মাংস পোলাও আর বিরিয়ানি
কেউ পাঞ্জাবি কেউ শেরওয়ানি
সবাই ঈদের নামাজ পড়বো
ভেদাভেদ ভুলে কোলাকুলি করবো
নামাজ শেষে বাড়ি এসে
ছোট বড় সবার তরে
ঈদ মোবারক জানাই
আহ বাজবে খুশির সানাই
ঈদুল ফিতর ঈদুল আজহা
ঈদ আসলেই যেন,
প্রবাসীর হৃদয় জোড়া ব্যাথা।
বছরের পর বছর দূর প্রবাসে একা
আত্মীয় পরিজন ছাড়া ঈদ কাটাই তাঁরা।
প্রবাস যেন টাকার মেসিন
ভাবেন আত্মীয় পরিজনে
প্রিয়জনের মুখে অন্ন দিতে ঝরাইছে ঘাম
ঈদ আসলেও যেন অবসর নেই তাঁর।
একাকীত্বের লম্বা ঘুমে দিনটা পার তাঁর
কেউই লইনা খবর রেমিট্যান্স যোদ্ধার।
প্রবাসী খাইলে ধরা, ধার ধারধারেনা কেউ
মারা গেলেও লাশ আন্তে চাইনা কেউ
প্রবাস জীবন খুবই কষ্টের
তারা পাই নাতো ন্যার্য সম্মান।
ঈদে কিনবে নতুন জামা
খোকা ধরলো বায়না,
জামা ছাড়া ঈদ হবেনা
খোকার মনে সয়না।
নিম্নবিত্তের খোকা আমি
দিন যায় পান্তা-ভাতে,
জামা কেনার নাই যে টাকা
কার কি হয় তাতে।
আমি খোকা বেশ অনাহারী
অবহেলায় দিন কাটে,
নতুন জামা দেখলে ভীষণ
আমার বুকটা ফাঁটে।
মনে আমার জেদ লেগেছে
টাকা করলাম জমা,
বড় হয়ে কিনবো আমি
রং-বেরঙের জামা,
পথ শিশু কত শিশু
এভাবে স্বপ্ন বুনে,
চোখের জলে স্বপ্ন ভাসে
চোখ পাতার কোণে।
আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা
দেখবো ঈদের চাঁদ
রোজার শেষে চাঁদ উঠেছে
তাইতো আমার ঘুম টুটেছে
বাঁকা চাঁদের গোমড়া হাসি
তাড়ায় বুকের বিষাদ।
নতুন জামা পরবো রে ভাই
কোলাকুলি করবো রে ভাই
সারা গাঁয়ে মাতবো সবাই
ভুলে হিংসা - বিবাদ
দুখীজনের খবর নিবো
সাধ্যমতো খাবার দিবো
উঁচু নিচু নাই ভেদাভেদ
সবাই পাক ঈদের স্বাদ।
সবার জন্য ঈদ এসেছে
তাইতো সবাই খুশি,
ধনী গরীব সকলের মুখে
ফুটছে ঈদের হাসি।
ভাগাভাগি করি আনন্দ
ছোট বড় যে মিলে,
সওয়াব তুমি পাবে ভাই
গরীব দুখীকে দিলে।
একটু সুখ বিলিয়ে দাও
পথ শিশুদের মাঝে,
নিজের খাবার তুলে দাও
এতিম দুঃখী খুঁজে।
ঈদে তোমার কতো জামা
কতোই ঘরে খাবার,
তাদের ও'যে হক রয়েছে
একটু কিছু পাবার।
ঈদ এসেছে সবার ঘরে
খুশির বার্তা নিয়ে,
সকল মুসলমান পালন
করবে একাগ্রতা দিয়ে,
ঈদ আনন্দ বয়ে আনে
ধনী- গরীব সবার ঘরে,
সবাই উপভোগ করব
খুশিতে প্রান ভরে।
অসহায়দের মাঝে ও
ঈদ আনন্দ দিব ছড়িয়ে,
ঈদের জামা সেমাই নাস্তা
খাব তাদের নিয়ে।
গবীব ছোট্ট শিশুর মুখে
যখন ফুটবে হাসি,
স্বয়ং আল্লাহ আমাদের উপর
হবেন অনেক খুশি।
ঈদের খুশি ছড়িয়ে দিব
ধনী গরীব সবার মাঝে,
গড়ব এক নতুন সমাজ
ভালো এই কাজে।
নীল গগনে চাঁদ উঠেছে
ঈদের আমেজ মনে,
নবীর উম্মত পড়বে সালাত
ঈদগাহ ময়দানে।
সবাইর ঘরে সেমাই পোলাও
পায়েস রান্না করে,
স্বর্ণালি বিকেল পুলক মনে
স্বজন ভরে ঘরে।
ঈদের দিনে নতুন জামা
পরে খুশি মনে,
আতর মেখে ছোটে চলে
ঈদগাহ ময়দানে ৷
ঈদের মাঠে যাওয়ার পূর্বে
আদায় ফিতরা যাকাত ,
এক কাতারে আমির ফকির
করে আদায় সালাত ৷
একই শারীতে ধনী গরিব
সিজদাতে হয় নত,
রবের কাছে আশিষ মাঁগে
গুনাহ করেছে যত ৷
ঈদের দিনে সবার মাঝে
বিরাজ করে সুখ,
কাঁধের সাথে কাঁধ মিলিয়ে
ভুলে যায় সব দুখ ৷
রোজার শেষে চাঁদ ওঠেছে
করবো আমি ঈদ,
নতুন জামা পরবো গায়ে
নাইতো চোখে নিদ।
আতর-গোলাপ-সুরমা মেখে
ঈদগাহেতে যাবো,
মায়ের হাতের ফিরনি পোলাও
পেটটা ভরে খাবো।
ধনী-গরিব নেই ভেদাভেদ
নামছে খুশির ঢল,
টুপি মাথায় ছোট্ট খোকা
হাসছে খলোখল।
আমরা সবে আলোর পাখি
আলো করি দান,
এমন খুশির ঈদের দিনে
গাইযে সুখের গান।
ঈদ এসেছে দোয়ার পানে,
বইছে হাওয়া মিষ্টি ঘ্রানে।
সবার মনেই খুশির জোয়ার,
মুছে গেলো সব দুঃখ আধার।
দোয়ার সময় একটি চাওয়া,
ঈমান নিয়ে মৃত্যু পাওয়া।
ঈদ উছিলায় যেন হয়,
সকল গুনাহের অপক্ষয়।
ঈদ আনন্দ সবার ধারে,
ছড়িয়ে পড়ুক সমান হারে।
ঈদের আমেজ ঘরে ঘরে
খুশির সুর বাজে,
ছুটছে দেখো শিশু-কিশোর
নিত্য-নতুন সাজে।
পাড়ায় পাড়ায় কিসের ঘ্রাণ
বড় ভালো লাগে,
দিলপাখি আজ গাইছে গান
সবুজ বাগে বাগে।
নতুন জামা, খুশবু মেখে
জানায় সবে মোবারাকবাদ,
আনন্দ-উল্লাসে মেতে উঠে
দূর করে সব বিবাদ।
রমজান শেষ হলো চলে এলো ঈদ,
খুশিতে মাতোয়ারা হলো মুসলিম।
রমজান চলে গেল রোজা হলো শেষ,
মনে কিছু রয়ে গেল হারানোর রেস!
শান্তি প্রিয় মোরা মুহাম্মদের উম্মত,
সঠিক ভাবে করিব পালন নবীর সুন্নত।
ফেতনা -ফাসাদ থেকে থাকি সদা বিরত,
যেকোনো সময় মৃত্যু হতে পারে হয়তো।
ঈদ আনন্দ বহিছে ঘরে ঘরে,
খুশির জোয়ার এলো সবার দুয়ারে।
আকাশে সবাই দেখে ঈদের চাঁদ,
আনন্দ উল্লাসে পার হয় রাত।
চারদিকে কেনাকাটার পড়ে গেছে ধুম,
ঈদের আনন্দে চোখে নাই ঘুম।
অনেকেই আনমনে ঘরের কোণে,
তাদের কষ্টগুলো কেই বা শোনে।
মুয়াজ্জিন মসজিদে ডাকিছে হাক,
থেকে থেকে শোনা যায় মোরগের ডাক।
কিচিরমিচির করে পাখি করে কলরব,
একসাথে পড়ে সবাই ঈদের সালাত।
সবাই সবার সাথে মোলাকাত করে,
হাত তুলে ক্ষমা চায় প্রভুর তরে।
না জানি কি হবে প্রভু বিচার দিনে,
মাফ করে দিও প্রভু তোমায় ডাকি সর্বক্ষণে।
ঈদের বায়না,
টাকা সে চায় না।
চায় পুঁতি ওয়ালা টুপি,
আর কাবলি পাঞ্জাবি।
হাতে চাই ঘড়ি,
চোখে চায় চশমা।
যাবে মামা বাড়ি,
তার মনের ভাবনা।
পায়ের জন্য সু,
গায়ে রঙিন গেঞ্জি।
লোক ভিশন চালু,
ভালো ও খুব ভাতিজি।
রহমত মাগফিরাত নাজাতের মাস শেষ হলো
ঈদুল ফিতর হাসি-খুশি, আমোদ নিয়ে এলো
ভুলে গেলে ভেদাভেদ, হিংসা, বিদ্বেষ
সুন্দর হবে দিন-সময়,সমাজ ও দেশ মানলে খোদার আদেশ
এক কাতারে নামাজ পড়ে শুধু ঈদের দিন
ভুলে গেলে হবেনা সহানুভূতিশীলতা, আমি যে মুমিন
সেমাই পায়েস পিঠা,মিঠা,জর্দা পোলাও মাংশ
ভাগ করে খেতে হবে প্রতিবেশীর, দিতে হবে গরিবের যাকাতের অংশ
আড়ংয়ের পাঞ্জাবি,বাটার সুজ,গোলাপের পারফিউম সুবাস না ছড়িয়ে
খেটে-খাওয়া মানুষদের দিকে দিও মানবতার হাতটুকু বাড়িয়ে
উপবাস ভাঙ্গার আনন্দে মেতে, করোনা পশ্চিমা রীতিতে
সানন্দ উদযাপন
তাদের নিয়ে খেয়ো গুণী,ওহে-
ধনী জন
যারা শাওয়ালের ঈদেও কাঁদে,ক্ষুধার ব্যথায় কলিজায় হয় জ্বালাতন
বাকা চাঁদের মত বেকে থেকোনা গরিব আত্মীয় স্বজন বাড়ি এলে
সমাদর করিও মন থেকে
আতিথেয়তার সুযোগ পেলে।
ওই দেখা যায় নীল আকাশে বাঁকা চাঁদের হাসি
আগামীকাল ঈদুল ফিতর সুখ আনন্দে ভাসি।
নতুন জামা,নতুন কাপড় পরে যাবো মাঠে
ঈদের মতো খুশিতে যেন সারাটি বছর কাটে।
সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে করবো কোলাকোলি
ঈদের শিক্ষা নিয়ে যেন আমরা সবাই চলি।
ঈদের খুশি যাক ভেসে যাক গরিব-দুঃখীর ঘরে
কেউ যেন আর দুঃখের মাঝে নিনাদ নাহি করে।
ঈদের মতো অনাবিল হাসি ফুটুক সবার মুখে
দুঃখ-ব্যথা আছে যতো সবই যাক চুকে।
ঈদ মানে আনন্দ আর ঈদ মানে খুশি
ঈদের আমেজ ছড়িয়ে দিবো সবার পাশাপাশি।
ঈদ এসেছে বছর ঘুরে
তাইতো বাজার গরম!
দাম বেড়েছে আলু পটল
জিঙ্গা মরিচ শালগম।
দাম বেড়েছে পেয়াজ রসুন
দাম বেড়েছে জিরা!
দাম বেড়েছে মাছ গোস্ত
গুড় মুড়ি চিরা।
শপিং মলে শার্ট প্যান্ট
বিক্রি হচ্ছে চরম!
জুতার দাম যা শুনেছি
বলতে লাগে সরম।
গরীব দুঃখী আছে যারা
করবে কি উপায়..?
ছেলে মেয়েরা বায়না ধরেছে
নতুন জামা চাই।
নুন আনতে পান্তা ফুরায়
জিনিসের যেই দাম!
দাম নেই শুধু এই সমাজে
গরীবের ঝড়া গাম।
বছর ঘুরে ঈদুল ফিতর
এলো খুশি ঘরে,
মুসলিম উম্মার ঘরে ঘরে
পুলকিত ভরে।
ছোট বড় ধনী গরিব
ভেদাভেদ যায় ভুলে,
ঈদের পোশাক গায়ে পড়ে
ছোট শিশু কোলে।
ঈদগাহতে ঈদের নামাজ
একি সাথে পড়ে,
হাসি খুশি মনটা নিয়ে
কোলাকুলি করে।
সবার ঘরে পোলাও পায়েস
সুবাস ছড়ায় মনে,
আত্মীয়তার বন্ধনে সব
ঘরটা ভরে জনে।
এই খুশিতে বিশ্ব মুসলিম
খুশি পাগল পারা,
বাঁকা চাঁদের বুড়ি খুশি
সাথে খুশি তারা।
বন্ধু তুমি অনেক বড়
অনেক টাকা কড়ি
নেইকো অভাব কোনোকিছুর
অনেক বাড়ি গাড়ি।
দামি দামি খাবার খাও
দাও দামি জামা কাপড় গাঁয়
মহাসুখে ঘুরে বেড়াও
দিন কাটাও বিলাসিতায়।
পাশের গাঁয়ের গরিব দুঃখী
ভাঙা চালা ঘরে
কোনোরকমের তারা গুজে মাথা
থাকে বছর ধরে।
দামি কাপড় গয়না শাড়ির
আশা নাহি করে
নুন আনতে পান্তা ফুরোয়
খেয়ে না খেয়ে দিন পার করে।
অভাবি ঘরের শিশুটি হায়
সারাবছর সে কিছু নাহি পায়
তবু তাকিয়ে থাকে ঈদের পানে
শুধু একটি নতুন জামার আশায়।
এতটুকু চাওয়াও হয়তো তাদের
পূরন নাহি হবে
সারাবছর যেমনি কাটে
ঈদের দিনও তেমনি চলে যাবে।
এসো সবে সাধ্যমতো
দাড়াই তাদের পাশে
অন্তত ঈদের এই একটি দিন
তারাও যেনো হাসে।
গরিব দুঃখী মানুষগুলো
চায়না কিছু বেশি
একটা নতুন জামা পেলেই
তারা অনেক বেশি খুশি।
সবাই মিলে ঈদ আনন্দ
নেই ভাগ করে
ঈদের আনন্দ সবার হোক
হাসি ফুটুক সবার অন্তরে।
এক মাসের সাওম পালন করে
আসে ঈদুল ফিতর ঈদ,
ঈদের আনন্দ উৎসাহ বহুগুণে বাড়ে
যখন আকাশে উঠে ঈদের চাঁদ।
ঈদ মানে খুশি
ঈদের দিন সকলে মিলে করে আনন্দ,
ঈদ সকলের ভালো কাটুক
দোয়া করি কারো ঈদ যেন না কাটে নিরানন্দ।
ঈদ মানে মনটা বড্ড ভালো
আনন্দের উঠে জোয়ার,
ঈদ এলে সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে
এক হয়ে যায় সকল পরিবার।
ঈদের আনন্দ তখনই পায়
সবকিছুর পরিপূর্ণতা,
যখন সবে মিলে ভুলে যায়
গরীব - দুঃখীদের ভেদাভেদ ভুলে হয়ে যায় একতা।
ঈদ মানে আনন্দ
মনের ভিতর অন্যরকম আমেজ ,
সকলে একসঙ্গে আনন্দ করার মধ্য
দিয়ে মনটা হয় সতেজ।
সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ নাহিদ হাসান প্রধান
Copyright © 2024 Chirkute Sahitto. Powered by Chirkute Team.