এটি একটি ঝাঁঝালো সবজি যা পিঁয়াজে মতো প্রায়। দেখতে সাদা, ভিতরে কয়েক রয়েছে লম্বা দানা। রান্নার ক্ষেত্রে মশলা ও বিভিন্ন প্রকার ভেষজ ঔষধ তৈরি করা হয় রসুন দিয়ে।
প্রথমেই জেনেছি রসুন একটি মশলা জাতীয় খাদ্য। যা আমাদের প্রতিটি বাসায় পাওয়া যায়। এটা আমাদের পরিবারে মানুষ রান্নার মশলা হিসেবে ব্যবহার করে। রসুন ঝাঁঝালো হলেও ব্যবহারিত তরকারী অনেক সুস্বাদু ও মজার হয়।
এছাড়া রসুনের আরো ব্যবহার রয়েছে। যা ফলে আমাদের মানব জীবনের অধিকাংশ স্বাস্থ্য বিষয়ক সমস্যার সমাধান হিসেবে কাজ করে। নিম্নে রসুনের উপকারীতা উল্লেখিত করা হলো
রসুনে একটি যৌগ পাওয়া যায়। যার সাহায্য রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসে। রসুনের মধ্যে থাকা যৌগটি হচ্ছে অ্যালিসিন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ৪ কোয়া রসুন খাওয়া, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক উপকারী। যদি কোন ডায়াবেটিসের রোগী নিয়মিত এই পদ্ধতি অবলম্বন করে তাহলে তাঁর ওজন দ্রুত কমবে অথবা ওজন কমানোর সম্ভবনা বেড়ে যায়।
রসুন শরীরে ও স্বাস্থ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার। যার ফলে শরীরে অতিরিক্ত চর্বি গলতে সাহায্য করে। যার ওজনের খুব অল্প সময়ে কমিয়ে ফলতে চান, তারা নিয়ম মেনে রসুন সেবন করুন। কয়েকদিন সেবন করলে এর উপকার সম্পর্কে জানতে পারবেন।
স্বাস্থ্যের জন্য বিভিন্ন ভাবে উপকারী খাদ্য হচ্ছে রসুন। তবে খাওয়ার নিয়ম ভিন্ন হতে পারে। গবেষণা দেখা গেছে সিস্টোলিক ও ডায়াস্টোলিক রক্তচাপকে যথাক্রমে ৬.৭ ও ৪.৮ মি. মি পর্যন্ত কমাতে পারে এই রসুন। যার ক্ষেত্রে কোন প্রকার পাশ্ববর্তী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই।
সূত্রঃ- RCT Research
তাছাড়া, আরো বিভিন্ন গবেষণায় বিভিন্ন প্রকার উপকারীতা সম্পর্কে জানা গেছে। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ যদি দৈনিক ৬০১ থেকে ২৪০১ মিলিগ্রাম রসুন সেবন করে এতে রক্তচাপ ২.৫ থেকে ১১.২ মি. মি পর্যন্ত কমতে পারে।
খালি পেটে রসুন খেলে আমাদের দেহে যকৃত এবং মূতৃরাশয় সঠিকভাবে নিজ নিজ কার্য সম্পাদন করে। তাছাড়া, ডায়রিয়া সহ বিভিন্ন প্রকার পেটের সমস্যার জন্য বেশ উপকারী হচ্ছে রসুন।
অনেক সময় অথবা বেশির ভাগ সময় আমাদের এসিডিটির সমস্যা দেখা দেয় যার ফলে আমরা যদি কয়েক কোয়া রসুন সেবন করি। প্রাথমিক পর্যন্ত অনেকটা উপকারে দিবে তা।
শুধু রোগ জন্য ঔষধ হিসেবে নয়, এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও বৃদ্ধি করে। রসুনের অনেক গুণাগুণ রয়েছে। যারা মধ্যে একাধিক মানুষ কিংবা আমরা যারা সুস্থ আছি, তাই রসুনকে আমাদের স্বাস্থ্যের রোগ মুক্ত রাখাতে ব্যবহার করতে পারি। একজন সুস্থ মানুষ নিয়মিত রসুন খেলে তাঁর দেহের বিষাক্ত পদার্থ কমবে। রসুনে প্রচুর পরিমানে কপার, ফসফরাস, আয়রন, ভিটামিন বি১, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম‚ ভিটামিন বি৬ ও ম্যাঙ্গানিজ।
আমরা অনেক সময় ভালো বা সুস্বাদু খাবার পেয়ে অতিরিক্ত মাত্রই খেয়ে ফেলি। যার ফলে পরে আমাদের অনেক সম্ভব দেখা দেয়। এমন সময় কয়েক কোয়া রসুন খেলে দ্রুত সমস্যা থেকে শান্তি পাওয়া যাবে। আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছে যাদের ক্ষুদামদা ভাব রয়েছে, তারা ক্ষুদামদা ভাব দূর করতে রসুন খেতে পারেন।
রসুন খেলে আমরা অনেকভাবেই লাভবান হবো। তবে ভালো বলে অতিরিক্ত মাত্রায় সেবন করা যাবে না। অতিরিক্ত মাত্রি সেবন করলে ক্ষতি হবে। এর ফলে বিভিন্ন রকম সমস্যা ও দেখা দিতে পারে। সুতরাং খাওয়া অবশ্যই পরিমিত হতে হবে এবং সঠিক মাত্রায় খেতে হবে। এতে আমাদের দেহে জন্য কাজে দিবে।
অনেক সময় চিকিৎসাকের কাছে যৌনতা সম্পর্কিত সমস্যা নিয়ে শরণাপন্ন হলে, রসুন খাওয়ার পরামর্শ দেন। রসুনের উপকারিতা বিশেষ একটু দিক উল্লেখ করা হয়েছে।
কোথাও কেটে গেলে কিংবা ক্ষত সৃষ্টি হলে, ছোটকালে বয়স্করা রসুন বেশি বেশি খেতে বলতো। শরীরের কোথাও ক্ষত সৃষ্টি হলে রসুনের উপকারিতা হিসেবে বেশি জনপ্রিয়।
দাঁতের ব্যথার যন্ত্রটা যার হয় না। সে ছাড়া কেউ বুঝবে না। দাঁতের ব্যথা নিরাময়ের রসুনের উপকারিতা সক্রিয় ভাবে লক্ষ্য করা যা
ত্বকের যত্নের রসুনের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। রসুনের উপকারিতার মধ্যে এটি একটি অন্যরকম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
নিয়মিত পড়ুন এবং লেখুন বর্তমান সময়ের সেরা সাইট চিরকুটে সাহিত্য তাছাড়া কোন বিখ্যাত ব্যক্তির জীবনী সম্পর্কে জানতে জীবনী জানুন এর সাথে থাকতে পারেন। |
সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ নাহিদ হাসান প্রধান
Copyright © 2024 Chirkute Sahitto. Powered by Chirkute Team.