বিদায়ী কবিতা মোহাম্মদ রাহাত উদ্দিন কবিতার মাঝে বলি হে বন্ধু বিদায়ের কিছু কথা। বলিব কী আর জমানো স্মৃতি মনে যে অনেক ব্যাথা। যাদের পাশে ছিলাম আমি চলে যাবে তাঁরা দূরে। কাউকে হয়তো পাবো নাকো আর বিশ্ব জগৎ জুড়ে। চক্ষু আমার অশ্রু সিক্ত হৃদয়ে বিদায় বাঁশি। কে যাবে কোথায় দূর অজানায় সবাইকে ভালোবাসি। যদি কোনোদিন করে […]
মহাবীর এম নিজাম আল সানি আমি প্রতিবাদী আমি বিদ্রোহী আমি মহাপ্রলয় আমি মুসলমান আমি খোদার গোলাম আমি নবীর প্রেমে পাগল আমি নবীর অপমানে জীবন করিবো বিলীন। আমি শাহ জালালের সন্তান আমি শাহ মাখদুমের রেখে যাওয়া বীর আমি খালিদ বিন ওয়ালিদের তরবারি আমি নারায়ে তাকবিরের জয়ের ধ্বনি আমি অন্যায়ের প্রতিবাদকারী ন্যায়ের প্রতীক আমি সর্বদা রাখি উচ্ছ্বসিত
সুস্থ হতে চাও? বখতিয়ার উদ্দিন যদি তুমি সারা কাল সুস্থ হতে চাও? ঘুম থেকে উঠে তুমি পেটে পানি নাও। যদি তুমি সারা কাল সুস্থ হতে চাও? খেতে গেলে মুখে পানি একটু নুন দাও। যদি তুমি সারা কাল সুস্থ হতে চাও? গোসলের আগে তুমি গ্লাস পানি খাও।
ভূগর্ভে নির্মিত গুপ্ত ঘর বাবুল মিয়া তোমার কি জানা নেই সখা? উহা মৃত্যুর ঘর, এখানে বলি হচ্ছে অজস্র নর! কতো বলিয়ান,তরুণ তেজস্বী পালোয়ান এস্থানে এসে লুঠিয়েছে মাথা, অহংকারীর দম্ভ নাশ নেই দেবীর মায়া মমতা! সর্বদা ক্ষিপ্ত সে,রূধির চুষায় লিপ্ত, যজ্ঞানলে নর বলিতে নিবিষ্ট তার চিত্ত! সখা! তুমি কি জ্ঞাত নও? উহা পাতালপুরি, দেবী পাতালির বসতবাড়ি!
সোনাকান্দি গ্রাম আবু নাইম সেজান কতদিন পর এলাম আমি নিজ গায়ের ভিটায়, যে গায়েতে প্রকৃতি তাহার সৌন্দর্যের ফুল ফোটায়। সোনার ফসলের তাজা ক্ষেত আর নদীর তীরের ঘাট, চারিদিকে বন-বনানী আর নানান খেলার মাঠ। প্রভাত বেলায় কৃষক আর জেলেদের আনাগোনা, দিঘি–শৈবালীনে মাছ ধরা আর ক্ষেতে ফসল বোনা। বহুদিন পর এলাম দেখিতে আমার প্রিয় গা, নদীর বুকে
মুক্তি মেহেদী হাচান মাহফুজ মন যে তোমার পাপে বন্ধী নেই তার কোনো খোঁজ অর্থের তরে অ-জ্ঞানী তুমি সৎ কর্মে মহা কাপুরষ পরের দোষ পরিমাপে তুমি নিজের জায়গায় ফানুস ক্ষমতার তরে শিকল বন্ধী আর কত সহিবে মানুষ অপরাধে পূর্ণ তোমার ঘটি অসৎ কাজে শ্রেষ্ঠ তুমি নিজ কর্মে মহিমান্বিত গুণী সর্ব তরেই তুমি দোষী মনুষ্যত্ব যদি আসে
কর্মে পরিচয় শিমুল শাহ্ _______________________________ কবে,কোথায়,কে জন্মেছে ধনী-গরিবের ঘরে, কে রাখে রোজ,তাহার খোঁজ,চিন্তা ফিকির করে। এই শহরের অন্তর জুড়ে,কত্ত মানুষের বস-বাস, কত্ত মরে কত্ত বাঁচে,কে গোনে কার দীর্ঘ শ্বাস? স্বার্থ বাদের দুনিয়া মোদের,স্বার্থের প্যাচেই ঘোরে, বাঁচতে চায়না হায়াতে আর,বাঁচতে চাই মরে। কর্মে যদি,থাকে জ্যোতি,আঁধার জানি ঘুচবে, বেলা শেষে এই আবেশে,মানুষ তোমায় খুঁজবে। জন্মে নয় কর্মে
দৃশ্যমান স্রষ্টা আমার ছায়া পথিক (ছদ্মনাম) যেই স্রষ্টার সান্নিধ্য পেতে এই যে তোমার এত শত উকিল, মুন্সী, চৌকিদার! জানতে যদি- সেই স্রষ্টা তোমার আপন ইচ্ছের হাতিয়ার। কোন সুবাধে কিসের এত- আয়োজনে যত ব্যস্ততা তোমার? আমি তো দেখি দু’চোখ জুড়ে- দৃশ্যমান স্রষ্টা আমার । তুমি বাতাস দেখে ভয়ে কাঁপো- দেখার সাধ্য কবে- কার? দু’চোখ বুজে
স্মৃতি জরানো আঙ্গিনা মোসাঃ ইসমেতারা আঠারো টি বছরের যে স্মৃতি গুলো আছে, এই আঙ্গিনায় পরে আজো কতো কিছু গেছে। রয়ে গেছে স্মৃতির এলবাম হয়ে অবশেষে, নতুন পুরাণ একাকার যে রয়ে মিলেমিশে। শুধু আমি নেই আঙ্গিনায় আগে মতো করে, পুকুর ঘাটে ফুলের গাছে তাকালে যে পরে। মনে অতিতের দিন গুলো ফিরে পেতাম আগের, মতো করে সাজিয়ে
বন্যা আফছানা খানম অথৈ বুকের উপর পানির জোয়ার ভাসছে বানভাসি। প্রতিবছর এমন দিনে আসে বন্যার জোয়ার। হাজার লক্ষ প্রাণ কেড়ে নেয় বন্যা নামক জোয়ার। বাঁচার জন্য চেষ্টা করে মানুষ নামক প্রাণী। সাতার কাটে জলের বুকে অশ্রু রাশি রাশি। জীবন যুদ্ধে লড়াই করে পায়না কুলের দিশা। স্রোতের জলে ভেসে চলে জীবন নামক চাকা। কলা গাছের ভেলার