কাব্যের মাকদিস আমার অন্তরের মাঞ্জিল
আসিফ মাহামুদ
তোমার নির্ঝর ঝর্ণাতে
যখন ফোঁটা ফোঁটা জল ঝরে।
ঝুম ঝুম শব্দ করে।
তখন তুমি মুগ্ধ হয়ে শুনতে থাকো এই
স্নিগ্ধ শব্দ।
ঠিক তখনই!
রকেট ছোড়ে বিকট শব্দে
হুমড়ি খেয়ে ঝাপিয়ে পড়ে আক্রমণে মাকদিসেতে।
ফিলিস্তিনের ছোট্ট খুকি’র রক্ত ঝরে অকাতরে।
কান্না করে ভীষণ করে!
হারিয়ে সব মজলুম বেশে এতিম হয়ে
ঐ দূর দেশে।
হায়! হায়!
কি জবাব দিবো আমি!
হাশর মাঠে খোদার তরে।
তারা যখন মুচকি হেঁসে
জলকে উঠবে রোজ হাশরে।
বলবে কথা মনের ব্যথা।
হারিয়েছে তারা পিতা- মাতা।
কিবলা রক্ষায় জীবন দিয়ে
শহীদ হয়েছে নিজ ভূমিতে।
বলবে তারা প্রশ্ন ছুড়ে
সেদিন কেন চুপসে ছিলে?
মায়া কান্নায় বুক বাসাইলে?
জলে স্থলে ছিলো কিসের বাদা?
আসলি না কেন?
যুদ্ধ করতে!
মুসলিম কি শুধু ছিলাম আমরাই এই পৃথ্বীতে?
কোন শব্দে চয়ন করবো এ যন্ত্রণা?
আমাদের অনূভুতি কি শুধুই নিস্তব্ধতা।
নিজেকে মানিয়ে নিবো?
আর শুনাবো মিথ্যা শান্তনা!
মোড়লরা সব অন্ধ!
স্বার্থের চোখে সত্য দেখে।
মানবতার বুলিতে তারা বিশ্ব বেহায়া ভন্ড।
আমি আজ ভীষণ ক্লান্ত!
কান্না’র আজ কন্ঠ নেই।
নেই দু, চোখের পানি।
মাকদিসের ছায়া
নির্যাতিত ভূমির মায়া।
আমার সহোদের আর্তনাদ।
আমি যেন মরে যাই
এ যন্ত্রণার বিষন্নতায়
আমি যে ভীষণ নির্বাক।
আমি ফিনিক্স হবো।
উড়াল দিবো।
আবাবিল হয়ে এটম ছুঁড়বো।
উড়িয়ে নিবো।
ধ্বংস করবো।
ধসে দিবো।
ঐ সশস্ত্র দানব ইয়াহুদীদের।
আমি আজ ভীষণ দগ্ধ!
আমার হৃদয়ে ফোঁটা ফোঁটা রক্ত ঝরছে।
প্রশ্ন করছে ঐ মাসুম মুখে।
কেন তোর মায়াময় কন্ঠে প্রতিধ্বনিত হয় পথে প্রান্তরে প্রার্থনা দিকে।
মায়া কান্না কেন তোর দু,চোখে?
বল!
কেন আমায় বলিস না?
কেন তুই ঐক্য গড়ে অস্ত্র হাতে
কালেমা আর শাহাদাতে সাথে নিয়ে
এই ভূমিতে আসিস না?
যুদ্ধ জয়ে যদি হস শহীদ বা গাজী।
এই কেবলা তো শুধু আমার না।
এই ভূমিতে শত নবীর পরশ মাখা
তা কি তুই জানিস না?
উড়ে আয়রে নবীব প্রবীণ।
হাকরে হাক তাকবীরে ডাক।
এই ভূমি তুই ছাড়িস না।
বাজছে হামামা যুদ্ধের দামামা।
শহীদ আর গাজী হীনে ঘরে তুই ফিরবি না।
এই কিবলা আর এই ভূমি তোর।
তা কি তুই জানিস না?
বীর মুজাহিদ শুনরে শুন!
এই ভূমি তুই ছাড়িস না!