তরী
সুমাইয়া ইয়াসমিন কণা
দুকূল ভরিয়া পানি,
ছোট্ট দিপে মোর ক্ষেত খানি ,
সোনালী ধানে ভরা ক্ষেত
কাটিয়া লইয়া যাবো মোর দেশ।
প্রবল ঢেউয়ে দুকূল ভাঙ্গে
বৃষ্টি নামবে কিছুক্ষণে,
ধান কাটিয়া বসে আছি একা,
মাঝির মেলে নাই কোনো দেখা ।
ক্ষণিক অপেক্ষায়!
দূরে দেখি আসিতেছে এক মাঝি ,
একলা বাইছে তার তরী।
দেখিয়া ডাকিলাম তারে
হে..! মাঝি একটু আমার দিকে চাও
তোমার তরীটি বারেক ফেরাও ।
শুনিয়া মাঝি কূলে ফিরাইলো তার তরী।
সমূখ হইয়া বলিলাম তারে ,
ঘন মেঘে ঢাকা এ গগন,জানিনা কখন নামিবে বর্ষণ।
একলা মানুষ আমি থাকি কি করে ..!
প্রকৃতি যে বড়ই নির্জন,
এ হেনু প্রস্থবে মাঝি বলিল ,
আমি ও একা পথে পাইনি কোনো মানুষের দেখা।
তরী আমার ভালোই বড়ো চাইলে
তুমি ও মোর সঙ্গি হইতে পারো।
তোমার সঙ্গে যতো আছে ধন নিয়ে নিও তার সন,
না হয় আমি গায়বো গান তুমি তাতে দিবে তান।
শুনিয়া হাসিতে ভরিলো মোর বদন ।
মাঝির তরীতে রাখিলাম দুটি চরণ ।
এবার বুঝি পাইবো মোর গায়ের দেখা ।
তরী যে কাটাইলো মোর নিঃসঙ্গতা।