মা দিবসের চিঠি
প্রিয় মা,
তোমাকে আজ নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিবো নতুন সময় নতুন যুগের সাথে,
তুমি তো এই সময় এই যুগের সাথে পরিচিত নও সময়ের সাথে সাথে সবকিছুর পরিবর্তন হয়েছে মেট্রো রেল পদ্মা নদীর উপরে পদ্মা সেতু হয়েছে স্যাটালাইটের যুগ এসেছে এখন সবাই মোবাইলে পড়াশোনা,গান, নাটক ছবি,চিঠি লেখা সবকিছু করে,বড্ড অবাক লাগে তুমি এই সবের কিছুই বুঝো না অথচয় সরকারি জব করো, এখন তোমার বেতনের টাকা হাতে নয় বরং মোবাইলে মাধ্যমে ব্যাংকে দেয় কিন্তু তুমি সেই টাকাটা পযর্ন্ত তুলতে পারো না, সবকিছুর পরিবর্তন হলো শুধু তোমার পরিবর্তন হলো না,মা আমি চাই না তোমার পরিবর্তন হোক, তোমার পরিবর্তন তুমি অনন্যা তুমি তোমার সেরা, তোমার মতো মা পেয়ে আমরা গর্বিত সন্তান, বাবা ছাড়া আমাদেরকে একহাতে মানুষ করেছো কারো সাহায্য সহযোগিতা নেওনি, নাওনি কারো সহানুভূতি সুসন্তান গড়ে তুলেছো নিজের খাবার আমাদের খাইয়েছো তোমার জীবনের সব রং বিসর্জন দিয়ে আমাদের জীবনে রঙিনে ভরিয়ে দিয়েছো, কখনো তোমার জীবনে না পাওয়া অনেক কিছু নিয়ে আফসোস করতে দেখিনি চোখের জল ফেলতে দেখিনি, যা কেঁদেছো শুধু আমাদের ভালো রাখার জন্য কেঁদেছো, তোমার ঋণ কিভাবে শোধ করবো মা, কতো রাগ কতো অভিমান তোমার সাথে করি কখনো তুমি বিমুখ হওনা বরং কাছে এসে তোমার মমতাময়ী হাতটা মাথায় রেখে বলো সবঠিক হয়ে যাবে, সত্যি বলছি মা তোমাকে ছাড়া আমি আমরা অসম্পূর্ণ, ভালো থেকো মা সবসময় এইভাবে সারাজীবন আমাদের তোমার মায়ার ছায়ার তলে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রেখো,
আজ বিশ্ব মা দিবসে তোমাকে জানাই একরাশ ভালোবাসা
Happy mother’s Day ma,
ইতি পাথর মৃর্ধা,
মা
—–
মা শব্দটি একটি অক্ষরে একটি শব্দে তবু অসিম তার ক্ষমতা এই একটি নামে “মা”,
“মা” ভালোবাসি তোমায়
তোমার মতো করে ভালোবাসতে পারি না নিঃস্বার্থ ভাবে, তোমার কাছ থেকে স্বার্থপরের মত শুধু নেয়
বিনিময়ে তোমাকে কখনো কিছু দেওয়া হয়নি।
তুমি তোমার মমতার আঁচলে সবসময় স্নেহ মায়ায় জড়িয়ে রেখেছো মোদের, তোমার ভালোবাসার কাছে ঋণী, সূর্যের যত তাপ থাকুক না কেন
সূর্যেকে এক টুকরো মেঘ ডেকে দিলে পৃথিবী শীতল হয়ে যায় ঠিক তেমনি তোমার মমতাময়ী মুখটি দেখলে জীবনের সমস্ত দুঃখ কষ্ট নিমিষেই মিলিয়ে যায় তোমার শীতল হাতের স্পর্শে।
তোমার হাসি মুখ দেখলে জীবনে আর কিছুই চাওয়ার নেই, ভালো থেকো ‘মা’তোমার কাছে চাওয়া সারাজীবন এই ভাবে আগলিয়ে রেখো তোমার মমতার আঁচল দিয়ে
“মা” দিবসে তোমাকে জানাই অন্তর স্থল থেকে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা,
তোমাকে নিয়ে মা
পাথর মৃর্ধা
প্রিয় আম্মি,
আরো একটা ‘মা দিবস’ তোমাকে ছাড়া কাটাচ্ছি। প্রতি বছরের মতো এবারো চিঠি লেখতে বসেছি। জানি ঠিক কি লেখলে তোমার কাছে আমার এই চিঠিটা পৌঁছাবে। তুমি কি জানো যে তুমি আকাশের তারা হয়ে যাওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত তোমাকে নিয়ে এতো কবিতা লেখেছি যে পুরো একটা ডায়েরি শেষ হয়ে গেছে। আচ্ছা আম্মি তোমার কি আমার জন্য লেখতে ইচ্ছে করে না?.. নাকি তুমি আমার জন্য জমা করেছো অজস্র চিঠি। কিন্তু পোস্টম্যানের খোঁজ পাচ্ছ না।
ইতি আমি
প্রিয় মা,
তোমার রক্তজল আর ঘাম কখনো বৃথা যেতে দিব না মা। ভালোবাসি কখনো বলা হয়নি, কিন্তু ভালোবাসার প্রমাণ দিবো তোমার ইচ্ছে পূরণ করে।
ইতি
তোমার ভরসার বড় মেয়ে অদিতি
প্রিয় আম্মু
আমার মা যেন শীতল বাতাসের মতো, তাকে দেখলেই মনটা জুড়িয়ে যায়। আমার মা যেন চাঁদ তিনি ঘরে থাকলেই ঘর আলোকিত হয়ে যায়। আমার মা যেন সকল অসুখের নিরাময় যাকে দেখলে সকল দুঃখ কষ্ট দূর হয়ে যায়। আমার মা যেন একটা ফুল, যার সুভাষ শেষ হয় না কখনো। মাকে নিয়ে বলে কখনো শেষ করা যাবে না। আমি আমার মাকে নিয়ে গর্বিত।
ইতি
মোঃ ইমাদাদুল ইসলাম
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
প্রিয় আম্মু,
ছোটবেলা তুমি যখন বলতে,”এই, তুই-ই আমার ছেলে, তুই-ই আমার মেয়ে।” এ কথটা কানে বাজলে আজও উঠে দাঁড়াতে শিখি।আমার অপ্রাপ্তির দিনে স্রষ্টার পরেই আমি তোমাকে মনে করি।এই বুঝি তুমি আমার প্রতি অসন্তুষ্ট হবা। অশান্ত মন নিয়ে তোমার সামনে দাড়াতে না পারার যে তীব্র কষ্ট, যা প্রতি সেকেন্ডে আমার আত্মাকে হত্যা করছে।তুমি যখন বলে, ‘কিচ্ছু হবে না।’ তখন সুনীলের কবিতার মতো নিন্দুকদের বলা যায়-“দেখিস, একদিন আমরাও…”মা,আমি ব্যার্থতার গ্লানি টানছি।তবুও তুমি আরো বড়ো বড়ো স্বপ্ন দেখাচ্ছো।এখন মনে হয়, যারা স্বপ্ন দেখতে জানে, সুনীলের মতো তারাও জানে,“আমার সব মরে,স্বপ্ন মরে না।”
তুমি আমার অস্ত্বিত্ব। তুমি হারাবার আগেই আমি যেনো হারিয়ে যাই।
ইতি
তোমার স্বপ্নবাজ ব্যার্থ সন্তান।
প্রিয় মা
পৃথিবীর কেবল একমাত্র মানুষ তুমি! যাকে আমি আমার মন খুলে সব বলতে পারি। এসব কথা বোঝার জন্য কেবল তোমার মতো একজন মাকেই দরকার।নিরক্ষর হলেও তুমিই আমার প্রথম শিক্ষক, অণুপ্রেরনা। যিনি জমিজমা গহনা অলংকার বিক্রি করে। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে। মুখে রক্ত তুলে রোজগার করে। রক্ত জল করা আয়ের প্রায় সমস্তটুকু অংশ আমার শিক্ষাখাতে ব্যয় করে আমাকে শিক্ষিত করবার জন্য। মানুষের মত মানুষ হওয়ার জন্য। নিজের পায়ে দাঁড়াবার জন্য। যে অগ্রন্য ভূমিকা পালন করেছ। তা বলতে আমার কন্ঠ রুদ্ধ হয়ে আসে। চোখের জল ঝরঝর করে পরে মাটি ভেজিয়ে দেয়। মনটা বড়ই ভারাক্রান্ত হয়। বিশ্বাস করতে পারিনা কীভাবে একটা মেয়ে মানুষ এত্তসব সামলে নিতে পেরেছে বা পারে। মা তুমি মহামায়া মহাশক্তি দশভুজা। তুমি বলেই বলতে পারছি অন্য কেউ হলে হয়তো এসব কথা সাবলীল ভাবে বলতে পারতাম না। মা আমার চাকরি চলে গেছে। যে মেয়ে আমাকে যেচে গোলাপ দিয়ে প্রপোজ করেছিল। পনের দিন হল তার আইফোন সুইচ অফ। কোন যোগাযোগ নেই।আর যে ভাড়াটে বাড়িতে আমি থাকি। সে বাড়িও ছাড়তে পারছি না। আর যদি ছেড়েও দিই। সামনে ভোট। হাইকোর্টের রায় কোনদিকে ঘুরবে তা কিন্তু জানা নেই। আবার এই শহরে এই ভাল পজিশনের ঘর।সমস্ত ব্যবস্থাই ভাল। বাড়ির মালিক ও মালকিনের ব্যবহার ও খুব ভাল। নিজের ছেলের মতই দেখে। আবার আমার অফিসের কাছাকাছি ছিল। এইসময় যদি ছেড়েও দিই। পরে যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তখন বড় মুস্কিলে পড়ব।আবার সব কিছু ছেড়ে ছুঁড়ে যদি বাড়ি চলে যাই তবে সব শেষ হয়ে যাবে।এর ফাঁকে ফাঁকে যদি কোথাও ইন্টারভিউ দিয়ে একটা কাজ জোটাতে পারলে কেল্লাফতে। কিন্তু এই জনবিস্ফোরণ কর্মসংকোচ কর্মসংকট যুগে একটা কাজ চাই বললে তো সহজে হাতের কাছে পাওয়া যায় না। প্রতিদিন কাগজপত্র গুছিয়ে সি.ভি নিয়ে সেজে গুজে ফরমাল পোশাকে বেরিয়ে পড়ি অফিসের দরজায় দরজায়। পায়ের শুক তলা খইছে। ঘাম ঝরে ক্লান্তি হয় খুব। এদিক ওদিক ছোটাছুটিতে ভাল ঘুম হচ্ছে না। টেনশনে টেনশনে জর্জরিত। কী হবে!ভাল করে পেটে ভাত যাচ্ছে না। এখন মনে মনে হয় আমার জীবনের কোন দাম নেই।বুঝলাম কর্মহীন পুরুষের খালি পকেটে থাকা খুব বেদনার। কারণ একটা পুরুষ শুধুমাত্র একার জন্য বাঁচে না। তাকে ঘর বাইরে সমাজে অনেক কিছুর উপর নির্ভরশীল থাকতে হয়। মা গো তুমি আমার জন্য যা করছ তার এক সিকি যদি করতে পারতাম?নিজেকে সুপুত্র হিসেবে বুক বাজিয়ে বলতে পারতাম। মা তোমাকে এই মা দিবসে বিশেষ করে কিছু দিতে পারলাম না। অনেক ইচ্ছে ছিল আমার মাকে দেবীর মত রাখব। অনেক ভাল রাখব।জীবনের সব দুঃখ মুছে দেব। পাশে থাকব। কাছেই রাখব। চোখের জল ফেলতে দেব না। সেই মনোবাঞ্ছা পূরণ না করে আবার নতুন করে আমি দুঃখ দিয়ে ফেললাম ক্ষমা কর। আমার কাছে মাতৃ দিবস সবদিন। তোমাকে সেবা করবার সকল মুহুর্ত।আমি কি করে তোমার কাছে হাত পাতব মা?তেত্রিশ বয়স হয়েছে।বড় হয়েছি।বড় লজ্জা লাগে। এখন তোমাকে আমার দেওয়ার কথা না করে আমাকে হাত পাততে হচ্ছে। বড় দুর্ভাগ্যজনক। মা আমি জানি তুমি আমায় ভুল বুঝবে না।সত্যি বলছি তোমার ছেলে আর কখনও ভুল করবে না মা।এই মাতৃ দিবসে এমন কিছু লেখা আমার ঠিক হয়নি। তবুও এটা যে চরম সত্য। আর কতদিন সত্য চেপে রাখব মা? সত্য চেপে রাখতে গুছিয়ে মিথ্যা কথা বলতে হবে। জীবন দুর্বিশহ হয়ে উঠবে। জীবন জটিলতায় ভুগবে। তার আগে সব বলে বুকের পাথর সরিয়ে দিলাম। তুমি সুস্থ স্বাভাবিক থেকো সর্বদা। তোমাকে কথাগুলো বলে বেশ হালকা মনে হচ্ছে আজ। আর কথা না বাড়িয়ে অত্যন্ত একটা কাজ খোঁজার চেষ্টা করছি।মা গো এই চিঠির উত্তর দিও।
ইতি
বিনীত
তোমার স্নেহের তপু
প্রিয় জননী,
আপনি আমার জন্মধাত্রী।আমাকে দেখিয়েছেন পৃথিবী। আপনার অজস্র কষ্টের ফল হলাম আমি।কথিত আছে,মেয়েদের সবচেয়ে প্রিয়জন হয় নাকি তার মা,আচ্ছা আমার ক্ষেত্রে ঠিক তার ব্যতিক্রম কেন বলুন তো?আপনার সাথে আমার তেমন কোন দিক দিয়ে মিল নেই বললেই চলে, তাই না? আমি অল্প কথায়ও আকাশসম আঘাত পাই!আম্মু আমি এমন কেন?আমি আমার অনুভূতি গুলো কাউকে বলতে গেলে গুলাটে হয়ে গলায় আটকে থাকে যেন।শত ঝড় তুফানে তোমার আঁচলে আগলে রেখো আমায়,মেদিনী যদি দ্বিখণ্ডিতও হয়ে যায়।আমি নিতান্তই সহজ-সরল, তাই আমাকে আঘাত দিতে কেউ ভাবে না কারণ আমি চঞ্চল! আম্মু আমি তোমাকে সবসময় আমার পাশে পেতে চাই যেকোন দুঃখের ভেলায়।আপনাকে আমি অনেক ভালোবাসি। কিসের সাথে তুলনা করা যায় বলুন তো?উমম..বলতে গেলে হয়তো লিখতে লিখতে হাত ব্যাথা হয়ে চার্জ শেষ হয়ে মোবাইল নষ্ট হয়ে রাত গড়িয়ে দিন আবার দিন গড়িয়ে রাত এমনকি কিয়ামতের আগ মুহূর্তেও হয়তো শেষ হবে না! আপনাকে জীবনের চেয়েও অনেক বেশি ভালোবাসি আল্লাহর জন্য।
ইতি,
আপনার নুহাগাড়ি।