হুশিয়ার
মাহমুদা জান্নাত
জন্ম দিলো পিতা মাতা
কেউ বা দিলো নাম।
সবটাই তো পরের দয়ায়
কি আছে তোর দাম!
আদব কায়দা, বলার ভাষা
সব ও পরের ধার।
গুরুর কাছে শিক্ষা দিক্ষা
গর্বটা বল কার।
মরবি যখন যাবি কবর
পরের কাধই পাবি।
এ সংসারে কি আছে তোর
কি বা নিয়ে যাবি?
কবর হলো আপন বাড়ি
ভাবো রে মন ভাবো।
হায়াত শেষে মরণের পরে
আমরা কোথায় যাবো?
হও রে মন হুশিয়ার আজ
ধর্ম মেনে চলো।
অন্যায় ছেড়ে ফিরে এসো
ন্যায়ের কথা বলো।
জবাবদিহি করতে হবে
কর্ম ছিলো যতো।
খোদা ভীরু হও রে মন
চলো মুমিনের মতো।
দেখা হবে
মাহমুদা জান্নাত
আমি এঁকেছি তোমারে
হৃদয়ও মাঝারে।
সাজিয়েছি তোমারে
প্রেমও আকারে।
বলতে চাই কিছু কথা
প্রেম নয় নীরবতা।
কেঁদেছি তোমার তরে_
এটাই বুঝি গভীরতা!
ফাগুন এসেছিল একদিন
কৃষ্ণচূড়ার সাজে।
বলা হয় নি মনের কথা
পুষেছিল লাজে।
সেদিন হতে আজ বহুদিন
পেরিয়ে গেছে ভবে।
কোনোদিন পথের বাঁকে
হয়তো আবারও দেখা হবে_!
কবি পরিচিতিঃ মাহমুদা জান্নাত। ২০০২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর তিনি রংপুর বিভাগের গাইবান্ধা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা: মো: লুৎফর রহমান (ব্যাবসায়ী) ও মাতা : আকলিমা বেগম (গৃহীনি) কাটিরহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,চট্টগ্রাম থেকে মাধ্যমিক এবং কাটিরহাট মহিলা কলেজ, চট্টগ্রাম থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীণ্ হয়। তিনি এখন পলাশবাড়ী সরকারি কলেজ, গাইবান্ধা অনার্স ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার লেখালেখি মাধ্যমিক এর গনডি পেরোনোর আগে থেকেই শুরু। তিনি লিখতে ভালোবাসেন।
এগিয়ে যাও কবি।
আল্লাহ তোমার সহায় হোন