প্রিয়তমাকে নিয়ে সেরা ১০ টি কবিতা

প্রিয়তমাকে নিয়ে কবিতা

প্রিয়তমাকে নিয়ে কবিতা পড়া হয়েছে অনেক। কিন্তু তাকে কখনো শোনানো হয়নি। তাকে শোনানোর জন্য সেরা ১০ টি কবিতা সংকলন করা হয়েছে। উল্লেখিত ১০ টি কবিতাই ইউনিক, এর আগে হয়তো তেমন কেউ পড়েনি৷ আশা করি, কবিতা গুলো আপনাদের ভালো লাগবে। কবিতা গুলো কোথায় শেয়ার করলে অবশ্যই কবিদের নাম ও লেখার শিরোনাম উল্লেখ্য করবেন। কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।

প্রিয়তমাকে নিয়ে কবিতা

প্রিয়তমদের ব্যস্ততা
দেওয়ান মুক্তা

গাছ থেকে যেমন করে পাতা ঝরে,
কারো কারো কাছে হ্যালো বলাতেই আবার-
পকেট থেকে টাকা পড়ে।
কিন্তু,এ পৃথিবীর সবাই কি আর টাকার পাগল?
কেউ কেউ তো আছে শুধুই ভালোবাসার পাগল।

কারো কারো বেহায়া মন সারাদিন শুনে প্রলাপ-
ভাবে এ বুঝি গভীর ভালোবাসারই সংলাপ।
তখন মায়াবী মেয়েটিও ভাবে,থাক না একটু ব্যস্ত,
এত অভিমান করেই বা কি লাভ?

নারী তো আবেগী,নারী কি আর বুঝে পুরুষ কত বাস্তববাদী?
অভিমান হয় আবার ঘুম ভাঙিলেই অভিমান ভাঙে-
এভাবেই কেটে যায় কত দিনের পর দিন।
নারী ভাবে হয়তো কোনোদিন আসিবেই সে সুদিন।

কত সব নানা কল্পনায় কাটে যে কত দিনরাত্রি-
সেদিন রাতের আকাশ দেখিব মন ভরে,
জোনাকির আলোয় তাঁরা গুনিতেও ভুলিব না,
মেঠো পথে মাঝ রাস্তায় দাঁড়িয়ে ভিজিব বৃষ্টিতে-
ওই যে করিম চাচার টঙের দোকান-
ভেঝা শরীরে চাও খাবো খানিকটা।

এভাবেই কত অপেক্ষার পর অপেক্ষার প্রহর কাটে-
কৈ তবুও তো প্রিয়তমের ব্যস্ততা ফুরোয় না।
হয়তো পৃথিবী যতদিন রবে-
প্রিয়তমদের ব্যস্ততাও ততদিনই থাকিবে –
তাই বাস্তবের চেয়ে প্রিয়তমাদের কল্পনাই বেশি সুন্দর।

 

তুমি মানে
এ,বি,এম মিজানুর রহমান

তুমি মানে রোদেলা সকাল
তুমি মানে টক মিষ্টি ঝাল।
তুমি মানে ভালোলাগা হৃদয়ে উষ্ণতা
তুমি মানে অন্য এক ভাবালুতা।
তোমার জন্য সোনালী সূর্য ওঠে
তোমার জন্য পাখির কণ্ঠে সুর ওঠে।
তোমাকে মনে পড়ে উদাস দুপুর
তোমাকে মনে পড়ে বাঁশরির সুরে।
তুমি মানে শরতের তুলা পেঁজা মেঘমালা
তুমি মানে কাশবনে কাশফুলের মেলা।
তুমি আমার গোধূলির পড়ন্ত বিকেলবেলা
তোমাকে ভাবি আমি সারাবেলা।
তুমি হলে ভরা নদী রাতের জোছনা
তোমার জন্য সৌরভ ছড়ায় হাসনাহেনা।
তুমি হলে একলা রাতের নীরবতা
তোমার জন্য আমার যত কবিতা।
তুমি মানে আমার সুর তাল লয়
তুমি মানে কাঞ্চনজঙ্ঘা হিমালয় জয়।

আরো পড়ুনঃ  জিইয়ে রাখ তেজ কলমে নাসির হায়দার

প্রিয়তমাকে নিয়ে কবিতা, বউকে নিয়ে কবিতা

প্রিয়তমা
মুক্তি আল মাহমুদ খান

তুমি আমার এত কাছে
তবু মনে হয়
তুমি মোটেও আমার
কাছের মানুষ নয়

তুমি কাছে থেকেও যেন
যোজন যোজন দূর
গল্প আছে ছন্দ আছে
নেই শুধু সুর

কল্পনার রং তুলিতে
তোমায় ছুঁয়ে দেখি
তুমি মোর মন কাননে
চিরচেনা পাখি

পেয়েও তোমায় হয়নি পাওয়া
মনের মতো করে
হাত বাড়ালে ছোঁয়া যায়
তবু তুমি দূরে

বুকের মাঝে পাহাড় সম
ভালোবাসা জমা
প্রিয় থেকে কবে হবে
তুমি প্রিয়তমা?

আরো পড়ুনঃ কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

 

কিছুটা তোমার জন্য
নাশিদ সুলতানা

সেই যে একদিন বলেছিলাম,
কিছুটা পথ বাঁচিয়ে রেখেছি,
তোমার সাথে হাঁটবো বলে একান্তে।
হেলেদুলে, কোনো এক অচিন প্রান্তে।
যেমন করে আচমকা হেঁটেছি,
কোনো কিছু তোয়াক্কা না করে!
আঁধার পথে বাতি জ্বেলে,
স্বপ্নহীন বালুচরে।
ভূলে যাও কেন বলতো?
নাকি জমিয়ে রাখা স্মৃতিগুলো
নাড়া দেয়না আর আগের মতো?
ফেলে রেখে পথে, এগিয়ে গেছো
ভুলিয়ে দিয়ে হিসেব আছে যতো।

প্রিয়তম
নিপা রায় স্বস্তি

বড্ড জানতে ইচ্ছে হয়,
আমার চাইতে কে তোমায় অধিক ভালোবাসে!

এই যে গদ্যময় লেখাগুলো চিঠিপত্রের বাক্সে যত্নে রাখি,
অপরাজিতার মালা গেঁথে সাজিয়ে রাখি তোমার চিত্রপটে,
এমন যত্ন আর কে করে আমি ছাড়া!

আমি ছাড়া কে কৈলাশ শৃঙ্গের মানস সরোবরে প্রেমের বাসনায় বাসর সাজায়,
যমুনা তটের নিঃশব্দ কল্লোলে চেয়ে থাকে নিরন্তর ভাবনায়!

কে এমন চন্দ্রনাথের চূড়ায় উঠে তোমার নামে মঙ্গল প্রদীপ জ্বালায়!
কে আছে এমন?

কেউ কি আছে যে পারিজাতের ছায়াতলে আমারই মতো আজন্ম অধীর আগ্রহে অপেক্ষার প্রহর গুণে!
দেশান্তরী হয়ে দেড়শো মাইল পথ হেঁটে,
দেড়শো বছর পরেও কাব্যের অক্ষরে অমোঘ অনুরাগ বুনে!

নাহ।এমন কেউ নেই।আমি ছাড়া সত্যিই তোমার এমন কেউ নেই।

অথচ কোন মায়াবিনীর ইন্দ্রজালে বন্দী হয়ে আমায় করুণা দেখাচ্ছো তুমি!
তুমি থাকো ধুম্রজালের প্রতিশ্রুতি নিয়ে।

আরো পড়ুনঃ  স্বাধীনতার পঞ্চাশ পেরোলেও মোরা আজও স্বাধীন নও

আমি আজ প্রতিবাদহীন হয়ে দেড়শো বছরের অনিশ্চয়তায় ডুবে যাবো।

আর্তনাদহীন হয়ে সোনার সিন্দুকে ভালোবাসা বন্দি করে কুয়াশায় মিলিয়ে যাওয়ার আগে শেষ বার্তায় লিখবো,
“সখা তুমি জানো নাহ
কি হারাতে যাচ্ছো,
হন্যে হয়ে মরিচীকার শুন্যে বিলীন হতে ছুটছো।”

আরো পড়ুনঃ ৭টি স্তন ক্যান্সারের উপসর্গ ও চিকিৎসা

তোমার উপমা
আল-মামুন রেজা

তুমি সোনালী রোদের হাসি মাখা-
উড়ন্ত মেঘের ভেলা,
তুমি ফাগুনের আভাসে ফুলের সুবাষে
পড়ন্ত বিকেল বেলা।

তুমি বৃষ্টির দিনে ক্ষিপ্ত নদীতে
ভেসে আসা অচিন তরী,
তুমি দমকা হাওয়ায় উড়ে বেড়ানো
সুতো কাটা সেই ঘুড়ি।

তুমি পথের বাঁকে ফুটে থাকা
সাদা শরৎ এর কাশফুল,
তুমি স্রোতধারা নদীতে ফুটন্ত পদ্ম
প্রেমও নদীর দু-কুল।

তুমি সকাল বেলা ফসলের খেতে
ঝড়ে পড়া শিশির বিন্দু,
তুমি আপনের চেয়েও হতে পার আপন
প্রেমের এক মহাসিন্ধু।

তুমি পূর্নিমা রাতে চেয়ে থাকা এক
পূর্ণ চাঁদের আলো।
এসবের উপমা হবে তুমি তবে,
যদি বাসতে পার ভালো।

 

হৃদয় গহীনে
মুক্তি আল মাহমুদ খান

অমৃতের স্বাদ তুচ্ছ মনে হয়
পেলে তোমার প্রতিশ্রুতি,
অন্তরে সীমান্তরে মিশে রয়েছে
শুধু তোমারই অনুভূতি।

হৃদয়ের মহাশূন্যে কম্পিত হয়
তোমার পরশ পেলে,
সকল তৃষ্ণা বিলীন হয়
তুমি ছুঁয়ে দিলে।

নিমীলিত নেত্রে দেখি প্রাণভরে
তোমারই প্রতিচ্ছবি,
অগাধ উল্লাসে জাগ্রত প্রয়াসে
তুমিই ভোরের রবি।

বন্ধদ্বার করিলে উম্মোচন
জাগালে প্রাণের সঞ্চরণ,
করেছো তুমি সবার অজান্তে
আমার মনোহরণ।

মোর কন্ঠ মম জড়ায়ে আছে
তোমারি অন্তরে,
দেহ মন প্রাণ বন্দী রয়েছে
প্রেমের পিঞ্জরে।

গভীর গহনে জাগিয়া উঠিলো মোদের প্রত্যাশা,
মিটিবে স্বাদ গোচাবে দুঃখ অন্তিম দুরাশা।

সুরের আবেশে গিয়াছে হারিয়ে
শূন্যতার হিয়া,
পূরণ হবে সব, হৃদয় গহীনে
আছে যা চাওয়া।

আমি স্বর্গ রাজ্য চাইনা ভবে
চাই শুধু মন
জমিয়ে রেখেছি হৃদয়
গহীনে করিব অর্পণ।

আরো পড়ুনঃ  প্রেমিকরা অভিমানী কবিতা | প্রেমিকরা অভিমানী কলমে রিয়াজুল করিম সোহান

 

প্রিয়তমাকে নিয়ে লেখা ১০ম কবিতাটি লেখেছেন মোঃ রাহমান উদ্দিন। কবিতাটি নিচে উল্লেখ্যা করা হলো…

 

তুমি আমার ভালোবাসা
মোঃ রহমান উদ্দিন

ভালোবাসা হৃদয় জুড়ে
প্রেমের পরশ পেয়ে ,
তুমি আমার মনের মাঝে
সারাবেলা ধেয়ে।

মনের আকাশ প্রেমের মাঝে
সুখের আশা নিয়ে,
তুমি আছ মনের কোণে
অফুরন্ত ভালোবাসা নিয়ে ।

তোমার কথা ভেসে আসে
পুলক মনে থেকে,
তোমার আশায় বসে আছি
অন্তরে ছবি একে ।

আশার আলো মনের মাঝে
হৃদয় দুয়ার খুলে,
ভালোবাসা দিব তোমায়
মনটা যাবে দুলে।

প্রেমের প্রীতি আছে মনে
সারাবেলা ধরে,
ভালোবেসে যাব তোমায়
সারা জীবন ভরে ।

 

প্রিয়তমাকে নিয়ে কবিতা গুলো ভালো লাগলে অবশ্য আপনার Social Media Platform গুলোতে যেমন ফেসবুক, টুইটারে শেয়ার করার অনুরোধ রইলো। প্রিয়তমাকে নিয়ে আরো কবিতা উক্তি পেতে সাথেই থাকুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *