ভাইয়ের কাছে বোনের চিঠি
প্রিয় ভাইয়া,
কি লেখা দিয়ে চিঠি শুরু করবো বুঝতেছিনা। ভাইয়া তুমি কি জানো? তোমার এই ছোট্র বোনটি তোমায় কতটা ভালোবাসে? হয়তোবা জানো না কারণ আমি তো তোমার কাছে কখনোই আমার অনুভূতি টা প্রকাশ করিনি। কখনো বলিনি আর সব ভাই-বোনদের মতো যে, ভাইয়া আমি ও তোমাকে ভালোবাসি ভীষন ভালোবাসি! তুমি কি সেটা কখনো বুঝবে? জানো তো সেই ছোট্ট বেলা থেকে আমি তোমাকে ভাই এর পাশাপাশি একজন বেষ্ট ফ্রেন্ড ভাবি। কারণ যখন আমি কিছু বুঝতাম না, তখন তোমার কাছে আসতাম তুমি আমায় কি সুন্দর করে সবটা বুঝিয়ে দিতে। আমি যখন কোনো ভুল করতাম তখন তোমায় ভীষন ভয় পেতাম এই বুঝি তুমি আমায় মারবে নাকি, তবে তুমি না মেরে কান ধরে উঠ বস করাতে। কি ভীষণ মিষ্টি মধুর ছিলো সেই দিন গুলো। আমি আজও মিস করি সেই দিন গুলো আর আপসোস করি সেই দিন গুলোর মতো যদি আবার সবটা ফিরে আসতো! কেনো বড় হয়ে গেলাম যদি সেই ছোট্টই থেকে যেতাম খুব বেশি কি অন্যায় হতো? জানতো, আমি না খুব ভাগ্যবতী। তোমার মতো একটা ভাই পেয়েছি। এমন ভাই কয় জনে পায় বলো তো? একটা জিনিস আমায় ভীষণ ভাবায় সেটা কি জানো? আমার ছোট্ট বড় সকল আবদার গুলো তুমি না বলতেই বুঝে ফেলো আর আবদার গুলো মিটিয়ে দেও। বাবার পরে ভাই হয় বট গাছের মতো। যেই গাছ টা ডাল পালা দিয়ে মাথার উপর ছায়া দেয় মাথা গোজার ঠাই দেয়। তুমিই হলে সেই যে আমায় এত দুর এগিয়ে নিয়ে এসেছো তোমাকে নিয়ে আরো অনেক কিছু লেখার ইচ্ছে ছিলো। তবে আর লিখলাম না। সবশেষে একটা কথাই বলবো ভীষন ভালোবাসি তোমায়। কখনো মুখ ফুটে তোমায় এই কথা টা বলতে পারবো না তোমার সন্মুখে। আমি জানি মুখে ভালোবাসা প্রকাশ করা যায় না কাজ দ্বারা প্রমান করতে হয় সেটা তো কখনোই প্রমান করতে পারলাম না তাই এই ছোট্ট চিঠিটা লিখে দিলাম। আমার কাছে চিঠি মানে আবেগ অনুভূতি প্রকাশ করার শ্রেষ্ট মাধ্যম।তাই আমার মন কুঠিরে জমিয়ে রাখা অসংখ্য অনুভূতি থেকে একটু খানি তোমায় নিয়ে লিখে ফেললাম। তোমাকে নিয়ে লিখতে কখনোই আমার লেখা শেষ হবে না ভাইয়া ! আল্লাহ তোমাকে সব জায়গাতে যেকোনো পরিস্থিতিতে ভালো রাখুক এই দোয়া করি আল্লাহ কাছে। ভালো থেকো।
ইতি
তোমার ছোট্ট বোনটি,