১০+ সেরা ইসলামিক কবিতা ২০২৪

ইসলামিক কবিতা ইসলামিক সাহিত্যচর্চার একটা অংশ। বর্তমান সময়ে নবীন লেখক-লেখিকার সংখ্যা যথেষ্ট বেড়েছে, পাশাপাশি লেখা প্রকাশিত হলে যে লেখালেখির প্রতি আগ্রহ টা বেড়ে যায়। তাই আমরা নবীন ও প্রবীণ লেখক লেখিকাদের মধ্যে বাছাই করে ১০ টি ইসলামিক কবিতা প্রকাশ করছি। 

 

 

ইসলামিক কবিতা পিক | Islamic kobita pic
ইসলামিক কবিতা পিক | Islamic kobita pic

মুসলিম

আল্-ইমরান রহমান

 

জন্মেছি আমি মুসলিম ঘরে তাই নামে মুসলমান,
ইবলিশের প্ররোচনায় পডেছি মোরা, ভুলেছি খোদার অম্লান।
আল্লহর আদেশ পালন করে মুমিন পাবে বেহেশতী সম্মান।

কোরআন পড়িনা নামায পড়িনা ভুলেছি খোদার নাম,
হাশরের মাঠে মুমিন পাবে তার যোগ্য প্রাপ্তির দাম।
নবীর সুন্নাত ভুলে গিয়ে আজ, চলছি আধুনিক বেশে,
দোযখ নাকি বেহেশত পাবো হাশরের বিচারের শেষে।

পুন্যের পাল্লার বাটখারা বানাও মানুষ, দুনিয়ার মায়া ছেড়ে,
মৃত্যুর দুয়ারে এসে গেলে জান, আজরাইল নিবে কেড়ে।
আল্লহর আদেশ আর নবীর সুন্নাত মেনে, ছেড়ে দাও বাজে ধান্দা-
মরনের আগে হয়ো তুমি ভাই, খাটি মুসলমান মুমিন বান্দা।

খোদার সান্নিধ্য লাভের আশায় দুনিয়ার মায়াজাল নামাই,
হাশরের মাঠের নবীর শাফায়াত পেতে, করে মুমিন নেকি কামাই।
জগতের মোহ ছেদে দাও মানব মসজিদের পথ ধরো,
মুমিন হয়ে যেন খোদাকে পেতে পার, এমন জীবন গড়ো।

আল্লাহর আদর্শে নবীর সুন্নাত নিয়ে আনো অন্তরে খোদার ভয়,
মুসলমান হয়ে জন্মানো সার্থক হবে সেদিন, হবে ইসলামের জয়।

 

 

শান্তির ধর্ম ইসলাম

শামীমা আক্তার

 

মানবতার ধর্ম ইসলাম
মানবতার কথা বলে
সৎ পথে চলার কথা বলে
ভালো কাজের আদেশ করে
মন্দ কাজ নিষেধ করে
রোজা রাখো, নামাজ পড়ো
হজ্ব করো
যাকাত, ফিতরা আদায় করো
গরীবের হক আদায় করো
ক্ষুধার্তকে খাবার দাও
রোগীর সেবা করো
পিতা-মাতাকে সম্মান করো
বিপদগ্রস্তকে সাহায্য করো
আল্লাহ কে স্মরণ করো
বিপদে সবর করো
নারীরা পর্দা করো
এতিমকে কষ্ট দিওনা
পিতা-মাতাকে কষ্ট দিওনা
কারো হক নষ্ট করো না
আমানতের খিয়ানত করোনা
ঘুষ খেওনা, সুদ খেওনা
পাপাচারে লিপ্ত হইয়োনা
অশ্লীল ও মন্দ কাজ করোনা
জেনা করো না
ধর্ষণ করো না
নারীকে অসম্মান করো না
যদি থাকে ইসলামিক জ্ঞান
সে করেনা নারীর অসম্মান
এই সকল কথা ইসলামের বাণী
ইসলামের শিক্ষা এসব
আমরা সবাই জানি
শান্তির কথা বলে ইসলাম তার নাম
মানবতার ধর্ম, শান্তির ধর্ম ইসলাম।

আরো পড়ুনঃ  কবি শরীফ মোঃ সালমান -এর সেরা ২টি কবিতা

 

 

আযান ধ্বনি

হাবিবুর রহমান

 

 

ভোর সকালে আযান ধ্বনি
কানে এলো ভাই,
মনে চায় যেতে আমার
সোনার মদিনায়।

এত মধুর আযান ধ্বনি
হৃদয় মাখা সুর,
ফজিলাতের কথা বলে
ডাকছে যে হুজুর।

পূণ্যে ভরা খোদার ঘরে
চলো সবাই যাই,
আল্লাহ তালার কুদরতি পায়
সেজদাহ দেবো ভাই।

শূণ্য ভরা জীবন মোদের
পূণ্যে উঠুক ভরে,
ক্ষণিক পথের দিশা ছেড়ে
সুখে থাকি সবে।

আযান ধ্বনির মধুর কথা
হৃদয়ে থাকুক লেগে,
কাঁটায় ভরা বিষপ্রাণে
শান্তি আসুক নেমে।

 

 

ইয়া আল্লাহ

আবু সাঈদ

 

 

যা কিছু আছে এই বিশ্বকুলে,
আছো তুমি সবকিছুর সৃষ্টিমূলে।
রহমতের সকল দ্বার তুমি দিয়েছো খুলে,
তবু মোরা অকৃতজ্ঞ আছি তোমায় ভুলে!

তোমার হুকুমে চলে গ্রহ,তারা,আসমান জমিন,
সর্বকিছুর আধার তুমি মহান রাব্বুল আলামিন।
তোমার দয়ায় আছি বেঁচে সারা নিশি দিন,
রোজ হাশরে রইবে না ছায়া তোমার আরশ বিহীন।

খালেক তুমি,মালেক তুমি,রহিম রহমান
অশেষ তোমার নেয়ামত তুমি করেছো মোদের দান।
ইয়া আজিছু,ইয়া খালিকু,ইয়া জাব্বার,
ইয়া সালামু,ইয়া মালিকু,ইয়া গাফফার।

অদ্বিতীয় স্রষ্টা তুমি,করবো তোমার গোলামী অবিরাম,
ইয়া মালিকাল মুলকি,যাল জালালী ওয়াল ইকরাম।

 

আল্লাহর প্রেমের প্রেমিক হও

সাদিয়া ইসলাম আফরিন

অন্ধকার রাত যখন গভীর থেকে গভীর হয়!
এক দল লোক তখন বিছানা ছেড়ে,
শান্তির ঘুম ভুলে লুটিয়ে পড়ে রবের দিদার পাওয়ার আশায়।

হৃদয়ে জিকরুল্লাহর ধ্বনি, মন উথাল পাথাল।
এতো পাপের বোঝা সইতে না পেরে,
রবের কাঠ গড়ায় বান্দার আগমন।

শেষরাতে গুনাহগার বান্দা যখন পড়ে তাহাজ্জুদ
বান্দা তখন সম্মানিত হয়,
আল্লাহ সুবাহানাতালা বাড়িয়ে দেয় তার ইজ্জত।

গভীর রাতে নিস্তব্ধ চারিদিক ঘুমিয়ে আছে সব।
মস্ত বড় সুযোগ রব এর কাছে পানহা চাইবার।

আল্লাহ প্রেমে ধন্য হতে চাই যার হৃদয়!
অন্ধকার এ রজনীতে জাগতে হবে হে মুমিন ভাই।

আরো পড়ুনঃ  আমায় ছেড়ে যেওনা হেমান্তি (গদ্য-কবিতা) কলমে রত্না হোড়

কাঁদতে হবে,কাঁদতে হবে!
দিল উজার করিয়া পাগলের ন্যায় কাঁদতে হবে।
খোদাপ্রেমের যাতনায় কাতর হইয়া তখন প্রেমাস্পদ বেদনায় কাঁদতে হবে।

নিভৃতে রজনী আল্লাহকে ডাকতে হবে!
আশেক মুমিন কেঁদে কেঁদে সিজদায়।

শেষ রাত যে পার করবে,প্রভুর ইবাদত করায়।
দুনিয়ায় সে সুখী মানুষ হবে,
পরকালেও জান্নাত লাভ।

হে যুবক!হে মুমিন ভাই,
মাটির উপরে নেক কাজ করো, অমল করো।
মৃত্যুর পর মহান প্রভুর নিকটে সম্মানিত হবে তোমরাই।

 

ইমান নিয়ে ইসলামিক কবিতা
ইমান নিয়ে ইসলামিক কবিতা

ইসলামিক কবিতা বিশ্বাসী

 

নিজাম শাহ্‌

ইবাদত বলে, হে বিশ্বাসী
এসো মোর তরে ,
আমরা সবাই একত্রিত
হই সৃষ্টিকর্তার ঘরে ।
ইবাদত দ্বারা করি মোরা
শুদ্ধি সাত স্তরের দেহ ,
বিশ্বাস ছাড়া মুক্তি কারি
দিশারি নাই কেহ ।
বিশ্বাস বলে, কোথায় খোঁজ
আছি তোমার দেহেরই ভিতরে ,
পাবে খুজে মন মঞ্জিলে
অন্তর পরিস্কার করে
কেনো কামের সাথে ঘুমিয়ে তুমি
রাগের মাঝে ভেড়া ,
লোভের পূজা করে তুমি
বলো কেহ নাই ঘরে তোমার
শুধু আমি ছাড়া ।
মোহের মাঝে অন্ধ তুমি
আত্মগর্বে নেশা ,
অহংকারে হারাবে তুমি
জান্নাতেরই আশা ।

 

 

সু মুসলিম

 

কবি মিজান বিএসসি

সু মুসলিম হতে চাও
বিধর্মীদের সম্মান দাও,
অনাথ এতিম যেই হোক
সবাইকে খেতে দাও।

ভিন ধর্মী যদি কেউ
থাকে তোমার পাশে ,
তাদের ভালোবাসো
কথা বলো হেসে।

নিরাপত্তা দেওয়া তাদের
তোমার দায়িত্ব,
তবেই পূরণ হবে
মুসলিমের স্বত্ব।

অভয়ে তারা হেসে খেলে
পালন করবে ধর্ম,
বাঁধা দিলে পরকালে
পুঁড়বে তোমার চর্ম।

ইসলাম হলো মহান ধর্ম
মহৎ করো কর্ম,
উদারতা দেখে নাস্তিক
গ্রহণ করবে ধর্ম ।

 

 

আমি হব সবার পাখি

সাবিনা খাতুন (রহিমা)

আমি হব সবার পাখি
সকল কে আমি ডাকি
সকাল বেলায়
ফজর এর সময়

যাবে সবাই দলে দলে
মসজিদের দিকে অগ্রসর হতে
সূর্যি মামা উঠার আগে

আরো পড়ুনঃ  নববর্ষের ঝুড়ি | নববর্ষের কবিতা

শেষ মোনাজাতে অশ্রুতে
ভিজে এ দুটি আঁখিতে
যতো পাপ পড়েছে
অশ্রু ফুটাতে যাবে ঝরে
মন থেকে ডাকি,প্রভু তোমারে

হৃদয়ের বেদনা দেও সবে মুছে
মনের স্বপ্ন আশা দেও তবে পূরণ করে
ফিরিও না খালি হাতে
শূন্য হাত দুটো তোমার দিকে তুলে
অনেক আশা নিয়ে তোমার প্রাণে
শুধু তোমার প্রাণে চেয়ে
এই বুঝি স্বপ্ন আশা পূর্ণ করে দিলে

লা ইলাহা………..!
বলতে বলতে নামাজ শেষে
যিকির করে আসবো বাড়ি ফিরে
আমি হব সকাল বেলার পাখি
সবার আগে উঠবো আমি
জাগাবো আমি পাখির ভেসে
মিষ্টি সুরে গেয়ে গেয়ে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *