কোটা আন্দোলন নিয়ে কবিতা
স্বাধীনতা ও শাসক
নিহাদ হোসাইন
এ কেমন স্বাধীনতা এলো তোদের এই বাংলায়,
তোদের মুখে অলীক স্বাধীনতার গল্প কিভাবে মানায়?
যে বলে উচিত কথা, কেড়ে নিস তার বাক স্বাধীনতা।
যারা করে ন্যায়ের পক্ষে আন্দোলন তাদের করিস গুলিবর্ষণ, এটাই কি স্বাধীনতা?
আমার ভাইয়ের রক্তে কেন রক্তাক্ত আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের হল?
এই অত্যাচারের বিপরীত আঘাত সইতে পারবি বল?
বাংলার ছাত্র সমাজ গর্জে উঠেছে যতবার,
কোন শোষক আর অবৈধ সরকার টিকে থাকতে পারেনি আর?
দেশপ্রেমিক যোদ্ধার রক্ত বৃথা যায় নি কোনোদিনও কোনো ইতিহাসে,
ওরা নয়রে রাজাকার, ওরা যে হতে চলেছে নব্য মুক্তিযোদ্ধা চব্বিশের ইতিহাসে।
যারা চালিয়েছিস গুলি আজ আমার নিরস্ত্র ভাইয়ের উপর,
হয়তো তোদের ক্ষমতার পতন শুরু হলো অতঃপর।
জাগো হে যুবক
ইব্রাহিম কাওসার
হে যুবক! তুমি আর কত কাল তন্দ্রাচ্ছন্ন থাকবে?
রাজ পথে, তোমার ভাইকে কুপিয়ে শহিদ করা হচ্ছে!
শান্তির নামে অশান্তির অনলে গোটা দেশ জ্বলছে!
স্বামীর কাছ থেকে স্ত্রীকে কেড়ে নিয়ে ধর্ষণ করা হচ্ছে!
শিক্ষাঙ্গনে তোমার বোনকে গণধর্ষণ করছে!
শিক্ষক এর দেওয়া অনলেতে তোমার বোন পোড়ে মরছে!
তোমার বোনের হিজাব দেখ খুলে নিয়ে চলে যাচ্ছে!
হে যুবক তুমি আর কত কাল তন্দ্রাচ্ছন্ন থাকবে?
ঘুষের আদলে পড়ে তোমার ভাই এর চাকরি চলে যাচ্ছে,
কোটার যাঁতাকলে মেধীরা হেরে যাচ্ছে
যোগ্য স্থানে অযোগ্য ব্যক্তি সম্মান দেখ পাচ্ছে!
কুরআন এর পাখিকে রাজাকার বলে মিডিয়া প্রচার করছে!
হলুদ মিডিয়ার মিথ্যা প্রচারে,যুদ্ধাদের জঙ্গি বলা হচ্ছে!
তিলকে দেখ তাল বানিয়ে মিথ্যা প্রচার করছে!
এক কেজি চাল হাতে দিয়ে দেখ বিশজন ছবি তুলছে!
হে যুবক! তুমি আর কত কাল তন্দ্রাচ্ছন্ন থাকবে?
এশকের নামে ভন্ড মৌলভী গান গেয়ে লাফাচ্ছে!
এতিমখানার নাম বিক্রি করে রাস্তায় ভিক্ষা করছে!
আলেম নামের জালেমরা আজ তাগুতকে তেল মারা হচ্ছে!
দ্বীন কায়েম এর কর্মীদের আজ জেলখানাতে মরাচ্ছে!
হে যুবক! তুমি আর কত কাল তন্দ্রাচ্ছন্ন থাকবে?
শাদেমে রাসূল রাষ্ট্রিয় সুবিধায়, দালানকোঠাতে থাকছে!
বীর মুজাহিদ ফাঁসির রশিতে, হাসি মুখেতে ঝুলছে!
তোমার দেশের ধনসম্পদ বিনদেশে প্রাচার করে যাচ্ছে!
তোমার টাকায় বেগম পাড়ায় দালানকোঠা হচ্ছে!
হে যুবক! তুমি আর কত কাল তন্দ্রাচ্ছন্ন থাকবে?
হে যুবক! তুমি জেগে উঠো,বীর খালিদ, ওমর এর মত।
তোমার কাঁধে রয়েছে ভার সত্য প্রতিষ্ঠার,
রাশেদার সেই সোনালী সুদিন আসুক পুনর্বার।
কোটা
রুদ্র রানা
কোটা চলে খোঁটার জোরে …
মেধাবীরা হাঁতরে মরে …,
এক সনদে বেঁচেছি দেশ …
উত্তরসূরী আছেন বেশ ….,
বুলেট বারুদ বোমায় ..
চেতনা আজ কোমায় …!
অধিকারে বাঁচতে নিলে
রাজাকার নামটি মেলে ….
দেশটা তো ভাই তোমার আমার
নয়তো কারো বাপের …
একদিন ঠিক হিসাব নিবে এই জনতা …
সকল তোমার পাপের … !
ভাত কাপড়ে বাসস্থানে নেইতো মোরা সুখে ..
এখনও তো মানুষ মরে অভাব আর অসুখে ..
শিক্ষা তো সেই পিছিয়ে গেছে কবেই সবার পিছে …
প্রজন্ম আজ অন্ধকারে ,..আলো খুঁজছে মিছে …!
চাইছে শুধু নিজের যোগ্য অধিকার .
ধরছো চেপে টুটি .. খাচ্ছে শুধু মার ..
কোটার নামে নিজের খোঁটা করছো যে ভাই শক্ত …
চাইলে চাকরী নিজের দাবী … তুমি চাইছো রক্ত ….
এখন প্লাবন বুকের ভেতর …আটকে আছে খুব …
লাঠি সোটায় কদিন থাকবে চুপ ??
জ্বলন্ত এক বলয় ..নেমেছে রাজপথে …
থামাবে তাকে ?? বুলেট বোমার রথে ??
যতবার যত অধিকার ঠিক নিয়েছে কেড়ে …
রক্ত আগুন পথও তাদের পথ দিয়েছে ছেড়ে …
আবার আসুক যতই বুলেট সীসার বৃষ্টি …
দেখবে ঠিকই নতুন সূর্য আবার হবে সৃষ্টি …
সনদ নিয়ে সংবিধানে যাচ্ছেতাই করছো …
গায়ের জোরে অসহায়ের রক্ত কেড়ে নিচ্ছো …
বন্ধ করো …. বন্ধ করো রক্ত হলি খেলা …
অধিকার ঠিক ছিনিয়ে নিবেই ..এসেছে সেই বেলা …
কোটা আন্দোলন
রিপন আহমেদ
রাত গভীর হচ্ছে,
তাঁরা রা মিলিয়ে যাচ্ছে।
কেউ কারো আসার অপেক্ষায় রচ্ছে,
কেউ সুহাসিনীর সঙ্গ চাচ্ছে।
কেউ সফল হতে চাচ্ছে,
কেউ কলমের খোঁচা মেরে যাচ্ছে।
কেউ প্রশ্ন করিতেছে পাশ,
দেশটাকে করিতেছে গ্রাস।
কেউ কোটা চাচ্ছে,
জাতি আন্দোলন করে যাচ্ছে।
কে শুনে কার কথা,
দেশ চলছে যথারতা।
পুলিশ করিতেছে গুলি,
দিতে হচ্ছে কারো মাথার কুলি।
কেউ অজার করে দিচ্ছে বুক,
তবুও আন্দোলন হোক।
রাজাকার
অনিক গোপ দ্বীপ
আইলো রে আইজ আইলো
নতুন কইরা নতুন বেশে
পাক-হানাদার আইলো
আমার সোনার দেশে।
সোনার দেশের সব সোনা
খাইলো পেট পুইরা
নতুন কইরা রাজাকার নামলো
পুরা দেশ জুইড়া।
কইলে তুমি, কইলে আমি
হইমু দেশদ্রোহী রাজাকার
তারাই করছে দেশ স্বাধীন,
তোমার আমার নাই কিছুই, নাই কোনো অধিকার!
মুক্তিযোদ্ধা বাপে কইতো
মানুষ হইতে মানুষের মতন
তার সন্তান আইজ
কাইড়া নিচ্ছে অন্য মায়ের রতন!
কইলে তারে ভালো
হইলে তার পা চাটা কুত্তা
তবেই তুমি সেরার সেরা
পড়ব না একটি আঁচড়ও পাইবা তুমি রক্ষা।
পিচাশ ওরা, নরক খাদক ওরা
এরা মানুষ না জানোয়ার
বাংলার সূর্য সন্তানের কলংক ওরা
ওরাই শ্রেষ্ঠ রাজাকার।
বাংলার কারবালা
নূরুল আলম
চারিদিকে চলছে কারবালা
কারবালা মানে কি হত্যার খেলা?
কারবালা রয়েছে মানবেতর ভীড়ে
অর্থনৈতিক জীবনে সামাজিক নীড়ে।
দেখো দ্রব্যমূল্যের হাহাকার
খেটে খাওয়া মানুষের আত্মচিৎকার
সামাজিক বিচারে ক্ষমতা যার
অপরাধী হয়েও পেলো সে ছাড়।
শিক্ষাব্যবস্থার দিকে যদি তাকাই
অশালিনতা কুশিক্ষার কারিকুলামে ছাই
উচ্চশিক্ষার ডিগ্রি অর্জনে মেধাবীরা নাই
সুযোগীরা স্থান দখল কোটার দোহাই।
চাকরির হাল সে তো তালবেতাল
বিসিএস প্রশ্নফাঁসে এ কেমন হাল
সেখানে ও টাকাখেকো রাঘব বোয়াল।
টাকা পাচার লুটপাট অট্টালিকা প্রাসাদ
রাষ্ট্রের সব মন্ত্রী দূর্নীতিতে ই সাবাড়।
নীতি কথা প্রীতি যথা আমাদের শোনায়
উন্নয়নের নাম দিয়ে বোকা বানায়।
খুঁজি হেথায় আয়ের সাথে ব্যায়
অবিচারের পিষ্টকলে কারবালা কে পাই।
ইহা নয় কারবালা ফোরাতের
ইহা চলমান কারবালা বাংলার।
আশূরার কারবালা,,,
ছিল সেটা হোসাইনের পালা
বাংলার কারবালা এবার তোমার পালা।
নয় আর তাজিয়া মিছিল
হোক আন্দোলন সব সংস্কার অধিকার হাসিল।
কোটায় তৈরি মাথা
ডাঃ মোজাম্মেল হক
বায়ান্ন একাত্তরে রক্ত ঝরলে আন্দোলন হতো সফল।
রক্তের বন্যায় ধুয়ে মুছে বিলীন হতো সব মাকাল ফল।
কারণ তখন শত্রুপক্ষ ছিলো বাইরের কেউ।
রক্ত দেখলে বন্ধ হয়ে যেতো তাদের ঘেউ ঘেউ।
আর এখন শত্রু তো নিজের পরিবার,
কথায় বলে,বিপদে কাছের মানুষই মটকায় ঘাড়।
এই নিষ্ঠুর পরিবারের স্বৈরাচারী মাথা আর নাই দরকার।
কোটায় তৈরি মাথা কিইবা বলবে কোটা ছাড়া আর!
কোটায় তৈরি সাজানো নাটক আর নয়,আর নয়।
শত কোটি মেধার বিবেক আজ জাগ্রত,নেই ভয়।
সোনায় মোড়ানো কোটার খাঁচায় পাখির দেখো পা নাই।
বুড়িগঙ্গার বিষাক্ত জলে পাখিটারে চলো চুবাই।
আগ্রাসী কিছু ছেলেমেয়েদের শেখায় তারা মারামারি,
মুখে বলে ভাই,অস্ত্র উঁচিয়ে বোনদের সাথে করে বাড়াবাড়ি।
ভাই নামের এ জানোয়ারদের ভেঙে ফেলো সব জোড়া।
লীগের এ কুলাঙ্গার বাংলার অভিশাপ পৃথিবীর বিষফোঁড়া।
পুলিশ কি করে ঐ সন্ত্রাসীদের বন্ধু হয়ে গেলো!
পরিবারের মাথা যেখানে মদদ দাতা,সাহস সেকারণেই পেলো।
দেশটা নয় কোটাওয়ালাদের,দেশটা আমার তোমার।
কোটাপ্রথা বিলীন না করলে রাজপথে ঢালবোই রক্ত বারবার।
এ কেমন মা,সন্তানের রক্ত দেখে কেঁপে উঠছেনা তার বুক,
মেয়ের রক্তমাখা মুখ দেখে দেখে পাচ্ছে সে মা সুখ!
এমন মায়ের জন্য শত লাখো কোটি ধিক্কার!
কোটায় তৈরি মাথা যে মায়ের সে মা কিইবা বলবে আর!
সাদা এপ্রোন সেদিনও হয়েছিলো লাল,পেয়েছি স্বাধীনতা,
আজও এপ্রোনের শুনছি গর্জন,বাতিল হবেই হবে কোটাপ্রথা।
ইসরায়েলীদের অভ্যাস হলো হাসপাতালে আক্রমণ;
ছাত্রলীগের এই ছেলেরা কি তবে ইসরায়েলী বাংলা সংস্করণ!
বিদ্রোহ
আতিক ইশরাক চৌধুরী
সেদিনটা আবার ফিরে এসেছে আজি-
যেদিন হয়েছিল রক্তস্নাত এ বাংলার মাটি ৷৷
রক্ত রঙে-রঞ্জিত যে ইতিহাস- তুমি কি ফিরে দেখবে না?
তোমার ভাইয়ের আত্মত্যাগে; তুমি কি জেগে উঠবে না??
ওঠো! জেগে ওঠো! জাগ্রত হও হে নবীন –
” ভাঙার গানের” তালে।
জাগ্রত হও – মম বিদ্রোহীর গানে।।
ত্রাসের রাজে হানো আঘাত; তব বিদ্রোহীরও বেশে।
হও বিদ্রোহী !! হও বিপ্লবী !!
হয়ে ওঠো, দুর্বিনীত-নৃশংস;
ত্রাসের রাজে জ্বালো তব, বিদ্রোহের আগুন-আনো ধ্বংস ।।
হে বিদ্রোহী! পেছন ফিরে দেখো –
ঐ ক্ষুদিরামের বলিদান;
ঐ যে , দেখো সামনে তোমার;
প্রীতিলতার আত্মদান।।
ভালো করে দেখো, ‘৫২’ আর ‘৭১’ এর বিদ্রোহ;
রক্তদানেও দমেনি যেথায়, তোমার ভাইয়ের বিদ্রোহ ।।
তাকাও!! তোমার বোনের দিকে –
যে লাঞ্চিত; যে বঞ্চিত; ‘যার ইজ্জত লুণ্ঠিত।
আজ সে কলঙ্কিত …..
কসম!! তোমার ভাইয়ের রক্তের; রক্ত দিয়েই মুছবে সেই কলঙ্ক-চিত্র ।।
হয়ে ওঠো,তব- বিদ্রোহি রণক্লান্ত; সব অন্যায়-শাসন-ত্রাসন ভেঙেই হয়ো শান্ত ।।
ক্রোধাগ্নি প্রজ্জলন করো- সে আগুনে সকল অবিচার নিঃস্ব কর ।।
জননী তোমার আজি লাঞ্ছিত- হে বিদ্রোহী;
সে আজ অনাচারিত – নিপীড়িত- শোষিত।।
আবার তুমি করো, তাকে রক্তস্নাত ।/
জীবনদানে তুমি হয়ো নাকো কুন্ঠিত;
তোমার ভাইয়ের মতোন করে রক্ত এবার ঢালো;
যতক্ষণ না হচ্ছে, তোমার সকল দাবি গ্রাহ্য ।।
ভেঙে ফেলো সব অবিচার – সব অন্যায়-অনাচার;
মুক্ত করো নিজের মাকে আবার।/
হে বিদ্রোহী !! হে বিপ্লবী!!!
বিদ্রোহ অগ্নীতে হও দগ্ধিত –
নতুন করে রচনা কর আবার এক ‘’বিদ্রোহ’’ ।।।
২৪ শে বাংলা ব্লকেড
নয়ন মাহমুদ
রক্তে ঝরা ১৫ জুলাই,সঙ্গী হারা ব্যথা।
স্বজন হারানো আত্মচিৎকার হৃদয়ে থাকবে গাথাঁ।
নির্মমতার শেষটা কোথায় আমার সোনার বাংলায়।
রুখতে হবে অবিচার আজ যতই আসুক হামলা।
চলো হে নবীন বুকে রেখে বল—
চলো বায়ান্নর উত্তস্বরী,একাত্তরের কন্ঠস্বর।
প্রতিবাদ প্রতিবাদ,ভেঙে দেবো কালো হাত।
জ্বালাবো আলোর মর্শায়,
মোরা রুখতে পারি, ধরতে পারি জয়ের হাল।
মোরা অধিকার আদায়ে করতে পারি সংগ্রাম
এ দেশ আমার, এদেশ আমাদের।
বল বীর এই জয়গান,কোটা সংস্কার নিপাত যাক মেধাবিরা মুক্তি পাক।
কোটা
মো. মেহেদী ইকবাল জয়
আমার দেশের চাকুরীটা
কোটার ছকে বাঁধা,
হিসাব যখন করি তখন
মনে লাগে ধাঁধা।
বন্ধ করো অতি কোটা
চাই না তাহা দেশে,
অতি কোটা বন্ধ করতে
জীবন দিচ্ছে হেসে।
জাতি হচ্ছে মেধাশূন্য
কোটার মূল্য করে,
মেধার বিচার নাই এ দেশে
তাইতো মেধা ঝরে।
অল্প কোটা রাখতে পারো
এতো বেশি নহে,
কোটা সংস্কার করো যদি
মেধাবীরা সহে।
কোটাপ্রথা বাতিল
সুজনা খাতুন
কোটাপ্রথা বাতিল হোক
ছাত্র সমাজ মুক্তি পাক।
কোটার জন্য এই দেশে
মেধাবীরা ধুকেধুকে মরছে।
কোটা প্রথার নিপাত যাক
বাংলাদেশ মুক্তি পাক।
ঘরে ঘরে জ্বালো আলো
রাজপথ কেন রক্তে ভাসলো?
আমার সোনার বাংলায়
ছাত্র-ছাত্রীরা কেন রাস্তায়।
চলো সবাই একসাথে
জীবন দেই রাজপথে।
অন্যায় দাবি মানবো না
রাজপথ মোরা ছাড়বো না।
কোটাপ্রথা চাই না
অবিচার মানি না।
জাগো সবাই জাগো
বীর যোদ্ধা সাজো।
মায়ের কোল হচ্ছে খালি
সন্ত্রাসীরা দিচ্ছে তালি।
দিন দিন মরছে কত
জীবন দিব শত শত।
অন্যায়কে করবো দমন
রাজপথে করব গমন।।
দাও হুশিয়ার
পুষ্পের সৌরভ
গেয়ে যাও সত্যের প্রলোভন,
করিওনা সংশয়।
হাঁটো সত্যের পান্থ হয়ে,
পাশ কাটিয়ে চলো ভীতিকে,
চলো উদ্দাম বেগে, চলো চলো !
নিশাচরে “
তবু করিওনা ভয়,
তুমিই তো করিবে আঁধার জয়।
চলো দুর্বার,
বিদ্রোহ দমনে করো হুশিয়ার।
ভীতিকে উসকে না দিয়ে করো চুরমার।
তুমি দুর্দম,
তুমি ওমরের ন্যায় দুর্দম,
সহসা অন্যায় দমনে চলো জুলফিকারের ন্যায় উদ্দাম।
তবু করিওনা ভয় “
তুমি তরুণ,
অন্যায়ে তুমি তুমি রক্তাক্ত তলোয়ার।
সত্য পাঠে তুমি সজাগ,
তুমি সজাগ।
তুমি তো সেই আহ্বায়ক,
সত্যের আহ্বায়ক।
যে অন্যায় সহে না,
করে না ভয়,
করে অন্যায় দমন,সুখ সন্ধানের পথ করে জয়।
তুমিই তো সেই টগবগে তরুণ,
তুমিই সেই।
ঘোষ প্রথার বিনাশ হোক
তাছলিমা আক্তার মুক্তা
কোটা থাক ক্ষেত্র বিশেষ
মুক্তিযুদ্ধা, প্রতিবন্ধি কোটা,
আর দরকার নেই অন্য কিছু
পোষ্য আবার কিসের কোটা?
মেধাবীদের মূল্যায়ন হোক
ঘোষ প্রথাটার বিনাশ হোক,
লড়াই বড়াই বন্ধ করি
সুস্থ আইনে দেশ গড়ি ।
বিচারক হোক আল্লার প্রতিনীধি
বিচার হোক ন্যায় বিচার ,
বিচার হবে মানুষের জন্য
ধনী গরীব কিসের আবার ?
ঘোষ প্রথার ধ্বংস করি
চিন্তা চেতনায় দেশ গড়ি ,
হারামের টাকা বর্জন করি
হারামিদের চিহ্নিত করি।
দেশের মেধায় দেশ চলবে
দেশের বিবেক মাথা তুলবে,
এতেই হবে সোনার দেশ
সমাধানের এটাই শেষ ।
বায়ান্ন এসেছে ফিরে
তানভীর
এককালে খাজা নাজিমুদ্দিন আর জিন্নাহ করেছিল উত্তক্ত
ঘা শুকালেও শুকায়নি এখনো রফিক বরকতের রক্ত ।
জিন্নাহর ডাকে সাড়া দিয়ে যারা সপেছিলো নিজ প্রান,
আকাশে বাতাসে বহিছে এখন তাহাদেরই প্রানের ঘ্রান।
সেদিন বাধা হয়ে রুখে দিয়েছিল সব অন্যায় আবদার
প্রতিদানে হারালাম বীর সন্তান সালাম আর জব্বার।
সেদিনের মতো আজো উঠে আসছে অন্যায় সব আবদার
রফিক সালাম নেইতো কি হয়েছে আছে দামালেরা বাংলার।
ঘাতকের আঘাতে বিবর্ণ হয়েছিলো বায়ান্নোর রাজপথ
আজি তব সেই ঘটনার হবে পুনুরুত্থান।
এসেছে সেই বায়ান্ন ফিরে শাহবাগ চত্তরে
মিছিলের উত্তালে আর প্রানের বিনিময়ে।
বায়ান্ন এসেছে ফিরে আমার ভাইয়ের রক্তে
ঢাবি কিংবা চবির রাফি ভাই হয়ে।
বায়ান্ন এসেছে ফিরে গোলচত্তরের মিটিং মিছিলে
বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো আর রাজু ভাস্কর্যে।
তব মুক্তি আসুক আমার ভাইয়ের জানাযার নামাজে
সাধের পতাকা
মোঃ জনি রহমান
আকাশে আজ খুব মেঘ জমেছে!
জানিশ- এই মেঘে যে বৃষ্টি হবে!
ঝড়বে তাতে অনেক সৃষ্টি।
ডুববে বাড়ি,ডুববে ঘর –
ডুববে বাংলার জমিন!
বিশ্ব মানচিত্রে হতে মুছবে-
এ বাংলা!
বিলুপ্ত হবে হয়তো!
কাঁদিস নারে – ও খোকা!
ঘুমিয়ে আছিস কবরে!
শহিদ তোরে নাম দিয়েছি!
সন্তুষ্ট থাক তাই নিয়ে!
যে পতাকা পেয়েছি – তোর জানের বিনিময়ে!
সেই পতাকাটা খুব যন্তে রেখেছিলাম!
এখন পাচ্ছি না খুঁজে!!
হঠাৎ একদিন দেখতে পেলাম!
লোভী ইদুর মাঝ বরাবর দিছে ছিড়ে!
এতো সাধের পতাকাটা রাখতে পারলাম না যত্নে।
অধিকার আদায়ের সংগ্রাম
ইব্রাহিম কাওসার
চলো চলো আন্দোলনে চলো
চলো চলো রাজপথে চলো
চলো চলো আন্দোলনে চলো
চলো চলো রাজপথে চলো।
যদি চাও মুক্তি মেধার
যদি চাও অধিকার স্বাধীনতার
তবেই বসে কেন,চলো আন্দোলনে চলো
তবেই বসে কেন, চলো রাজপথে চলো।
চলো চলো আন্দোলনে চলো
চলো চলো রাজপথে চলো।
সাঈদ, আদননদের এর আত্মা ডাকছে
তোমার বোনেরা চিৎকার করছে
সারা বিশ্বে খবর পৌঁছেছে
রাজপথ তোমার অপেক্ষা করছে।
চলো চলো আন্দোলনে চল
চলো চলো রাজপথে চলো।
তুমিও জেগে ওঠো রফিক, শফিক, বরকত এর মতো
তুমিও জেগে ওঠো সাঈদ,আদনানদের মতো,
প্রতিটি ক্যম্পাসে গড়ে তুল দূর্গ
স্বাধীনতার চেতনা নিয়ে।
চলো চলো আন্দোলনে চলো
চলো চলো রাজপথে চলো।
তৈরি কর ফের তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা,
অনুকরণ কর ফের ৭১ এর গেরিলা পদ্ধতি।
গ্রামে- গঞ্জেও জেগে ওঠো
অধিকার আদায়ের সংগ্রামে।
চলো চলো আন্দোলনে চলো
চলো চলো রাজপথে চলো।
চলো চলো মুক্তির মিছিলে
চলো চলো অধিকার আদায়ের সংগ্রামে।
রচনা কাল :১৭ জুলাই ২০২৪ ইং।