প্রিয় আয়েশা,
শুরুতে নিও আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি আল্লাহর অশিস রহমতে খুব ভালো আছ।তুমি হয়ত ভাবছ যে,হঠাৎ করে তোমাকে আমি চিঠি লিখছি কেন?আর ডায়েরিই বা দিচ্ছি কেন? এটা দেওয়ার একমাত্র কারণ হচ্ছে আমরা সামনের আর দুই মাস একসাথে ক্লাস করব এরপর Final Exam দিব। তারপর Result বের হওয়ার পর আমরা একিই কলেজে ভর্তি হতে পারব কিনা জানি না। হতে পারলে তো ভালো,আর যদি না পারি তাহলে হয়তো আমাকে কিছুদিন মনে রাখবে এরপর হয়তো লেখাপড়া বা অন্যান ব্যস্ততার মাঝে আমাকে ভুলে যাবে। তবে এটা ঠিক যে আমাদের বন্ধুতটা যদি সত্যিকার কোন বন্ধুত হয় বা আমার যদি দুজন দুজনকে মন থেকে সত্যিকার একজন ভালো বান্ধবী বা বিশ্বস্ত কোনো বান্ধবী মনে করি তাহলে হয়তো আমাদের দুইজনের মধ্যে যোগাযোগ নিশ্চয় থাকবে। আসলে আমার কলেজ জীবনের তুমিই ছিলে আমার প্রথম Friend. আমারতো আরো অনেক Friend রয়েছে যেমনঃ নাঈমা,রেশমি, নাঈমা,মাইমুনা এরা সবাইতো আমার খুব ভালো Friend.এরা সবাই লেখাপড়াই, আচার –ব্যবহারে এবং এদের চরিত্র ও আমি মনে করি খুব ভালো। তোমরা সবাই অতন্ত্য ভালো। কিন্তু কেন জানি না ওদের সবার চাইতে তোমাকে কোনো একটা বিশেষ জায়গায় একটু বেশি ভালো লাগে। প্রকৃতপক্ষে ন্যায়নিষ্ঠতা, সত্যবাদিতা আমার খুবই ভালো লাগে। প্রায় দুই বছর হতে চলেছে আমাদের বন্ধুতের।এর মধ্যে তুমি আমার সাথে যেটুকু সময় কাটিয়েছ তার মধ্যে নিশ্চয় বুঝতে পেরেছ যে আমি একটু ছাপা স্বভাবের বা আমাকে তুমি নিরামিষ টাইপের ও বলতে পার। যেটাই ভাব না কেন ধরে নাও আমি সেই রকমই।কলেজ জীবনের অনেক স্ততি আছে আছে তোমাকে নিয়ে। কেন জানি সেগুলো এই মুহূর্তে খুবিই মনে পরছে। তুমি আর আমি দুজনে একসাথে কাটানো সময় গুলোতে আমার কোনো কাজে বা ব্যবহারে তুমি যদি এতটুকু কষ্ট পেয়ে থাক তাহলে plz আমাকে ক্ষমা করে দিও। অনেক দিন ধরে তোমাকে আমার যেটুকু সামথ আছে তার মধ্যে কোনো একটা ছোট উপহার দিব বলে ভাবছিলাম কিন্তু কী দিব তা বুঝতে পারছিলাম না হঠাৎ ডায়েরি উপহার দেওয়ার ধারণাটা মাথায় এল কারণ তুমি তো ডায়েরি লিখ তাই। তুমি আমাকে অনেক বার অনেক উপহার দিয়েছিলে সেজন্য অনেক ধন্যবাদ। উপরের কথা গুলো পড়ে তুমি হয়তো এটাই ভাবছ যে,আমি এগুলো কী লিখেছি। নাকি আবার আমি পাগল হয়ে গেলাম। ভাবলেও ভাবতে পার কোনো সমস্যা নেই। কেন জানিনা আমার হঠাৎ ইচ্ছে হলো যে,তোমাকে এগুলো লিখি। অনুগ্রহ পূর্বক পুরো চিঠিটা পড়িও। আর পড়তে পড়তে এই পাগলামো কথাগুলো শুনে হাসিও। এই চিঠিতে লিখা কথাগুলো আমার পক্ষে তোমাকে সরাসরি বলা সম্ভব নয় বিদায় তোমাকে এই চিঠির মাধ্যমে জানালাম। এই চিঠিটা হচ্ছে আমার জীবনে প্রথম কাউকে লিখা চিঠি। তাই এটাতে যদি কোনো ভুল হয়ে থাকে তাহলে plz ক্ষমা করে দিও।
সবশেষে এই কথাটাই লিখব যে, তোমার জীবনটা ফুটুক একটা সুন্দর ফুলের মতো। যাতে তুমি সেই ফুলের গন্ধ পুরো সমাজের মধ্যে বিলিয়ে দিতে পার। সুন্দর হোক তোমার পথ চলা। আল্লাহ হাফেজ।
ইতি
তোমার সবচাইতে খারাপ এবং খুবিই দূরের একজন পাগল টাইপের বান্ধবী।
তসলিমা আকতার নিপা
I LOVE MY ALL FRIENDS AND ALWAYS LOVE IT
আরো পড়ুনঃ- দৈনিক চিরকুটে সাহিত্য