অন্যরকম তুমি লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস তারিন, দ্বিতীয় পর্ব

অন্যরকম তুমি

জান্নাতুল ফেরদৌস তারিন

দ্বিতীয় পর্ব 

 

আজ তুবার কলেজের ১ম দিন,,তাই খুব আনন্দে আছে ও সাথে কিছুটা টেনশনে আছে,,পর্দা নিয়ে,,,
তৃণা তুবার বাসার নিছে এসে ফোন দিলো,, তুবা যাওয়ার পর তারা কলেজ এর উদ্দেশ্যে রওয়া দিলো,,,বাসা থেকে কলেজ কাছে তাই হেঁটে হেঁটেই যাচ্ছে,,,,
ওরা রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে জিকির করছে,কারন রাস্তায় জিকির করলে এই রাস্তা হাশরের ময়দানে তাদের হয়ে শাক্ষি দিবে,
কিছুক্ষণ হাঁটতেই দেখে ইরানি আর ইশপি একসাথে কলেজ যাচ্ছে সাথে ২ টা ছেলে,তারা কথা বলতেছে আর হাসতেছে,,, তাদের দেখে তুবার বুঝতে দেরি হলো না এরা কারা,,,তুবা একটা দীর্ঘশ্বাস দিয়ে আবার হাঁটতে শুরু করলো,,,,
কলেজ এর ১ম দিনটা খুব ভালোই লাটলো তাদের,,,

 

.এভাবে কাটতে লাগলো সময়,,,তুবা তৃণার সাথে কিছু নতুন মেয়েরও ভাব হয়ে যায়,,,,
তুবা আর তৃণা যখন কথা বলে তখন বিভিন্ন হাদিস নিয়ে কথা বলে,,আর পাশে যারা থাকে তারা মনোযোগ দিয়ে শুনে আর অনেক কিছু আমল করার চেষ্টা করে,,,
তুবা আর তৃণা কলেজ থেকে বাসার মাঝামাঝি একটা পার্ক আছে ঐ খানে তারা ২ জন মিলে প্রায় সময় আড্ডা দেয়,,,
তৃণা লক্ষ করলো একটা কাঁপল সুন্দর করে আড্ডা দিচ্ছিলো,,,
এটা দেখে তৃণা বল্লো
তৃণা:দেখ দেক দোস্ত ওনারা কত সুন্দর করে প্রেম করতেছে,,ইসস কবে যে তুকে এভাবে দেখবো,,হিহি
তুবা: তৃণার মাথায় আস্তে করে একটা থাপ্পড় দিয়ে বল্লো,”নিজের ইচ্ছে করে বল্লেই তো হয়,রাজী থাকলে বল আমি আন্টিকে বলবো,,হিহি
তৃণা:মাথা চুলকাতে চুলকাতে বল্লো নারো দোস্ত নিজে প্রেম করার ছেয়ে অন্যের প্রেম দেখা টা মঝার,হিহি তুই বিয়ে কর তোর আর দুলাভাই এর প্রেম দেখবো আমি আর শিখবো,,হিহি,এ বলে তৃণা লজ্জায় মুখ টা ঢেকে নিলো,,
তুবা:শখ কত মেয়ের,,আমি কী তুকে দেখায় দেখায় প্রেম করবো নে কী,,হিহি,,,আর আমার থেকে দেখে শিখা লাগবে না আপনি আমার ছেয়ে এগিয়ে মেডাম,,হিহি
এভাবে পার্ক থেকে আড্ডা দিয়ে তারা বাসায় চলে আসলো,,,,
বাসায় এসে,,
তুবা:মা খীদা লাগছে কিছু দাউ,,,,
মা:কিছু মানে,,আয় ভাত খাবি,সকালে কী না কী খায়ছিস এখনো কিছু মুখে দেস নী,,,আয় আয় আমি ভাত দিচ্ছি,,,
তুবা:না মা ভাত খাবো না,, অন্য কিছু দাউ,,,এখন ভাত খেতে ইচ্ছে করে না,,,
মা:একদম মাইর খাবি,,,আচ্ছা ঠিকাছে তুই বস আমি খাইয়ে দিবো,
এই বলে সাজিদা বেগম ভাত আনতে গেলো,,
কিছুক্ষণ পর এসে তুবাকে খাওয়াতে লাগলো,,,তোয়া ইস্কুল থেকে এসে এই দৃশ্য দেখে সেই হিংসা করতেছে,,,
তোয়া:ওহহ আচ্ছা তাহলে এই ব্যাপার,, আমি যখন বাসায় থাকি না তখন লুকিয়ে লুকিয়ে মায়ের আদর খাওয়া হয়,,,
তুবা:মায়ের আদর কী লুকিয়ে খাওয়া লাগে,,আর আমার মা আমাকে আদর করবে না তো কী তুকে করবে,,,
তোয়া:তোর মা মানে এটা শুধু আমার মা,,আর কারো না,,(মা কে উদ্দেশ্য করে তোয়া বল্লো)এখন থেকে তুমি আর কাউকে আদর করতে পাড়বে না,,শুধু আমাকে করবে,,,
এই বলে মা যখন তুবাকে লোকমা দিতে লাগলো তোয়া সেটা নিজে খেয়ে নিলো,,আর হিহি করে হেসে দিলো,,,
তুবা: এটা কী হলো মা,,,!
ওকে কেনো খাওয়াচ্ছ,, ও কী তোমার মেয়ে নাকী,,,ওকে তো রাস্তা থেকে কুড়িয়ে আনছি,,আরে না ওকে তো রাস্তার ফকির থেকে কিনে আনছি হিহি,,,
এই কথা শুনে তোয়া কান্না করে দিলো,,,
মা:এভার তোরা থামবি,,আমার মাথা টা তো শেষ করে দিবি মনে হচ্ছে তোরা,,,
দুই বোনের এই কান্ড শুনে বাবা পাশের রুম থেকে হাসতেছে,,,
তোয়া বাবাকে গিয়ে বল্লো
তোয়া:আব্বু আপুকে বিয়ে দিয়ে দাউ,,ও আমাকে আদর খেতে দেয় না,,ও আমাকে একদম সহ্য করতে পাড়ে না,,,
বাবা: আচ্ছা আপুকে বিয়ে দিয়ে দিবো,,,আচ্ছা বিয়ে দেওয়ার পর তুমি একা একা ঘুমাতে পাড়বে তো,তোমার পড়া কে দেখিয়ে দিবে,তোমাকে ঘুড়তে কে নিয়ে যাবে?তখন কান্না করবে না তো,,,
তোয়া:না এই ফকিন্নির জন্য আবার কিসের কান্না,,ও চলে গেলে তখন পুড়া বাসায় আমি রাজত্ব করবো,,,
তোয়ার এসব কথা শুনে সবাই হেসে দিলো,,,
তুবা:আচ্ছা ঠিকাছে,,,,তুই আর আমাকে আপু ডাকবি না,,
তোয়া :তুকে আমি ফকিন্নি ডাকবো,,হুহ

আরো পড়ুনঃ  অন্যরকম তুমি, ৮ম পর্ব।

 

আরো পড়ুনঃ- দৈনিক চিরকুটে সাহিত্য 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *