স্বার্থের এই পৃথিবী
শিল্পী বোরহান উদ্দীন
যখন এই পৃথিবীতে এসে ছিলাম। কেঁদে ছিলাম আমি,হেঁসে ছিলো সবে
যখন বয়স এক মাস দুরর্গন্ধ বসন্ত রোগে হোইলাম আক্রান্ত।
সবাই মোরে করিয়া ছিলো ঘৃণা,
জনম দুঃখী মা করিনী অবহেলা। একুশ বছর বয়সে কপালের নিচে রহিয়াছে বসন্তের ক্ষত দাগ।
যখন শুরু হইলো বাল্যকাল দেখিলাম পৃথিবীতে
মানুষ আসে আবার চলে যায়।
সৃষ্টির সেরা মানুষগুলো অমানুষ হয়ে যায়। জামানা ঠিকই রবে মানুষ দিনে দিনে বদলে যাবে। আপন রক্তের ভাই প্রতিবেশীর কথায়
বউয়ের কথায় কাল-সাপ হয়ে দাঁড়ায়।
পৃথিবীর সমস্ত মা-মিথ্যাবাদী,
ছেলে মেয়ে থাকে বিলাস বহুল বাড়িতে
মা-বাবা থাকে বৃদ্ধাশ্রেমে।
মায়াবী পৃথিবীটা স্বার্থেই ভরা।
স্বাধীন বাংলার ধনী লোকের দেখিলাম বাহারি রূপ।
স্বাধীন বাংলায় পুরুষ নির্যাতন হয়। স্বাধীন বাংলার যুবতী ইজ্জত বিক্রি করে সংসার চলে
হিন্দু নারী হয় না ধর্ষণ,মুসলিম নারী ফিলিস্তিনি,চীন,ভারতে হয় নির্যাতন। নেই কোনো বিচারক, নির্যাতনের নিউজ
প্রকাশ করিয়া ছিলো বলে।
দুই নারী সাংবাদিক বন্ধি আছে ভারতের ওই কারাগারে।
সত্য নিউজগুলো চাপা রহিয়াছে টাকার তলে। আমি সত্য কথা বলি=বলে মোরে জঙ্গি বলে। কুরআনের পাখিগুলো বন্ধি আছে বাংলার কারাগারে।
স্মৃতি হয়ে থাকবো সবার মাঝে,
আসবো না আর ফিরে
এই স্বার্থের পৃথিবীতে দেখা হবে পরকালে।