অতঃপর বৃষ্টি | কবি আমাতুল্লাহ ফাতেমা

অতঃপর বৃষ্টি | কবি আমাতুল্লাহ ফাতেমা

অতঃপর বৃষ্টি
আমাতুল্লাহ ফাতেমা

মীকাইল! কি অপরুপ কার্যে নিযুক্ত তুমি।

তুমি!
সাদা-কালো মেঘ উড়িয়ে
আকাশ বুকে য সজ্জা করো বিলি,

আমি মুগ্ধ হয়ে তাকাই আকাশ পানে।
চেয়ে থাকি – চেয়ে থাকতে চাই,
শত-সহস্র মহুর্ত ব্যাপি।

এই যে-
আকাশের বুকে নিয়ে আসো রোদ্র হাসিনী,
ক্ষণিকের মাঝে বৃষ্টি-কাদুনী।
শস্য শুকানো, পশু চরানো চারণ ভুমি,
মেঘে ঢেকে দিলে আকাশ তুমি।
তড়িঘড়ি শস্য ভিজিয়ে উঠিয়ে গৃহিণী,
রাখালের বাঁশির সুর থামিয়ে,
পশু নিয়ে ফেরে ফিরতি পথে।

একটু পর হেসে উঠে রোদ্র-হাসিনী।
আমি হেসে-হেসে হয় কুটিকুটি,
তুমি কি করো আমার সাথে খুনসুটি।
এই শুকতে দিলাম,
এই ওঠালাম
কাপড়খানি।
দিলাম-উঠালাম
অতঃপর রোদ্র হাসিনী।

মনে পড়ে যায় ছোট্ট বেলার
রিমঝিম বৃষ্টি কাঁপুনি।
শৈশবে পুকুরে পানি উপরে,
কেউবা দিত ধান ছড়ায়ে, কেউ ছাড়িত মাঠে গরু-ছাগল,
কেউবা শুকাতো কাপড়।
এরই মাঝে কেহো পানিতে মুখ ঠেকিয়ে করিত মেঘের শব্দ গুড় গুড়,
মুখে বলিত বৃষ্টি আসবে হয়তো!
টিপটিপ বৃষ্টি ঝড়িয়ে পড়ত,
যে যার ঝুলি গুটিয়ে তুলিত গৃহকোণে।
পুকুর পানিতে ধীরে -ধীরে,
অতঃপর প্রবল বেগে হাত নাচিয়ে,
শৈশবের খেলাঘরে বৃষ্টি নামিত।

কাহালু, বগুড়া।

আরো পড়ুনঃ  গাধাও ঘোড়া নেটে

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *