পৃথিবীতে অনেক সম্পর্কেই রয়েছে রক্তের কিন্তু বউ এমন একটা সম্পর্ক যেটা রক্তের নয়, যাকে কখনো বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। যার শুকরিয়া আদায় করলেও কম হবে। কারণ, এই বউ একটি পরিবারের সবচেয়ে আদরের মেয়ে ছিলো। সেই মেয়েকে তার পরিবার ছেড়ে তার স্বামীর সাথে নতুন মানুষ গুলোর সাথে মানিয়ে নিয়ে চলতে হয়। যাকে পরিবারের দায়িত্ব নিতে হয়, মা হওয়ার জন্য যে কষ্টে টা করতে হয় তা কখনোই একটা ছেলেকে বোঝানো সম্ভব নয়৷ প্রবাসী বা বউকে বাসার রেখে অনেক স্বামী আজকে প্রবাসে বা দেশের অনেক দূরে কাজ করছে। যার ফলে বাসায় তেমন আসা হয় না। সেই মানুষগুলোর লেখা বউয়ের কাছে ভালোবাসার চিঠি।
বউয়ের কাছে ভালোবাসার চিঠি
প্রিয় সহধর্মিণী
আমার ভালবাসা নিও। তোমার কোমল হাতের ছোঁয়া আমার সংসারে যেমন সুখের প্রদীপ জ্বলে তেমনই আমার জীবন টাও স্বার্থক তোমার মতো একজন আদর্শবান সহধর্মিণী পেয়ে। জান প্রিয় সহধর্মিণী প্রতিটি মূহুর্তে তোমার স্মৃতি মনে পড়ে ইচ্ছে করে ডানা মেলা পাখির মতো উড়ে তোমার কাছে চলে আসি আর যখনই তোমাকে অনুভব করি তখনই আমি আবেগাপ্লুত হই বড্ড ভালোবাসি তোমাকে। তোমার মুক্তোঝরানো হাসিমুখ আমার সকল কাজে অনুপ্রেরণা যোগায়। তোমাদের সুখের জন্যই দূরে পরে আছি তা না হলে তোমাকে ছাড়া আমার দূরে থাকা সম্ভব হতো না তোমার হাসি মুখটা দেখবো বলেই দূরে থাকা কারণ। ন্যায় এবং আদর্শের সহিত আমার সন্তানদের তুমি মানুষ করে গড়ে তুলবে এই কামনা করি। অপেক্ষা করো সামনে ছুটিতে চলে আসবো তোমার কাছে।
পরিশেষে তোমার ভালবাসা কে শ্রদ্ধা জানিয়ে তোমার জন্য সুখ শান্তি কামনা করি। আমার আদরের দুই সন্তান কে নিয়ে ভালো থেকো যে ভালোর শেষ নেই, সুখে থেকো যে সুখের শেষ নেই, অনন্ত সুখের চিরন্তন প্রত্যাশা।
ইতি
তোমার আদরের স্বামী।
চিঠি লেখেছেনঃ গোলাপ মাহমুদ সৌরভ
আমার বউ