সঠিক আদর্শলিপি কলমে সায়মা ইসলাম রিয়ান্তী

সঠিক আদর্শলিপি
সায়মা ইসলাম রিয়ান্তী

সন্তানকে এমন শিক্ষা দিও
যাতে নৈতিক -অনৈতিক বোঝে।
সন্তানকে এমন ভাবে গড়ো
যাতে বড় হয়ে সুদ -ঘুষ,হারাম না খায়।
সন্তানকে এমন শিক্ষা দিও
যাতে অন্যায়ের সাথে আপোষ না করে।
সন্তানের সাথে এমনভাবে বন্ধুত্ব করো
যাতে তাদের ইচ্ছা – অনিচ্ছা, ভালো-মন্দ
সবকিছু শেয়ার করতে পারে।
সন্তানের সাথে অতটাও দূরত্ব বাড়িও না
যাতে তারা ভালো-মন্দ পথে গেলেও তুমি বুঝতে পারো।
সন্তানকে এমন শিক্ষা দিও
যেন গরীব- দুঃখীর কষ্ট বুঝতে পারে।
সন্তানকে এমনভাবে গড়ো
যাতে বড় হয়ে হারাম উপায়ে উপার্জন না করে।
সন্তান ভালো হবে নাকি খারাপ হবে
তা বাবা -মায়ের শিক্ষা দেয়ার উপরই নির্ভর করে।
আলেমের সন্তান নামাজ পড়ে,
সুপারস্টারদের সন্তান নামাজ পড়ে না কেন?
তা কি তা তুমি বলতে পার?
যার বাবা- মা ছোটবেলা থেকে সন্তান কে যেই শিক্ষা দেয়
সেই শিক্ষাই সন্তান গ্রহণ করে।
সন্তানকে এমন শিক্ষা দিও না
যাতে সে বাবা-মায়ের অনুমতি ছাড়া বিয়ে করে।
তুমি সন্তানকে যেই শিক্ষা দিবে
সেই শিক্ষাই সন্তান আপন মনে গ্রহণ করিবে।
সন্তানকে এমন শিক্ষা দিও
যাতে দাদা-দাদী, নানা-নানী সবার খোঁজ খবর রাখে।
সন্তানকে এমন শিক্ষা দিও যাতে
আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীর বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়ায়।
সন্তানকে এমন শিক্ষা দিও
যাতে পিতা-মাতাকে কখনো অবহেলা না করে।
সন্তানের পাশে এমন ভাবে থেকো
যাতে তারা দুর্নীতি, মিথ্যাচার, অন্যায়কারী,
নেশাগ্রস্ত, চোর,ধর্ষকদের মতো না হয়।
সন্তান জন্ম দেওয়ার আগে
নিজেরা আদর্শবান হও।
তাহলেই তৈরি হবে একটি সুন্দর জাতি, সুন্দর সমাজ সুন্দর দেশ,শান্তিময় পৃথিবী,সুখী পরিবার।
সন্তানের সাথে অধিক সময় ব্যয় করতে হবে।
সন্তানের সাথে নৈতিক ও অনৈতিক
বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে হবে।
বাংলা, ইংরেজি, অংক পড়ালেই
সন্তানকে সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করা যায় না।
পিতামাতা তোমার ছেলে সন্তান যদি বড় হয়ে
তোমাকে অবহেলা করে বুঝে নিও
ছেলেকে তুমি বেশি আহ্লাদ ও যত্ন দিয়েছ।
পিতামাতা তোমার মেয়ে যদি বড় হয়ে
তোমাদের অবহেলা করে বুঝে নিও
তুমি মেয়ের থেকে ছেলেকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছ
এবং মেয়ের সাথে তোমাদের অনেক দুরুত্ব ছিল।
সন্তানকে অহংকার, হিংসা,মিথ্যা, গিবত,হারাম
জিনিস থেকে বিরত রাখতে হবে।
তাহলে তুমি আদর্শ পিতা-মাতা হতে পারবে।
বাংলা মিডিয়াম ও ইংরেজি মিডিয়ামে পড়ালেই
আদর্শ পিতা-মাতা হওয়া যায় না।
সন্তানকে এমন শিক্ষা দাও
যাতে সব হালাল কাজ সেটা ছোট হোক বা বড় হোক
সব কাজ যেন সমান চোখে দেখে,সব হালাল পেশার মানুষকে যেন সম্মান করে,সব কাজকে যেন মূল্যায়ন করে।
সন্তানকে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বড় অফিসার, অনেক বড় ডিগ্রী অর্জন করালেও যদি-
বাবা-মা আত্মীয়-স্বজনের খোঁজ খবর না রাখে।
তাহলে ওই সন্তান কখনোই সঠিক শিক্ষায়
শিক্ষিত ছিল না, দোষ টা তাহলে পিতা-মাতার।
পিতা মাতা সন্তানকে সঠিক শিক্ষা দিতে পারেনি
মূল্যবোধ ও শেখাতে পারেনি।
সব কথার শেষ কথা-সন্তান ভালো কিংবা মন্দ সবটুকুই বাবা-মা ও শিক্ষকের শিক্ষার উপর নির্ভর করে।

আরো পড়ুনঃ  আসলো জামাই শ্বশুড় বাড়ি কলমে অভিলাষ মাহমুদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *