সিলেটের কবি তুহিন চৌধুরী’র সেরা ২ টি কবিতা

কবি পরিচিতিঃ তুহিন চৌধুরী, জন্ম ১৯৯২ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারী, পূণ্যভূমি সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার সুন্দিশাইল গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক সাদেক আহমদ চৌধুরী ও জননী শিরিন আক্তার চৌধুরীর দ্বিতীয় সন্তান তিনি। সিলেট সাউথ সুরমা উচ্চ বিদ্যালয় হতে তিনি এসএসসি পাশ করেন এবং এইচ এসসি -তে অধ্যয়ন করেন সিলেট সাউথ সুরমা সরকারি কলেজে। তরুণ কাল থেকে সাংবাদিকতার পাশাপাশি লেখালেখিতে নিজেকে মগ্ন রেখেছেন। একুশে গ্রন্থমেলায় তার প্রকাশিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ- মাটির সারিন্দা (২০১৫ইং) ও উপন্যাস- কষ্টের সেই গল্প ছিলো নিশিদ্ধ (২০১৬ইং) পাঠক মনে বেশ সাড়া জাগায়। তিনি সুন্দিশাইল তেইশ শহীদ স্মৃতি সংসদের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন।

হয়তো দেখা হবে আবার
তুহিন চৌধুরী

হয়তো দেখা হবে আবার, তোমার সাথে আমার!
কোনো শ্রাবণ মেঘের কোলে
না হয় শুদ্ধ সিন্ধু ঢলে,
সেই আশা রাখি মনে।

হয়তো দেখা হবে আবার, তোমার সাথে আমার!
কোনো একলা নদীর বাঁকে
না হয় শঙ্খচিলের ঝাঁকে,
আঁকি স্বপ্ন দু’টি চোখে।

হয়তো দেখা হবে আবার, তোমার সাথে আমার!
কোনো অচিন বৃন্দাবনে
না হয় প্রমোদী পার্বণে,
সেই আশা পুষি মনে।

হয়তো দেখা হবে আবার, তোমার সাথে আমার!
কোনো কাল বৈশাখী ঝড়ে
না হয় একলা নীরব ঘরে,
আমি প্রত্যাশী গোপনে।

হয়তো দেখা হবে আবার, তোমার সাথে আমার!
কোন মধু পূর্ণিমা রাতে বা কুয়াশার প্রভাতে,
সেই আশায় সাজাই ঘর,
কাটাই আশাতে প্রহর।

কাব্যগ্রন্থঃ আজ সারারাত চাঁদ দেখব
প্রকাশকালঃ একুশে বইমেলা ২০২৩ ইং

আরো পড়ুনঃ মনজুর ইসলাম, নির্বাচিত লেখক কাজী নজরুল ইসলাম সাহিত্য পুরস্কার -২০২৩

নির্ঘুম রাত
—– তুহিন চৌধুরী

নির্ঘুম রাত, একাকী দীর্ঘশ্বাস…!!
বৈরাগ্য এই মনে, তোমার বসবাস।

গাংচিল বেশে উড়ে, সারাটা অন্তর জুড়ে,
বসতি গড়েছ কেন, এই মনের কুঁড়ে ঘরে?

আরো পড়ুনঃ  আমি মুকুল কলমে আহমাদ ওসমানী

স্পর্শ, হাসি আর মিষ্টি কথার ছলে,
বাড়াও কেন মায়া, বিদায়ের কালে?

হাত দিয়ে যদি ঐ আকাশটা যায় ছোঁয়া!
তার চেয়ে কঠিন, তোমায় আপন করে পাওয়া।

যদি না হয় পাওয়া, তবে স্বপ্ন সাজবে কীসে?
যদি স্বপ্ন’ই যায় ভেঙে, তবে পুড়বে অন্তর বিষে।

তাই, দোহাই দিয়ে বলি, তুমি বাড়াইওনা মায়া আর,
ভাসাইওনা প্রেম স্রোতে, আমি কাঁটতে জানিনা সাঁতার।

কাব্যগ্রন্থঃ আজ সারারাত চাঁদ দেখব
প্রকাশকালঃ একুশে বইমেলা ২০২৩ ইং

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *