অন্তরীক্ষের মেঘ কলমে ইসরাত জাহান ইসা

অন্তরীক্ষের মেঘ
ইসরাত জাহান ইসা

সে সুন্দর তার চেয়ে
সুন্দর আমার মেঘ।
সুন্দর বলা সত্যেও নাক কুঁচকায়,
প্রশ্ন তুলে হাজার রকম।
সেকি কখনো আয়নায় চোখ রাখে নি?
দেখে না নিজেকে?
কেন এতো ঢং তার আমায় ঘিরে?
কোথায় গল্পে হারানোর কথা,
তা না ঢংয়ে বাচে না।
এমন নেকামো কে হয়?
মনে মনে হাজার প্রশ্ন তুলে,
ভালোবাসলে সবাই এমন হয়?
ভালোবাসার কাছে সবাই নেকামো করে?
ভাবনারা পাহাড় বেয়ে আকাশ ছোঁয়
তাও চোখ ভরে দেখার মন,
তার নেকামোতেই তাকে সাজে,
সেও তার নেকামোতেই হাসে,
পাশে বসে নোটিশ করলাম বটে।

জীবন তাহার ভাবনার পাহাড়,
ছটাক খানি আশা, নিশ্চিত সামান্যই তাহার চাওয়া,
যে দার চেয়ে ভুল হয়,
সেদিকে তাকানোর গল্প খুব সহজ নয়,
তবুও চেয়ে তার মেঘ নয়নে,
চঞ্চল মন ধূলিসাৎ
ঠাই চেয়ে অভিমান অভিযোগ
সবই জমা মন দরিয়ায়।

বয়সে কচি বলা চলে
প্রেম বাঁধে প্রিয় জনের প্রতিটি
পলকে পলকে চোখের পাতায়
শেষটা এমন প্রেমেই শেষ হবে??

আমি চেয়ে থাকি নীলিমার তরে
দিন-রাত ভাবনার বিভিন্ন অসুখে
আমি ক্লান্ত,,
তবুও ক্লান্ত নহে
যদি ভাবনার শেষটাই বৃষ্টি নামে!

তাই প্রেমে আটকাতে ভীষণ ভয় হয়।
তবুও লিখতে মন চায় তার তরে,
প্রিয় জনের কাছে মেঘের ছন্দে,
কি নিয়ে কল্পনা জাগে, তাও জানি না কিন্তু
গল্পের মোর খুঁজতে, অন্যত্র নয় অন্তরীক্ষে চেয়ে
শান্ত হয়ে ভাবনা গুলো মেঘের কাছে গল্প লিখি
মন খারাপেও
কোনো মেঘ অল্প কিছুক্ষন এর জন্য দাঁড়ায়
শিখিয়ে দেয় মন ভোলা মায়া।
কোনো মেঘ বাকা হাসিতে চলে যায়,
শান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করেও আবার,
পিছু কথা ছুরে দেই হৃদয় গহিনে,
কেউ নিজ ইচ্ছেতেই হরেক রকম,
গল্প বলে মন ভালো করার।

রৌদ্রময় দিনে নীলিমা সাজে সজ্জিত আকাশে
সাদা ঝকঝকে মেঘের ছন্দে বুঝতে পারি,
সেদিন ভিষণ ভাবে হাসলে,
হে সেদিন আমিও হাসি, মন ভরে হাসি,
দূঃখ গুলো ছুঁতে চাইলেও , হাসির ভিড়ে বাঁধা পরে।

আরো পড়ুনঃ  নাস্তিকের রাজ | উম্মি হুরায়েরা বিলু

সেদিন খুব করে লিখি হুম খুব,
আকাশের মেঘ ও জানে।
কতো চিঠি লিখেছি তোমার নামে,
আকাশ চেয়ে দেখো,
মেঘের গায়ে লেখা কত চিঠি তোমায় ঘিরে।
হবে হয়তো হাজার খানি পৃষ্ঠা,
পৃষ্ঠা যে শেষই হতে চায় না,
যতই লিখি কম হয়ে যায়।
কালি তো জমা হতে থাকে কল্পনায়, যা দিয়ে বছরের পর বছর
কাব্য, গল্প, উপন্যাস লিখা যায় তোমার পানে।
হতবাক হয়ে চেয়ে চেয়ে গল্প বলি, চিঠি সাজায় মেঘের খামে।

কে সে যে আমার মেঘের পানে লেখা চিঠি পাবে?
পড়বে তার নয়ন মেলে,
ভিজাইবে তাহার আখি, আমায় দেখতে তার হৃদয় পল্লবে ঢেউ তুলে খুঁজবে, অন্তরীক্ষের চিঠিতে আমার বসত খানি,
আমি লুকিয়ে গেলে ব্যাকুল দরিয়া কাঁদিতে থাকিবে।
কখনো বিদায় জানিয়ে চিঠি লিখে দিলে,
সে আকুতি মিনতি করিবে, নীল শাড়িতে দেখিতে
সেদিন অন্তরীক্ষ সাজিবে নীলিমাতে।

 

কবি পরিচিতঃ মোছাঃ ইসরাত জাহান ইসা ২০০৪ সালের ৭ জুন ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার সিংগারোল (দহগাঁও) গ্রামের এক মধ্যবিত্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মোঃ ইয়াকুব আলী এবং মাতা মোছাঃ সেলিনা আখতার । তিনি তার পিতা মাতার আদরের একমাত্র ছোট কন্যা । তিনি ছোট থেকেই ছিলেন মেধাবী ও শান্ত স্বভাবের। ছোট থেকে তিনি সাহিত্য অনুরাগী ছিলেন। তবে পড়াশোনার গন্ডিতে ব্যস্ত থাকায় লেখালেখির খুব একটা ঝোঁক ছিলো না। তবুও একাকি হলেই নিজের মতো করে পৃষ্ঠা জুড়ে লিখে রাখতেন নিজের ভাবনা। তবে ২০২৫ সালে অনার্স প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত অবস্থায় ইন্টারনেটের বিভিন্ন ম্যাগাজিনে চোখ পরলে নিজের লেখাগুলো কে প্রকাশিত করেন। যৌথকাব্যগ্রন্থ “ভালোবাসি তোমায় বাবা”নামক বইটিতে ” বাবা” কবিতাটি প্রথম ছাপানো হয় । এরপর তিনি বিভিন্ন যৌথকাব্যগ্রন্থে ও ম্যাগাজিনে কবিতা প্রকাশ করে থাকেন । তিনি মা, ভাই ও বন্ধুবান্ধবীর অনুপ্রেরণাই সাহিত্য চর্চা করে থাকেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *