অন্যরকম তুমি
জান্নাতুল ফেরদৌস তারিন
৯ম পর্ব
আহির: আমি একদম ঠিকাছি, আসলে আপনাকে কিছু বলার আছে আমার,,
তারপর আহির সব খুলে বল্লো তুবাকে,,তুবা তো নিজের চোখ,কান কে বিশ্বাস করতে পাড়ছে না,,,তুবার চোখ ছলছল করছে,,আহিরের কথা শুনে,,
আহির গোলাপ ফুল হাতে নিয়ে হাটু ভেঙ্গে বসে তুবাকে বল্লো,,
আহির:আমি আমার বুকে হাজার তাঁরাকে জায়গা দিতে চায় না,,আমি একটা মাত্র চাঁদকে জায়গা দিতে চায়,যে আমার জীবন টা আলোকিত করে রাখবে,,তুমি কী আমার সে চাঁদ হবে,,,
তুবার চোখ বেয়ে পানি পড়ছে,,,সে কান্নার জন্য কোন কথা বলতে পাড়ছে না,,,তুবা আহিরের হাত থেকে ফুলগুলা নিয়ে তার কথায় হ্যা জানালো,,,
আহির উঠে তুবাকে জড়িয়ে ধরতেই তুবা আরো বেশি কান্না করতে লাগলো,,তুবার কান্নায় আহিরের চোখেও পানি চলে আসে,,
আহির তুবার চোখের পানি মুছে দিয়ে বল্লো,,
আহির:দেখো পাগলী মেয়ের কান্ড,, এভাবে কেউ কান্না করে,,,একদম কান্নাকাটি করতে পাড়বে না আমার মহারানী টা,,,
এই বলে তুবাকে আবার জড়িয়ে ধরলো,,,
,,,আহির আর তুবা রাতের খাবার শেষ করে রুমে আসলো,,,
আহির:চল একটু ছাদে যায়,,
তুবা:আচ্ছা চলুন
আহির আর তুবা ছাদে এসে দেখে চাঁদের আলোয় পুড়া শহর টা আলোকিত হয়ে আছে,,,
আহির: দেখছো কত সুন্দর চাঁদ টা,,ঠিক তোমার মতো,,যেখানে যায় আলোকিত করে রাখে,
তুবা আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে আর মনে মনে বলতে লাগলো,,আল্লাহ তুমি এতোকিছুর পরও যে আমাকে জীবনে এতো সূখ রেখেছো আমি ভাবতে পাড়িনাই,,,আমিতো ভাবছি আমার জীবনটা বুঝি শেষ হয়ে গেছে,,,
আহির:কী হলো তুবা তুমি ছুপ করে আছো যে,,আচ্ছা তুমি কী এখনো আমাকে ক্ষমা করতে পারোনী,,,
তুবা আহিরের বুকে মাথা রেখে বল্লো,,আসলে আমি এখনো বিশ্বাস করতে পাড়ছি না এটা আসলে সত্যি,,,
আহির:আচ্ছা এতোদিন কী হয়েছে সব ভুলে যাও না প্লীজ,,, চল না আমরা আবার নতুন করে শুরু করি,,,
তুবা:হুমমম ইনশাআল্লাহ
আহির তুবার দিকে তাকিয়ে আছে,,আজ যেনো তুবাকে অন্যরকম ভালো লাগে,,এতোদিন তুবার এই মায়াবী চেহারা টা আহিরের নজরে পরে নী,,,
তুবা:বুঝলাম না এভাবে তাকিয়ে থাকার কী আছে,,,
আহির:তুমি সুন্দর তাই আমি ছেয়ে থাকি,,,
তুবা:দূর,,,,এভাবে বলবেন না,,আমার লজ্জা লাগে না বুঝি,,,
আহির তুবার নাক টেনে দিয়ে বল্লো,”আহাগৌ আমার লজ্জাবতী বউ টাহ,,লজ্জায় লাল হয়ে গেছে,,,
এভাবে অনেক্ষন দুষ্টামি করে তারা চলে আসলো রুমে,,,আজ যেনো আহির আর তুবার জীবনে অন্যরকম একটা মুহূর্ত,,, যে মুহূর্তের জন্য তারা এতোদিন অপেক্ষা করে আছে,,,আহির লাইট বন্ধ করতেই তুবা ভয় পেয়ে যায়,,,সে খুব নার্ভাসপিল করছে,,,আহির আস্তে আস্তে আসতেই তুবা ভয়ে পিছু হাঁটতে থাকে(আমি আর কিছু জানি না😛,,,,I hate my mind and your mind 😁)
এভাবে কাটতে লাগলো তুবা আর আহিরের সুন্দর সম্পর্কটা,,,,
তুবা তৃণাকে ফোন করে সব জানাই,,তৃণা অনেক খুশি হয়,,
তৃণা:দোস্ত ট্রিট দিবি না এত বড় একটা সুখবর
তুবা:হুমম দিবো তো,,তোকে দিবো না তো কাকে দিবো,,লাভিউ দোস্ত,,,এই কথা টা হঠাৎ এসে আহির শুনে পেলে
আহির:বাহ খুব ভালো তো আমাকে বলতে বল্লে বলে না তার সরম লাগে,,আর বান্ধুবীকে সব ভালো বাসা দিয়ে দেয়,,তাহলে আমার জন্য আর কী রইলো
তুবা:আপনি একদম আমার বান্ধুবীকে হিংসে করবেন না,বলে দিলাম,,তৃণা তো এদের কান্ড শুনে হাসতেছে,,তুবা তৃণার থেকে বিদায় নিয়ে আহির কে বল্লো কী হিংসুটে ভুড়ো,, এত হিংসা কেনো হুমম,,,
আহির তুবাকে পিছ থেকে জড়িয়ে ধরে বল্লো,,
আহির:আমি হিংসুটে,, আমি ভুড়ো তাই না,,
তুবা:হুম তা না তো কী,,হিহি
এদিকে তাসনুবা হঠাৎ রুমে চলে এসে বল্লো বাবিই,,,তু তু,,,এ বলেই আবার ঐ দিকে পিড়ে গেলো আর বল্লো
তাসনুবা :আমি কিছু দেখিনাই বিশ্বাস কর,,,
আহির মাথা চুলকাতে চুলকাতে বারান্দায় চলে গেলো,,,
তুবা:আরে তাসনুবা হুমম বল কিছু লাগবে তোমার,,,
তাসনুবা:,,,লজ্জা পেয়ে তাসনুবা বল্লো,,,,সরি আসলে আমি বুঝতে পারি নাই,,,,না আমার কিছু লাগবে না আমি পরে আসছি,,,
এই বলে তাসনুবা চলে গেলো,আর তুবা বারান্দায় গিয়ে আহিরকে দেখে হাসতে লাগলো,,
তুবা:ভিতুরডিম,,ভয় পেয়ে গেছে,হাহাহা
আহির:খুব হাসা হচ্ছে তাই না,,,দেখাচ্ছি মঝা,,
এই বলে তুবাকে দৌড়াতে শুরু করে আহির,,তুবা এক দৌড়ে রান্না গরে মায়ের কাছে চলে যায়,,,
,,,
সন্ধ্যায় আহির আর তুবা বারান্দায় দাঁড়িয়ে বাহিরের দিকে তাকিয়ে আছে,,,,
হঠাং আহির তুবাকে দুই হাত দিয়ে ধরে বল্লো,”তুমি আকাশের বুকে বিশালতার উপমা,তুমি আমার চোখেতে সরলতার প্রতিমা,”মেডাম,,,,
তুবা আহির কে জড়িয়ে ধরে বল্লো
তুবা:এভাবে ভালোবেসো সারাটা কীবন সাহেব,,,
আহির:ইনশাআল্লাহ মহারানী,, তুমিও আমাকে কখনো ছেড়ে যেয়ো না,,,
এভাবে কাটতে লাগলো আহির আর তুবার সূখের জীবন,সবাইকে নিয়ে বেশ ভালো আছে তুবা,,তুবার এখন কিছুর অভাব নেই,,,
আহিরও এখন ইসলামের সব কিছু মানার চেষ্টা করে,তাসনুবাও এখন পর্দা করে,, আহির মাঝে মাঝে তুবাকে সংসারের কাজে সাহায্য করে,,,সংসারে যেনো সূখের অভাব নেই এখন
আল্লাহ তার বরকত দান করেছে সেই সংসারে,,,আলহামদুলিল্লাহ
আরো পড়ুনঃ- দৈনিক চিরকুটে সাহিত্য