উপন্যাস বেরঙিন পথে শুরু হলো কথা পর্ব ৩য় 

উপন্যাস বেরঙিন পথে শুরু হলো কথা পর্ব ৩য় 
লেখিকা রেবেকা সুলতানা

 

~ নোটিফিকেশন টা ছিলো ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট।

তার আইডি তে কোনো ছেলে ছিলো না তার ভাই আবিদ আর পরিচয় কয় একজন আত্মীয় ছাড়া।

‘কে রিকুয়েষ্ট পাঠালো তা দেখতে গেলে দেখলো একটা ছেলে রিকুয়েষ্ট পাঠিয়েছে। তাতে ছোঁয়ার কি । ছোঁয়া তো একসেপ্ট করবে না। ঝুলিয়ে রেখে দিবে।এটা ছোঁয়ার অভ্যাস। ‘

‘মরিয়ম ছোঁয়াকে ডাক দেওয়াতে সাথে সাথে তাড়াহুড়ো করে লগ আউট করে দিয়ে জ্বি আম্মু ডাকছো বলে মরিয়ম এর কাছে চলে গেলো।’

-হ্যা ডেকেছি। সে কখন আসরের আজান দিয়েছে তার কি কোনো খবর আছে? আমার কাছে তো থাকতে পারিস হাতে হাতে দু একটা কাজ এগিয়ে দিলেই তো হয়।
-জ্বি আম্মু।
-এখন আমাকে পানের বাটা টা এনে দিয়ে। যাও নামাজ পড়ে নাও।
-হ্যা যাচ্ছি
-নামাজ শেষ করে তোর আব্বু জন্য চা বসিয়ে দিস। এসে আবার না পেলে নিজেই বানাই পেলবে।
-আচ্ছা।

~বলে চলে গেলো।
সন্ধ্যায় ৬.৩০দিকে বড় ভাই তামিম বাড়িতে আসলো।এসেই ছোঁয়াকে ডাকা ডাকি শুরু করলো।

~এসে পারে নাই দেখো না ছোঁয়া ছোঁয়া শুরু করলো। ভাল্লাগে না। ( আস্তে আস্তে বিরবির করে বললো )
-জ্বি ভাইয়া বলেন।
-ভাইয়া তো এসে শুয়ে গেছি আর উঠতে ইচ্ছে করতে না। প্যানের সুইজ টা দে তো।
-এয়, এ জন্য ডাকছেন?
-হ্যা
-এটা কোনো কথা?
-আচ্ছা শুন আর এক গ্লাস পানি দিয়ে যা তো।
-আচ্ছা। (মনে মনে বিরবির করে বকছে আর বলছে সবসময় ভাইয়া এমন করে )।

‘আবার পড়ালেখায় মনোযোগ দিলো। কাল একটা ক্লাস টেস্ট আছে।ভালোভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আদিব হঠাৎ এসে মাথায় একটা বারি দিয়ে বললো,

-আস্তে আস্তে কি পড়তেছোস জোরে পড়।’

“এদিকে ছোঁয়ার কিছুই পড়া হয়নি। মাত্র স্কুলে পড়া শেষ করলো। কাল পরীক্ষা থাকায় ছোঁয়া সবার এসব কাজে একটু বিরক্ত হলো।”

আরো পড়ুনঃ  উপন্যাস বেরঙিন পথে শুরু হলো কথা

‘আদিব পড়তে বলে ছোঁয়ার খাটে শুয়ে ঘুছানো বিছানা টা পুরোই অগোছালো করে দিলো।’

~ছোঁয়া তার ভাইয়ের এসব কান্ড খেয়াল করে নি। পরীক্ষার পড়ায় মনোযোগ থাকায়।

‘রাতের খাওয়া শেষে বিছানার এ অবস্থা দেখে আদিব এর বিছানা’টাও ছোঁয়া উল্টে পাল্টে দিলো এই নে সমান সমান হয়ে গেলো।’

-যা সর। আর আসিও শুধু।
-আচ্ছা দেখতে পাবি কি হয়..

~ছোঁয়া শান্ত সৃষ্ট হলে ও তাদের দুই ভাইবোনের ঝগড়া দেখার মতো। তাদের ঝগড়া শুরু হলে থামায় কে। যেখানে যাক না কেন তাদের ঝগড়া খোঁচাখোঁচি আছে। ছোঁয়া আর আদিব এর সব কান্ড দেখে সবাই আনন্দ পায় হাসে। অন্যদের আনন্দ দেখে তাদের ও ভালো লাগে।

” কিছুক্ষণ ঝগড়া করার পর মরিয়ম আক্তার বকা দেওয়া যে যার রুমে চলে যায় চুপচাপ।।”

‘এভাবে সময় চলে যাচ্ছে বলতে না বলতে। ছোঁয়া দশম শ্রেনীতে উঠে গেলো,ছোঁয়া বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পড়া শুনা করছে। নবম শ্রেনিতে তার রেজাল্ট ও ছিলো ভালো।’

~এবছর ছোঁয়া এসএসসি পরীক্ষার্থী। ক্লাস শুরু হওয়ার মাসক্ষানিক মধ্য নেমে এলো হঠাৎ পুরো পৃথিবীর বুকে একটা ভয়ংকর আতঙ্ক ..

চলবে…

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *