কবিতা

ফিরবে কি! নুসরাহ বিনতে আলতাফ আমি এক নিপীড়িত উম্মাহর সন্তান! আমার হুররিয়াত আজ ভুলুন্ঠিত- আমার খাবার জন্য পানি নেই। মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই! নিজেকে আব্রু রাখার মত কোনো লিবাস ও নেই! আমার আজাদী বহু আগেই নিলামে উঠেছে। উমাইয়া খলিফাদের স্বৈরাচারী জীবন যাপনের মাশুল থেকে শুরু করে নিয়ে একুশ শতকের আরব রাজাদের গাদ্দারী। আমার ছোট্ট কোমল […]

আজব পৃথিবী মোসাঃ ইতি খাতুন আজব পৃথিবীর আজব খেলা কোথাও জ্ঞানী তো কোথাও পাগলের মেলা। কোথাও আবার বসে বিচার কোথাও হয় কারো ক্ষতি আজব পৃথিবীর আজব সব খেলায় খুজে পায় না কেউ কারো গতি। কারো আছে ধন তো কারো আছে মন , সবাই যে হয়না সমান তা বুঝে আর কয়জন। গরিব মরে খুদার জ্বালায় তো

অতঃপর বৃষ্টি আমাতুল্লাহ ফাতেমা মীকাইল! কি অপরুপ কার্যে নিযুক্ত তুমি। তুমি! সাদা-কালো মেঘ উড়িয়ে আকাশ বুকে য সজ্জা করো বিলি, আমি মুগ্ধ হয়ে তাকাই আকাশ পানে। চেয়ে থাকি – চেয়ে থাকতে চাই, শত-সহস্র মহুর্ত ব্যাপি। এই যে- আকাশের বুকে নিয়ে আসো রোদ্র হাসিনী, ক্ষণিকের মাঝে বৃষ্টি-কাদুনী। শস্য শুকানো, পশু চরানো চারণ ভুমি, মেঘে ঢেকে দিলে

ভালোবাসি কানিজ ফাতেমা রুকু ভালোবাসি হ্যা ভালোবাসি, মা তোমায় অনেক বেশি যখন আমরা ফোনে বলি হাজার রকম কথা ইচ্ছে হয় শেষ না হোক থাকি সারা বেলা। খাইছি কিনা বলো যখন শুনে মন ভরে, খাওয়ার কথাই ভুলে যাই তোমার ফোনটা পেলে। আসবো কবে বলো যখন যদি বলি দেরি, তোমার শুকনো কথা মা,,,আমি বুঝতে পারি। শুনো যখন

বেদনা নারগিস খাতুন আমি বৃষ্টির জল খুব ভালবাসি কারণ চোখের জল কে বৃষ্টি লুকিয়ে রাখতে সাহায্য করে। আমার বেদনা গুলো মহাকাব্য তৈরি হয়েছে। মরুভূমির বুকে এক ফোঁটা বৃষ্টি হয়ে এসেছিলে তুমি। চতুর্দিকে অন্ধকারের তুমি একটি টিম টিম করে জ্বলত, আলো ছিলে আমার জীবনে সেই আলো নিভিয়ে চলে গেলে।              

গ্রাম মমতা আক্তার মম বরাবরই গ্রাম আমার ভীষণ প্রিয় গ্রামের মাঠ যাট গাছপালা মিলে মিশে দেখা যায় প্রকৃতির লীলাখেলা গ্রাম বলতে এক টুকরো শান্তির নীড় নিরিবিলি মনোরম পরিবেশ ভীষণ প্রিয় গ্রাম কে তাই লাগেই বেশ। গ্রামের আকাশে যখন শরৎ এর মেঘ জমে অথবা হেমন্তের শেষ বিকালের পাখিদের ঘিচিমিচি কিংবা হেমন্তের শেষে শিশির ভেজা ঘাসে পা

বইয়ের পাতা উম্মি হুরায়েরা বিলু একটা সময় বইয়ের পাতায় ছিল লেখা পড়া, খোকা খুকির স্বপ্ন ছিল আদর্শ দেশ গড়া। বইয়ের পাতার জ্ঞানের আলো আজ গিয়েছে নিভে, সমাজটা আজ কলুষিত দায় ভার কে নিবে। খোকা খুকি বইয়ের পাতায় পাচ্ছে না আর জ্ঞান, এমন পড়া লেখা দেখে হচ্ছি যে অজ্ঞান। বইয়ের পাতায় জ্ঞানের আলো জ্বলুক ফের আবার,

বায়ান্নের ফাগুন ~ শোয়াইব মাহমুদ ফাগুন এসেছে ধরায় চিরাচরিত রাজকীয় রূপে গজেছে পত্র-পল্লব, ফুটেছে পুষ্প-কলি, এভাবেই যাচ্ছে চলে গ্রীষ্ম-বর্ষা-শীত এক ঋতুর আগমন, অন্য ঋতু যাচ্ছে চলি। কালের পরিক্রমায় কত স্মৃতিতেই তো জমে ধুলি কতক চিরকালের তরে ভুলিয়াছি কতক আবছা আছে মনে, কতক স্মৃতি ভুলবার নয় ; বরং হৃদয়ে রাখিয়াছি খুব যতনে। বায়ান্নতে শহিদ হওয়া ভাষা

তরী সুমাইয়া ইয়াসমিন কণা দুকূল ভরিয়া পানি, ছোট্ট দিপে মোর ক্ষেত খানি , সোনালী ধানে ভরা ক্ষেত কাটিয়া লইয়া যাবো মোর দেশ। প্রবল ঢেউয়ে দুকূল ভাঙ্গে বৃষ্টি নামবে কিছুক্ষণে, ধান কাটিয়া বসে আছি একা, মাঝির মেলে নাই কোনো দেখা । ক্ষণিক অপেক্ষায়! দূরে দেখি আসিতেছে এক মাঝি , একলা বাইছে তার তরী। দেখিয়া ডাকিলাম তারে

কষ্ট জান্নাত স্মৃতি যদিও আজ খুব একা। তবুও চাইনা তোমার দেখ। কষ্ট আসুক আমার মাঝে। বালিশ ভিজুক সকাল সাজে। কতশত কথা আর কত ভালোবাসা। আজ সবই স্মৃতি আর শুধুই নিরাশা স্বপ্ন ছিলো আশা ছিলো,ছিলো কত সুখ। হাহাকার মন আজ ব্যাথিত না পাওয়ার অসুখ। যার কথা মনে এলে রঙধনু খেলে। তার সাথে দিন,মাস,বছর, দেখা নাহি মিলে।