নরখাদক
মেয়ের মৃ’ত্যু’র তদন্ত করতে করতে ক্লান্ত মোহাম্মদ আলী৷ কবরস্থানের মাটি খোড়ার শব্দের রহস্য উন্মোচন করতে গিয়ে মৃ’ত্যু ঘটলো মেয়েটির৷
কবরস্থানের পাশেই বাড়িটি ছয় মাস হলো এস আই মোহাম্মদ আলী ট্রান্সফার হয়ে নারায়ণগঞ্জ এলাকায় এসেছে৷
এখানে আসার কিছুদিন পর পরই মাটি খোড়ার শব্দ পায় পাশের কবরস্থান থেকে ৷ দক্ষিন দিকেই কবরস্থানটা ফ্লাটের অনামিকার রুমের জানালা দিয়ে স্পষ্ট দেখা যেতো৷ অনেক বার জানালা দিয়ে দেখার চেষ্টা করেছে কিন্তু কাউকে দেখেনি তখন থেকে অনামিকার সন্দেহ টা আরো বেড়ে যায়৷ অনামিকা বাবাকেও কয়েকবার বলেছে কিন্তু সে প্রথম প্রথম মেয়ের কথায় তেমন একটা পাত্তা দেয়নি৷ কবস্থান যেহেতু সে ভেবেছিলো কেউ মারা গেছে হয়তো তাকেই কবর দেওয়ার জন্য কবর খুড়ছে৷ মেয়েকে তাই বলে বুঝিয়েছিলো অনামিকা বাবার কথার উপর কিছু না বললেও সন্দেহটা রয়েই যায়৷ যেদিন যেদিন দিনে কবর দেওয়া হয় রাতে মাটি খোড়ার শব্দটা আসে তা ছাড়া প্রতিদিন এ শব্দটা পাওয়া যায় না৷ আচ্ছা এটা কি কোন লা’শ চোরের কাজ? কিন্তু লা’শ চোরের কাজ হলেও পরের দিন নতুন পুরান সব কবর একই থাকে কিভাবে?
মোহাম্মদ আলী কে সব কথা জানায় অনামিকা সে ও সেদিন শব্দটা শুনেছে তাই কবরস্থানের কমিটি দের জানান তারা জানে ব্যাপারটা তারা আগের জামানার মানুষ ভুত অশরীরীতে বিশ্বাসী তারা ভাবেন অস্বাভাবিক কিছু ঘটে এই কবরস্থানে৷
এমন কথায় তাদের আর প্রশ্ন করেনি৷ মেয়েকে বলেছিলো ছাদে একটা ক্যামেরা লাগিয়ে দিবে কাল সে ক্যামেরার মাধ্যমেই দেখা যাবে কি হচ্ছে সেখানে৷ কিন্তু ক্যামেরা লাগানোর আগেই যে মেয়ের এমন করুন দশা দেখতে পাবে কে জানতো? সকালে ফজরের নামাজ পরে যখন ছেলে অনিক কে নিয়ে মর্নিং ওয়াকে বেরিয়েছিলো কবরস্থানের মেইন গেটের সামনে মেয়ের রক্তাক্ত নিথর দেহ পরে থাকতে দেখে থমকে গিয়েছিল মোহাম্মদ আলী৷ পাষাণ মেয়েটা সবসময় নিজের কথাটাই বেশি প্রাধান্য দিয়ে এলো সব সময়৷ অবাদ্ধ মেয়েটা কোনো কালেই তাঁর কথা শুনেনি আজো শুনলো না৷ কত করে মেয়েটাকে বললো “আম্মা চোখ খুলো” কিন্তু মেয়েটা শুনলো কই? শুনলো না এবারো বাবার কথা খুললো না চোখ টা অবাদ্ধ মেয়েটা অবাদ্ধই হয়ে রইলো৷ এতো করে বললো “আব্বু এসেছি দেখো৷ ” দেখলো না মেয়েটা? মেয়ে শুনিবে কি করে? মেয়ে যে গভীর নিদ্রায় আচ্ছন্ন৷
অবাদ্ধ মেয়েটা মোহাম্মদ আলীর মত দাম্ভিক মানুষকেও কাঁপিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে৷ কঠিন মানুষটার চোখ থেকেও পানি ফেলতে সক্ষম হয়েছে৷
যতই শক্ত মানুষ হোক মেয়েযে তার প্রাণ প্রিয়৷ প্রথম বাবা হওয়ার স্বাদ যে মেয়েটাই বুঝিয়েছে৷ মোহাম্মদ আলীর এখন মনে হচ্ছে এই তো সে দিন তাঁর আর তাঁর প্রেয়সীর ভালোবাসার চিহ্নটা পৃথিবীর আলো দেখলো৷ সাদা তোয়ালে মোড়ানো ফুটফুটে বাচ্চাটা তাঁর বক্ষস্থলে দিলো ডাক্তার মেয়েটা তখন ছোট ছোট দৃষ্টি দিয়ে তাঁর পানে তাকিয়ে ছিলো৷ ওই তো সে দিন ছোট্ট অনামিকার ছোট ছোট আঙ্গুল ধরে গুটি গুটি পায়ে হাটতে শিখালো৷ সেই মেয়েটা আজ ফের সাদা কাপরে মোড়ানো হলো৷ সে দিন থেকে আজকের দিনটা ভিন্ন৷ সে দিন কতই না প্রাপ্তির রেশ ছিলো উষ্ঠ জুরে? বুক ভরে দিয়েছিলো মেয়েটা আর আজ বুকটা খালি করে দিলো মেয়েটা আজ শুধু ব্যার্থতা আর ব্যার্থতা৷
ময়না তদন্ত করতে চেয়েছিলো কিন্তু মোহাম্মদ আলী করতে দেয়নি৷ শেষ বেলায় মেয়েটাকে কষ্ট দিবে নাকি? মেয়েটার মাথায় গভীর ভাবে আঘাত করেছে কেউ সারা শরীর ছু’ রি দিয়ে আ’ঘা’ত করেছে৷
কি কষ্ট দিয়ে মে’রে’ছে মেয়েটাকে?
মেয়েটা আজ বড় বোঝা কাধে দিয়ে গেছে৷ নিজের লাশ বহন করার বোঝা৷ বাবা হয়ে মেয়ের লা’শ বহন করা যে কষ্ট দায়ক তা কি মেয়েটা জানে না? কি করে নিবে সে বাবা হয়ে মেয়ের লা’শ কাধে?
অতঃপর মেয়েটাকে তার স্থায়ী ঠিকানায় রেখে আশা হলো৷ অন্ধকার গৃহে৷ মেয়ের পাখিটা এখনো হাক ছেড়ে তাঁর কন্ঠে ‘অনামি’ ‘অনামি’ বলে ডেকেই যাচ্ছে৷ আজ থেকে এ আঙ্গিনায় আর অনামিকার গুঞ্জন শোনা যাবে না৷
আজ থেকে সেই অন্ধকার ঘরেই থাকবে মেয়েটা৷
তাঁর স্ত্রীকে হসপিটালে ভর্তি করা হলো অনিক ছেলেটা চুপচাপ হয়ে গেলো৷
আস্তে আস্তে পরিস্থিতি ঠান্ডা হলো সপ্তাহ গেলো স্ত্রী কে আনা হলো বাড়িতে ছেলে একই আছে৷ পাখিটার খাঁচা খুলে দেওয়া হলো৷ কি অদ্ভুত পাখিটা গেলো না? ‘অনামি’ ‘অনামি’ বলে ডাকছেই৷ হাত দিয়ে পাখিটা বের করে উড়িয়ে দিতে চাইলো৷ পাখিটা তবুও গেলো না সে তাঁর নীড়েই ফিরে এলো নিজ থেকেই ঢুকলো তাঁর ঘরটায়৷ অবাক হলো মোহাম্মদ আলী ভিজে এলো তাঁর নেত্রকোণ খাঁচা টা খোলা রেখেই খাবার দিয়ে মেয়ের রুম থেকে বেড়িয়ে গেলো৷
পরের দিন রাতে ছাদে ক্যামেরা লাগিয়ে ঘরে ফিরলো৷ যেই মেয়েকে এমন কষ্ট দিয়ে মেরেছে ছাড়বেনা তাকে৷ অর্ধ রাত মেয়ের কথা ভাবতে ভাবতেই কেটে গেলো তিনটা বাজে হঠাৎ চোখ লেগে এলো ঠিক তখনই আওয়াজ পেলো কিছুর৷ তৎক্ষনাৎ চোখ খুললো কান পাতলো সে দিকে ফের শব্দটা পেলো না মাটি খোড়ার না তাঁর ফ্লাটেই কেউ প্রবেশ করেছে কাঠের দরজাটার শব্দ৷ পাশে স্ত্রীর দিকে নজর বুলিয়ে আস্তে আস্তে নামলো বাইরে এলো ড্রইং রুমের লাইট জ্বালিয়ে আশে পাশে নজর বুলালো না কেউ নেই৷ রান্না ঘরেও নেই৷ মেয়ের ঘরার দিকে গেলো না কেউ নেই৷ তাহলে দরজার শব্দ পেলো কোথায়? বারান্দায় এসে পাখিটা দেখতে পেলো না৷ পাখিটা কি উরে গেছে? খাঁচাটা এখনো নরছে রাতে ঘরে যাওয়ার আগেও পাখিটাকে খাবার দিয়ে গেছে তাহলে?
হঠাৎ পাখিটার কন্ঠ ভেসে এলো ছেলের ঘর থেকে পাখিটা ‘অনামি” বলে ডাকলো ছেলে নিয়ে গেছে পাখিটা? ভাবলো হয়তো বোনের জন্য মন খারাপ করছে তাই৷ দীর্ঘ শ্বাস টেনে নিজের ঘরে আসলো৷ তখনই মৃদু অদ্ভুত একটা আওয়াজ পেলো মাংস কাটলে যেমন ‘খ্যাচ’ করে আওয়াজ হয় তেমন৷
চমিকে উঠলো মোহাম্মদ আলী অন্তর আত্মা কেঁপে উঠলো তাঁর৷ ছেলের ঘরে কি কেও এসেছে?
দৌড়ে ছেলের ঘরের দিকে গেলো তাড়াহুড়োতে ফুলদানিটা পরে গেলো যার আওয়াজে আমিনাও উঠে এলো এদিকেই৷
ছেলের ঘরে এসে যা দেখলো তার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলো না মোহাম্মদ আলী৷ পাখিটি র’ক্তা’ক্ত অবস্থা দরজার সামনে পরে আছে৷ পাখিটির দেহ এক দিকে মাথাটা আরেক দিকে৷ অনিক ধারালো ছু’রি টি দিয়ে নিজের হাত পায়ের রানে আ’ঘা’ত করছে আর কেমন অদ্ভুত ভাবে হাসছে৷
দরজার শব্দ পেয়ে ঘার বাকিয়ে ঘুরে পিছনে তাকালো৷ বাবাকে দেখে অপ্রস্তুত হলো না সে ফের আগের ন্যায় নিজের কাজে মগ্ন হলো৷ আমিনা ছেলেকে এমন দেখে “হায় আল্লাহ” বলে চেচিয়ে জ্ঞান হারালো মায়ের চিতকারে হাসলো শুধু অনিক৷
মোহাম্মদ আলী এগিয়ে এসে কাঁপা কন্ঠে বলেন,
“কি করছিস বাবা এসব৷ “
অনেক বাবার দিকে তাকিয়ে ফের হাসলো অতঃপর বললো,
“খুদা লেগেছে আমার বাবা৷ খুদা লেগেছে৷ আমি খাবো৷”
মোহাম্মদ আলী বুঝলো ছেলে স্বাভাবিক নেই তবুও ধাতস্থ রইলো এগিয়ে এসে বললো,
“এসব ফেল আয় খাবার দিচ্ছি৷ “
ছেলেটি ফের বাকা চেয়ে শব্দ করে হেসে বলে,
“খাবো আমি৷ মাংস খাবো দিবে আমায়? ওই কবরস্থানটায় আর কাউকে কবর দেয় না এখন৷ কেন?”
মোহাম্মদ আলী যা বোঝার বুঝে গেলো৷ এ ছেলে স্বাভাবিক নয় সে জানতো একটু মানুসিক সমস্যা ছিলো কিন্তু এই সমস্যা যে এমন আকার ধারন করবে কে জানতো?
তাহলে কি মেয়েটাকে ছেলেটাই মেরেছে? মোহাম্মদ আলীর চোয়াল শক্ত হয়ে এলো দাতে দাত চেপে নিচে পরে থাকা স্ত্রী কে নিয়ে বেরিয়ে শুইয়ে দিয়ে কাউকে ফোন করলো অতঃপর ফের ছেলের ঘরে এলো৷ নিজেকে ধাতস্থ রেখেই প্রশ্ন ছুড়ে দিলো,
“মেরেছিস কেন বোন কে?”
অনিক অদ্ভুত ভাবে ঘার নাড়াচাড়া করে ছু’রিটা ফেলে দাঁড়ায় তাতে মোহাম্মদ আলী একটু পিছিয়ে যায়৷ না ছেলে তার দিকে এগোয়নি দেওয়ালে ঝুলানো বোন আর তাঁর ছবিটার সামনে গিয়ে র’ক্ত মাখা হাত দিয়ে ছবিটায় হাত বুলাতে বুলাতে বলে,
“আপুকে আমি বলেছিলাম চলে যা৷ আপু যায়নি৷ আমাকে খেতে দেয়নি৷ আমার যে খিদে পেয়েছিলো কষ্ট হচ্ছিলো তাই,,,,৷ “
বলে বাবার দিকে তাকিয়ে বাঁকা হাসলো৷ মোহাম্মদ আলী ফের প্রশ্ন ছুড়লো,
“তুই নর খাদক?”
“আমি শুধু মরা মানুষের মাংস খাই আব্বু আমি কারো ক্ষতি করি না৷ কিন্তু কিন্তু আপুকে রক্তাক্ত দেখার পর রক্তের নেশা আমায় আষ্টেপৃষ্টে ধরেছে ৷ আমার রক্ত চাই আমার ভালোলাগে রক্ত দেখতে৷ “
বলে বাঁকা হেসে নিচে থেকে ছু’রিটা নিয়ে এগোতে থাকে তার দিকে৷ ১৯ বছরের ছেলের মুখে এমন কথা শুনে চমকে উঠে মোহাম্মদ আলী৷ আ’ঘা’ত করবে নাকি ছেলেটা তাকে? মনে মনে ভাবতে দেরি এগিয়ে এসে বাবার বাহুতে আঘাত করতে দেরি হলো না৷ সাথে সাথে রক্ত ছিটকে মুখে গিয়ে লাগলো অনিকের তাতে হাসলো অনিক৷ ঠায় দাঁড়িয়ে রইলো মোহাম্মদ আলো এক দু ফোটা পানি গড়িয়ে পরলো৷ কষ্টটা ক্ষতর না কষ্টটা ছেলের হাতে আ’ঘা’ত পাওয়ার৷ অনিক ফের আ’ঘা’ত করবে এর আগেই কনস্টেবল রাফিফ এসে ছুড়িটা কেড়ে নিলো৷
পাথর হয়ে দাড়িয়েই রইলো দাম্ভিক মানুষ টা চোখ দিয়ে পানি পরছে৷ তার সামনে দিয়ে ছেলেকে নিয়ে গেলো নড়লো না জায়গা থেকে ঘরটা রক্তাক্ত হয়ে আছে৷
অনিককে এখান থেকে পুলিশ হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷
পরের দিন সে অসুস্থ স্ত্রী কে একা রেখেই হসপিটালে গেলো আজকে অনিককে কোটে তোলা হবে৷
শেষোক্ত অনিকের এমন অবস্থা দেখে কোট থেকে অনিককে কাউন্সিলিং এর নির্দেশ দিলো যেহেতু ও মানুষিক ভাবে এতোটা অসুস্থ শাস্তিটা হয়তো কিছুটা কম হলেও হতে পারে৷
হসপিটালেও আসার পর খ্যান্ত হয়নি অনিক দুইজন নার্সকে আঘাত করেছে তাদের অবস্থা করুন৷
অতঃপর ডাক্তার ইনজেকশন দিয়ে শান্ত করলো৷ একজন পুলিশ অফিসার হিসেবে ওনার চোখে অনিক যেমন আসামি একজন বাবার চোখে অনিক তেমনই নিষ্পাপ দোষ তো তাদেরই৷ অনিক হওয়ার পর ডাক্তার যখন বলেছিলো ওর মানুসিক ভাবে একটু সমস্যা আছে তখন তো কথার এতোটা গুরুত্ব দেয়নি বড় হওয়ার সাতগে সাথে ছেলেটাকে যখন সুস্থ স্বাভাবিক দেখছিলো তখন ভেবেছিলো ডাক্তার ভুল বলেছে কিন্তু আজ মনে হচ্ছে ওনারাই ভুল করেছে যার জন্য মেয়েটা অকালেই নিজের ভাইয়ের হাতে খু’ন হলো৷ মেয়েটার শারীরিক কষ্ট থেকে হয়তো মানুসিক কষ্টটা বেশি ছিলো?
মোহাম্মদ আলী ডাক্তারের সামনে বসে প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন,
“ও এমন কি করে ডক্টর? “
ডাক্তার মোহাম্মদ আলীর দিকে তাকিয়ে বলেন,
“কিছু উপজাতিয় মানুষের মধ্যে মানুষখেকো প্রবণতা দেখা যায়। এই প্রবণতা কুরু ও স্ক্রেপী রোগের কারণ। আর ওর মধ্যে আগে থেকে সাইকোপ্যাথ রোগটা ছিলো৷ সাইকোপ্যাথ এর মধ্যে প্রধান বৈশিষ্ট্য, মিথ্যা বলা, দায়িত্বজ্ঞানহীন, উদাসীন সহানুভূতি, মানুষের ক্ষতি করে অনুতপ্ত না হওয়া, ঠান্ডা মাথায় অন্যায় করা৷ যা ও করেও অনুতপ্ত নয়৷ জানি না কতটা রেকোভারি করতে পারবো তবুও চেষ্টা চালাচ্ছি৷ ও আমাদের সবার জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়িয়েছে৷”
থম মেরে বসে আছে মোহাম্মদ আলী আজ প্রথমবার নিজের কাছে নিজেরই দূর্বল লাগছে যা আগে হয়নি৷
হঠাৎ আরেকটা নার্সের চিৎকারে দু জনের ধ্যান ভাঙলো উঠে দুজনই অনিকের কেবিনের দিকে ছুটে এলো এখানে এসে দু’জনই থমকে গেলো নার্সটা পেট চেপে নিচে বসে আছে অনিকের হাতে র’ক্তা’ক্ত স্টেন্টা উষ্ঠে জুরে আছে পৈচাশিক হাসি৷ স্টেনটা ফের পেটের ভিতর ঢুকাবে এর আগেই মোহাম্মদ আলী রিভলবারটা বের করে বুকের বরাবর গুলি চালিয়ে দিলো৷ গুলির আওয়াজে থমথমে হয়ে গেলো সব দৌড়ে এদিকে এগিয়ে এলো সবাই৷
গুলির আঘাতেও হাসলো অনিক আজ প্রথম হয়তো কোন বাবার এমন হৃদয়হীন কান্ড দেখলো সবাই? থমকে গেলো সবাই অনিক ঢলে পরলো নিচে চোখ বন্ধ করার আগে বাবার দিকে তাকিয়ে হাসলো৷ সে চোখে না আছে ভয় না আছে কোনো অপরাধবোধ৷ কম্পিত হাতে র’ক্ত গুলো নিয়ে মুখে মেখে ফের পৈচাশিক ভাবে হাসলো শুধু৷
সমাপ্ত