নারীর পর্দা
নারীর মর্যাদা স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা এতো টা উচ্চতায় রেখেছে, যা মা ফাতেমার জীবন কাহিনি, খাদিজা (রাঃ) কাহিনি শুনেই আন্দাজ করে নিতে পারি। তাছাড়াও আরও হাজারো কাহিনি আছে এমন। নারী জাতি হচ্ছে এমন এক জাতি যে জাতির সৌন্দর্য, গাম্ভীর্য সবটা হচ্ছে তার পর্দায় তার নিজেকে ঢেকে রাখার মাঝে। যে নারী তার নিজেকে যতটা আবরণে রাখবে সবকিছুর আড়ালে রাখবে সে তার নিজেকে ততই মঙ্গল আর উচ্চতর জায়গায় নিলো।
বলায় আছে নারী স্থান সবার ওপরে। যে নারী তার নিজেকে আড়ালে রেখে সুরক্ষা করলো সে পরিস্কার পানির মতোই স্বচ্ছ সুন্দর, চাঁদের আলোর ন্যায় ঝলমলে। নারী জাতি পর্দায় থাকলে আসমানের ফেরেস্তারাও সম্মান করবে। পর্দা হচ্ছে নারীর শুক্তি। প্রতিটি মুসলিম নারীর জন্য পর্দা ফরজ করা হয়েছে তাদেরই সুরক্ষার জন্য তাদেরই সম্মান আরও বাড়িয়ে দেয়ার জন্য। যে নারী তার নিজের সম্মান বুঝে আল্লাহর জন্য নিজেকে আড়ালে রাখে তার সম্মান আল্লাহ নিজে বাড়িয়ে দেয়। মেয়েরা তোমরা এটা ভুলে যেও না পর্দাশীল মেয়েরা জান্নাতে মাফাতেমার সাথী হবে, আল্লাহ কতো স্পষ্ট সুন্দর ভাবে জানিয়ে দিয়েছে আমাদের। নিজেকে আড়ালে রাখার মাঝেই নারীর অহংকার, নারীর ভূষণ। পর্দা কখনো মানুষের জন্য নয় লোক দেখানো ভালোর জন্য নয়, পর্দা হলো নিজের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য, সম্মান বাড়ানোর জন্য আখিরাতের জন্য, আল্লাহর জন্য।এই দুনিয়ার মোহ মায়া মিথ্যে থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য।
পর্দা নারীর মান মর্যাদা অনেক গুন বাড়িয়ে দেয়।নারীর আসল সৌন্দর্য পরপুরুষ থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা, নিজেকে পবিত্র রাখার মাঝেই। যে নারী তার নিজেকে আড়ালে রাখবে না সে নারী নিজেই যেন তার সম্মানের ক্ষতি করলো। তার নিজেকে জাহান্নামের আরও এক ধাপ কাছে স্বপে দিলো।
আল কুরআনে কঠিন ভাবে বলা আছে নারীর সৌন্দর্যকে যেন সে প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের সাজ সজ্জা একান্তই তার নিজের আর তার স্বামীর জন্য রাখে। নারী আড়ালে থাকলেই একমাত্র তার লজ্জা, তার আত্নসম্মান, তার নিজেকে পবিত্রতার মাঝে রাখতে পারবে। পর্দা নারীর সৌন্দর্য কখনোই মুছে দেয়না ঢেকে রাখে না বরং বহগুনে বাড়িয়ে দেয় হিজাব পরিধান করা উচিত গর্বের সাথে, আনন্দের সাথে ভালোবাসার সাথে। এমন ভাবে পর্দা করোনা হে নারী যে পর্দার আড়ালেও লোক সমাজের মানুষ তোমার সৌন্দর্য দেখার আশা করবে। এমন ভাবে নিজেকে সুরক্ষিত করো যে মানুষ দেখলেও সম্মান নিয়ে তাকাবে। পর্দায় নারীর আসল সৌন্দর্য।