তরুণ লেখক লেখিকা-দের মধ্যে নিলুফার জাহান রুবাইয়া অন্যতম। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি বইয়ে লেখা প্রকাশিত হয়েছে এবং তাঁর লেখা নিয়মিতই প্রকাশিত হচ্ছে অনলাইন প্লাটফর্ম গুলোতে। তাঁর সম্পর্কে জানতে সাথেই থাকুন….
সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
নিলুফার জাহান রুবাইয়া, জন্ম ২০ডিসেম্বর ২০০৬ সালে। বাবা : আব্দুর রশিদ সরকার, তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত অনাঃ ক্যাপ্টেন। মা : দিলরুবা জাহান, তিনি একজন গৃহিণী।
লেখিকার ছবি
শিক্ষা জীবন
কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ রংপুর থেকে এসএসসি পাশ করেছেন এবং বর্তমানে তিনি রংপুর সরকারি কলেজে একাদশ শ্রেণীতে পড়াশোনা করছেন।
আরো পড়ুনঃ জনপ্রিয় লেখক আরিফ আজাদের পরিচিতি ও জীবনী |
সাহিত্য সূচনা
করোনাকালীন সময়ে অবসর সময় কাটানোর মধ্যে দিয়েই সাহিত্য জগতে প্রবেশ। তুর্জয় শাকিল সম্পাদিত ❝অণুর অন্তরালে❞ বইটিতে ❝শানুর পন্ডিত❞ গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয়। ইতিমধ্যে যেসব যৌথবইয়ে লেখা ছাপানো আছে : অণুর অন্তরালে, মশাল, রহস্যোর অন্তরালে, আনন, মেঘের আলাপন, নীল আকাশের নীলিমায়, ৯৯ এর গল্পকলি, দীর্ঘ অনুভূতি। এছাড়াও বিভিন্ন পএিকা যেমন :দৈনিক দাবানল, দৈনিক বিজয়ে আমার লেখা গল্প প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমান প্রজন্মের বিখ্যাত ❝বইটই❞ অ্যাপে বেশ কয়েকটি লেখা গল্প প্রকাশিত রয়েছে। নোঙ্গর, কুঁড়ি মাসিক পএিকাসহ বিভিন্ন ম্যাগাজিনে গল্প প্রকাশিত হয়েছে। ৫০ টির অধিক গল্প ইতিমধ্যে লিখেছি। ❝নিলুফারের গল্পগুচ্ছ❞ নামক ফেসবুক গ্রুপে সাহিত্যচর্চা করি।
পুরস্কার প্রাপ্তি
ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিভিন্ন পুরস্কার অর্জন করেছি। যেমন : কবি কায়কোবাদ সাহিত্য পুরস্কার -২০২২, প্রতিভার উম্মেষ সাহিত্য পুরস্কার -২০২৩, বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাহিত্য পুরস্কার-২০২২, শেখ মুজিব লিটারেচার অ্যাওয়ার্ড ২০২৩, সমরেশ সাহিত্য পুরস্কার-১৪৩০, কাজী নজরুল ইসলাম সাহিত্য পুরস্কার-১৪৩০, ইয়ুথ ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ড -২০২২। লেখালেখির পাশাপাশি ছবি আঁকা, বির্তক চর্চা ও আবৃত্তির সঙ্গে জড়িত।
আমাদের সময়ের অনেকেরই ধারণা একাকিত্ব একধরণের অভিশাপ।একাকিত্ব মানুষকে শেষ করে দেয়। তবে আমার ধারণা একাকিত্ব একপ্রকার আর্শিবাদ। এই সময়টিতে নিজেকে চিনে নিজেকে ভালোবেসে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া অনেকটা সম্ভব। সফলতা নিজে থেকে কখনো ধরা দেয় না। সফলতা ছিনিয়ে নিতে হয়।
– নিলুফার জাহান রুবাইয়া
আরো পড়ুনঃ লেখক বখতিয়ার উদ্দিন সংক্ষিপ্ত পরিচিত ও জীবনী |
লেখিকার লেখা
লেখিকার লেখা ছোট একটি অণুগল্প। গল্পটি প্রকাশিত হয়েছিলো তুর্জয় শাকিল সম্পাদিত অণুর অন্তরালের বইয়ে। অণুগল্প অণুর অন্তরালের গ্রন্থটি থেকে সংকলিত হয়েছে।
শানুর পন্ডিত
কলমে: নিলুফার জাহান রুবাইয়া
আমি পড়ছিলাম হঠাৎ জানালা দিয়ে কে যেন একটা কাগজ ছুড়ে দিল।আমি বললাম,”কে রে?” কাগজটা খুলে দেখি লেখা,”কিরে পন্ডিত খেলতে আসবি না?” বুঝলাম কাগজটি শানু দিয়েছে।শানু,লিমা,নয়নএরা আমার খেলার সাথী।শানু ব্যতীত অন্য কারো সাথে মিশতে দেখলে তার বেশ রাগ অভিমান করতো।আমাকে কেউ কিছু বললে তাকে সহজে ছেড়ে দিতো না।মনুজা দাদির বাড়িতে সামনে সবাই মিলে খেলতাম আর উনার তাড়া খেয়ে হাতে জুতা নিয়ে পালিয়ে যেতাম।কারণ দাদির কাছে জুতা গেলে সেটা পাওয়া কষ্টসাধ্য।
এসব মনে পড়লেই চোখের কোণে জল চলে আসে।দুবছর আগে এই দিনে শানু তার বাবার হাতে বিশ্রীভাবে খুন হয়েছিল। নাড়িভুঁড়ি সব ঘরের মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল।অতিরিক্ত নেশা শানুর প্রাণ নিয়েছিল সেইদিন।
একজন অসাধারণ ইচ্ছা শক্তি সম্পন্ন মানুষ। তার আলো প্রতিনিয়ত আরো বেশি দীপ্তি ছড়াবে, ইনশাআল্লাহ।
একজন অসাধারণ ইচ্ছাশক্তি সম্পন্ন মানুষ। তার আলো প্রতিনিয়ত আরো অনেক বেশি দীপ্তি ছড়াবে, ইনশাআল্লাহ।