পালকি কলমে আমাতুল্লাহ ফাতেমা

পালকি কলমে আমাতুল্লাহ ফাতেমা

পালকি
আমাতুল্লাহ ফাতেমা

তৃষ্ণার্ত হৃদয়,ভারাক্রান্ত চেহারা,অজানা ব্যথায় কুঁকড়ানো বিমিশ্রিত একটি দিন। করোনাকালীন এক ব্যথাতুর ছুটি। পুলিশের হামলায় ছুটি হয়ে যায় বিদ্যা নিকেতন।দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসে মোদী বিরোধী আন্দোলনে শহীদী ভাইদের রক্তরাংগা বার্তা। মনটা ছিল খুব জিহাদী-জিহাদী পিপাসায় পিপাসার্ত। ক্রশেড বইয়ের অনুসন্ধানী আমি। আমার অল্প স্বল্প চেষ্টাটি অপারগতায় রয়ে গেল। বাসায় ফিরে বেশ কয়েকবার পঠিত ‘ কাশ্মীরের কান্না’ এক ফুরসতে পুনরায় পড়তে শুরু করলাম। ‘কাশ্মীরের কান্না’ কাঁদানো শেষের পূর্বে পুনরায় স্বজন হারা কান্না যে,আমায় গ্রাস করবে তা ভ্রণাক্ষরে ও বুঝে আসে নি। এই ছিল জেনো সেই হৃদয় মাঝে অজানা ব্যথা। তাই হলো। স্বজন (ছোট বোন বৃষ্টি) হারা কান্না আমায় লুফে নিলো। সে দিনের ট্রাজেডি জেনো হৃদয় বিদারক ট্রাজেডি। হৃদয় বিদীর্ণ করে, সাদা বেনারসি পড়ে, চার বেহারার পালকি চড়ে বৃষ্টি চলল -ওপারে।
এক বছর পূর্ণ হলো অঝর বৃষ্টির ঝরে যাওয়ার।
বৃষ্টির আত্মার মাগরিরাতের জন্য দোয়ার কাঙালী।

তিনটা পঁয়তাল্লিশ
ছয়।চার।বাইশ

আরো পড়ুনঃ  ঘূর্ণিঝড়ের কথা

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *