ভক্তের তরে প্রণয়ের চিঠি || রাইমানুর ইমা

ভক্তের তরে প্রণয়ের চিঠি কলমে রাইমানুর ইমা।



হে কদম পুষ্প,

কবির প্রণয়ের সিন্ধুক তোমাকে নিবেদন করছে।
সেদিন প্রবল ব্যস্তময় শহরের সকল চঞ্চলতাকে পরাজিত করে অষ্টরাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে কবি প্রাণ তোমায় বিনীত অনুরোধ জ্ঞাপন করেছিল, তোমার মাঝে বিভোল করতে। চেঁচিয়ে আর্তনাদ করেছিল কবি প্রেমে নিজেকে নাভুলাতে। তুমি কবি প্রাণের সেই আকুতিকে স্বাগত জানিয়ে দিয়েছো যথার্থ সম্মাননা।
কদম পুষ্প, আজ তুমি কেড়ে নিয়েছো কবির কাব্যের ছিল যত ছন্দ বাকি সব পুষ্পদের তরে, কেড়ে নিয়েছো উপনাস্যের অন্যসব নাগরের অধিকার। বৃষ্টিস্নাত স্নিগ্ধ হাওয়ায় ডায়েরি কলম হাতে,
ধরণী অনন্য করা লাবণ্যময়ীদের ভীড়ে কবি চিত্ত কেবল তোমাকেই টানে। সবুজের অরণ্যে বসে তোমার সাথে গল্পে মেতে কাটিয়ে দেয় কতশত নিশ্বাসের ন্যায় লগ্ন। গ্রীষ্মের খরা কবলিত চৌচির ময়দানের মতো হাহাকার চিত্তে তুমি এলে অতৃপ্তি চিত্ত তৃপ্ত করতে অসময়ের বৃষ্টি হয়ে। বৃষ্টিস্নাত হৃদয় উদ্যানে তোমায় পেয়ে কেটে গেছে ছিল যত অপ্রাপ্তির আক্ষেপ। ইলশেগুঁড়ির স্নিগ্ধ নির্মল হাওয়া, হাতে এক কাপ চায়ের সাথে মুঠোফোনের ঐ প্রন্তের তুমিটাকে চুবিয়ে খাওয়া, আহা সে কি স্পর্শকাতর প্রশান্তি! ঠিক যেন মেঘের রাজ্যে ভীনগ্রহীর সাথে একই ভেলায় ভাসা!

হে ভক্ত,তোমার আনাগোনায় আজ মুখরিত আমার গল্পউদ্যান, উপন্যাসের প্রতিটি পাতায় শিরোনামটি দখল করে আছো কেবল তুমিই। আজ ভীষণ ইচ্ছে করে সবুজের বৃত্তে অম্বুর নৃত্যে খেয়ার মাঝে লাল শাড়ি, লাল চুড়ি আর খোপায় তুমিটাকে গুঁজে নিয়ে ভীনগ্রহে অন্তর্হিত হতে।



লগ্ন ফুরিয়ে এসেছে, পক্ষীকূল নীড়ে ফেরায় ব্যস্ত, দিবাকরের আলো দিগন্তে নিজেকে বিলীন করা শুরু করেছে, হৃদয় আমার আরো লিখতে চায়, তবে বেলা যে ফুরিয়ে এসেছে। কোনো এক ভোরের প্রজাপতি হয়ে ঠোঁটে একশত নয়নতারার মধু মাখিয়ে নব্য পত্র পাঠ করে ঘুম ভাঙাবো নান্দনিক শিহরণে।

ইতি
কবি

আরো পড়ুন এবং লেখুনঃ- দৈনিক চিরকুটে সাহিত্য

আরো পড়ুনঃ  মসজিদুল আকসা নিয়ে চিঠি ২০২৪

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *