মসজিদুল আকসা নিয়ে চিঠি
প্রিয় কুদুস,
আল-কুদুসের প্রতিটি শহর-নগর, জনপদ আর গ্রাম জুড়ে মিশে আছে নবীদের স্মৃতি। মহানবির পদর্স্পর্শে ধন্য ভূমি। জড়িয়ে আছে বীর সালাহউদ্দিনের বীরত্ব প্রভা। তাই হৃদয়ের সবটুকু আবেগ ও ভালোবাসা উজাড় করে দিয়েছি, তোমাকে হে আল-আকসা!
বলবে—শুধু শব্দ বাক্যে ভালোবাসো আমায়..?
অথচ আমি আজ ডুকরে কাঁদছি। ছোট্ট নিষ্পাপ শিশুকে বেয়নেট দিয়ে কেমন খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারছে। আর তুমি বলছো- বাসি তো ভালো! বড় অদ্ভুত তোমার ভালোবাসা!
অভিমান করছো! শুনো তাহলে! তোমার থেকে পাঁচ হাজার মাইল দূরে বাংলা নামক ছোট্ট একটা ভূখণ্ডে আমার নিবাস। আমি দূর্বলতা ও অক্ষমতায় আপাদমস্তক ডুবন্ত। আজ আমার হৃদয়ের ক্ষরন দহন আমি হয়তো তোমাকে লিখে বুঝাতে পারবো নাহ্। তারপরেও কখনো সখনো তোমার নাম করে রাজপথে গলা ফাটিয়ে স্লোগান দিই। শরীরের ঘামে ভিজে যাওয়া পোষাক পরে অনেকদূর হেঁটেছি তোমার পতাকা গায়ে জড়িয়ে। মিনতি করেছি রবের নিকট। এটাই আমার সাধ্য সীমা। তবে কোন দিন যদি আসি তোমার অনিন্দ্য সুন্দর চত্বরে-তবে সেদিন তোমায় সব খুলে বলবো কেমন—তবু হে আকসা অভিমান করো না প্লিজ!!
তোমায় কথা দিচ্ছি—জোসনায় ধোয়া ধবল আকাশের নিচে সবুজ ঘাসের গালিচা বিছিয়ে তোমার গল্প করবো। তোমার বুকে তিলেতিলে বেঁচে থাকা মুজাহিদ নারী শিশুদের হৃদয়স্পর্শী গল্প করে আমি আমরা অনুপ্রাণিত হবো। আর হ্যা আমার সাথীরাও তোমাকে অসম্ভব ভালোবাসে—ওদের নিয়ে আমি গল্পের আসর বসাব।
তবু হে আকসা! তোমায় ভালোবাসি।