মানবিকতার দৃষ্টান্ত দেখালেন কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান
সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত রক্তাক্ত এক শিশু কন্যাকে নিজের কোলে তুলে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরত্বের হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে মানবিকতার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন কক্সবাজারের মেয়র মুজিবুর রহমান। বৃহস্পতিবার বিকালে চকরিয়া-পেকুয়া সড়কের পহরচাঁদা মাদ্রাসা চত্বরে সিএনজি গাড়িতে এ দুর্ঘটনার শিকার হয় জান্নাতুল তানজিদ নিশকাত রূপা নামের শিশুটি।
গাড়ির ধাক্কায় ছোট্ট মেয়েটি যখন মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল তখন পথিমধ্যে পেকুয়া থেকে জেলা পরিষদের নির্বাচনী প্রচারণা শেষে ফেরার সময় মেয়েটিকে দেখতে পান জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান । মুহুর্তের মধ্যে গাড়ি থেকে নেমে নিজের কোলে ধরে সিএনজিতে উঠিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান মেয়র। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আঘাত গুরুতর হওয়ায় নিজের টাকায় ভাড়া করা এম্বুলেন্সে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেন ডাক্তাররা। কিন্তু সেখানেও বিধি বাম, অসহায় গরীব বাবার মেয়েটির অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু টাকা নেই বলে মেয়েকে চট্টগ্রাম নিয়ে যেতে পারছেননা তার বাবা আবুল কালাম। এরপর ফলোআপ খবর নিতে গিয়ে ব্যক্তিগতভাবে নগদ ৫৫ হাজার টাকা দিয়ে দ্রুত এম্বুলেন্সে তুলে দেন মেয়র মুজিব। সেই সাথে মেয়েটির যাবতীয় চিকিৎসার পুরো ব্যয়ভার তিনি গ্রহণ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। এমন মানবিক ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশংসায় ভাসছেন জনপ্রিয় এই রাজনীতিক।
সবাই বলাবলি করছিলেন, মুজিবুর রহমানের মতো এমন মানবিক মেয়রকে আল্লাহ যেন দীর্ঘজীবী করেন।
অবশেষে ১৩/১০/২০২২ ইং তারিখ পহরচাঁদা মাদ্রাসা চত্তরে সিএনজি কেড়ে নিল ১১ বছর বয়সী রূপার প্রাণ । কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মানবিক মেয়র জনাব মুজিবুর রহমান শিশুটিকে নিজের কোলে নিয়ে চকরিয়া সরকারি হাসপাতাল ও পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান সেখানে অবস্থার উন্নতি না হলে কর্তব্যরত ডাক্তার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতেল প্রেরণ করেন । যাওয়ার পথে রূপা মৃত্যু কোলে ঢলে পড়েন । আমি নিহত রূপার আত্বার মাগফেরাত কামনা করছি।