কবি পরিচিতি
কবি মোঃ আব্দুর রাজ্জাক তিনি ১৯৮১ সালে ১০ জানুয়ারী, ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলাই বকুয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়াড বহরমপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । পিতা ভোলা মোহাম্মদ সে সময় মানব সেবক একজ প্রতিনিধি ছিলেন । মা হাসিমন বিবি মানব দরদী গৃহিনী । তিনার লেখা পড়া হয়েছে ইসলামী বিষয়ক । শিক্ষা জীবন শেষ হতেই না হতেই ,তার পরিবারের আর্থিক উন্নয়নের কাজে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন। কবি আঃ রাজ্জাক বিভিন্ন কাজে নিজেকে জড়িয়ে ও, কিছু সময় শিক্ষকতা পালান করেন । ছাত্র জীবন থাকা অবস্থায় কবিতা,গল্প, ঈ, লেখার চর্চায় আত্মনিয়োগ করেন । মাতৃভূমি, মানুষ ও ধরিত্রীর প্রতি নৈতিক দায়বদ্ধতাই কবি আঃ রাজ্জাক নিজ বাস ভবনে, সাহিত্যের চর্চায় আত্মনিয়োগে এবং দেশে ইসলামী আইন প্রণয়নে ব্যস্ত সময় পার করিতেছেন ।
বিদায়
মোঃ আব্দুর রাজ্জাক
যেতে নাহি দেব হায় তবুও সে চলে যায়
শত শত বাঁধন ছিঁড়িয়া।
বাঁধিয়া রাখিব তুমাকে
হৃদয়ের ভালোবাসা দিয়ে।
সাধ্য ত হয়না কারো রাখার ধরিয়া।।
আসিবার সময় আসে মানুষ
অচেনা অন্ধকার পথ দিয়া।
যাবার সময় সে চলে যায়
সুদর্শন আলোক বর্তিকা হাতে নিয়া।।
তোমাকে দিতে বিদায় হায় হায়
আমার কলিজা ফাটিয়া যায়,
তবুও বিদায় দিতে হয়
দু চোখের অশ্রু মুছিয়া।।
চলে যদি যাবে ভাই এইখানে আসিয়া,
তবে কেন এত ভালোবাসা দিলে
আমাকে কাদিবার লাগিয়া।
তবুও চলে যদি যাবে তুমি
আমাকে নিয়ে চলো তোমার সঙ্গে কোরিয়া।।
এত ডাকি তবু কেন চাও না পিছন ফিরিয়া,
যাবার আগে চলে যাও সান্ত্বনা দিয়া
তোমাকে ছাড়া বাঁচব আমি কি নিয়া।।
শক্ত করে বাধিয়া আমার হিয়া
মিষ্টি ফুলের মালায় জরায়
তুমাকে দিলাম বিদায়
দু চোখের অশ্রু উপহার দিয়া ।।
মা আমার মা
মোঃ আব্দুর রাজ্জাক
মায়ের কলিজা কাটিয়া
জন্ম নিলাম তাহার
দেহ ফাটিয়া।
এই দেহে যত আছে
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আর
শিরা-উপ শিড়া,
সব কিছু তাহার
রক্ত মাংস দিয়ে গড়া।।
কিহ আসিতে পারে না
ধড়াই মা ছাড়া,
মায়ের বদন খানা
মায়া মমতাই ভরা।
মা আমার মা
আমাকে ছাড়ে তুমি
কোথাও যেও না।।
তোমাকে ছাড়া আমি
বাঁচতে পারব না।
মায়ের প্রসব বেদনার কালে
কোথায় গেলে শান্তি মিলে,
আগুনে কিবা
ঝাঁপ দিলে জ্বলে।।
সোনামণিকে বুকে পেলে
সাথে সাথে সব বেদনা যায় ভুলে।
মা কে কেহ কষ্ট দিও না ভুলে,
আল্লাহর পরে
মায়ের স্থান
হাদিসে আর কুরআনে বলে।।
নিয়মিত পড়ুন এবং লেখুনঃ- দৈনিক চিরকুটে সাহিত্য