রহস্যময় স্রষ্টা
কবির হোসাইন
চাঁদের মত দেহখানি কোন খালিকের গড়া
সৃষ্টি দেখে স্রষ্টারে চিনি লিখি হাজার ছড়া,
দুইশ ছয়টা হাড় দেহতে জোড়া থরে বিথরে
তারি ভেতর রূহ দিয়েছে স্রষ্টা কেমন করে।
এক নিঃশ্বাস নাই ভরসা তবুও যিনি বাঁচান
তার’ই হাতে এই দেহমন তার’ই হাতে প্রাণ,
যিনি চালান নিখিল বিশ্ব তিনি চালায় ধরা
যার ইশারায় খুঁটিবিহীন নীল আকাশ গড়া।
যার ইশারা ভূবন জুড়ে ঝড় ভূমিকম্প হয়
সে স্রষ্টাকে বিবেকহীনরা আর করেনা ভয়,
যে স্রষ্টা সৃষ্টি করে দেখালেন আলোর পথ
পচন ধরেছে মনে আজ চলছি উল্টোপথ।
দেহ নামক রূহ গাড়িতে বায়ু দিলেন যিনি
কতটুকু শুকর করেছি তার কতটুকু চিনি,
এমন স্রষ্টা অদৃশ্য যিনি যায় না যাকে ধরা
যার ইশারায় বেঁচে আছে শ্যামলিমা এই ধরা।
চাঁদ
উহ্য থাকে সকালবেলায়
সন্ধ্যাবেলায় ভাসে,
জ্যোৎস্না ছড়ায় তিমির হলে
মিটমিটিয়ে হাসে।
সূর্য হতে আলো নিয়ে
চলছে প্রতি রাত,
যায় হারিয়ে রাত্রি শেষে
হলে যে প্রভাত।
লক্ষ কোটি তারার মাঝে
চাঁদনি কাড়ে নজর,
জ্যোৎস্নামাখা চন্দ্র দেখেই
হয় যে আমার ফজর।
অমাবস্যার ঘোর আঁধারে
যায় না তারে দেখা,
পূর্ণিমা’রি শুভ্র আলোয়
রাস্তা চলতে শেখা।
ভালোবাসি জ্যোৎনা দেখা
প্রতিটি সন্ধ্যা,
ভালো লাগে শুকলে আরো
প্রিয় রজনীগন্ধা।
আরো পড়ুন এবং লেখুনঃ- দৈনিক চিরকুটে সাহিত্য