রোজা নিয়ে কবিতা
সাপ্তাহিক অনুমতি প্লার্টফমের থেকে সংগ্রহিত সেরা ২১ টির অধিক রোজা নিয়ে কবিতা। কবিতা গুলো প্রতিটি রোজা, রমজান মাস কেন্দ্রীয় রচিত। আপনারা যারা রোজা নিয়ে কবিতা পড়তে চেয়েছিলেন তাদের জন্য নিয়ে উপস্থাপন করা হলো। রোজা নিয়ে কবিতা কবিতা গুলো লেখক কতৃক পাশাপাশি সাপ্তাহিক অনুমতি সহ চিরকুটে সাহিত্য প্লাটফর্ম কতৃক অনলাইনে প্লাটফর্মে সংগ্রহিত হলো হলো। আপনার খুব সহ অনলাইন থেকে কবিতা গুলো খুঁজে পড়তে পারবেন।
রমজান
নারগিস খাতুন
রেজিনগর, মুর্শিদাবাদ।
এসো মুমিন দেখো দেখো
ওই আকাশে রমজানেরি
চাঁদ ওঠেছে হেসে।
খুশিতে আজ মেতে ওঠেছে
সকল মুসলমান।
বছর ঘুরে এসেছে
ওই রমজানের মাস।
রাখবে রোজা ঘরে ঘরে
পড়বে নামাজ সকল মুসলমান।
সালাতুল তাসবিহ নামাজ
পড়ো হে মুসলমান,
ঝরবে গোনাহ বাড়বে ঈমান
আখেরাত হবে মজবুত।
আযানের সুরে চলো
সবাই মসজিদে,
আসুকনা শয়তানের বাধা
পড়বো নামাজ শুনবেনা কোনো কথা।
সারাদিনের শুকনো পেটে
ক্লান্ত ছেড়ে স্বাদ নেবো ইফতারে।
রাত্রি হলে দেখবো আমরা
নদীর বুকে চাঁদটি ওঠেছে হেসে।
মাহে রমজান
নূর মোহাম্মদ
বৎসর ঘুরি এলো ফিরে
রহমত, মাগফেরাত, নাজাতের
মাস নিয়ে৷ রমজান এলো রমজান,
মুসলমান গনের ধারে ধারে!
সেহেরী খাবে আনন্দে,
সারাদিন থাকিবে অনাহারে
কোরআন শরীফ তেলাওয়াত
তসবি গগনা করে৷
ইফতার করিবে সবার সাথে
ধনী গরীব দুঃখী যারা আছে!
ভেদাভেদ যাবে দূর হয়ে
রমজানের ইফতারিতে বসে!
এলো মাহে রমজান
মুসলমান গনের ধারে ধারে
মাহে রমজান
সেখ মোসলেম আলি
আর কটা দিন পরে
আসবে ঘরে ঘরে,
পাক মোবারক রমজান
মুমিন বান্দার তরে।
একটি বছর ঘুরে আবার
আসলো সেই মাস,
রবের সনে বান্দা করবে
দিদারের প্রয়াস।
সকাল সাঁঝে মাতবে বান্দা
শেহরী ইফতার লয়ে,
সেই খুশির সন্দেশ আনে
মৃদু বাতাস বয়ে।
রহমত, মাগফেরাত, নাজাত
গোটা মাস ধরে,
মুসলিম তুমি তৈরী হও
হেলায় না যায় ছেড়ে।
আবার এলো রমজান
এম শামছুল ইসলাম সুহেব
জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ।
রমজান এলো আবার ফিরে
রাখবো রোজা সবে,
রহম বারি দিবেন ঢেলে
সৃষ্টিকূলের রবে!
অধিকহারে সব মুসলমান
করবো ইবাদত,
আল্লাহ রেখেছে এই মাসেতে
অনেক ফযিলত!
সাহরি খাবো রাতের শেষে
দিনের শেষে ইফতার,
তারাবীহ পড়বো শান্তিভরে
সকল রোজাদার!
খোদার বাণী আল কুরআন
নাজিলের এই মাস,
চলো সবাই বেশি করে
পূণ্য করি চাষ!
রামাদ্বান
শাহাব উদ্দিন ভূঁইয়া(জয়)
রচনাকালঃ ২৯.০২.২০২৪ইং
আসছে রোজা কমাও বোঝা
সব পাপের দ্বারা,
সালাত পড় সিয়াম করো
সুশীল বানাও পাড়া।
কুরআন সুন্নাহ ইবাদতের মাস
মশগুল হও মুসলিম,
রহমতের মাস নাজাত হয়
নির্ভুলে লও জালিম।
ইবাদতে বেশি-বেশি পাঠ
করো আল-কুরআন,
একে সত্তর পাবে তুমি
বাড়বে তোমার সম্মান।
এলো রে রমজান
আমিনুল ইসলাম দুখু
বছর ঘুরে আবার এলো
রমজানেরই মাস,
রোজা রাখবো প্রভু মোরা
সেহেরি খাবো আজ।
আন্ধি রাতে মায়ে উঠে
করবে সে যে রান্না,
সেহেরি খাবো সেহেরি খাবো
মোরা মুমিন বান্দা।
মা ডাকে বাবা বলে
সেহেরি খাবে এবার,
আযান দিবে একটু পরে
সময় হবে যাবার।
রাখবো রোজা নিত্য দিনি
তোমার নাম যপি মনে,
কি আর হবে ওগো প্রভু
আমল ছাড়া ধনে।
তোমার ঘরে ওগো প্রভু
বাজবে যখন সুর,
পাগল হয়ে মুমিন সবে
ছুটব যতই হোক দুর।
তোমার আদেশ পালন করে
হয়ে মোরা ধন্য,
উজার সবি করে দেব
শুধুই তোমার জন্য।
বাতাসে মৃদু গুঞ্জন
কুলচুমা ইয়ামিন
বাতাসে মৃদু গুঞ্জন, হয়েছে রমজানের আগমন।
গুনার পাল্লা হয়েছে ভারী,
অনেক করেছি নাফরমানী।
পাপের মোচনে চলো নত হই
দুনিয়াবি আহাজারি ঝেড়ে সিজদায় পড়ি।
পবিত্রতার নিয়তে যাকাত,সাদকাহ
পড়ি বেশি বেশি ইস্তেগফার।
সেহেরীর পুণ্যে পাই শীতল পরশ
শুয়ে,বসে,দাঁড়িয়ে আল্লাহকে স্মরণ
করি সকলে রাত্রিজাগরণ।
ধনী_গরিব দাঁড়ায় সারি সারি
দীর্ঘ আরামে পড়বো তারাবী।
পুণ্য খুঁজি চলো পুরো মাস
এসেছে প্রভুর রহমত।
তাহাজ্জুদে খুঁজি উপহার প্রভুর কাছে,
পড়ি বেশি বেশি কুরআন
আর করি নফল ইবাদত।
পুণ্য খুঁজি চলো পুরো মাস –
রহমত,মাগফিরাত আর নাজাত।
প্রথম দশকে-
রহমতের বারিধারায় পূর্ণ করেন রবি।
দ্বিতীয় দশকে-
মুক্তির দিশারি মাগফিরাত
গুনাহখাতা মাফ করে প্রভু নফ্স করো পরিষ্কার।
তৃতীয় দশকে-
জাহান্নাম হতে মুক্তির এসেছে উত্তম পথ।
করি সবে ইতিকাফ,খুঁজি মহিমান্বিত কদরের রাত।
বাতাসে যেন কার আগমনের মৃদু গুঞ্জন!
এসেছে নাকি মাহে রামাদান।
মাহে রমজান
জেরিন আক্তার বৈশাখী
বছর ঘুরে এলো হে মাহে রমজান
মন্দকে নাচাতে
আত্মাকে বাঁচাতে
সকল মুমিনের মুখে হাসি ফুটাতে।
সাহরি খেতে জাগবে যখন পড়বে তাহাজ্জুদ।
রাখবো রোজা,করবো ইফতার
হবো সবাই ইবাদতে মশগুল।
ঈদের দিনে করবো মজা, সবাই মিলে মিশে।
ধনী-গরিবে নয় ভেদাভেদ,
সকলে মিলেমিশে।
আল্লাহ তুমি মাফ করো
সকল কবরের আজাব।
আল্লাহ তুমি দয়াবান,সবাইকে জানাই মাহে রমজান। 💖🌸
করুণা-দুয়ার খুলেছে আবার
সৌপর্ণ মাছুম
করুণা-দুয়ার খুলেছে আবার রমাদান এলো ঘুরে
সাফল্যেরি জোয়ার আসুক তোমার জীবন জুড়ে ।।
নফস ও মনের যত চাওয়া
হৃদয় হতে করো ধাওয়া
পঞ্চআত্মার ভেদ যায় পাওয়া এই দুনিয়া ছুঁড়ে ।।
রমজানেরি যা হাকিকত
করলে পালন পাবে যে রথ
সেই প্রেমেরি রথে চড়ে যাবে আরশপুরে ।।
ষড়রিপু করিলে জয়
হৃদয়ে প্রেম হবে উদয়
সজীব হবে লতিফা ছয়, নূরে খোদার নূরে ।।
ক্ষণজন্মা তুমি ভবে
তবে কেন হতাশ হবে
প্রতিজ্ঞাতে অটল রবে কর্ম-বচন-সুরে ।।
রমজান
ফেরদৌসী খানম রীনা
ত্রিশটি রোজা নিয়ে এলো
পবিত্র মাহে রমজান।
পাপ থেকে মুক্ত থাকবে
সকল মুসলমান।
সকল মুসলমানের জীবন
হবে শুদ্ধ ও পবিত্র,
ভুল গুলি দূর হবে
থাকবে না বিন্দু মাত্র।
রমজানে মন থাকে
সদা প্রফুল্ল,
কোন মাসই নয় সমান
এ রমজানের সমতুল্য।
রোজা রেখে সংযমী হই
আরো হই ধর্মপ্রাণ,
রমজানের শিক্ষায় গড়ি
নিজেকে হই দায়িত্ববান।
নামাজ পড়ি, রোজা রাখি
হই খাঁটি মুসলমান,
সারা মাস কোরআন পড়ি
দিয়ে মনপ্রাণ।
পবিত্র এ রমজানে নেই
সারা বছরের দীক্ষা,
সারা জীবন ধরে রাখবো
পবিত্র রমজানের শিক্ষা।
রোজা শেষে হব সবাই
বেহেস্তের ফুল,
জীবন হবে ধন্য আর থাকবে না
কোন পাপ ও ভুল।
ফেরদৌসী খানম রীনা
ঢাকা, বাংলাদেশ।
এলো রমাদান
মুহাম্মদ মুকুল মিয়া
চাঁদ হাসে তারা হাসে
হাসে মুসলমান,
রহমতের বারতা নিয়ে
এলো রমাদান।
রোজা রাখি নামাজ পড়ি
পড়ি আল কোরান,
শান্তি সুখের পয়গাম নিয়ে
এলো রমাদান।
দূর করি সব হৃদয় থেকে
মান অভিমান,
মাগফিরাতের সুবাস নিয়ে
এলো রমাদান।
নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার
সে এক সহজ সমাধান,
বছর ঘুরে মোদের ঘরে
এলো রমাদান।
জাকাত দেই ফেতরা দেই
সদকা করি দান,
ত্যাগের মহিমা নিয়ে
এলো রমাদান।
কাফাটিয়া, লেমুবাড়ি, মানিকগঞ্জ।
পুণ্যময়ী
বেলাল হোসাইন
পুণ্যময়ী হে রমাদান
এসো মোদের দোরে
তব তরে বরণমালা
রাখছি বাহু-ডোরে ।
তব প্রীতি হরহামেশা
থাকে বক্ষ জুড়ে
অনুরাগের আচ্ছাদনে
নিয়ো মোদের মুড়ে ।
রূপ জৌলুসে মুমিন হৃদে
পঙ্কিলতা দূরে।
মহাপাতক নিগড়িত
তব দীপ্ত সুরে ।
রঙিন তব শামিয়ানায়
ঠাঁই যে মোরা চাহি
তব ক্রোড়ে থেকে যেন
প্রভু স্তুতি গাহি ।
রমজান
মোঃ রবিউল হাসান
রমজানের আলো প্রকাশ করে,
শান্তি আসে আমাদের ঘরে,
সবার হৃদয়ে বাজে সুর
মাসের রংবদ্ধ অলংকারে।
সহিষ্ণুতা ও সদব্যবহার, সেই শিক্ষা আমরা পেতে পারি,
এই মাসে আমাদের হৃদয় বড় হয়
অদৃশ্য আলোকের মতন।
ঈমানের আলোতে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি সবাই,
যেন সকলে পেতে পারে পরিশ্রমের সকল ভালোবাসা।
রমজানের বাজারে বুকে চলে আসে সহজ প্রেমের বাজি,
সেই ভালোবাসার সীমানা আমরা ভাবি আবার ভরি।
আরো পড়ুন এবং লেখুন চিরকুটে সাহিত্য প্লাটফর্মে। |
রোজা নিয়ে ক্যাপশন
রোজা নিয়ে কবিতার সাথে বেশ কয়েকটি বাছাই করা ক্যাপশন শেয়ার করা হলো। যেগুলো আপনি আপনার সামাজিক যোগাযোগ প্লাটফর্ম গুলোতে পোস্ট করতে পারেন। প্রতি বছরের মতো এবারো এই সুন্দরতম মাসটি আরো সুন্দর কাজ সহজ হয়ে যায় ইন শা আল্লাহ।
(০১) হে মহান আল্লাহ, আমাদের সবাইকে ৩০ টি রোজা রাখার তৌফিক দান করুন।
(০২) পবিত্র মাহে রমজানের উসিলায় আল্লাহ যেন আমাদের প্রতিটি মানুষের জীবনে রিজিকে আরো বেশি করে বরকত দেন।
(০৩) কিছু মানুষ রমজান মাসেও নিজেকে শুধরে নিতে পারে না। তারা সত্যিই দুর্ভাগ্যবান, আমরা যেন তাদের অন্তর্ভুক্ত না হই।
(০৪) আমি রমজান মাসকে প্রচন্ড ভালোবাসি। কারণ এই মাসে মানুষ এবং আল্লাহর সাথে এক সুন্দর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়।
(০৫) শুধু রমজান মাস নয় বরং বছরের বাকি সময়গুলোতেও আমাদেরকে নিজের নফসকে নিয়ন্ত্রণ করা শিখতে হবে। কারণ আমাদের নিজেদের অগোচরে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
(০৬) এসেছে রমজান, নিজের গুনাহের বোঝা হালকা করার চেষ্টা করুন। আপনি যত বড়ই গুনাগার হোন না কেন আল্লাহর কাছে আপনি তার সৃষ্টির একজন।
(০৭) পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে নিয়ে রমজানে একসাথে সময় কাটানোর চেষ্টা করুন। এবং আল্লাহর রহমত ও ফজিলত আশা করুন।
(০৮) রমজান মাস হল দোয়া কবুলের উত্তম সময়। এই রমজান মাসে আল্লাহর কাছে আপনার ছোট বড় সমস্ত আরজিগুলো পেশ করুন।
(০৯) রমজান মাসের সময় গুলোতে আল্লাহ তার বিশেষ দয়া এবং অনুগ্রহ দিয়ে হাজারো লাখো বান্দাকে ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ যেন আমাদেরকে সেই বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করে নেন।
(১০) ১১ মাস পেট ভরে খেয়েছি…!!
১ মাস না খাওয়ার ফিলিংস হচ্ছে…!!
হোক, আমরা মুসলমান জনাব…!!
আমরা রোজা রাখা লোক।….
(১১) রমজান মাস আমাদেরকে জীবনের সবচেয়ে সুন্দর শিক্ষা দেয়। যেখানে আমরা সবাই আল্লাহর বিধি নিষেধ মান্য করার চেষ্টা করি।
(১২) রমজানের বিধান মেনে চলুন এবং গুনাহ থেকে মুক্তি পাওয়ার পথ খুঁজুন। সবার সাথে সদ্ব্যবহার করুন তাহলেই নাজাতের পথ খুঁজে পেতে পারেন।
(১৩) রমজান মাসে প্রায় প্রতিটি মানুষই যতটা সম্ভব নিজেকে খারাপ ইন্দ্রিয় থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। অথচ এরকম একটু চেষ্টা যদি সারা বছর করত তাহলে অনেকাংশে অন্যায় অবিচার কমে যেত।