
শেষ উপহার তুমি ২য় পর্ব
লেখিকা মাহী সুলতানা রুমা
অনু আরশির জন্য অপেক্ষা করছিল । কিন্তু আরশি এখনো আসতেছিলো না দেখে অনুর চিন্তা হচ্ছিলো।
ঠিক সেই সময় অনু আরশি র কাছে একটি দিলো।
ফোনের স্কিনের দিকে তাকিয়ে তাড়াতাড়ি ফোন রিসিভ করলো।
অনু: আসসালামু আলাইকুম । কোথায় আরু?
আরশি: ওয়ালাইকুমুস সালাম দোস্ত ..! আমি মাএ ঘর থেকে বের হচ্ছি । একটা কারনে লেট হয়েছে।
অনু: আচ্ছা ঠিক মতো আসিছ ….
আরশি: এই অনু ! লাইন থেকে যাইছ না আমি ভয় পাবো তুই জানিছ না ? লাইনে থাক।( আরশি এই কথা বললো কারন ও বুঝতে পেরেছে অনুর মন খারাপ তাই ও আসা পর্যন্ত ফোন কাটতে মানা করছে)
অনু : ঠিক আছে । আমি লাইন থেকে যাচ্ছি না happy??
আরশি:( এক গাল হাসলো)
হঠাৎ আরশি উফ্ বললো ..
অনু চেঁচিয়ে বলে কি হইছে আরু??
আরশি বলে কে জেনো আমাকে পিছনে টেনে ধরে রাখছে ওয়েট তুই কোন কথা বলিছ না । দেখ আমি কি করে ওর মজা দেখাই !
আরশি বলে ছেডে দে শয়তান …..!
আমি আমার বেস্ট ফেন্ড এর কাছে যাইতেছি আর তুই আমাকে আটকালি ?তোর এতো বড়ো সাহস আমার আর আমার বেস্ট ফেন্ড এর দেখা করানোর মধ্যে তুই বাঁধা দিলি ?
এতো কিছুর পর ও যখন ওর ওরনা না ছাড়াতে না পারে!
তখন আরশি পিছনে তাকিয়ে দেখে একটা লাঠির সাথে ওর ওরনা আটকে গেছে ।
ও তখন রেগে বলে তুকে এতোক্ষন থেকে এতো কথা বলছি কানে যাই না??
তারপর ও লাঠির কাছে গিয়ে লাঠিটাকে ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে ।
পরে অনুকে বলে দোস্ত একটা বিপদ পার করছি আমি আসতেছে ওয়েট কর ।
ফোনের ওপাশ থেকে হাসতে হাসতে শেষ অনু।
ঠিক তখনি অনুর ফোন কেটে গেলো ।
-আরশি রেগে আগুন হয়ে গেলো ।
আর অনুকে একটি মেসেজ দিলো।
(- আজকে আমি কলেজে আসি দেখবি তোর আজকে হালুয়া টাইট করে ফেলবো)
– কলেজের মাঠে যেতেই দেখে
– আরশি রেগে গেলো অনু কেনো তার ফোন কাটলো আজকে তো অনু কে মেরে হালুয়া বানাবে?
– কলেজে অনু আরশি র ভয়ে লুকিয়ে বসে আছে। কারন আজ অনুর আর রক্ষা নেই । সে আরশির ফোন কেটেছে । অনু ভিতরে অনেক ভয় পেলেও আরশিকে তা প্রকাশ করে নি।
– আরশি কলেজে অনুকে দেখতে পেলো। আরশি দৌড়ে অনুর কাছে যেতে নিলে অনু কুত্তা বলে দৌড় মারে।
_আরশি কুত্তা কে অনেক ভয় পাই । সে ভয়ে অনুর পিছে পিছে ছুটে কিন্তু অনু থামে না । এবার আরশি অনুর পিছু ছুটতে ছুটতে এক সময় পডে যাই আর কান্না করে দেই।
– অনু এসে আরশি কে ধরে । আরশি ভয়ে পানি পানি করা শুরু করলো। অনু আরশিকে পানি দেই।
– আরশি আতঙ্কিত কন্ঠে বলে চলে গেছে ?
– অনু বলে কে গেছে আরু??
– আরশি বলে কুত্তা কুত্তা বলে তুই দৌড়ে আমাকে দেখে পালাই ছিস না । তো আমার পিছে যেই কুত্তা ছিলো সেটা কি পালাই গেছে??
– অনু হাসতে হাসতে বলে না আমার সামনেই বসে আছে ।
– আরশি আবার ভয়ে পেয়ে বলে কোথায় ওই কুত্তা?
– অনু বলে এইতো আমার সামনে বসা । ( হাতের ইশারায় আরুশিকে দেখিয়ে দিলো)
– আরশি এবার বুঝতে পারলো অনু তাকে বোকা বানিয়েছে। তাই সে অনুকে ও মজা দেখাবে এবার
হঠাৎ আরশি মাথা ঘুরে পরে যাই । অনু চিন্তিত দৃষ্টিতে অনুর দিকে তাকিয়ে কাঁদো কাঁদো কন্ঠে বলে আমি আর তোকে কখনো ভয় দেখাবো না । চোখ খুল ! আরশি চোখ খুলছে না দেখে অনু চিন্তিত কন্ঠে আরু বলে দিলো চিৎকার ….
চলবে ?