সর্বনাশা বন্যা
সাইদুল ইসলাম সাইদ
সর্বনাশা বন্যা আমার
করল ভীষণ ক্ষতি
বশত ভিটা ডুবে গেছে
তার প্রতি নাই রতি।
মাঠ ভরা সব ফসল ছিল
স্বপ্ন ছিল হাজার
বাড়ির পাশে ছিল আমার
জন্মদাতার মাজার।
সবকিছু আজ পানির নিচে
দু-চোখ জলে ভাসে,
এমন দৃশ্য দেখব কত
কান্না শুধু আসে।
দিনে-রাতে তাকিয়ে থাকি
কমবে কখন পানি
আবার কবে স্বপ্ন মোদের
দিবে যে হাতছানি।
শিক্ষার্থী- টংগী সরকারি কলেজ
ফুলবাড়িয়া, ময়মমসিংহ
আমি বন্যা বলছি
যুবায়ের হাসান দুলাল
এসেছি তবু নীরব ভাষায় মুগ্ধতা ছড়াতে,
থেমে যাবো না কভু এ মায়ার বাঁধন ভেঙ্গে।
করবো না কারো ক্ষতি এ আমার অঙ্গিকারে,
ভালোবাসায় জরিয়ে নিবো আমার বুকের পাজরে।
ফেরা পারাপার করি সময়ের সাথে যুদ্ধ করে,
স্রোতের অনূকূল-প্রতিকূল এই দুই বেশে।
কখনও বা এই মাঠ শুকনো চড়ায় হাহাকার করে,
ফের ছুটে চলি ঝর্ণার মতো ঢাল বেয়ে বেয়ে।
নয়তো আমি স্থির রয়ে যাবো এ মিলনে,
আমি তো সেই প্রবাহমান চলি চারিদিকে।
হয়ে যাবো স্থির শেষ প্রান্তের বিশালতায়,
মিশিয়ে যাবো মায়ার আচলের শীতলতায়।