সেই তুমি
এম.এ.মিটু
প্রিয়! তখন তুমি এত্তো চালাক ছিলে না, ভালো করে বিরানি কিংবা চিকেন গ্রিল খাবে সেটাও বলতে পারতে না,
রেষ্টুরেন্টে বসলে তুমি,মাথা নিচু করে চুপি চুপি খেতে,তাও একটু করে, তখন কি লজ্জা তোমার!আহ্ লাজুক চেহারাটা লজ্জায় লাল হয়ে যেতো।
আর এখন রেষ্টুরেন্টে ঢুকার সময় অন্যজনের হাত না ধরলে তোমার চলেই না, বুকের ওড়না এখন বুকে থাকে না, থাকে এখন গলায়।
তুমি সর্বশেষ বলছিলে রণবীর কাপুরের মতো কাউকে বিয়ে করবে,
অথচ এখন বিয়ে করেছো আমার চাচার চার বছরের বড় একজন কে! আচ্ছা তোমাদের রুচিটা এমন কেনো?কি চাও তোমরা, টাকা? নাকি ক্ষমতা? নাকি সরকারি চাকরিজীবী?
তুমি একদিন আমাকে প্রশ্ন করছিলে,আচ্ছা ভ্রু-প্লাক কি? বহু দিন পরে আরো বলছিলে ভ্রু-প্লাক করা গুনাহ,
অথচ তুমি এখন তা করো প্রতি মাসে, তোমাদের মতো মেয়েদের বুঝা আসলেই কঠিন,খুব কঠিন।
একদিন কেরানীহাটের ক্যান্ডিতে বসে বলছিলে সাজুগুজু তোমার তেমন একটা পছন্দ না,
কিন্তু সেদিন দেখলাম তুমি সেজে গুজে লাল, রোদে পাওডার স্নো ক্রীম ঘেমে ঘেমে পড়ছে গলার নিচে, কি একটা বাজে অবস্থা,
সাজুগুজু ছাড়া তোমাকে তখন আরো বেশি দারুন লাগতো আমার চোখে প্রিয়! তখন তুমি খুব লাজুক ছিলে বটে,
এখন আর সেই লজ্জা নেই তোমার, বুক উচু করে হাটো পাড়ায় পাড়ায়, অথবা শহরের মহাসড়কে! সেই লজ্জা আর নেই।