স্বামীর কাছে ভালোবাসার চিঠি
প্রিয় পুরুষ,
ভালো আছেন? একটু মিষ্টি করে হেসে আমার লেখাটার সাথে উচ্চারণ করুন তো, “ভালো আছি”। হৃদয়ের অন্তস্থলে বেশ কিছু কথা জমাটবদ্ধ হয়ে আছে! বলতে ভীষণ ইচ্ছে করছে। বলি তাহলে, হুম? অ’সম্ভব ভালোবাসি আপনাকে। শুনুন না একটা কথা! কখনো কাছে আসলেন না, পাশে বসলেন না, কোনোদিন অপলক ভাবে তাকিয়ে, চোখে চোখ রেখে মৃদুভাবে হাসলেন না! তবুও দ্যাখেন, আপনারে ক্যান জানি “আমার আমার লাগে”। কেনো এমন লাগে বলতে পারেন কি? কখনো ছাইড়া যাইয়েন না আমারে! আচ্ছা আপনার কণ্ঠে কি আছে বলুন তো? এত ভাল্লাগে ক্যান আমার! আপনার কথা শুনলে এক অদ্ভুত অনুভূতি কাজ করে। কি মায়ামিশ্রিত কণ্ঠ আপনার! আমি যখন আপনাকে বলি, ‘পড়তেছি, লিখতেছি’– তখন আপনি প্রায়ই বলেন যে, “তুমি কি আমাকে একটু পড়তে পারো না? আমায় নিয়ে কিছু লিখতে পারো না?” তখন বড্ড ইচ্ছে হয় বলতে, আপনাকে আমি পড়ে শেষ করতে পারি না,বড় দূর্ভেদ্য লাগে! আপনি কি আমার প্রথম পাঠের মতো সহজ হতে পারেন না? আমার সব লেখাই তো আপনাকে নিয়ে। আর কি লিখবো বলুন তো? এখন শুধু আপনার আর আমার প্রেমোপান্যাস লেখা বাকি! যে উপন্যাসের সমাপ্তি/ইতি ঘটবে এক সুন্দর পূর্ণতায়। যেখানে অপূর্ণতা নামক কোনো শব্দের বিচরণ ঘটবে না। পূর্ণতা পাক আমাদের ভালোবাসা। একটি প্রেমময় জীবনের সূচনা হউক। বারংবার বিচ্ছেদের পরও আমার শহরে আপনার অনুপ্রবেশ ঘটুক! তবুও ভালোবাসা অটুট থাকুক।
ইতি
আপনার ফিহি
প্রবাসী স্বামীর কাছে স্ত্রীর চিঠি
প্রিয় স্বপ্ন-পুরুষ,
আসসালামু আলাইকুম। আপনি বলেই সম্মোধন করলাম। কি.? অপছন্দ হলো বুঝি ডাকটা.? কিন্তু.! আমার যে আপনি ডাক টাই পছন্দ। ঠিক আপনার মতোন। আচ্ছা পছন্দ – অপছন্দের ডাক না হয় জেনে নিবো সেদিন, যেদিন দেখা হবে দুজনার। যাইহোক, এখন বলুন দেখি আছেন কেমন.? নিশ্চয়ই খুব ভালো, তাই নাহ্.? তবে আপনি কি জানেন.? আমি যে একটুও ভালো নেই। কিছু অজানা আবরণ আমাকে ঘিরে ধরছে ক্রমশ। মনে হচ্ছে যেনো এর কারণ একমাত্র আপনি। হ্যাঁ আপনি। যদি এসে যেতেন আমাকে হৃদয় আঙিনায় তবে হয়তো এই আতঙ্ক আমাকে আর ছুতো না। আসতো না আমার ধারে দুঃখ নামের কোনো পথিক। আপনি কি বোঝেননা আমার মনের মূলভাব.? তুফান ওঠে যে রোজ আমার বুকের পাশে। কেমন যেনো চিনচিনে ব্যথা অনুভূতি প্রকাশ পায় আমার হৃদয় তীরে। শুধু আপনি নেই বলে। কেনো আছেন আমারে রাখিয়া দূরে.? আমায় পর করে দিয়ে.? দয়া কি যায় না করা একটু আমাকে.? দিব্যি যদি এসে যেতেন আমার কাছে, আমি বিনি সুতোয় বাঁধিতাম আপনারে আমার ভালোবাসার জালে। আমার নিত্যদিনের সকল অসুখের ভোগান্তি কাটিতো। মাত্র কিছু চেনা মুখের সামিলে পরিচয় ঘটতো আমাদের দু’জনার। অতঃপর পরবর্তী জীবনের অন্তিমকাল ওবদি সঙ্গী হইতাম লিখিতভাবে দলিলপত্রে। ছোট্ট ছোট্ট ইচ্ছে, আবদার, অভিমান, অভিযোগ সব ভাগ করতাম একে অপরকে। আপনার অনুপস্থিতিতে আমি অপেক্ষার প্রহরী হইতাম আপনার উপস্থিতর লগ্ন ওবদি। মাঝে মাঝে খুনসুটি করবো, ঝগড়া করবো হয়তো বা মারপিট ও করে বসবো কিন্তু তবুও দিনশেষে দু’জনের অভিমান শুধু দু’জনই ভাঙাবো। কতো কথা জমে আছে, শুধু আপনার আসবার দিন গুনে গুনে পথ চেয়ে আছি তবুও আপনার দেখা মেলেনি এখনো। কবে আসবেন আপনি আমার দুঃখ দুয়ারে.? আচ্ছা আমি কি শুধু একাই স্বপ্ন এঁকেছি আপনাকে নিয়ে.? নাকি আপনি ও আঁকেন স্বপ্ন আমায় নিয়ে.? শুনুন যেদিন মিলিয়ে দিবে আল্লাহ আমাদের দু’জনকে সেদিন সব জমে থাকা কথার ঝুলি আপনার কাছে খুলে নিয়ে বসবো, ক্যামন.? কতো কথা তো এখনো বাকি, মনে হচ্ছে এখনো একের পর এক লিখি, কিন্তু.! এ কথা যে শেষ হবার নয়, যতো লিখি ততোই যে আরো বেশি যেনো রয়ে যায়। মাত্র এই বর্ণগুচ্ছ ও যেনো আমার প্রকৃত অনুভূতি প্রকাশ করতে পারবে না বলে মনে হয়। তাই আর না-ই বা লিখে বললাম। সামনা-সামনিই বলে দিবো একদিন আপনার ঠিকানায়। সবসময় দোয়া করি, মোনাজাতে রাখি আপনায়, যেনো আপনি সুস্থ থাকেন, ভালো থাকেন আর দ্রুত হয়ে যান “আপনি শুধু আমার”
ইতি
আপনার অর্ধাঙ্গিনী