আবেগময় চিঠি
প্রিয় অপরাধী
কেমন আছ জানতে চাইব না, হঠাৎ কয়েক দিন ধরে ভিষণ তোমার কথা মনে পড়ে। একাকী অনেক মিস করি তোমাকে নিয়ে। শুধু এতটুকু বলতে চাই, তোমায় আমার ভিষণ ভালো লাগে । অনেক বার তোমাকে জানাতে চেয়েছি, কিন্তু, কোনো ভাবেই পারেনি।
কেন জানি তোমার সামনে গেলে ভিষণ ভয় করে। যদি তোমাকে জানাই, তুমি যদি না বলে দাও তখন কি হবে আমার। এই ভয়ে তোমাকে কখনো বলতে পারিনি, তোমাকে কতটা ভালোবাসি।
কেন জানি তোমাকে না দেখে আমি আর আগের মতো একাকী থাকতে-ই পারি না, ভিষণ মনে পড়ে তোমার কথা। তোমাকে দেখার ছলে অনেক সময় পাড় করি। তবে তুমি কখনো জানলেই না। কেন জানি আর না বলে সইতে পারছি না। আজ বলব ভেবেই সাহস করছিলাম তবুও খুব ভয় কাজ করছে মনের ভিতর। তাই আজকে কি ভাবতে ভাবো তোমাকে বললাম অনেক ভালোবাসি তোমায়।
ইতি তোমার
কাপুরুষ প্রেমিক
~ প্রিয়সী কাছে চিঠি
প্রিয়সী / সুভাসিনী
প্রিয়তমা সুভা। হয়ত আজ তোমার রুপের আলোয় অন্যের ঘর আলোকিত করে আছো। হয়ত অন্য কারও অপেক্ষায় পার করছো তোমার জীবনের প্রতিটা রজনী। হয়তো অন্য কারও বুকে মাথা রেখে পার তোমার সুখের রজনী। হয়তো আজ সন্ধ্যা হলে মাথায় সুগন্ধি তেল মেখে, সুন্দর বেলী ফুল দিয়ে বেনুনী করে, চোখের উপরে কালো কুচ কুচে কাজল পরে হাত ধরে হাটছো কোন এক অচেনা মানুষের সাথে কোন এক অজানা নদীর পাড় দিয়ে। হয়ত আজ তোমার জীবনের প্রতিটা দিন কাটে তারই কথাই ভেবে। অথচ প্রিয়তমা তোমার কি মনে আছে, মনে আছে সেই দিন গুলো সেই সন্ধ্যা গুলো?? যে সময় গুলোতে সন্ধ্যা হলেই তুমি সুগন্ধি তেল মেখে মাথায় বেলি ফুলের বেনুনী করে হাতে একটি টুকটুকে লাল গোলাপ নিয়ে অধীর অপেক্ষা করতে আমার জন্য লালু বাবুদের বাড়ির পাশে ওই নদীর পাড়ে। মনে আছে তোমার? আমার একটু দেরী হলেই তুমি নাক ফুলিয়ে বলতে” এই যে এসছেন আমার মহারাজ, এতক্ষণে আসার সময় হলো? আরেকটু দেরী করলেই আমি সবকিছু ছিড়ে চলে যেতাম”। তারপর যতক্ষণ আমি তোমাকে তোমার প্রাপ্য না দিতাম ততক্ষণ তোমার রাগ কমত না ফুঁসতেই থাকতে। হাতে একটা টুকটুকে তাজা গোলাপ আর আমার ভালোবাসার সামান্য স্পর্শে যেন তুমি বাচ্চা হয়ে যেতে। যেন এমন মনে হতো মায়ের কোলে যেমন ১/২ বছরের শিশু চুপটি করে ঘুমায় ওতটাই বাচ্চা। প্রতিটা রাত কাটাতে আমার অপেক্ষায়। আর বলতে ” জানো, তোমাকে ছাড়া আমার এক মুহূর্ত ভালো লাগে না যেন মনে হয় সবকিছু ছেড়ে তোমার কাছে চলে আসি। তুমি আমাকে কখনও ছাড়বে না তো বলো? সারাজীবন এভাবেই আগলে রেখো তোমার বুকে। কি গো, পারবে না? ছেড়ে দিবে, তোমার এই পাগলি কে?”
অথচ আজ দেখ সত্যিই আমরা একে অপরে ছেড়ে দিয়েছি। কিন্তু আপসোস জানো কি? আমি তোমাকে ছাড়ি নাই বরং তুমিই আমাকে ছেড়ে গেছো তোমার বাবার একটিমাত্র কথায়। আজ তারই কথায় আমাদের এত বছরের আশা, ভালোবাসা সব, সব ভেঙ্গে দিয়ে চলে গেছো অনেক দূরে অন্য কারও হাত ধরে। যাইহোক যেখানেই থাকো ভালো থেকো শুধু নিজের শরীরের যত্ন নিও। জানি আজ তোমাকে ছাড়া আমার আঁধার জীবনে দ্বীপ কে জ্বালাবে?? আজ রিক্ত মনের তোমাকে দেখার সেই তিক্ত বাসনা নিয়ে এই নীল খামে খোলা চিঠি পাঠিয়ে দিলাম। যদি ইচ্ছে হয় তো পড়ে দেখ আর যদি না হয় তো হাতে পেতেই ছিঁড়ে ফেলো। আর চিঠির উত্তর দেওয়ার দরকার নেই পারলে একবার দেখে যেও লালু বাবুর সেই নদীর পাড়ে। আজো বসে থাকি অধির অপেক্ষায়।
ইতি
তোমার মহারাজ
~ প্রিয়তমার কাছে চিঠি
প্রিয়তমা,
কতটি বছর হয়ে গেল তোমায় দেখিনা। বসন্তের ফুটন্ত লাল গোলাপের মতো মুখের হাসি, ভ্রমর কালো চোখ, রেশমী চুলের ঢেউ, গোলাপি রাঙ্গা ঠোঁট, দুধে আলতা বদনখানি, অপলক নয়নে চেয়ে থাকা, কতদিন হয় দেখি না। বসন্তে কুকিল ডাকা ভোরে এখন ওঠো আগের মতো রোজ। ফাল্গুনী হিমেল হাওয়ায় মেঠো পথে হাঁটতে হাঁটতে নানান কথা বলতে। মাঝে মাঝে তীক্ষ্ণ কথায় অভিমান করতে। নাকি এখন আর সময় হয়ে উঠে না। জানি উত্তর নেই তোমার কাছে।
আমি এখন ঝরা ফুলের মত হয়ে গেছি, গন্ধ ছড়াতে পারিনা । কলমটা আগের মতন এখন আর চলে না। ফিনিক্স পাখার মত হয়ে গেছে জীবন। দিগন্ত ছুয়ে যাওয়া মেঘের মতন ছুয়ে যায় বিশাল এই আকাশ।আশা করি ভালো আছো। হয়তো আমার এই লিখা চিঠি, তোমার কাছে পৌঁছাবে না। তবু লিখে দিলাম আকাশের ঠিকানায়।
ইতি,
উদাস কবি শ্রাবণ
তোমার ওই বিরহে জীবন
তব হৃদয়ে করি শ্রবণ
হবেনা মোর যতদিন মরণ।