আষাঢ়ের কবিতা | বর্ষার শুরুটা আষাঢ় থেকে

৫ টি সেরা আষাঢ়ের কবিতা | বর্ষার শুরুটা আষাঢ় থেকে

৫ টি সেরা আষাঢ়ের কবিতা

 

আষাঢ় এলেই
গোবিন্দ মোদক

আষাঢ় এলেই বর্ষা নামে 
মেঘের ঘনঘটা, 
ক্কড় ক্কড় ক্কড় বাজের শব্দ 
বিদ্যুতেরই ছটা। 
বৃষ্টি কখনো রুম ঝুম ঝুম 
কখনো মুষলধারা, 
পথ ঘাট নদী নালা ভেজে 
ভেজে যতো পাড়া। 
ভিজতে ভিজতে শ্রাবণ আসে 
ফোটে কদম ফুল, 
বর্ষা রাণী বাদল মেঘেই 
বাঁধেন যে তার চুল। 
রাম রহিম আর জনসনেরা 
কাগজের নৌকা গ’ড়ে, 
ভাসিয়ে দিলেই বৃষ্টি জলে 
ভেসে যে যায় তোড়ে।
গাছপালা সব সবুজ হয় 
জলধারা পেয়ে, 
খাল বিল নদী নালা সাজে 
আনন্দের গান গেয়ে। 
বর্ষা আনে নতুন জীবন 
জাগে নতুন প্রাণ, 
আনন্দেতে চাষী যে গায় 
সৃষ্টি-সুখের গান॥

 

আষাঢ় মাস
বিধান চন্দ্র দেবনাথ

জামের থোকা গাছে গাছে
হয়ে আছে কালো,
আষাঢ় মাসে মেঘলা আকাশ
মন থাকেনা ভালো।

মেঘের ভেলা ভাসছে দেখো
নীল আকাশের পড়ে,
গরু ছাগল মাঠ থেকে
নিয়ে আসে ঘরে।

ঝুম ঝুমিয়ে বৃষ্টি পড়ে
টিনের চালে যখন,
খোকাখুকি চুপটি করে
বসে থাকে তখন।

নৌকার মাঝি পাল তুলেছে
দিবে হাওড় পাড়ি,
বৃষ্টি নামার আগে আগে
পৌছতে হবে বাড়ি।

জামালগঞ্জ, সুনামগঞ্জ। 

 

 

১লা আষাঢ়
জান্নাতুল ফেরদৌস স্মৃতি

১লা আষাঢ়
তোমায় ভেবে কেটে গেল
পুরোটা সময়
দুচোখেও বর্ষা নেমেছে
আষাঢ়ের প্রথম দিনের মতন।
জানি তুমি ভুলে গেছো
হয় না তাই
তোমার হৃদয় দহন।
১লা আষাঢ়
পাবো কি ফিরে আর
নাকি আষাঢ়ের মতো
তুমি আসবে আমার
জীবনে ঝির ঝির বৃষ্টি হয়ে
সুবাসিত কদমের ঘ্রাণে।
নাকি সন্ধে হওয়া
নীল আকাশের
একঝাঁক পাখির গানে।
নাকি আর কাচের টুকরোর মতো আর কখনোই জোড়া লাগবে না।

 

আষাঢ় এলো
মিনা রবিউল

টুপটাপ বৃষ্টি ঝরে আষাঢ় হলো শুরু
গম্ভীর গর্জনে মেঘ ডাকছে গুরু গুরু
পথে প্রান্তরে নোনা পানির খলবল
জৈষ্ঠ্য দহন বিদায়ে শান্তির কোলাহল।

আরো পড়ুনঃ  কবি নাজমুল হুদা’র সেরা ২টি কবিতা

আষাঢ় মাসের বৃষ্টি এসে তরু শাখায় পড়ে
মেঘবৃষ্টির বাঁধাহীন বাঁধ ভাঙার গুঞ্জন করে
তপ্ত দুপুর তপ্ত রোদ নেই তো কোথাও
দিনে রাতে মিলে মিশে থাকে গরম উধাও।

পথ ঘাট খাল বিল পানি থৈ থৈ
শান্তির কোলাহল ফিরে এলো ঐ
বৃষ্টির ফোঁটা পড়ে শরীরে শরীরে
তপ্ত দেহে শিহরণ এলো ফিরে।

আষাঢ় এসেছে দারুন কহরের পর
কদম ফুলের মেলা বসে ঘ্রানে মুখর
বৃষ্টির ধারা জারি থাকে অনুক্ষণ
তপ্ত শরীরে সুবাতাস করে শিহরণ।

 

আষাঢ়ের কবিতা
রাফিয়া জান্নাত রিফা

বর্ষা কালের ইলশেগুঁড়ি
বৃষ্টি ফোঁটা পড়ে।
মাছ ধরতে যাবে দাদু
জাল নিয়েছে ঘাড়ে।

ডোবায় ডোবে ব্যাঙ্ মামা যে
পদ্ম পাতার তলে।
থৈথৈ থৈ পানি দেখে
ঘ্যাঙ্গর ঘ্যাঙ্গর ডাকে।

টিনের চালে টুপুর টাপুর
বৃষ্টি ফোঁটা পড়ে।
তাই তো দিদা ছাতা নিয়া
দাদুর পানে আসে।

বারণ করার পরেও দাদু
মানবে না আজ বাঁধা।
ঘাড়ে তাহার ভুত চেপেছে
খাইবো মাছের মাথা।

যেই যাবো পথ পানে,
পিছলে উঠোন ফোসকাল পা
পড়লো ধপাস করে।

ধুত্তেরি ছাই গেলাম রে হায়
মাজা গেছে ভেঙে।
আষাঢ় মাসে মাছ ধরা আর
হইলো না যে শেষে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *