হারাম সম্পর্ক নিয়ে ক্যাপশন
বর্তমান সময়ে হারাম সম্পর্ক টা যেন মহামারী আকার ধারণ করেছে৷ সবাই ভালো লাগা কিংবা ভালো কিছু আশাই ছুটছে ঠিকি। কিন্তু এই প্রতিটি ভালোর পিছনে রয়েছে ঘুটঘুটে অন্ধকার। শুরুটা অনেক রোমান্টিক হয় আর উদ্দেশ্য টা হয় বিয়ের। তবে চাওয়া পাওয়া গুলো বিয়ের আগেই যেন কেউ একজন হাসিল করে নেয় হোক সেটা ছেলে বা মেয়ে। দিন শেষে, দুইজনেই জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়টা নষ্ট করে। তাদের মধ্যে একজন হয়তো অভিনয় জগতের সেরা নায়ক কিংবা নায়কা আর অন্যজনকে লোভী বললে ভুল হবে না।
আজকের সমাজে বোনেদের দূর্বলতা বা তাদের দূর্বল কিছু চরিত্র হলো শিক্ষক, এলাকার বড় ভাই, ক্লাসের ভালো ছাত্র। এই চরিত্র গুলো খুব সহজেই আমাদের বোনেদের মন জয় করে নেয়। বোনেরা সাবধান, একমাত্র বাবা আর তোমার রক্তের সম্পর্কের ভাই ছাড়া কেউ তোমার ইজ্জত নিয়ে পরোয়া করে না। তোমার বাবা কিংবা ভাইয়ের কথার বিরুদ্ধে যেও না। আর ওই পর্দা নামে যেই বোরকাটা তোমরা পরিধান না? ওটা এমন ভাবে পরিধান করিও যাতে তোমার বয়স ১৬ কিংবা ৮০ কোনটাই যেন বোঝা সম্ভব না হয়। বোরকা তোমার সুন্দর প্রকাশের জন্য নাহ, নিজেকে লুকিয়ে রাখার জন্য।
প্রিয় শিক্ষক, আপনি আর্দশ জাতি গঠনের কারিগর। আপনাকে নিয়ে আমার কোন অভিযোগ নেই, তবে কিছু মানুষ এই সমাজের প্রতিটি পেশায় আছে যারা নিয়মিত তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। অনলাইন কিংবা অফলাইনে অহরহ এমন ঘটনা শুনছি, নিশ্চয় কারো একক ভাবে এসব বিষয়ে হাত নেই। শিক্ষক ছাত্রীর দুইজনেই দোষী।
(০১) হারাম থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে চাইলে হালাল কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন।
নামাজ পড়ুন, রোজা রাখুন, কুরআন শিখুন, কুরআন পড়ুন।
(০২) রবের নিষিদ্ধ কাজগুলোর প্রতি আমাদের এক আকাশ পরিমাণ ঘৃণা জন্মাক।
আমিন!
(০৩) কেউ যদি চুরি করা গরু কুরবানি করে। তাহলে কী সেটা হালাল হবে? যদি হালাল না হয়। তাহলে বিয়ের উদ্দশ্যে প্রেম কিভাবে হালাল হয়?.. নিজের বিবেকে প্রশ্ন করুন।
(০৪) বিচ্ছেদ হোক হারাম রিলেশনের সাথে…!
সম্পর্ক হোক রবের সাথে।
— ইন শা আল্লাহ
(০৫) হারামের জন্য অশ্রু না ফেলে.
হালালের জন্য
অপেক্ষা করা উত্তম..!
(০৬) যেখানে একটা ছেলে-মেয়ে প্রয়োজন ছাড়া কথা বলা হারাম, সেখানে রিলেশন কি ভাবে পবিত্র হয়!…
(০৭) শোনো বোন/ভাই! সিঙ্গেল থাকলে কেউ মারা যায় না। কিন্তু হারামে জড়ালে অন্তরটা মরে যায়। এমনকি তোমার মৃত্যুর কারণ পর্যন্ত হতে পারে..!
(০৮) বাঘ হরিণীকে বলল, ভালোবাসি বলেই পেছনে ছুটি। হরিণী বললো, ভালোবাসলে পেছনে এসো না”♡
– হারাম রিলেশন..♡
(০৯) হারাম সম্পর্ক মানেই যিনা..
আর হারাম সম্পর্কে কখনোই শান্তি থাকে না।
তাই আল্লাহর জন্য হারাম ত্যাগ করুন.!
(১০) কোনো নন মাহরাম পুরুষের/নারীর অস্তিত্ব মনে মনে চিন্তা করলেও অন্তরের যিনা হয়.!
(১১) হারাম সম্পর্কে জড়িয়ে মহান আল্লাহ্ তা’য়ালা কে অসন্তুষ্ট করে জীবনে কখনো সুখী হওয়া যায় না।
ইসলাম কাউকে ভালোবাসতে নিষেধ করে না
ইসলাম শুধু হারাম ভাবে ভালোবাসতে নিষেধ করে। ভালোবেসে হারামে জড়িয়ে পড়তে নিষেধ করে।
(১২) অধিকাংশ ছেলে মেয়ের ডিপ্রেশনে /বিষন্নতায় যাওয়ার মূল কারণ হলো, – হারাম সম্পর্ক / হারাম রিলেশনে জড়িয়ে
(১৩) পবিত্র কোরআন ও হাদিসে বহুবার বলা হয়েছে- যিনার ধারে কাছেও না যাওয়ার জন্য’
(১৪) প্রেম থেকে সাবধান আপুরা ভাইয়েরা
বিয়ের আগে প্রেম ভালোবাসা সম্পূর্ণ হারাম ও নিষেধ।
(১৫) জেনারেল পড়ুয়া, হারাম থেকে ফিরে আসা মেয়েরাই জানে দ্বীন পালন করা কতোটা কষ্টকর
আর কটু-কথা বলার লোক তো আছে-ই….!
(১৬) অন্তত নিজের অসীম পরকালের জীবনের কথা ভেবে হলেও শয়তানের হারাম সম্পর্কে / হারাম রিলেশনের ফাঁদ থেকে বের হয়ে আসুন। বুঝতে চেষ্টা করুন, এটা ছোট-খাটো কোনো পাপ নয়, আপনি প্রতিনিয়ত যিনা করে যাচ্ছেন…
(১৭) স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার ৮০% মেয়ে প্রেম করে। প্রেম করে বিয়ে হচ্ছে ১% আর বাকি ৭৯% মেয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বয়ফ্রেন্ডের সাথে লুকিয়ে দেখা, ঘুরাঘুরি করে। ছেলেরা জান কলিজা ডেকে বিয়ে করবে লোভ দেখিয়ে মেয়েদের দেহ উপভোগ করে, অবশেষে ছেড়ে দেয়।
(১৮) প্রেম করে শরীরে স্পর্শ বা ধরা এটা যিনা (ব্যভিচার)। আর যিনা হল ভয়ংকর কবিরা গুনাহ।
(১৯) হারাম সম্পর্ক বা প্রেম ভালোবাসার নামে যিনা, ব্যভিচারে লিপ্ত হয়ে কষ্ট পেয়ে আল্লাহর কাছে বিচার দেওয়া আল্লাহর সাথে তামাশা করার শামিল.!
কারণ, কাঁটার উপর কিভাবে দোষ দিবেন বলেন?
পা তো আপনি ই রেখেছিলেন কাঁটা তো নিজের
জায়গাতেই ছিলো.!
(২০) সবশেষে এমন একজন আসুক,
মে অল্পদিনের পরিচয়ে দীর্ঘমেয়াদি দলিলে সাইন করে বাকি জীবন আমার সাথে অনায়াসে কাটিয়ে দিবে..।
— ইনশাআল্লাহ্
(২১) হারাম রিলেশন জমজমের পানি দিয়ে ধুলেও সেটা হালাল হয় না।
আর আপনি রিলেশন এ থেকে নিজেকে পবিত্র দাবি করেন।
(২২) ব্রেকআপের কষ্ট সহ্য করতে না পেরে কবরে যেতে চাচ্ছো!
কবরের কষ্ট সহ্য করতে না পারলে, কোথায় যাবা? অন্য কোথাও যাওয়ার জায়গা কি আছে…!
(২৩) গার্লফ্রেন্ড/ বয়ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করার সময় খারাপ কিছু করলে। তারপর অন্য জায়গায় বিয়ে হলে বাসর ঘরে স্বামী /স্ত্রী দেখেই বুঝে ফেলবে যে এই মেয়ে / ছেলে আগে খারাপ কাজ করছে।
(২৪) আল্লাহ ও নবীর সুন্নত নিয়মে, সাক্ষী রেখে যার সাথে বিয়ে দিবে সেই ছেলে আপনার শরীরে ধরার অনুমতি পাবে। কিন্তু ইংরেজিতে কয়েকটা অক্ষর i love you,to বলে মেয়েদের মূল্যবান ইজ্জত পেয়ে যাচ্ছে ছেলেরা।
হারাম সম্পর্কে নিয়ে কিছু কথা
(২৫) প্রেম =যিনা (ব্যভিচার) =স্বামীর কাছে খারাপ =কবরে ভয়াবহ শাস্তি =জাহান্নামী =মা-বাবার কবরেও আযাব হবে মেয়েকে হেফাজতে রাখলো না কেন বিয়ের আগ পর্যন্ত।
(২৬) হারাম রিলেশন কন্টিনিউ করে যাওয়ায়, ক্রমান্বয়ে মানসিক শান্তি হারিয়ে ফেলছেন.!
এক সময় আপনি হয়ে যাবেন “মরা লাশের মতো”
(২৭) ঘুটঘুটে অন্ধকার, আকাশ ভেঙে নামছে ফিতনার বৃষ্টি। হতাশার প্লাবণে ডুবে গেছি মোরা।
ফেতনা থেকে বাচাঁর আর্তনাদ করছি, তবু ডুবে যাচ্ছি ভীষণ অন্ধকারে। “আল্লাহুম্মাগফিরলী”
— দিগন্ত রেখা
(২৮) আমরা কিভাবে হারাম সম্পর্কে ভালোবাসা বলি?
যেটা ভালবাসা জান্নাত নয়, জাহান্নামের দিকে নিয়ে যায়!
কথা – সংগৃহীত
(২৯) “কত মান’সিক বিশৃঙ্খলা কাটিয়ে হাসতে পেরেছি;
– শুধু রবের প্রতি ভরসা রেখে!
~আলহামদুলিল্লাহ!
•—কাজী সুমাইয়া
হারাম সম্পর্ক নিয়ে হাদিস
হারাম সম্পর্কে থেকে কখনো প্রকৃত শান্তি পাওয়া সম্ভব না। ক্ষণিকের একটু শান্তির জন্য আমাদের নানা রকম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। আজকে আপনি একটা হারাম সম্পর্কে আছেন?.. দশটা হারাম সম্পর্কে থাকা মানুষের কাছে শোনা। এই দুনিয়া আপনি হিঃসা করেন, আপনার বন্ধু নাকি ২ টি সম্পর্ক করে। কিন্তু আপনি একটিও করতে পারেন না?.. এরকম চিন্তা ভাবনা কখনোই মাথায় আসবেন না। হারাম সম্পর্ক নিয়ে ক্যাপশন
(৩০) ❝যেখানে দুজন বেগানা নারী-পুরুষ নির্জনে একত্রিত হয়, সেখানে তৃতীয়জন হয় শয়তান।❞
[তিরমিযী : ১১৭১]
(৩১) তোমরা যিনার ধারে কাছেও যেয়ো না। কারণ, এটা লজ্জাজনক ও সবচেয়ে নিকৃষ্ট খারাপ কাজ এবং সকল পাপের দরজা খুলে যায়।
(সূরা বনি-ইসরাঈল আয়াত ৩২)
(৩২) আরবের অল্প বয়সী এক নারী যিনা করেছিল। পরকালে যিনার শাস্তির ভয়াবহতা শুনে রাসূল (সাঃ) এর দরবারে গিয়ে কান্নাকাটি করে বলেছিল আমাকে এই দুনিয়ায় বিচার করেন।তারপর পাথর নিক্ষেপে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছিল। (মুসলিম শরীফ)
(৩৩) হারাম প্রেমে জড়িয়ে,
জিহ্বা দিয়ে কথা বললে জিহ্বার যিনা হয়, কানে শুনা ও চোখেরও যিনা হয়। (মুসলিম, হাদীস ২৬৫৭)
(৩৪) বিবাহিতদের যিনার শাস্তি মৃত্যু দন্ড, অবিবাহিতরা যিনা করলে একশো বেত্রাঘাত।এক-নাগারে একশোবার বেত বা লাঠির আঘাতে মৃত্যু হতে পারে। কিন্তু মৃত্যু হলেও বিচারের সময় দয়া মায়া দেখানো যাবে না। (সূরা আন-নূর; আয়াত ২)
(৩৫) মহানবী (সাঃ) সাত আসমানে মেরাজ গমনে শাস্তি পরিদর্শনের সময় একটি জ্বলন্ত চুলার ভিতর থেকে প্রচন্ড চিৎকার ও কান্নার আওয়াজ শুনতে পেলেন। তারপর রাসূল (সাঃ) দেখলেন ভিতরে একদল উলঙ্গ নারী-পুরুষ আগুনে জ্বলছে। রাসূল (সাঃ) সাথে সাথে এই শাস্তির কারন জানতে চাইলেন। ফেরেস্তারা উত্তর দিলো এরা দুনিয়ায় যিনা করেছে। (বুখারী ও মুসলিম)
(৩৬) “যে ব্যক্তি দুনিয়াতে কোনো বস্তু দিয়ে নিজেকে হত্যা করবে, কিয়ামতের দিন তাকে সে বস্তু দিয়েই শাস্তি প্রদান করা হবে।”
(বুখারি ৫৭০০; মুসলিম ১১০)
(৩৭) দুনিয়ার দুঃখ-কষ্ট থেকে কবরের শাস্তি লক্ষ-কোটি গুণ বেশি, কবরের শাস্তি হতে হাশরের মাঠের শাস্তি আরো বেশি, জাহান্নামের শাস্তি পরিমাপ যোগ্যই না!
(৩৮) দুনিয়াতে যত প্রকার ভালোবাসা আছে সব আপেক্ষিক। আজ কাউকে যেই কারণে খুব ভালো লাগবে, সেই একই কারণে তাকেই কাল অসহ্য মনে হবে। দুনিয়া এই নিয়মেই চলে। যার কথা ভেবে নিজেকে কষ্ট দিচ্ছো কিংবা মরে যেতে চাচ্ছো সে অনেক মানুষের মধ্যে একটা স্যাম্পল মাত্র এর বেশি কিছু না।
(৩৯) “যখন জানাজা শেষে লাশ খাটিয়ায় রাখা হয় এবং পুরুষ লোকেরা তা তাদের কাঁধে তুলে নেয়, সে পুণ্যবান হলে তখন বলতে থাকে, আমাকে সামনে এগিয়ে দাও।
আর পুণ্যবান না হলে সে আপন পরিজনকে বলতে থাকে, হায় আফসোস! এটা নিয়ে তোমরা কোথায় যাচ্ছ? মানুষ (ও জ্বীন) ছাড়া সবাই তার চিৎকার শুনতে পায়। মানুষ যদি তা শুনতে পেত তবে অবশ্যই অজ্ঞান হয়ে যেত।” [বোখারি : ১৩১৬]
(৪০) বিয়ের আগে কোনো বেগানা ছেলে-মেয়ের মধ্যে প্রেম, ফ্রেন্ডশিপ, মানসিক কি শারীরিক সম্পর্ক, জাস্ট ফোনে কথা বলা বা চ্যাট সবগুলোই “যিনা” যা ইসলামে পুরোপুরী হারাম করা হয়েছে।
(৪১) চোখ দিয়ে তাকান চোখের যিনা, কান দিয়ে শোনা কানের যিনা (ফোন আলাপ), রোম্যান্টিক আলাপ-আলোচনা) হাত দিয়ে স্পর্শ করা হাতের যিনা, (ডেটিং বা অশ্লীল কাজের জন্য) হেটে গেলে পায়ের যিনা, যিনার কল্পনা করা ও আশা করা মনের যিনা, অতঃপর লজ্জাস্হানকে পূর্ণ দেয় অথবা অসম্পূর্ণ রেখে দেয়া।
(৪২) আল্লাহ তায়ালা সব “যিনাকে” হারাম ঘোষনা করে বলেন-“তোমরা যিনার ধারে কাছেও যেও না কেননা তা অত্যন্ত নির্লজ্জ ও খারাপ কাজ।”
(৪৩) বিয়ের আগে সব-রকম প্রেম-ভালোবাসা অবৈধ, অপবিত্র কারণ তা শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে আসে।
(৪৪) রাসূল (সা.) বলেছেন, কোন পুরুষ যদি কোন মহিলার সাথে নির্জনে সাক্ষাৎ করে তখন তাদের মাঝে তৃতীয় জন হয় শয়তান। [তিরমিযি, মিসকাত]
উদ্দেশ্যঃ হারাম সম্পর্ক নিয়ে ক্যাপশন এই আর্টিকেলে মাধ্যমে আমরা নিজেকে সচেতন করবো এবং আমরা ফেসবুক সহ সকল সামাজিক যোগাযোগ প্লাটফর্ম গুলোতে স্ট্যাটাস বা ক্যাপশন গুলো শেয়ার করতে পারেন। যার ফলে নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস ও নিজে অন্তত এই হারাম সম্পর্ক থেকে বিরত থাকা সম্ভব হবে ইন শা আল্লাহ।
আরো পড়ুন এবং লেখুন চিরকুটে সাহিত্য প্লাটফর্মে পাশাপাশি অনুমতি প্লার্টফমের মাধ্যমে ও অনেক কিছু জানতে পারবেন। |