উপন্যাস বেরঙিন পথে শুরু হলো কথা ২য় পর্ব

উপন্যাস বেরঙিন পথে শুরু হলো কথা পর্ব ০২

লেখিকা রেবেকা সুলতানা

 

এতে স্যার তাদের কে বকা দেওয়া শুরু করে।

শিক্ষকের নাম ছিলো আরিফুর রহমান।

” আমি ৩০ মিনিট আগে এসে বসে আছি।”

“স্যারের একটু বাড়িয়ে বলার অভ্যাস টা আর বোধ হয় আর গেলো না। আমরা আসার একটু আগে স্যার ডুকলো স্পষ্ট দেখলাম।আর এখন বলে কি?”
~’ ফাল্গুনী বাকিদের উদ্দেশ্য করে আস্তে আস্তে বললো।’
“ফাল্গুনীর কথায় সবাই হেসে দিলো।স্যার তাদের দিকে তাকাতেই সবাই চুপ হয়ে গেলো যেন কিছুই হয় নি।”

” আর তোমরা এত দেরি করে আসছো। আর কতক্ষণ সময় বা আছে ৯ টা থেকে তোমাদের আবার ক্লাস আছে।”

‘স্যার বকা বকি থামিয়ে বললেন।’ “যাই হোক এসে বসো আর যাতে দেরি না হয়।
স্যারের কথায় সবাই জ্বি সূচক উত্তর দিলো মাথা নাড়িয়ে।

‘~এরমধ্যে ক্লাস এর ঘন্টা পড়লো।
ছোঁয়াও ছোঁয়া বান্ধবীরা তাড়াতাড়ি করে ক্লাস এ ডুকলো।ডুকে দেখলো লাস্ট বেঞ্চ টা তাদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছে।লাস্ট বেঞ্চ এ বসতে হবে দেখে ছোঁয়া মন খারাপ হয়ে গেলো।’

সবাই যে যার মতো ক্লাসে মন দিলো।আজ বৃহস্পতিবার তাই স্কুল ছুটি হলো ১টায়।

“ছোঁয়া বাসায় এসে ফ্রেস হয়ে নেয়। সন্ধ্যায় নামাজ শেষ করে কিছু পড়া নোট করে, খেয়ে নিলো।
তারপর একটা ঘুম দিলো।”

‘~ছোঁয়া খুবি শান্ত সৃষ্ট মেয়ে হলেও রাগ উঠলে থামায় কে? এক কথায় রাগ উঠলে তার পুরোই বিপরীত। সচারাচর যারা ছোঁয়া কে ছিনে জানে তারা হঠাৎ ছোঁয়ার এ রাগি রুপ দেখে থতবত খেয়ে যাবে আর বলবে এ কে আমরা ছিনতে পারছি না। ‘

~ছোঁয়া খুব সাধারণ ভাবে থাকতে পছন্দ করে।

ছোঁয়ার গায়ের রং ফর্সা। আর চুল গুলো হালকা একটু কোঁকড়া। মুখে হালকা ব্রণের চাপ। ছোঁয়া কে দেখে মনে হয় মহান আল্লাহতায়ালা সব সুন্দর তাকে দিয়ে দিয়েছেন।
মাশা’আল্লাহ দেখতে তাকে কি অপূর্ব লাগে।

আরো পড়ুনঃ  উপন্যাস বেরঙিন পথে শুরু হলো কথা

“ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিন এর মতো মোবাইল টা হাতে নিলো। ৫সেকেন্ড পর রেখে দিয়ে তাড়াতাড়ি হাতের সব কাজ সেরে নিও।
আজ শুক্রবার তাই হাতে অনেক সময় ও রয়েছে।

ছোঁয়া ছাদে তার ফুলের টপে পানি দিয়ে।কিছুক্ষণ আকাশের দিকে তাকিয়ে রইলো।হঠাৎ তার পাশের বাসার ভাবি ডাক দিলো ছোঁয়া!
ছোঁয়া…!

~কি জেনো ভাবছে আকাশে দিকে ভাকিয়ে ছোঁয়া তাই ফারজানা ভাবির ডাক টা প্রথমে খেয়াল করে নি। খেয়াল হতেই হঠাৎ চমকে উঠলো ছোঁয়া।’

-কি গো ননদীনি কি এমন ভাবছো শুনি? এত ডাকছি শুনতেই পাচ্ছো না যে?

~ফারজানার কথা শুনে ছোঁয়া মিষ্টি একটা হাসি দিলো..
ছোঁয়া মুখে হাসি রেখে বসা থেকে উঠি দাঁড়িয়ে বললো না..
-না ভাবি, কিছু না। এমনি আকাশের দিকে তাকিয়ে আছি।
-কারে নিয়া ভাবতাছিলা শুনি। দেইখো কেউ থাকলে কইয়ো ভাবি রে।
-আরে না ভাবি কি যে বলেন না। আপনার ননদ এসব করে না।
-কেমন্নে কমু ননদীনি কী করে ?
-হুম…

~ফারজানা জাহান খুব রসালো মহিলা।সবার সাথে খুব সহজে মিশে যায়।তার একটা ভালো দিক হলো সবাইকে আপন করে নিয় আর খুব সহজে মনে জায়গা করে নেয়।

~ফারজানার সাথে কথা শেষ হলে ছোঁয়া ছাদ থেকে নিচে নামলো। তখন সকাল ১০:৩০।
এবার তামিম কখন বের হবে সেই অপেক্ষায় ঘরে ঘরে পায়চারি করছে ছোঁয়া।

“~যেহেতু তার আম্মুর মোবাইল তাই সব সময় ফেসবুক একাউন্ট টা লগ আউট করে রাখতে। তার ভাইরা ও পছন্দ করতো না সে মোবাইল ব্যবহার করুক। ভাইদের খুব ভয়ও পেতো। ছোঁয়ার ফেসবুক একাউন্টের কথা তার ছোট ভাই আদিব জানলে ও বড় ভাই তামিম জানতো না।”

কারণ আদিব’ই একাউন্টটা খুলে দিয়েছিলো।

-তামিম তার কাজের জন্য বের হয়ে গেলে মোবাইলটা টুপ করে হাতে নিয়ে বসে পড়ে ছোঁয়া ।
তারপর..

আরো পড়ুনঃ  চলো না হারিয়ে যাই ২য় পর্ব

°ছোঁয়া তার একাউন্ট লগ ইন করে।লগ ইন করতে না করতে চলে এলো একটা নোটিফিকেশন …

চলবে…

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *