গরম নিয়ে স্ট্যাটাস, গরম নিয়ে ক্যাপশন ও গরম নিয়ে কবিতা এবং গরম নিয়ে ছোটগল্প দিয়ে সাজানো হয়েছে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি। এই আর্টিকেলে রয়েছে দেশের বাছাই করা সেরা লেখক লেখিকাদের সেরা লেখা। লেখা গুলো সংরক্ষণ করা হয়েছে সাপ্তাহিক অনুমতি প্লাটফর্ম থেকে। এই আর্টিকেল প্রথম থেকে শেষ অবদি প্রত্যেকটি লেখাই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন এবং আপনাদের অনেক বেশি ভালো লাগবে।
গরম নিয়ে স্ট্যাটাস
০১। বাজারের চড়া দর
লোকেদের গায়ে জ্বর,
তাপে তাপে উত্তাপে
বাড়ছে যে তরতর।
০২। পুড়ছে আয়ু পুড়ছে বায়ু
বাড়ছে বিরক্তিবোধ
প্রকৃতির প্রতিটি কণা
নিচ্ছেতো প্রতিশোধ।
০৩। সূর্যের রেগে যাওয়া মুখখানি যেনো ঝলসানো রুটি,
চিৎকার হাহাকার মাঠ ফাটা কৃষকের হয় ছুটি।
ভাতের থালা গনগন করে তাপে পুড়ে যায়,
পেটে ক্ষুদা গলা শুকে নাই ভাত আর নাই।
০৪। গ্রীষ্মের দাবদাহে
চারদিক পুড়ছে,
ছোটবড়ো সকলেই
শুধু তাপে ধুকছে।
০৫। গরমে চারদিকে হইচই,
সবাই তোরা গেলি কই?
রোদ উঠেছে চরম,
বেজায় লাগে গরম।
০৬। তিনবিঘা জমি ধান, একবিঘা গম চাষ
রোদ্দুরে পুড়ে পুড়ে হয় সেথা আস্থ লাশ।
কতদিন কতরাত জমে নাকো কালো মেঘ,
হয়না তো বৃষ্টি কৃষকের মুখে হাত।
০৭। ফোঁস ফাঁস গরমে
লাজ সাজ চরমে,
কচি ফল হেরে জল
পেকে যায় শরমে।
০৮। অনেক বেশি তাপমাত্রা,
বাড়ছে গরমের মাত্রা।
অতি গরমে মাথা গরম,
রাগ ওঠে যখন তখন।
রাগ ওঠার একটাই কারণ,
বেজায় গরম –
০৯। শহরের ধুলাবালি, পানি হীন টিউবওয়েল,
শিশু থেকে শুরু করে সব যেনো হাফবয়েল।
প্রকৃতির বৃক্ষ কেটে করেছো নিঃশ্ব,
যান্ত্রিক বাতাসে দেখছো তো ধ্বংস …?
১০। গরমে সবাই দিশেহারা,
ফ্যান দিচ্ছে গরম হাওয়া।
পাচ্ছি না ভাল অম্লজান,
বিলীন হচ্ছে মোদের জীবন।
১১। দক্ষিণা ঐ দুয়ার খুলে
দাঁড়িয়ে থাকি ঠায়
পাইনা খুঁজে নম্র হাওয়া
করি শুধু হায় হায়!
গরম নিয়ে কবিতা
গরম
ফেরদৌসী খানম রীনা
গ্রীষ্মের তীব্র গরমে জীবন দুর্বিসহ
চারিদিকে গরমের আভরণ,
ঘরে বাহিরে গরমে অতিষ্ঠ সবাই
গরম হাওয়া বইছে সারাক্ষণ।
মানুষ, পশু, পাখি সবার জীবন
গরমে সংকটময়,
তাই বেশি বেশি পানি পান করি
তবেই রোগ নিরাময়।
এই গরমে ঠিক মত গোসল করি
তবে পাব শান্তি,
রোদে নয় ঘোরাঘুরি গাছের ছায়ায়
দূর হবে ক্লান্তি।
ডাবের পানি ফলের রস খেলে লাগবে
শরীর অনেক ভালো,
গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরমে কাজে মন বসে না
জীবন এলোমেলো।
গরমের জন্য খোদার কাছে করি মোনাজাত
গরম কমছেনা কিছুতেই,
একটু বৃষ্টির আশায় মন করে আনচান
গরমের সমাপ্তি যেন বৃষ্টিতেই।
শীতল ছায়া পাই
নাজমুন নাহার
আসমান ফুঁড়ে আসছে উড়ে
সূর্যের যত তাপ,
স্তন্যপায়ী ধরাশায়ী
পায় না কেহ মাফ।
শীতল আদর মাটির চাদর
ফেটে যে খান খান,
কূজন ভুলে পক্ষীকুলে
বৃষ্টির জন্যে মান।
গৃহে বন্দী মানুষ সন্ধি
সুরুজ মামার সাথ,
অপেক্ষামান দিনাবসান
আসবে কখন রাত?
শ্রমিক চাষি রোদে ফাঁসি
পেটের দায়ে কাজ,
না হলেই নয় করতে যে হয়
বাঁচতে ধরার মাঝ।
বিধাতার দান গরম এক শান
মানুষের হাত নাই,
করার আছে রোপণ গাছে
শীতল ছায়া পাই।
গরমে অস্থির জীবন
দেলোয়ার হোছাইন
গরমে অস্থির জীবন
বাঁচি কেমনে ভাই
মহান রবের দয়া ছাড়া
বাঁচার উপায় নাই ।
ধনীরা কম্বল দেয় শীতের মৌসুমে,
দেয় না তারা এসি –
চার্জার ফ্যান এত গরমে,
দিন রাত আসে যায়,
মন কাঁদে না কারো গরীবের লাই।
চাঁদ সূর্য রাত দিনের নিদর্শন,
যারা বুঝে তারা করে
মহান রবকে স্বরণ ,
কিয়ামতের ময়দানে
ঘামের জলে হাবুডুবু খাবে
পাপী তাপী সবাই ।।
মহান রবের দয়া পেলে
আরশের ছায়া যাবে যে মিলে
দুনিয়ার গরম করায় স্বরণ
সেই দিনের ভয়াবহতায়
পাবো কেমনে ঠাঁই !!
রৌদ্র স্নান ‘‘দিবস’’
ইশরাক আল ইয়াসিফ
রৌদ্র-স্নান কি দারুন কথা,
রোদের সাথে জুটি বেঁধেছে
বাঁতাশের গতি বেগ,
জুটি জোড়ার প্রকট আক্রমণে
ঠঁন,ঠন ঘুড়ে মাথা।
জ্বল-স্নানে কিছুটা অনুভূত প্রশান্তি,
পরক্ষনি প্রশান্তির বারোটা বাজালো-
বাঁতাশের সাথে সন্ধি করা ঘিম্ষানি।
তিব্র দাবদাহ,নাকি ফুঁসে উঁঠা আগ্নিয়গীরি?
কিছুই বুঝিনা, শুধুই সূর্যের ঝলকানি।
গরম
মোঃ সৈকত হোসেন হৃদয়
আহা! কি প্রচন্ড গরম
কাঠ ফাটা রোদে
আছি বড় পেরেশানে,
বড় বিষাদময় গরমে
ঘামে ভেজে শরির
ক্লান্তি লাগে মনে।
আহা! আজি এই গরমে
অতিষ্ট এই জীবন
খুজে ফেরে প্রশান্তি,
চারদিকে খুজে যাই
শীতল ছায়া কোথায় পাই
নাইযে মনে শান্তি।
গরম থেকে বাঁচার
কি আছে উপায়
জানা কি আছে কারো,
আমি ভাবি যতবার
এই গরমের হাহাকার
যায় যে বেড়ে আরো।
তীব্র গরমের যন্ত্রনা
আব্দুল্লাহ মাসউদ
অসহ্য আর যন্ত্রণার দিন গরম,
তৃষ্ণা আর পিপাসা লাগে চরম,
এই গরমে পাখা আমার বন্ধু পরম,
বাতাসে বাতাসে উড়ে গেলেও যেন কমে না গরম।
যন্ত্রণার গরমে হারিয়ে গেছে
লাজ-লজ্জা সবার শরম,
প্রেস্টিজ ভুলে সাজসজ্জা তুলে
গামছা-লুঙ্গি পরে পাল্টে গেছে সবার ধরন।
চারদিকে বাচ্চাদের হাউমাউ কান্না
সকলের মুখে শুধু একটাই কথার বন্যা,
এবার বন্ধ করো গরম খোদা
নিতে পারছি আর না আর না ।
মাঠ-ঘাট, নদী-নালা, খাল-বিল
ফেটে হলো একাকার,
বৃষ্টির বাদলের শোকে শোকে
পুড়ে হলো সবে ছারখার ।
প্রভু এবার দাও মেঘ-বর্ষণ
বৃষ্টির ঝর্ণা ধারা ।
নয়তোবা নিঃশেষ হবে
মানুষের জাতি পাড়া ।
তৃষ্ণার্ত কাকের মতো
তাকিয়ে থাকি আকাশ পানে
এই বুঝি আকাশ ডাকলো
মেঘ নামলো তুফান বানে।
কিন্তু না ভাই কোথায় বৃষ্টি ?
হারিয়ে গেছে হিমেল বাতাস
এবার বুঝি রক্ষা নেই আর
গরম আর গরম বলে সবাই হতাশ।
শিক্ষার্থীঃ আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী, চট্টগ্রাম
চাষিরা সম্মান পায়না আজ
মোঃ জাকিরুল ইসলাম জাকির
গ্রীষ্মের তাপদাহে মাঠে কৃষক
ফসল উৎপাদনে ব্যস্ত
দিন শেষে কৃষকেরা হয়
অপমান আর অপদস্থ।
যাদের জন্য ফলায় ফসল
তারাই অনেক অলস
পল্লী বধূর কাকে কলস
হারিয়েছে গ্রামের জৌলুস।
বতর্মানে ফসল উৎপাদনে কৃষকেরা
কীটনাশকের করছে অবাধ ব্যবহার
দাম কমেছে কৃষিজাত পণ্যের
কৌঁসুলি সব মজুমদার।
সার কীটনাশকের চড়া মূল্যে
দিশাহারা কৃষক সমাজ
কষ্ট করে ফলায় ফসল
চাষিরা সম্মান পায়না আজ।
জাকিরুল ইসলাম, বেলআমলা,জয়পুরহাট, বাংলাদেশ।
রহমের বৃষ্টি
নূরুস সারাহ
খরা রৌদ্রে রুক্ষ ভূমি,
চাহিতেছে মেঘের ছোয়া
যেথায় মুছিবে সকল
দুঃখ গ্লাণির ধোঁয়া।
পরম প্রভু করো হে দয়া
দাও আরশের ছায়া।
পাপ রাশি দাও গো মুছে
করেছি যত পিছে।
দাও আমাদের রহমের বৃষ্টি
আমরা তো প্রভু তোমারই সৃষ্টি!
কেমনে তুমি চেয়ে দেখিবে
রৌদ্রতেজে পুড়ছি সবে,
কেমনে মোদের যাতনা সহিবে?
তুমি যে রাহিম রাহমান!
করো দয়া হে আরশের প্রাণ;
ওহে আমার “আল্লাহ” মহান।
গ্রীষ্মের প্রখরতা
~সুনয়না সুরভী
গ্রীষ্মের প্রখরতায় জ্বলছে মাটি,
উড়ছে ধূসর ছাই।
প্রকাণ্ড গরমে ঝিলের জল,
শুকিয়ে যাচ্ছে তাই।
পথে পথিক হাঁটছে দ্রুত,
সঙ্গে নিয়ে ছাতা।
পথের ধারে নুইয়ে পড়েছে,
শত ঘাসফুল আর লতাপাতা।
ফটিকজল বলা চাতক পাখি,
আকাশ পথে ক্লান্ত বেশে।
ব্যর্থ হয়ে মুখ ফিরিয়ে,
ঘরে ফিরে অবশেষে।
গ্রীষ্মের প্রকাণ্ড তাপে,
প্রকৃতি যখন রুক্ষ।
সাধারণ জনমানুষ এর জীবনে,
বাড়ে দ্বিগুণ দুঃখ।
রোদ
মুহাম্মদ
ঝাঁঝালো রোদ বাংলাদেশে,
সচরাচর ওঠে।
কৃষকের পীঠ পুড়িয়া যায়,
থাকে না আর মাঠে।
ধুপ করিয়া বসিয়া কয়
ওগো বিবি ও মহোদয়
কোথায় গেছো দাও পরিচয়
বুক বুঝি মোর ফাটে!
কাজ ছাড়িয়া আসনু গো তাই,
যায় না থাকা মাঠে।
হাল কেবলি চাষ করিতে,
বাঁধনু গরু দুটি।
পা ফেলাতে পারনু নে গো,
অগ্নি জ্বালা মাটি।
তাই তো আমি আসনু ফিরে
তোমার কাছে ছায়ার নীড়ে
যাবো না আর মাঠের পরে
রোদ যদি না কাটে।
কোথায় গেলি ওগো বিবি,
বুক বুঝি মোর ফাটে।
তৃষ্ণায় গেল গলা শুঁকে,
নাই ভিতরে কোনো।
এমন রৌদ্র উঠিছে আজ,
মরিয়া যাই যেন।
নোটাতে জল তাড়াতাড়ি
আন বিবি গো দৌড়ি
দৌড়ি
করিস কেন এত দেরি
তোর দরদ নাই মোটে!
যাবো না আর মাঠে গো বউ,
রোদ যদি না কাটে।
কবি পরিচিতিঃ কবি মুহাম্মদ কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার আপুয়ারখাতা গ্রামে ২০০১ সালের ০২ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমান তিনি কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে রসায়ন বিভাগে (অনার্স) অধ্যয়নরত।
বৈশাখে আগুন
মনিরুল ইসলাম খান
চৈত্র শেষে আগুন,
এই তো গেল ফাগুন।
তপ্ত হলো ধরা,
ধরছে ব্যাধি জরা।
শ্বাস নিবে সব শ্বাস,
করছে হাঁস ফাঁস।
দূর্বা নরম লতা,
নুইছে গাছের পাতা।
করছে জ্বালা দেহ,
নাই নিরাম কেহ।
পাখ পাখালী বনের,
কষ্টও তো ওদের।
জন্তু দানব দেও,
গর্তে গিধড় ফেও।
জ্বলছে দাবানল,
বইছে প্রবাহ অনল।
গরমের জ্বালা
মোহাম্মদ দ্বীন ইসলাম আনছারী
কি যে করি বাঁচি না তো
গরমের জ্বালা,
আগে যে ছিল না বিদ্যুৎ
সেটাই ছিল ভালা।
অপেক্ষায় থাকতো না কেউ
বিদ্যুৎ আসবে কবে?
সেই সময়েই মজা ছিল
হাতপাখা ঘুরাতো সবে।
ডিজিটাল যুগে সিলিংফ্যান
চার্জার ফ্যান এসি,
তারপরেও শান্তি পাই না
গরম লাগে আরো বেশি।
তাপদাহ
ছাবিকুন নাহার
চলিছে চৈত্রের তাপদাহ
পুড়িছে গরমে সারা গাত্র
মাঠে মাঠে কৃষকের কান্না
ফসলে ফসলে আহাজারি
আজ চাই তাদের বন্যা।
দেশ জুড়ে আজ কী করুণ চিত্র
গরমে জ্বলসে যাচ্ছে প্রানীকুল সর্বত্র
প্রকৃতিতে আজ এ কি অনাসৃষ্টি
চাই শীতল হাওয়া চাই বন্যা চাই বৃষ্টি
প্রকৃতিকে আজ বলি নত করি সুর
থামাও তোমার তান্ডব লীলা
বৃক্ষ নিধন করিবনা আর
বরং রোপন করিব বারং বার।
গরমের তীব্রতা
ফাতিমা তুস সাদিকা
গরমে জীবন ঘড়ি, হচ্ছে বেসামাল
তীব্রতা দিনে দিনে, করছে সে হাল
স্নিগ্ধ নিশার ক্ষণেও, হারিয়েছি ঘুম
কারেন্ট তো দূরদেশে, মশকের চুম
মশাদের কামড় আছে, সাথে ফ্রি গান
অতিশয় গরম আর- ঝালাপালা কান
পানি সে তো পানি নয়, জলন্ত লাভা
দুনিয়ার বুকে যেন, দোযখের আভা
রুম হিটার হয়ে গেছে- সবগুলো ফ্যান
পড়াতেও মন নেই, মাথা ঘ্যান ঘ্যান !
মন শরীর অস্থির.. অসহ্য যাতনা
পৌঁছেছে হৃদে শুধু- বাহ্যিক ক্ষত না
চাই মোরা পরিত্রাণ, ও মহান আল্লাহ!
রহমে ভিজিয়ে দাও, জগৎ মহল্লা।
গরমের জ্বালা
এ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম
কি দারুণ,
পরিণতি করুণ
অরুণে আগুন।
জ্বলছে দেশ
কথাটা বেশ –
কি! গরম শেষ?
না,
কেবলি শুরু
কাপে বুক দুরুদুরু।
রস হীনে তরু
মাঠ ঘাট চৌচির
বহে বাতাস ধীর
তরু তলে লেগেছে ভীড়।
আর,
একি গরমের জ্বালা
রোদে পুড়ে কালা
কবে হবে শেষ?
পুড়ে দেশ ছাই
বিদায়ী সুর নাই।
জানি,
মাঠের পাকা ধান
স্রষ্টার অবদান
কৃষকের মুখ অম্লান।
আতঙ্কে বিশ্ববাসী
পুড়ছে দেহ,ক্ষেত রাশি রাশি
কবে ফুটিবে মুখে হাসি।
গরম ও লোডশেডিং
গোলাপ মাহমুদ সৌরভ
ঘরে বাহিরে গরম আর
বাড়ছে লোডশেডিং,
জনজীবন এক হতাশার
ঘামে ভিজে বেডিং।
দিনের বেলা রোদের তাপ
রাতে লোডশেডিং,
ক্লান্ত দেহে চোখে ঘুম নেই
অসহ্য মশার মেটিং।
বউ বলে আজ দূরে থাকো
ভালবাসা কাটিং,
গরমে খুব মেজাজ খারাপ
চলবে না ডেটিং।
আজ গরম ও লোডশেডিং
করে তারা চ্যাটিং,
বিষিয়ে তুলবো জনজীবন
চল করি শুটিং।
তীব্র দাবদাহ
গোলাপ মাহমুদ সৌরভ
চারদিকে বিষণ্ণ হাহাকার
বাড়ছে তীব্র দাবদাহ,
কোথাও একটু স্বস্তি নাই
অসহ্য যন্ত্রণা নিরীহ।
গাছের ছায়া খুঁজে বেড়ায়
একটু শীতল বাতাস,
ঠান্ডা পানিতে তৃষ্ণা খুঁজে
বুকভরা যে দীর্ঘশ্বাস।
বড়োই অশান্তি লাগে মনে
শরীর ভিজে ঘামে,
সুখ পুড়ে গেছে দাবদাহে
গরম ডানে-বামে।
গরম ঠাণ্ডা
মনোরঞ্জন ঘোষাল
গরম ছিল মনের ভেতর
গরম ছিল পেটে
ভুলতে গরম সইতে গরম
খেলাম ভাজা পিঠে।
তার পরে এক বিপত্তি সে
শুরু হল ডাক
ডাকতো সে নয় বাজায় যেন
মস্ত বড় শাঁক।
গড় গড়াগড় ছুটছে পিঠে
ছুটছে নাড়ী ভুঁড়ি
মন বলে তায় শান্ত করতে
এখন যে কী করি?
ডাক্তার এলো ওষুধ দিল
থামল রেলের গাড়ি
ঠাণ্ডা করায় শুনলে গরম
আমি এখন মারি।
ঠিকানা
পশ্চিম রামেশ্বর পুর, বজ বজ, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা।
গরম যখন চরমে
শেখ সজীব আহমেদ
আবুল মিয়া খালি গায়ে
ঘুরে বেড়ায় ডানে-বায়ে
গরমে সে অস্থির খুব
মারে গিয়ে পুকুরে ডুব!
বারবার কারেন্ট যায় রে চলে
তাই তো আবুল থাকে জলে।
গিন্নিও যায় সেই পুকুরে
খানা নিয়ে এই দুপুরে।
গরমও হয় পুকুরের জল
আর কতক্ষণ এই জলের তল!
গরম যখন চরমে
ভালো নেই কেউ গরমে!
উপজেলা:টঙ্গীবাড়ি জেলা:মুন্সীগঞ্জ বিভাগ:ঢাকা
গরম
মুহাম্মদ মুকুল মিয়া
গরম-গরম শুধুই গরম
পড়ছে গরম বেশ,
গরম নামের শক্তিটাই
শেষ করিলো দেশ।
গরমে ফসল পুড়ে-
মাটি ফেটে যায়,
মাথায় হাত দিয়ে কৃষক
করে যে হায় হায়।
ফ্যানের বাতাস যেনো-
আগুনেরই হাওয়া,
সারা গা ঘামে ভিজে
হয়ে যায় নাওয়া।
হিটস্ট্রোকে মরে মানুষ
স্কুল-কলেজ বন্ধ,
হেথাহোথা আগুন ধরে
ছড়ায় শুধু গন্ধ।
শক্তিধর সূর্যের—
বড় বেশি তাপ,
মাটি এতো গরম যে
বাপরে বাপ!
——————-
কাফাটিয়া, লেমুবাড়ি, মানিকগঞ্জ।
গ্রীষ্মের হাত থেকে বাঁচতে
তপন মাইতি
গ্রীষ্মের রোদে আগুন ঝরে
করছ কেন আর্জি?
মানুষ তোমরা বুঝতে পারছ
ওসবেই এলার্জি!
জলের বোতল ছাতা মাথায়
বাইরে দেহে জ্বলন
এসি আর কি করবে বলো?
বিজ্ঞান হতেই চলন?
মনে রাখবে প্রকৃতি খুব
রুক্ষ হলে বুঝবে
প্রকৃতির মার বুঝতে পারবে
রেহাই একটু খুঁজবে।
বৃক্ষরোপন করতে হবে
নগরায়ন কমুক
দূষণ একটু কমলে বোধহয়
সচেতনটা জমুক।
নামঃ তপন মাইতি
ঠিকানাঃ গ্রামঃ পশ্চিম দেবীপুর; পোঃ দেবীপুর; থানাঃ মৈপীঠ কোস্টাল; জেলাঃ দঃ২৪পরগণা;
এই পরমে
নবারুন কান্তি বড়ুয়া
এই গরমে ক্লান্ত আমার
ছোট্ট দেহখানি,
আমার মতোই সব মানুষের
লাগছে গরম জানি।
সূর্যের তাপে আগুন যেনো
ঘামে ভেজা গা,
দাদা বলেন বাঁচতে হলে
বেশি পানি খা।
দিনের বেলায় থাকবে ঘরে
বাইরে যেতে মানা,
ইশকুল কলেজ বন্ধ সবই
এটা সবার জানা।
যাদের আছে হার্টের ব্যামো
তাদের দেখে রেখো,
এই গরমে সবাই মিলে
বাঁচার উপায় শেখো।
চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ।
এত গরম
সাইদুল ইসলাম সাইদ
গিন্নি বলে গা টা জ্বলে গরম কেনো এত?
নষ্ট ফ্যানটা যাও নিয়ে যাও সারতে লাগুক যত।
গরম গরম এত গরম
হয়না তোমার মনটা নরম
মাথা আমার নষ্ট আছে করব তোমার ক্ষত।
ইচ্ছে না হয় নতুন কেনো বাঁচতে যদি চাও
আজ থেকে যে রান্না বন্ধ এটাই শুনে যাও
খালি হাতে এলে বাড়ি
শুনবে আমার শত ঝাড়ি
হাসি মাখা মুখখানাটা যদি দেখতে চাও।
এই গরমে
বিধান চন্দ্র দেবনাথ
গ্রীষ্ম কালের কড়া রোদে
ঘেমে হই সারা,
মাঠ পানে ছুটে যায়
দল বেধে কারা?
দলে দলে ছুটছে কৃষক
ধান ক্ষেতের পানে,
কাস্তে আর রশি হাতে
হাসি খুশি মনে।
ক্ষেতে আছে পাকা ধান
মনের মধ্যে হাসি,
ঘরে তুললে সেই ধান
বারো মাস খুশি।
আম কাঁঠাল আছে গাছে
এই মধু মাসে,
গরমে কাঁচা আম
খেতে ভালোবাসে।
এই গরমে আমের ভর্তা
খেতে পাগল পারা,
গ্রীষ্ম কালে পাকা ধানের গন্ধে
আনন্দে আত্মহারা।
খরাতাপে দেহ জ্বলে
আনোয়ার হোসেইন
হয়তো যদি এই গরমে
স্বস্তির ধারা বৃষ্টি,
স্বস্তি পেতো কৃষক মজুর
খুশির হইতো সৃষ্টি।
খুশি হইতো বনবাদাড়ে
বনের পশু/পাখি,
খরাতাপে জ্বলে পুড়ে
শেষটা হওয়া বাকি।
কখন হবে একটু বৃষ্টি
বৈশাখ খরা তাপে,
শহর নগর দেশটা জুড়ে
অতি রোদে কাঁপে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে
এমন খবর বলে,
দিনদুপুরে কাজ করিতে
গায়ে চামড়া জ্বলে।
আরও কয়দিন দেখেশুনে
কাজ করিও সবে,
কালবৈশাখীর ঝড় বৃষ্টি
আসতে পারে তবে।
তাপদাহের ঝুঁকি
মোহাম্মদ আবুল কাসেম
বৈশাখ এলো বাংলাদেশে
তাপদাহ নিয়ে,
রক্ষা করো ওগো মাবুদ
বৃষ্টিপাত যে দিয়ে।
আমরা তোমার অবুঝ বান্দা
পাপ করেছি জানা,
এই দুনিয়ার মোহে পড়ে
হয়ে গেছি কানা।
রোদের তাপেই এই অবস্থা
জাহান্নাম যে কেমন!
কী পরিণাম হবে সেদিন
জানতাম যদি তেমন!
তুমি ছাড়া উপায় যে নাই
দো-জাহানের তরে,
গরম থেকে উদ্ধার করো
স্বস্তি দাও গো ভরে।
মাঠের ফসল পুড়ছে তাপে
জীব যে দিশাহারা,
এমন যদি চলতে থাকে
যাবো আমরা মারা।
বৈশাখী রোদ
শাহজালাল সুজন
বৈশাখ মাসে আনাগোনা
রোদ বৃষ্টিতে খেলা,
তীব্র গরম প্রকৃতির গায়
ভাসে রোদের ভেলা।
কালো পিচের রাস্তাগুলো
নদীর মত লাগে,
কাছে গেলে দেখতে পাই যে
যেমন ছিল আগে।
সবুজ ঘেরা বনের ভাঁজে
চিরকুটে তাই লেখা,
দুঃখগুলো খাঁজে খাঁজে
পরশেতে দেখা।
বাদল গেছে ছুটি নিয়ে
মাথায় দিয়ে ছাতি,
আঁধার ঘেরা মেঘের গায়ে
পুড়ে দিবস রাতি।
মানবজীবন এই গরমে
অতিষ্টতায় ভোগে,
বৃষ্টির অভাব প্রাণীকুলে
তাই ধরেছে রোগে।
তাপ দাহ
মোঃ নূর হোসেন
ঘরে ভিতর বিদ্যুৎ নাই
গরম চারিদিকে
মাঠে-ক্ষেতে, অফিস পাড়ায়
কেমনে থাকবো ঠিকে।
রাস্তার পাশে গাছ পালা নেই
জিড়িয়ে নিব স্বস্তি
ইটের শহর অগ্নিস্তুপে
অতিষ্ঠ সব বস্তি।
তোমার আশায় বসে আছি
কবে আসবে বৃষ্টি!
তোমার ছোঁয়ায় শীতল হবে
প্রকৃতির সব সৃষ্টি।
দায়িত্বশীল বলছে সবাই
বের হবে না বাইরে
কাজ না করে কেমনে খাব
ভেবে নাহি পাইরে।
সাহেবরা সব এসির নীচে
আচ্ছা মহাসুখে
তাপ দাহের যন্ত্রণা সব
খেটে খাওয়ার বুকে।
গ্রীষ্ম এলো
মাহী সুলতানা রুমা
গ্রীষ্ম এলো গরম নিয়ে
বৃষ্টি কোথায় পাই,
মনের আনন্দ, বাতাসের বেসে হারিয়ে যাই।
গরম এলো হায় ..
বৃষ্টি তো এখন নাই ।
কবে পাবো বৃষ্টির একটু ছাই …
গরমের জালাই সবাই,
কারেন্ট এর আশ্রয় নেই।
দিন শেষে কারেন্ট ও নাই..
গরম থেকে বাঁচতে চাই
প্রকৃতির সুরক্ষা ই.।
বাহিরে তে হাওয়া বয়ে যাই..!
বের হওয়ার কোন উপায় নেই,,
থাকে কতো কাজ ,
অফিস, মাদ্রাসা..
দুনিয়াতে কাজের অভাব নেই,,
ভালো লাগার কোন উপায় নেই ..!!
বাতাসের সাথে যুদ্ধ যেতেই চাই,
প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যাই ।
কোন কিছু করার উপায় নেই।
গরম থেকে বাঁচার উপায় চাই..!
বাতাসের হাওয়া একটু চাই,,
মন ছুঁয়ে একটু শান্তি চাই ।
গরম থেকে একটু বাঁচতে চাই..!!
অতিষ্ঠ গরমে
মোঃ সিহাব হোসেন
অদিতির মানবজাতি অতিষ্ঠ আদিত্যে ৷
পশু-পাখি তো আছেই ৷
নদী-নালা,খাল-বিল যাচ্ছে শুকিয়ে ৷
রবির এই তীক্ষ্ণ তাপে ৷
প্রখর রৌদ্রে সূর্য হাসে,
গগনে ভাসে মেঘ ৷
পাতালে বসে মানুষ কাঁদে ,
অতিষ্ঠ তীব্র গরমে ৷
দিনের পর দিন যাচ্ছে চলে ৷
পার হয়ে গেল মাসখানি,
বৃষ্টির নাই তো দেখা ৷
গাছের পাতা-বাকল শুকিয়ে যাচ্ছে,
সূর্যের প্রখর তাপে ৷
জনজীবনে নেমে এসেছে হতাশা,
কবে যে হবে পরিবেশ ঠান্ডা ৷
দেখতে পাবো বৃষ্টির দেখা,
এই অদিতির বুকে ৷
তীব্র গরমে অতিষ্ঠ সকলে ৷
গ্রীষ্মের দুপুর
মোঃ রানা আহমেদ
গ্ৰীষ্মের দুপুরে,
শুকিয়ে গেছে পুকুর
বাড়ির পাশে তৃ্ষ্ণায়
ডাকিতেছে কুকুর।
গ্ৰীষ্মের দুপুরে,
রৌদ্রের যা তাপ
গা থেকে বের হইতেছে
গরম গরম ভাব।
গ্ৰীষ্মের দুপুরে,
জনজীবন দিশাহারা
বৃদ্ধ যুবক অনেকেই কর্মহারা।
গ্ৰীষ্মের দুপুরে,
বালুতে ফেলতে পারিনা চরণ
কারেন্টের যা ধরন
বলতেই লাগে শরম।
দুপুর বেলা সূর্যের যা তাপ
খাইতে হবে ডাব।
গরম নিয়ে ক্যাপশন
০১। এভাবে চলবে তো আগুনে জ্বলবে,
ফিরে আসো প্রকৃতি তে তাপপ্রবাহ কমবে।
কৃষকের মুখে হাসি দেখতে যদি চাও,
তুমি নিজেও নিজের মতো কৃষক হয়ে যাও।
০২। রসে ভরা আনারস
চড়া দামে হাঁকছে,
খেতে লেবু মিঠে জল
দোকানী যে ডাকছে।
০৩। স্কুল,কলেজ হচ্ছে ছুটি,
কেমন করে বাঁধব জুটি।
তাপমাত্রা আজ ৪২’ ডিগ্রি,
সূর্য মামা কি রাগী?
০৪। আবর্জনার পরিমান কমিয়ে আনতে হবে,
দূষণযুক্ত পরিবেশ মুক্ত হবেই তবে।
রাস্তাঘাট এর পাশে আর ফাকা জায়গা জমি,
যেথাই পাবো গাছ লাগাবো থাকবেনা মুক্ত ভূমি।
০৫। কাজের মাঝে নাই শান্তি,
গরমে আসে শুধু ক্লান্তি।
সূর্য মামার অট্ট হাসি,
বেজায় গরম লাগে বেশি।
০৬। আবার ফিরবে বৃক্ষের শীতলতা ঝরবে অঝরা বৃষ্টি
প্রকৃতি ফিরলেই কমবে তাপ, জমবে শীতল সৃষ্টি।
মানুষ নামের মানুষ না হয়ে মানুষ হও তুমি
প্রকৃতি বাঁচালে বাঁচবে মানুষ না হলে হবে মরুভূমি।
০৭। রক্ত যেন যাচ্ছে গলে
ঝরছে শুধুই ঘাম
কেমনে খাব ঠান্ডা কিছু
সব জিনিসের দাম।
০৮। অমৃত স্পর্শ নিতে
গাছতো লাগাও বাছা
প্রকৃতিটা নরম হবে
শান্তি পাব ছাচা।
০৯। নদী মাঠ খালবিল
তাপে ঠায় দাঁড়িয়ে,
চাষী ভাই হুঁশ নাই
খেই ফেলে হারিয়ে।
১০। পশুপাখি মেলে আঁখি
জলে শুধু ডুবছে,
ছেলে, বউ, বুড়ো খুঁড়ো
বারবারই চুবছে।
গরম নিয়ে ছোটগল্প
- পাখি ও দুটি ছানা (ছোটগল্প)
- কলমে আতিক এ রহিম
প্রচন্ড তাপদাহ সারা দেশ জুড়ে। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। সামিহার স্কুল ও বন্ধ। সামিহা এবার চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। রোজার বন্ধের পর আজকে স্কুল খোলার কথা ছিল। কিন্তু বাবা রাতে জানাল সামিহা তোমার স্কুল তো আবার বন্ধ হয়ে গেল।স্কুল বন্ধের কথা শোনে মনটা খারাপ হয়ে যায়।
অনেক দিন ধরে সহপাঠী মালিহার সাথে দেখা হয়না রোজায় স্কুল বন্ধ হওয়ার জন্য। ঈদের আগের দিন রাতে সামিহা মালিহাকে মোবাইল করে ঈদের দিন বিকালে বাড়িতে আসার জন্য। সামিহা বলে,কাল বিকালে আমার বাসায় আসবি কিন্তু।
মালিহা ওপাশ থেকে বলে দেয় নারে সামিহা এবার আসতে পারব না।আমরা ঈদের দিন বিকালে মামা বাড়ি চলে যাব।আমার ছোট আন্টির বিয়ে তো।
সামিহা বলে, ও।
বিষাদ মনে মোবাইল রাখে। মা বলে, কি হয়েছে মালিহা আসবেনা?
সামিহা বলে, মালিহা কাল মামা বাড়ি বেড়াতে যাবে। ওর ছোট আন্টির বিয়ে।
রাতে বাবার কাছে স্কুল বন্ধের কথা শোনে মনটা খুব খারাপ হয়ে যায়। কাল স্কুলে গেলে সবার সাথে দেখা হতো
খুব গরমের জন্য ঘরে বসে থাকা কষ্টকর। বিদ্যুৎ নেই। দুপুরে খাওয়ার পর ঘরের দরজায় বসে বাবার সাথে কথা বলছে সামিহা।বিকাল হয়ে আসছে এখনো রোদের ঝাঁঝ কমেনি।
এমন সময় চোখে পড়ে তাদের শিউলি ফুলের গাছের ডালে একটি মৌটুসী পাখি বাসা করছে। সে বাসায় দুটি ছোট বাচ্চা আছে। সারাদিন কিচিরমিচির শব্দ করে ডাকাডাকি করে। বাবার কাছে সামিহা জানতে চায় ওরা মাঝে মধ্যে খুব কিচিরমিচির করে।
বাবা বলে, ওদের ভাষায় ওদের ক্ষুধার কথা মাকে বলে,মা খিদে লাগছে খাবার খেতে দাও।
সামিহা বলে, তাই বাবা!
আজ দেখে ছানা দুটি ঠোঁট উঁচু করে ওর মায়ের মুখের কাছে কিচিরমিচির করে ডাকছে। ছানা দুটির শরীরে রোদ ও পড়ছে।
সামিহা বলে, এখন এ ছানা দুটি কাঁদছে কেন?
বাবা বলে, যে গরম পড়ছে ওদের খুব গরম লাগছে।
সামিহা বলে, সত্যি বাবা! আচ্ছা বাবা এত গরম পড়ছে কেন?
বাবা বলে, দেখ আমরা দিন দিন গাছ পালা কেটে বন উজাড় করে দিচ্ছি,ঘর বাড়ি করছি তাতে কার্বনডাই-অক্সাইড বেড়ে ঝড়,বৃষ্টি, বন্যা,খরা হচ্ছে। আবার দেখ বেশি বেশি বজ্রপাত পড়ে মানুষ মারা যাচ্ছে।
সামিহা বলে, বাবা তাহলে আমাদের কি করা উচিত?
বাবা বলে, বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। প্রয়োজনে একটি গাছ কাটলে দুটি গাছ লাগাতে হবে।
সামিহা বলে, এজন্য বাবা,স্কুলে আতিক স্যার আমাদের দিয়ে আম,জাম,কাঁঠাল, পেয়ারা, সুপারি গাছ রোপণ করেছেন।বাবা তোমাকে বলতে ভুলে গেছি আতিক স্যার আমাকে দিয়ে একটি সুপারি গাছ লাগিয়েছেন।স্যার আমাকে বলছেন এ গাছটি তোমার। তুমি স্কুলে আসলে প্রতিদিন পানি দেবে। আমি প্রতিদিন স্কুল ছুটির পর গাছে পানি দেই।
বাবা বলে, তাই নাকি?
সামিহা বলে, হ্যাঁ বাবা।
বাবা বলে, তাহলে তো তোমার গাছটা দেখতে যেতে হবে একদিন।
সামিহা বলে, আচ্ছা বাবা তোমাকে নিয়ে যাব স্কুল খুললে।