বৃষ্টির কবিতা, ছন্দের প্রতি আমাদের একটা টান বা মায়া কাজ করেই। অনেক বৃষ্টি বিলাসী মানুষ আছে যারা সেই সময় বেশ উপভোগ করতে ভালোবাসে। বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ হওয়ার বৃষ্টির জন্য বেশ দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। প্রতিমাসে না হলেও ৩/৪ মাস অন্তর অন্তর আবার মাঝে মাঝে বৃষ্টি দেখা পাওয়া যায়। আজকে আমরা অনেক গুলো বৃষ্টির কবিতা পড়বো, পড়লে আশা করি আপনাদের ভালোলাগবে।
বৃষ্টি এলে
অলোক কুমার ভট্টাচার্য্য
বৃষ্টি এলে দুয়ার খুলে
বসতে দেবো তাকে
জানতে চাইব খুব গরমে
কোন মুলুকে থাকে ।
তপ্ত রোদে দুপুরবেলা
গাছের ছায়া খুঁজে
পথিক এবং পশুরা সব
সয়েছে মুখ বুজে ।
বৃষ্টি কেবল দৃষ্টি এড়ায়
ভীষণ দুষ্টু ছেলে
ছাতা নিয়ে কাতুকুতু
দিতাম কাছে পেলে ।
এই গরমে হাঁসফাঁসে প্রাণ
বড়ই ওষ্ঠাগত
বৃষ্টি এলে ভিজতে আমি
সানন্দে সম্মত ।
বৃষ্টি দিনে
স্বাগতা ভট্টাচার্য
সব বৃষ্টিই প্রেমিক খোঁজে এমনটা ঠিক নয়।
দামব রূপে ঝঞ্ঝা এলে ছাদ হারানোর ভয়।
কাঁপছে গ্রাম আর কাঁপছে শহর কাঁপছে উপকূল।
কোলের খোকন যাচ্ছে ভেসে কেউ তো তাকে তুল।
বৃদ্ধ বাবা বাণের তোড়ে যাচ্ছে যেমন খড়কুটা।
দুধের শিশু কাঁধে নিয়ে বেবাক চোখে তার ব্যাটা।
আমি কেমন দিব্যি আছি আমার ড্রয়িং রুমে!
ভাবছি তোমায় লিখবো চিঠি নীলরঙা এক খামে।
চালের পাপড় পেঁয়াজী আর গরম চায়ের সাথে।
ভাসছে কেমন দেখছি শহর রিমোট নিয়ে হাতে।
গরম চায়ে চুমুক দিয়ে দেশের খবর রাখি।
ভাসবে ওরা সর্বনাশের রইলো না আর বাকি।
অনেক সময় পার হয়েছে হলো অনেক বেলা।
ভাবছি কবে বন্ধ হবে জীবন নিয়ে খেলা।
বোশেখ শেষে ঝঞ্ঝা এলে তাইতো ব্যাথা বুকে।
আর কতকাল ওদের খোকন মরবে ধুঁকে ধুঁকে!
বৃষ্টির ছন্দ
অরুণ বর্মন
বৃষ্টি পড়ে টিনের চালে
টপটপাটপ দাদরা তালে
নাচছে খুকু উঠোন জুড়ে
বৃষ্টি পড়ার ছন্দে তালে।
ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ডাকছে ব্যাঙে
উজান টানে ট্যাংরা চ্যাঙে
হাঁসগুলো সব খুশি মনে
লাফায় বিলে লম্বা ঠ্যাঙে।
কেউবা চলে ছাতা মাথে
কেউবা ঢাকে কচু পাতে
কেউবা রেইন কোটটা পরে
ছন্দে চলে বৃষ্টির সাথে।
বৃষ্টিমাখা এমন ক্ষনে
ইচ্ছে জাগে মনের কোণে
মেঘের সাথে বন্ধু পাতি
ছুটে যাই ঐ নীল গগনে।
আয় বৃষ্টি
মঙ্গল দাস
গরমে আর ভাল্লাগেনা
আয় না ওরে বৃষ্টি,
মা ধরিত্রীর জুড়াক জ্বালা
বাঁচুক প্রভুর সৃষ্টি।
ওই যে চাতক কাতর স্বরে
ছুটছে মেঘের পানে,
আয় না নেমে ঝমঝমিয়ে
মিষ্টি মধুর তানে।
দে ভরিয়ে কানায় কানায়
শুকনো খাল আর বিলে,
শাপলা হাসুক খিলখিলিয়ে
ময়নামতির ঝিলে।
রোদের তাপে ধরার মাটি
খাক হয়েছে পুড়ে,
তোর ছোঁয়াতে ফলবে ফসল
মাটির বক্ষ জুড়ে।
মিষ্টি মেয়ে বৃষ্টি আমার
আয় না টুকু কাছে,
ক’মাস হলো আসিস নে তুই
রাগ হয়েছে পাছে!
বৃষ্টি পড়ে
বিদ্যুৎ মিশ্র
বৃষ্টি পড়ে টুপুর টাপুর
পদ্মদিঘির ঘাটে
বৃষ্টি পড়ে সকাল থেকে
কাশীপুরের হাটে ।
বৃষ্টি পড়ে ঝম ঝমা ঝম
একটুও নেই স্বস্তি
বৃষ্টি পড়ে তাইতো খোকার
ভীষণ রকম মস্তি।
বৃষ্টি পড়ে শিমুল বনে
সোঁদা মাটির গন্ধ
বৃষ্টি পড়ে তাইতো কবি
খুঁজে নানান ছন্দ।
বৃষ্টি পড়ে পুকুর ঘাটে
টিনের ছাওয়া ঘরে
বৃষ্টি পড়ে সকাল থেকেই
মনটা কেমন করে।
বৃষ্টি পড়ে রাত দুপুরে
টাপুর টুপুর টুপ
বৃষ্টি পড়ে তাইতো বুঝি
নামলো আঁধার ঝুপ।
বৃষ্টির দিনে
জাহিদ বিন মোস্তফা
ঘনগন বৃষ্টি পড়ে
বাড়ছে অনেক পানি,
বর্ষাকালে ভিজে ভিজে
মাছ ধরিতে জানি।
নদী-নালা খালে বিলে
ভরপুরে সব পানি,
চতুর্দিকে শুভ্র দেখায়
সবুজ গাছের ছানি।
বর্ষাকালের নতুন পানি
করছে মাছে খেলা,
রঙ্গে-রঙ্গে মাছ ধরিতে
হারিয়ে ফেলি বেলা।
বৃষ্টি ভেজা পথ
সাদিয়া আফরোজ
বৃষ্টি ভেজা পথে হাঁটতে
ভীষণ ভালো লাগে,
বৃষ্টি ভেজা গাছগুলো ভাই
দেখে আবেগ জাগে।
বৃষ্টির ফোটা হাতে নিয়ে
ভাবে মনটা ভাসে,
আনমনা হই নিজে আমি
বৃষ্টির এই আভাসে।
বৃষ্টি এলে হৃদয় মাঝে
আসে প্রেমেরি ভাব,
চারপাশ যেন রঙিন লাগে
নতুন লাগে তো সব ।
বৃষ্টি ভেজা ঘাসের উপর
সিল্প কেটে পড়ে,
অনেক মজায় হাসি মুখে
দৌড়ে যাই তো সড়ে।
বৃষ্টি দিনে
ফাতেমা সাইফুল বীনু
সবুজ পাতায় বৃষ্টি ফোঁটা টাপুরটুপুর,
মুখর হোল বর্ষাকালের ক্লান্ত দুপুর।
টিনের চালের বৃষ্টি যেন সোনার নুপুর,
নাচছে যেন ঝুমুর তালে ভরা পুকুর।
বৃষ্টি পড়ে মনটা উদাস অলসবেলা,
জমছে পানি খালে-বিলে ভাসবে ভেলা।
কানের কাছে মধুর সুরে বৃষ্টিখেলা,
পুকুরপাড়ে ঘ্যাঙর ডাকে ব্যাঙের মেলা
আকাশ কালো মেঘ সরে যায় বৃষ্টি শেষে,
নৌকা চলে রঙিন পালে দূরের দেশে।
গাছগাছালি সাজল আবার নতুন বেশে,
ভেজা বেলির হালকা সুবাস আসছে ভেসে।
ফুটবে কদম দোলনচাঁপা ক’দিন পরে,
আম কাঁঠালে ফলের বাজার উঠবে ভরে।
ছাতা মাথায় চলছে পথিক অফিস ঘরে,
হঠাৎ কেযে বৃষ্টি দিনের গানটা ধরে।
বাদল দিনে
এস এম রেজা
বাদল দিনে অলস লাগে
মন বসেনা কাজে,
সূর্যি মামা দেয় না দেখা
মুখটা লুকায় লাজে।
আকাশ ভরা কালো মেঘের
চাদর দিয়ে ডাকা,
মনটা কোথায় যায় হারিয়ে
সবই লাগে ফাঁকা।
শীতল বাতাস বইছে আজি
বৃষ্টি বুঝি পড়ে,
সাদা মেঘের ঝর্ণা হয়ে
আকাশ থেকে ঝড়ে।
আষাঢ় শ্রাবণ দুই মাসেতে
আকাশ করে খেলা,
মেঘলা দিনে বৃষ্টির ফাঁকে
দেখি রোদের মেলা।
বৃষ্টির দিনে
মোহাম্মদ কাসেম
নীল আকাশে নেমে আসে
ঝিরঝির শীতল বৃষ্টি,
সবুজ মাঠে ভিজে তখন
হয় নতুন ঘাসে সৃষ্টি।
বৃষ্টির দিনে মনে পড়ে
পুরনো দিনের কথা,
কত যে আনন্দে ছিলাম
হৃদয় মাঝে তা গাঁথা।
শ্রাবন রাতে ঝর ঝর
বৃষ্টির যে ছন্দ,
টিনের চালের ঝুম ঝুম শব্দ
লাগে না তো মন্দ।
টুপটুপাটুপ কি অপরুপ
মেঘের ভেলা সাজে,
নদীতে জেলে থাকে
মাছ ধরার কাজে।
বৃষ্টির কবিতা
বিজন মজুমদার
বৃষ্টি এলেই মন যে আমার
মাঠের পানে ছোটে
ছেলেবেলার দিনগুলো সব
ফুলের মতো ফোটে ।
চলতো কত রঙের খেলা
মাঠের জমা জলে
সেই খেলাতে বন্ধুরা সব
মিলতো দলে দলে ।
জল কাদাতে ভূতটি সেজে
বাড়ি ফেরার পরে
গুরুজনদের বকাঝকায়
মরমে যেতাম মরে ।
কাদা জলে মানুষ হওয়ার
মজাই ছিল অন্য
বৃষ্টি রানীর ভালোবাসায়
ছিলাম কত ধন্য !
আষাঢ় এলো
বদ্রীনাথ পাল
আষাঢ় এলো ঈশান কোণে
মেঘ জমেছে ওই,
রুক্ষ মাটি বন বিথিকা
লাগালো হৈ চৈ।
বৃষ্টি বিনে সবার যেন
ওঠে নাভিশ্বাস,
মেঘ দেখে তাই জাগলো মনে
নতুন প্রাণের আশ।
ভরবে নদী একূল ওকূল
ভরবে জলাশয়,
চাষীর মুখে ফুটবে হাসি
জয় মাটির-ই জয়।
শস্য শ্যামল ধরা হবে
ফুটবে ফুল ও ফল-
তৃপ্ত হবে এই ধরনী
ভাসাক তাকে জল।
বৃষ্টি, সেতো আকাশ মায়ের
সবার সেরা দান,
যে দানেতে বাঁচে সবাই
আসে নতুন প্রাণ।
টাপুরটুপুর বৃষ্টি পড়ে
রানা জামান
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ
বৃষ্টি পড়ে যখন তখন
জোরে কিংবা ধীরে
পথে পড়ে চালে পড়ে
পড়ে পাখির নীড়ে
টাপুরটুপুর পড়ে কিংবা
পড়ে মুষলধারে
পিচ্ছিল পথে পড়লে কেহ
সবার নজর কাড়ে
একনাগাড়ে বৃষ্টি ধারায়
জলের আকার বাড়ে
চালাক চতুর মাছেরা সব
বদ্ধ জলা ছাড়ে
বৃষ্টির জলে ভিজে খুশি
খালে বিলে ব্যাঙ যে
দীর্ঘ স্বরে ডাকতে থাকে
মেলে লম্বা ঠ্যাং যে
পথের মাঝে নামলে বৃষ্টি
মেলে ধরি ছাতা
বাসায় থাকলে ছাদে গিয়ে
ভিজাই শরীর মাথা।
বৃষ্টি পড়ে
সুপদ বিশ্বাস
বৃষ্টি পড়ে
গাঁয়ের পথে বাঁধা ছাগল ভ্যাভ্যা করে,
কিষাণ বধূ উঠানের ধান বস্তায় ভরে।
বৃষ্টি পড়ে
চাতক পাখির চোখেমুখে ফুর্তি ঝরে,
শিশুকে মা নিষেধ করে ভুগবে জ্বরে।
বৃষ্টি পড়ে
শাবক পাখি বসে আছে মায়ের তরে,
দূখীনি মা’য় গামলা পেতে ভগ্ন ঘরে।
বৃষ্টি পড়ে
দীঘির জলে হংস যুগল খেলা করে,
অবাধ্য সব শিশু গুলো খেলে চরে।
বৃষ্টি পড়ে
ঝোপেঝাড়ে ব্যাঙে ডাকে উচ্চ স্বরে,
বৃদ্ধ দাদুর শীতে যেন জাপটে ধরে।
বৃষ্টি পড়ে
মায়ের কোলে নবজাতক ভীষণ ডরে,
কবির মনে নতুন নতুন শব্দ ক্ষরে।
বৃষ্টি পড়ে
ঈশিতা পাল
বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর,
বাজায় কে সে জলনুপূর?
গুমোট হাওয়া কেটে যায়,
আয় বৃষ্টি ঝেঁপে আয়।
রিমঝিমঝিম সারা বেলা,
দে ছেড়ে দে খুশির ভেলা-
জল থইথই গাঁয়ের পথ,
মেঘবালিকার খেলার রথ।
পুকুর নদী জলে ভরা,
প্রকৃতি আজ পাগলপারা-
জলছপছপ রাস্তাগুলো,
কাদায় ভরা নেইতো ধুলো।
পুকুর-খালে গ্যাঙরগ্যাঙ,
ডাকছে জোরে শতেক ব্যাঙ-
কদমফুলে লেবুর পাতায়,
বৃষ্টি নামে আকাশ কাঁপায়।
বৃষ্টির কবিতা
ড.মির্জা গোলাম সারোয়ার পিপিএম
বৃষ্টি পড়ে খুব জোরে
ছোট টিনের চালে,
টাপুর টুপুর শব্দ করে
পড়ে বিলের খালে।
ঝুপুর ঝাপুর টুপ টাপ
সবসময় ঝরছে,
থেমে থেমে সারাদিন
ঝরে ঝরে পড়ছে।
কোলাব্যাঙ খুশি হয়ে
ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ ডাকে,
হাসি মুখে লাফায় সে
ভরা বিলের বাঁকে।
কৈ মাছ উজান বেয়ে
পুকুর ছেড়ে যায়,
স্বরপুঁটি সাঁতার কেটে
খুবই মজা পায়।
বোয়াল মাছ খুশি হয়
শুধু লাফাতে চায়,
রুই মাছের নাচ দেখে
প্রাণ জুড়িয়ে যায়।
বৃষ্টিরে তুই কোথায় গেলি
ক্ষুদিরাম নস্কর
বৃষ্টিরে তুই কোথায় গেলি?
এই পাড়াতে আয়।
দারুন গরম দুপুরবেলা
ফোসকা ফেলে গায়।
সেই যে গেলি গত বারে
আর এলি না তুই,
এবার এলে দেখতে পাবি
ফুটেছে বেল জুইঁ।
রাতের আকাশ জোসনা মাখে
জোনাক জ্বালে দীপ,
পাতার ফাঁকে ফুলের মুখে
কাঁচপোকাদের টিপ।
সবাই কেমন মনমরা আর
ভীষণরকম চুপ,
আসলে দেখিস ওরা কেমন
চর্চা করে রূপ।
মন খারাপের মেঘগুলোকে
রেখে আসিস ঘর—-
তবেই তো তুই ফুলের মত
ঝরবি রে ঝর ঝর।
বৃষ্টির কবিতা
গৌর গোপাল পাল
ঈশাণ কোণে মেঘ জমেছে
বৃষ্টি এলো ঝেঁপে!
কার সাথে কার মন মজেছে
কেউ রাখেনি মেপে!!
বৃষ্টি ভেজা মন নিয়ে আজ
শরীর ভেজায় আমি!
সরিয়ে রেখে সমস্ত কাজ
চাইছি হতে দামী!!
পড়ছে ঝরে টিপ টিপা টুপ
ভিজছে সারা দেহ!
আমরা শুধু দুইজনে চুপ
খোঁজ রাখে না কেহ!!
দেহের সাথে মন ভিজিয়ে
জুড়ায় দেহ-মন!
আমরা ভিজি মন রাঙিয়ে
দোহে সারাক্ষণ!!
বৃষ্টি ভেজা ঈদ
মিয়াজী তোফায়েল আহমাদ
ঈদের দিনে খুশি মনে
নামাজ পড়তে এলে,
বৃষ্টি ভেজা নামাজপড়া
সবার ভাগ্যে মেলে।
ক্ষণে ক্ষণে বৃষ্টি বাড়ে
শব্দ যে শনশনে,
ঈদের খুশি বৃষ্টির ঢলে
মিশে জন’মনে।
বৃষ্টি আরো বাতাস বহে
কাঁচা ধানের ক্ষেতে,
ধানের গাছে নোয়ায় মাথা
ঝড় তুফানে মেতে।
কোন রকম বাড়ি এলে
ঝড়ের গতি বাড়ে,
টাপুরটুপুর আম যে পরে
প্রাণটা ভয়ে নাড়ে।
বৃষ্টি পড়ে আষাঢ় মাসে
জিশান মাহমুদ
বৃষ্টি পড়ে আষাঢ় মাসে
নদীর বাঁকে বাঁকে
বৃষ্টি পড়ে ছন্দ তালে
গাছের ফাকে ফাকে।
বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর
সকাল হতে দুপুর
বৃষ্টি পড়ে রিমঝিমিয়ে
ভরে উঠে পুকুর।
বৃষ্টি পড়ে টিনের চালে
মনকাড়া এক সুরে
বৃষ্টি পড়ে খোলা মাঠে
সারাটা গ্রাম জুড়ে।
বৃষ্টি পড়ে দূর্বাঘাসে
আকাশ করে কালো
বৃষ্টি পড়ে উঠোনেতে
দেখতে লাগে ভালো।
শ্রীবরদী, শেরপুর।
মেঘের দুপুর
মাঈনুদ্দিন মাহমুদ
টাপুর টুপুর মেঘের দুপুর
বিষ্টি নাচে তালে,
ওই দেখা যায় দুরের গাঁয়
মাঝি ভাইয়ের পানসে না’য়ে
বিষ্টি নাচে তালে।
খেমটা নাচে ডিস্কো নাচে
হরেক রকম নাচে,
মেঘের মেয়ে আজকে দেখি
কি আনন্দ খুশি সে কি
বহুরূপী সাজে।
আয় বৃষ্টি মুশলধারে
জেহান মোবারক
আয় বৃষ্টি মুশলধারে
শোঁ শোঁ ধ্বনিতে আয়
টাপুরটুপুর বৃষ্টির ফোটা
প্রশান্তি দিয়ে যায়।
গ্রীষ্মকালের উষ্ণ গরম
শরীরে ঘামাচি গজায়,
মুশলধারে বৃষ্টি ভেজায়
ঘামাচি হাবুডুবু খায়।
জলদি আসো মেঘ বৃষ্টি
ক্লান্ত দেহ ঘামায়
ভিজিয়ে দেবো পুরো গা
ফাঁকা উঠানে দাঁড়ায়।
রোদ বৃষ্টি মিলে ফসল
শ্রম ঘামের মূল্য পায়
মাঝে মধ্যে শিলাবৃষ্টি
চাষীর অশ্রু জরায়
আয় বৃষ্টি মুশলধারে
চাষীর ক্ষেতে আয়
ফসল ভরা ক্ষেতে গিয়ে
চাষীর বুক ভরায়।