Chemical Technology কী?.
রাসায়নিক প্রকৌশলী বাংলা অর্থে, যেখানে রাসায়ন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করা হয়। বিভিন্ন প্রকার দ্রবণ সহ রাসায়নিক যন্ত্রপাতিই নিয়ে মূলত Chemical Technology বিষয়বস্তু।
বাংলাদেশে Chemical Technology ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং করার জন্য সরকারি ইনস্টিটিউটে সিট রয়েছে মাত্র 200 টি (ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট)। বাংলাদেশে প্রতিবছর কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার দরকার হয় কম করে হলেও ৫০০/৬০০। তার মানে চাহিদা অনুযায়ী ইঞ্জিনিয়ারের সংখ্যা খুবই নগন্য। মেঘনা গ্রুপ,বসুন্ধরা গ্রুপ, ইউনিলিভার, সকল প্রসাধনী ইন্ডাস্ট্রি থেকে শুরু করে সরকারি সার কারখানা ঔষধ শিল্পসহ অসংখ্য ইন্ডাস্ট্রিতে প্রচুর পরিমাণ কর্মক্ষেত্র রয়েছে . অষ্টম পর্বে থাকাকালীন সময়ে চাকুরী নিশ্চিত, এমন নিশ্চয়তা কেমিক্যাল ডিপার্টমেন্ট ছাড়া অন্য কোনো ডিপার্টমেন্ট দিতে পারবে না। যারা কেমিক্যাল নিয়ে পড়েছে তাদের সাথে যোগাযোগ করে দেখতে পারেন তারা এখন কোন অবস্থানে আছে। আর যারা বলতেছে যে কেমিক্যালে চাকরির ক্ষেত্র কম তাদেরকে জিজ্ঞেস করবেন যে আপনার ডিপার্টমেন্ট থেকে পাস করে কতজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার এখন অব্দি বেকার রয়েছে। আর এটাও বলবেন যে তারা যেন একজন কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার কে দেখায় যেকিনা চাকুরীর অভাবে এখনো বেকার। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে-ধরেন, আপনার পরিবারে সদস্য সংখ্যা পাঁচ জন আপনি বাজার থেকে পাঁচটি মিষ্টি নিয়ে আসলেন অপরদিকে আমার পরিবারে সদস্য সংখ্যা ১৫ জন আমি দশটি মিষ্টি নিয়ে আসলাম এখন কার পরিবারের সদস্যরা মাথাপিছু বেশি মিষ্টি পেলো? অবশ্যই আপনার পরিবারের সদস্যরা বেশি পাবে কারণ আপনার পরিবারে সদস্য সংখ্যা অনেক কম। আর অন্যদিকে আমি আপনার থেকে দ্বিগুণ মিষ্টি ক্রয় করার পরেও আমার ফ্যামিলির সদস্যদের চাহিদা পূরণ করতে পারলাম না পুরোপুরি। আশা করি কিছুটা হলেও ধারণা দিতে পেরেছি।
বি.দ্র : কেমিক্যাল ডিপার্টমেন্ট থেকে বিএসসি করার জন্য ঢাকা ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি (ডুয়েট) এ ২০ টি সিট রয়েছে। —-কেমিক্যাল ডিপার্টমেন্ট বাছাই করার জন্য আপনাকে অগ্রিম অভিনন্দন।