অপেক্ষা
জান্নাত স্মৃতি
ঝরো ঝরো মুখরিত বাদল ও হাওয়া
বকুল ও তুলিছে আমারই প্রিয়া।
ফুল হাতে ফুলবনে করছে ভ্রমন।
মধু খেতে মৌমাছি করছে লোচন।
চারিপাশে পরছে বৈশাখী জল।
উষ্ণ ঈষৎ মাটি আজ হচ্ছে নির্মল।
দূর হতে কোকিল আর হুতুম পেচার ডাক।
বাবুই পাখি টিয়া আজ ভয়ে নির্বাক।
কদম,কেয়া, কামিনী,আর শ্বেতচাঁপার সুবাসে।
তাহার কথা ভেসে আসে স্নিগ্ধ বাতাসে আবেশে।
পাল তোলা নৌকো সব হচ্ছে জড়োসড়ো।
পদ্ন শাপলা শালুক গুলো হচ্ছে এলোমেলো।
ফোটা ফোটা বৃষ্টির মাতাল করা ফুল।
প্রেয়সীর জন্য মন করছে আকুল।
বেলি, জুইঁ, গন্ধরাজ, আর হাসনাহেনা ফুল।
সুহাসীনির জন্য মন করছে যে ব্যাকুল।
মালতি গাছে ধরেছে সুরভিত মুকুল।
দোলন চাপা কামিনী আর সাদা কাঠগোলাপ।
প্রেয়শীর প্রনয়ণে মনঃক্ষুণ্ন করছে প্রলাপ।
দূর হতে আসছে মৃদু মন্দ বাতাশ।
তাহার জন্য মন পুরো করছে হাসফাস।
আকাশের ঘনঘটা মেঘলা পুরো দিন।
জানিয়ে দাও মেঘকুঞ্জ আসলে সে হবো আমি রঙিন।
বাদলা দিনের বৃষ্টি পরে তাহার কথা মনে পরে।
পশ্চিম থেকে ঐ দূরে পক্ষিরাজে ভর করে।
বৃষ্টির জোয়ারে ভসে আসুক সে আমার দেশে।