বৃষ্টি নিয়ে স্ট্যাটাস
আকাশ মেঘলা, বৃষ্টিময় আবহাওয়া দিন শেষে তুমি আমি দুজনে একলা। এসো না! ভালোবাসি কাছে আসি বৃষ্টি নিয়ে স্ট্যাটাস ও কবিতা গুলো পড়ি।
০১। মন পাড়ায় আবেগ ঝরে ফোঁটায় ফোঁটায় ,
শ্রাবণের বারি অঝোরে বর্ষে সজনে ডাটায়।
পুকুরে বুদবুদ বৃষ্টির তালে রিনিঝিনি নূপুর বাজে ।
ঘোমটা টানছে আকাশ তীব্র হাওয়ার লাজে।
০২। বৃষ্টিভেজা কায়া তোমার দেখতে প্রীতিকর
রূপ-লাবণ্যে রূপে তোমার শোভন চরাচর।
~ ইদ্রিস রাশেদ
০৩। এইযে বৃষ্টি টিপটাপ
তোমাকেই ভাবছি চুপচাপ!
০৪। আকাশ থেকে ঝড়ে বৃষ্টি
স্রষ্টার কি অপরুপ সৃষ্টি
অবাক হয়, দিয়ে তাতে দৃষ্টি।
০৫। বৃষ্টি ভেজা মেঘলা দুপুর
টিনের চালে বৃষ্টির নূপুর —
তুমি লাল পাড়ের সাদা শাড়ি পরে;
এক গুচ্ছ কদম হতে এসো আমার ঘরে।
০৬। হঠাৎ করে বৃষ্টি নেমে ভিজিয়ে দিলো আমায়,
প্রভু যেনো শুধরে নেয়,স্বীয় পরম ক্ষমায়
০৭। বৃষ্টি এলে দৃষ্টি মেলে দেখি টিনের চাল;
ভিজতে গিয়ে ফিরে আসি এমন চলছে কাল।
০৮। রিমঝিম সূরে বাজনা বাজে
বাজে না তোমার পদধ্বনি,
আড়ালে ঢাকে সজিবতা মুখ
তবু অপেক্ষা তব আগমনি।
~ জীবন মরুর ক্লান্ত মুসাফির
০৯। বৃষ্টি এলেই তোমার কথা মনে হবার মানে, বৃষ্টি এবং তোমার অর্থ একই অভিধানে।
১০। মাথার ’পরে মেঘের মেলা
ঝরছে হয়ে বৃষ্টি
কি অপরূপ! মন মাতানো
দেখলে জুড়ায় দৃষ্টি।
ইচ্ছে করে মনটা আমার
বানাই তারে সই
হঠাৎ ভাবি হারাই যদি
খুঁজবো তারে কই?
~ নবধ্বনি
১১। আষাঢ়ে, শ্রাবণে
আকাশ সাঁজে মেঘে।
ঝনঝন শব্দ-সুরে,
রিমঝিম ছন্দে—বৃষ্টি ঝরে,
আমি শুনি আনমনে।
—নাসীম আরাফাত।
১২। এদিকে রোদের তীব্রতায় জীবন হাসফাস করছে।
১৩। মেঘলা দিনে ঝাপসা চোখেই
লিখছি মেঘের কথায়,
বৃষ্টি হলেই ব্যাঙের বিয়ে
প্রাচীন কোন প্রথায় !
– আবু বকর আরাফাত
১৪। বৃষ্টি, যেন অনেক কথার সৃষ্টি
বৃষ্টি,যেন অনেক কাব্যের সৃষ্টি
বৃষ্টি, যেন অনেক গল্পের সৃষ্টি
বৃষ্টি,যেন অনেক প্রেমের সৃষ্টি
বৃষ্টি,যেন রবের সন্তুষ্টি!!
(অনেক আগে লিখছিলাম)
১৫। টিনের চালে কে গো নাচে
নুপুর পায়ে ঝুম ঝুমাঝুম
সুর তোলে কে মন্ত্র শোনায়
হৃদয় মাঝে যায় পড়ে ধুম
টাপুর টুপুর বৃষ্টি বুঝি
মুষলধারায় যায় ঝরে
দোর খুলে দিই একটুখানি
বৃষ্টি ছোঁয়ার নাম করে
১৬। আমি বৃষ্টি হবো
বুকে তোর দহন হলে,
আমি রৌদ্র হবো
চোখে তোর অশ্রু এলে!
—মুহাম্মাদুল্লাহ্
১৭। মীকাইল বাষ্পীভূত করে,
বারি নিয়ে যায় আকাশ পাড়ে,
একটু একটু করে মেঘ জমিয়ে,
নিয়ে আসে বৃষ্টি আমার তরে,
আমার ঘরের চালে!
১৮। বৃষ্টি
তুবা খাতুন
রিমঝিম ঝিম ঝিম বৃষ্টি পড়ে,
একটানা ঐ ঘরের চালে ।
বৃষ্টি ছোটে হাওয়ার তালে,
মনটা দোলে নতুন করে ।
বৃষ্টিতে ভিজে করলে দোয়া আল্লাহ সেটা কবুল করে,
তাই তো আমি দরখাস্ত করি গা বেয়ে যখন বৃষ্টির ফোটা পরে ।
বৃষ্টি মালিকের রহমত হিসেবে বর্ষিত হয় এ ধরায়,
বৃষ্টি বর্ষণ হলে তাই মানুষ সহ গাছপালা নিজেদের নতুন করে সাজায় ।
১৯। খোকার বৃষ্টি
টুপ টুপা টুপ বৃষ্টি পড়ে
যেনো ফুটছে খই,
পুকুর পাড়ে কান খুঁচিয়ে
উঠে আসছে কই।
তাই না দেখে বৃষ্টি মাঝেই
খোকা দিলো দৌড়,
মায়ের বারণ মনে পড়তেই
এক দৌড়তে ফের।
মার খাবে না ধরবে মাছ
এই ভেবে তে খোকা,
মাছ ধরতে খাবো নাকি মার
নইকো আমি বোকা।
মায়ের মারে ভীষণ ব্যথা
একবার ধরলে ভাই,
দাদা দাদু না ধরলে বাপু
আমার নিস্তার নাই।
বৃষ্টিতে ভিজে একবার খোকার
জ্বর উঠেছিলো খুব,
মায়ের বকায় দিবানিশি
কেঁপে উঠতো তার বুক।
সে থেকে আর বৃষ্টে ভিজা
হয় না কভু খোকার,
খুব মনে চায় ভিজতে যে তার
ভয় শুধু মা’র বকার।
~ Shamim Al Ahmad
২০। মেঘেদের সনে, বৃষ্টির ক্ষণে
কী করে বুঝাই তারে কত প্রয়োজন
২১। বর্ষার রাত দিন রিমঝিম বৃষ্টি
নিপুণ হাতে সাজানো অপরূপ সৃষ্টি।
২২। আঁখিজুড়ে জমেছে যে বিষাদের জল,
বৃষ্টি হয়ে তা ভিজিয়ে দিচ্ছে পুরো শহরকে, শহরের মানুষগুলোকে।
যার জন্য এ বিষাদ, সেও কি ছুঁয়ে দেখছে এই জল?
-শুভ্র
২৩। বৃষ্টি মাখবো অঙ্গে
বৃষ্টির কিন্তু দেখা নেই সারা পশ্চিমবঙ্গে।
~ দিলীপ কুমার মধু
২৪। বৃষ্টি ভেজা শহর জানে মন খারাপের স্বাদ।
তোমায় ছাড়া কাটছে সময় নির্ঘুম সারারাত।
২৫। আম পাতা জোড়া জোড়া
বৃষ্টিতে আজ জুড়লো পাড়া।
আসছে না আর কোনো ছড়া।
আমি তো এক ছন্নছাড়া।
২৬। বিষাদে ভরা মন নিয়ে কাঁদি আমি বৃষ্টিতে—
যেন কান্নার কথা বোঝা না যায় কোনমতে।
২৭। আমি কবি নই
তাই বৃষ্টি নিয়ে কবিতা লিখি না
আমি পাঠক
তাই বৃষ্টির কবিতাও পড়ি।
২৮। এইসব বৃষ্টিস্নাত দিন , ভেজা বাতাস,
একটু হাত বাড়ালেই যেন ছুঁয়ে দেই আকাশ!
২৯। বৃষ্টি,
আজ তোমার মত
ঝরাতে চাই
মনের সব দুঃখকথা
যা হাজার বছর ধরে যেন
—’বিষাদের সিন্ধু’!
ওগুলো তোমায় দেখে হয়ে যাচ্ছে
আজ —
‘ভালোবাসার বিন্দু!’
৩০। আকাশ ভেঙে নামলো বৃষ্টি
উতাল পাতাল ঢেউ।
আজ ভিজবো ভীষণ
কাঁদবে নয়ন
দেখবে না তো কেউ।
~ এ এম নাদীম
৩১। আকাশে ঘনঘটা মেঘ বৃষ্টি নামবে বুঝি
ঝরে পড়ছে গাছের পাতা, মৃদু বাতাস খুঁজি
পাখির কলকাকলি নিবিয়ে যাচ্ছে বুঝি সবে
ক্লান্ত হৃদয় মেতেছে যেন মধুর এক উৎসবে।
ঝনঝমিয়ে বৃষ্টি যবে নামলো আকাশ চিরে
পাতাল ফুঁড়ে আসলো যেন শান্তি আবার ফিরে।
বৃষ্টি ছোঁয়া পেতে এ মন করছে আনচান
বৃষ্টি যেন প্রভুর দেয়া সেরা এক দান।
৩২। বৃষ্টি তোর স্পর্শে আজ মন ছুঁয়ে দিলাম
বৃষ্টি আমি তোকেই প্রথম ভালোবেসেছিলাম
৩৩। আকাশ মেঘলা, বৃষ্টি নামবে, ভিজবে হৃদয়-মরুভূমি
বৃষ্টি এলে হৃদয়ে ফিনকি দিয়ে জেগে উঠো তুমি!
—মাহমুদ হাসান
৩৪। বৃষ্টিতে ভিজে যায় সব
নৈঃশব্দ্য ও কলরব
ভিজে যায় পথ, ঘরবাড়ি
আকাশের নীলরঙা শাড়ি
ভেজে গাছ-লতা-পাতা-ফুল
তুরাগের বাঁধানো দুকূল
ভিজে যায় জমানো যা কথা
আরো ভেজে কত নিরবতা
বাহিরটা ভেজে, ভেজে মন
ভিজে ভিজে যায় সারাক্ষণ
ভেজে সুখ ভেজে দুঃখরা
জীবনটা ভেজে আগাগোড়া
৩৫। বৃষ্টি বৃষ্টি বৃষ্টি কই
কোথা গেলি কালো সই?
৩৬। বৃষ্টিকে আমি লিখেছি চিঠি
দিয়েছি প্রেমের দস্তখত
উতলা গন্ধে মরিয়া হয়ে
বাড়িয়াছি তার মহব্বত
বৃষ্টিরা এতো স্নিগ্ধতা মাখা
বৃষ্টিতে যেন ভিজি আজনম
বৃষ্টিরা আসে দুঃখের কালে
ভাবনারা হয়ে যায় খতম
বৃষ্টির অমন শীতল দিনে
লিখে ফেলি যত অকথিত কথা
বৃষ্টিতে ফুটে সুখেরা যেন
মনোবাগে দোলে মাধবিলতা
বৃষ্টিকে আমি লিখেছি পত্র
ধার করে এনে ভাঙা আলফাজ
বৃষ্টিতে গাই, বৃষ্টিতে নাচি
বৃষ্টিরা হৃদয়ে করছে রাজ
৩৭। আকাশ ভাইঙ্গা বৃষ্টি আইলো
সেই বৃষ্টিতে শহর ভাইসা গ্যালো।
অথচ, মানুষের চোখ ভাইঙ্গা ঝড় আসে
তবু কারো মন ভিজে না!
—তামীম আল আদনান
৩৮। বৃষ্টি পড়িতেছে
বৃষ্টি ইজ রিডিং
বৃষ্টি পরিতেছে
ইট ইজ রেইনিং।
৩৯। বাদলের এই দিনে
বৃষ্টিরা ঝরে পড়ে,
রিমঝিম ছন্দে
অনাবিল আনন্দে,
প্রতিটি ফোটায় ফোটায়
উষ্ণতা হারিয়ে যায়,
গুঞ্জন ওঠে বনে
শিহরণ জাগে মনে
ক্ষণে ক্ষণে বেজে উঠে
ব্রজ্রের ধ্বনি।
৪০। বৃষ্টি যেন যরছে পড়ছে
টুটনে জমিনের বুকে,
অশ্রুজ্বলে মানুষ বলছেন
আলহামদুলিল্লাহ হাঁকছে।
৪১। এই বৃষ্টি ভেজা বিকেলে আমি দেখব প্রভু তোমারে।
৪২। রিমঝিম বৃষ্টি পড়ে আমার চালে
23 বছরেও তুমি নেই আমার পাশে..!
৪৩। রিমঝিম বৃষ্টি
দৃষ্টি দিয়ে দেখ
তুমি অপরূপ
সৃষ্টি,,
৪৪। বৃষ্টির সময় মনে হয় –
আমার কষ্টগুলো ঝরে পড়ছে
যেমন করে ঝড়ে পড়ে গেছে
আমার প্রিয় কাঠগোলাপ!
৪৫। ঝুম বৃষ্টির ঝঙ্কারে তনুমন নেচে ওঠে
হৃদয়ের কোণা কোণা বারবার সেজে ওঠে
৪৬। যখন বৃষ্টি হয়
মন যেন কারে চায়
মন ছুটে চলে যায়
দূর ঐ সীমানায়।
ইচ্ছেরা জেগে ওঠে
প্রেমের ফুল ফোটে
হৃদয়ে সাধ জাগে
বড্ড ভালো লাগে।
৪৭। রিমঝিম বৃষ্টি পড়ছে,
কবিরা তার তরে কবিতা লিখছে,
আর আমি কবিদের কবিতাগুলো উপভোগ করছি বেশ….!
৪৮। শহর জুড়ে বৃষ্টি নামুক
অভিমান সব ভিজুক জাড়ে,
হাত বাড়িয়ে ঠাই দাঁড়িয়ে
রইবো একা তোমার দ্বারে।
দেখতে পাবে সিক্ত চোখে
বাতায়নের আড়াল হতে,
কদম ফুলের ঘ্রাণ ছড়াবো
মন হতে ঐ মনের পথে।
ভেজা শরীর উঠবে কেঁপে
অমত্ত সেই ধবল স্পর্শে,
মনের কথার পান্ডুলিপি
মুখ লুকাবে নীরব নর্সে।
হঠাৎ তুমি আসবে কাছে
অভিমানের দেয়াল টুটে,
শক্ত করে বাহুডোরে
ফের জড়াবে প্রণয় লুটে।
তখন আমি আলতো হেসে
ভালোবাসায় মুড়ে নিতাম,
মনের কথা ফিসফিসিয়ে
কানে কানে বলে দিতাম।
– সজীব পাল
৪৯। ঝুমঝুম বৃষ্টি ফোঁটায় ঘুম আমার ভাঙে,
বাইরের মনমাতানো দৃশ্য আমায় টানে।
৫০। রিমঝিম বৃষ্টি
অপলক দৃষ্টি
৫১। ঝিরঝির বৃষ্টি নেমে আসে ভূমিতে
বয়ে যায় সুবাতাস দিবা কিবা নিশীথে
আনচান করে মন যাবে চলে বহুদূর
করে যাবে সুধা পান তৃপ্তিতে সুমধুর
~ শখের যাযাবর
৫২। বৃষ্টি হলেই ইচ্ছে করে তোমার কাছে যাই
দূর আকাশে চোখ রেখে তোমাতে হারাই।
৫৩। ❝বৃষ্টি নিয়ে যদি লিখতে যাই কোন কবিতা
বৃষ্টি নয় বন্যা বয় জমাট বাঁধা দুখেরা…..!
তবুও আমার সুখ হয়; শান্তি পাই বৃক্ষবট
কলুষিত আঁধার দুঃখ এভাবেই বিদায় নিক।
রিমঝিম শব্দে গোঙ্গানো আওয়াজের যৌবন ফুরাক;
আমার বুক ভরা দুঃখ ঘুচাইতে পারি যেনো নিশ্চুপ। ❞
বৃষ্টি আইসা দুঃখগুলা নিয়া যাক কোনো দুর পথে।
৫৪। বৃষ্টি খুবই মিষ্টি লাগে
টাপুরটুপুর ছন্দ,
বৃষ্টিজলে ভিজতে লাগে
আঃ কী মহানন্দ!
৫৫। বৃষ্টিভেজা মাটির গন্ধ যখন নাকে আসে,
মনটা আমার অন্যরকম আনন্দতে ভাসে।
৫৬। মেঘ ভেঙ্গে নামে ধারা
শ্রাবণ পাগলপারা
বৃষ্টিতে ভিজে যায় বিকেলের বুক;
কেউ তো জানে না হায়
কত ব্যথা, বেদনায়
নীরবে সহ্য করি ঘৃণার চাবুক।
— আশিকুল্লাহ তানভীর
৫৭। বৃষ্টির জলে নিভেছে চোখের পিদিম
একাকীত্বের বিরহে বিমর্ষ যৌবন
কালো মেঘের শরীরে ছলনা অসীম
মৃত্যুকে ভেবে বিস্মিত ক্লান্ত এই মন
স্মৃতির বুকে ফুটেছে বিশুদ্ধ তমাল
বিগত কলঙ্ক মুছে হাওয়ার মুখোশ
নোঙরের মতো শ্রান্ত সুখের অকাল
গভীর চিৎকারে ঠৌঁট হারায় সাহস
পৃথিবী আঁধার, যেনো ঘৃণার কবর
আক্রোশে নাক ছিটকায় বিদীর্ণ কঙ্কাল
বিদ্রুপে নাচে পতঙ্গ বুকের ভেতর
মৃত্যুর মুখে ক্রন্দন করে ইহকাল
—আবির হাসান
৫৮। বৃষ্টি এলে সুযোগ আসে মিস করোনা কভু,
বাদল দিনে মনের দোয়া কবুল করেন প্রভু।
৫৯। বৃষ্টি এলে মনে পড়ে নবধ্বনির স্মৃতি
সেই কবেকার আবেগ কথা, বেদনাময় ইতি!
৬০। বর্ষা এলে খালে বিলে
থৈথৈ করে জল,
দুপুর বেলায় গোসল করে
ছেলে মেয়ের দল।
বৃষ্টি হলেই মাঠেঘাটে
জমে অনেক জল,
মাঠের পানে চলে বালক
হাতে নিয়ে বল।
সাগর নদে জলের বৃদ্ধি
বাড়ায় মনে ভয়,
পানি এসে বন্যা আবার
কখন যেন হয়।
সিলেট বাসী ভাসছে জলে
ডুবছে কতো ঘর,
পানির মাঝে ভাসছে মানুষ
হয়ে ছোট্ট খড়।
~ মুহাম্মাদ যায়েদ খান
৬১। বৃষ্টিতে ভিজে গেল সব
রোদ নেই কোথাও
মেঘের গর্জন শুনে খুব
চমকে যাই আমিও
৬২। আজ ঝুম বরষায়,
মন শুধু চায়
দারুনভাবে ভিজতে।
এই মেঘের ভেলায়,
বেলা , অবেলায়
ভীষণ মতো ছুটতে।
মাথায় মাথায় ,
কচুর পাতায়
লাফঝাঁপে মাততে।
আইরে আই , বৃষ্টি আই
ছড়ায় ছড়ায় কিবা কবিতায়
অগোছালো শব্দেই
চলরে , শ্লোক সাজাই।
_ হাবীবুর রহমান
৬৩। বৃষ্টি!
তুমি ছুঁয়ে দাও তাকে,
প্রতিটি ফোটায় অনুভব করি যাকে।
৬৪। এই বৃষ্টি শুধু শহরের ধুলো বালি না
ধুয়ে নিয়ে যাক সকল দুখ অভিযোগ অভিমান যন্ত্রণা।
৬৫। আমি যেদিন বৃক্ষ হবো
বৃষ্টি হয়ে তুমি এসো,
অমন ধারা ঢালতে জল।
দু’চোখ ভরে চেয়ে রবো
মিষ্টি হেসে কাছে বসো,
আমার চোখেও নামবে ঢল…!
৬৬। আকাশে মেঘের মেলা, বৃষ্টি নামলো ঝরঝরা,
মনের কোণে কষ্ট ভুলে, প্রকৃতি হলো সজীব সুরমা।
৬৭। হে প্রিয়তম!
বরষার রিনিঝিনি শেষ হতে চলেছে,
ভালোবাসাবাসি দিয়েও তাঁরে
ধরে রাখা গেল না।
৬৮। কেউ বৃষ্টির স্পর্শে উতালা হয়ে গা বিলিয়ে দেয়
কেউ বৃষ্টির স্পর্শে আতঙ্ক হয়ে অন্যের আশ্রয় নেয়
-মাহফুজ হোসাইনী
৬৯। বৃষ্টি নামে মুষলধারে সূর্য নিভে মেঘে,
শিলা পড়ে ঝরঝরিয়ে বাতাস প্রবল বেগে।
৭০। প্রতিটি ফোঁটা যেন কথা বলে
৭১। বৃষ্টি এলো ধরার বুকে, গাছপালা ও দূর্বা ঘাসে
মেঘ বালিকা নৃত্য করে, সেই সুখেতে দিব্যি হাসে।
৭২। আমার কল্প মাধুর্যের কারাগার উল্লাসে মাতে
সোনালী গোধুলির বারিষার সংস্রবে,
বাহুডোরে জড়িয়ে রাখা প্রত্যয় যত তোলে মুক্তির আলোড়ন
আরজি হয়ে নেত্রবারির মাঝে হারায় পতনের কলরবে।
৭৩। বৃষ্টি আসুক বৃষ্টি নামুক আমার শহর জুড়ে
কাটুক আমার বৃষ্টি বিকেল তোমার ভাবনা ঘোরে।
~ নকীবুল হক
৭৪। আমি চেয়েছিলাম তোমায়
রিমঝিম বৃষ্টির ফোঁটায়
সিঞ্চিত তোমাকে মেঘাবরণে নিবিড় চিত্তে দেখবো তাই
বৃষ্টির ফোঁটায় মুক্তোদানার সাজে সজ্জিত ওষ্ঠদ্বয়
এই গ্রীষ্মের উষ্ণতায় সিঞ্চিত করে তুলবে- ওগো, এই শুষ্ক আমায়!
###
আকাশটা ঐ
মেঘে ভরা
বইছে দেখো
ঝড়ো হাওয়া
ঐ মেঘেরই
আড়াল হতে
আসবে নেমে
বৃষ্টি ধারা
ঐ বৃষ্টির অপেক্ষাতে
আমরা প্রায় পাগলপারা
বৃষ্টি নামাও রব্বে কারীম
দেখাও তোমার রহম ধারা!
৭৫। বেহিসেব বাদলের ঝুম বর্ষণেও
মুছে যায়নি শাপলার রক্ত দাগ,
পিচঢালা সড়কের অদৃশ্য লাল স্রোত
আজ-ও শাণ দিয়ে বাড়ায় প্রতিশোধের রাগ||
৭৬। অন্য রকম
আমাদের রাজপথ থাকে এঁকেবেঁকে
শ্রাবণ মাসে তার হাঁটু জল থাকে
পার হয়ে যায় গরু পার হয় গাড়ি
এর মাঝে শোনা যায় মেয়রের ঝাড়ি
৭৭। শহর জুড়ে বৃষ্টি নামার ক্ষণে ,
আমার কেবল ইচ্ছে করে ,
হারিয়ে যেতে, তোমার চোখে চেয়ে।
৭৮। বৃষ্টি আসুক বৃষ্টি আসুক বৃষ্টি আসুক খুব
ভাবছি বসে দেখবো তোমার বৃষ্টি ভেজা রূপ।
৭৯। পড়ছে বৃষ্টি টাপুরটুপুর
সাঁঝ সকাল আর রাত দুপুর
অথৈ জলে ভরছে সবই
নদ সাগর আর ঝিল পুকুর
৮০। টিনের চালে বৃষ্টির শব্দে ঘুম ভাঙে খুব সকালে
বৃষ্টি ভেজা সকাল যেনো স্নিগ্ধ মাখানো সময়
বৃষ্টি ভেজা সকালে চায়ের সাথে সখ্যতা হোক আমার
৮১। ঝুম বৃষ্টি নেমেছে হায়
ওগো দেখো তাকিয়ে।
চলো আজ ভিজি দুজনাই
আষাঢ়ে যায় হারিয়ে।
৮২। বৃষ্টিরা আসবে
নির্মেঘ আকাশে আধার টেনে
সন্ধ্যা নামবে
তোমার পরিচয় আড়ালে নিতে
৮৩। আষাঢ়ের বাদলে উচ্ছাসিত মনা
উড়তে চায় মেলে দুই স্বপ্নীল ডানা
ঘোলা আকাশে মেঘেদের ভিড়ে
হবে কি উড়া সেই স্বপ্নকে ঘিরে
৮৪। এইযে বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দিচ্ছে আপনায় ..
বিজিয়ে দিচ্ছে আপনার শহর..
আমি বৃষ্টি ভালোবাসি কিন্তু ভিজতে নয়.. তবে আমিও ভিজবো, যেদিন আপনি ভিজিয়ে দিবেন আমায়..
৮৫। বৃষ্টির সময় দোয়া কবুল হয়।
৮৬। বৃষ্টি পড়ে টাপুরটুপুর
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঠুকুর
৮৭। বৃষ্টি নিয়ে নয়, তবুও,
.
চিঠি পাঠিয়েছ, ছোট্ট বার্তা, চিরকুটই বলা যায়,
লিখেছ, মুগ্ধ হতে চাও তুমি বৃষ্টির কবিতায়।
বানজলে ভাসে ছোট্ট পলির দেশ!
তবুও ওহে বিলাসিনী,
তখনও কি তুমি শুনতে চাইবে বৃষ্টির সিম্ফনী?
কোন বানজলে, ভেসে যায় জাতি, আছে কি তোমার জানা?
হারাচ্ছে দেশ, কোন স্রোতে ভেসে, ছোট্ট বদ্বীপ খানা!
স্বজাতিরা ভাসে দুঃখের বানজলে,
তখনও কিভাবে হায়!
নিজেকে না চিনে ইতিহাস ভুলে ডুবে রবো কবিতায়!
শুধু দেশে নয়, সারা পৃথিবীতে স্বজাতিরা কেঁদে মরে,
স্বদেশ হারিয়ে বসতি গড়ছে বেদনার বালুচরে,
যাদের যাত্রা শুরু হয়েছিল বদর ওহুদ হতে!
আমরা তাদেরই ভাই,
অথচ আজকে আমাদের দেখো ইতিহাসই মনে নাই!
আমরা এসেছি ওহুদ বদর খন্দক মুতা হতে,
মিলেমিশে আছি বসফরাস আর সিন্ধু নদের স্রোতে,
হেজাজের পরে দেওয়াল পেরিয়ে এসেছি কর্ডোভার,
ফোরাতের কূলে ধূলো উড়িয়েছি সাহসী ঘোড়সাওয়ার।
ছিলাম আমরা সমরখন্দ বোখারার রাজপথে,
খুঁজে পাবে দেখো লেখা আছে সব, ইতিহাসে লেখা খতে।
আজও কান পেতে শোনার চেষ্টা করি,
সাহসী হ্রেষাধ্বনি,
ইতিহাসই পারে জাগাতে হৃদয়, সাহস সঞ্চারণী।
কবিতার আবদার
-জোবায়ের বিন বায়েজীদ
৮৮। বৃষ্টি আসে হৃদয় দোলে কৃষ্ণচূড়ার তলে,এমন সময় হৃদ কোঠরে ফল্গুধারা ঝরে।টিনের চালে বৃষ্টির ধ্বনি রিনঝিনিয়ে বাজে,অপরুপ এ ধরাখানি আবার নবযৌবনে সাজে।
৮৯। এইযে রজনীর গম্ভীর নিস্তব্ধতা টুটে
এক পশলা বৃষ্টি এলো নগর জুড়ে,
ভিজিয়ে দিলো সময়, আঙিনা ও
গাছের কায়া-পল্লব বেগ ঘুরে,
রিনিঝিনি নুপুর সুরের ঝংকারে সে
আলোড়িত করলো ভীষণ তনুমন;
এই পশলা বৃষ্টির ফোঁটারা কি জানে,
তাদের জন্যও অপেক্ষায় ছিল কত প্রেমিক জন?
অ-কবির অ-কবিতা।
৯০। বৃষ্টি এসো বৃষ্টি এসো
এসো সুখের বৃষ্টি ।
স্নিদ্ধতারই পরশ বিছাও ,
করো সুখের সৃষ্টি ।
বিন আফজাল
৯১। বৃষ্টির ধারা, মন ভাঙ্গা সারা রাত,
জলের লতা ভেঙ্গে, বিকেলের আলো মুছে যাত।
৯২। তুমি যদি দেখা না দাও করো আমায় হেলা
৯৩। বৃষ্টির ঠাণ্ডা কাঁপায়, ধূসর মেঘের আড়ালে,
বিকেলের নীল আকাশে, জলের লাহরি খেলে।
পৃথিবীর হৃদয়ে মেঘের গোপন দোকান,
বৃষ্টির সুগন্ধ ছড়ায়, মন সুর কোরালো প্রাণ।
৯৪। আয় বৃষ্টি ঝেঁপে ধান দিবো মেপে!
যা বৃষ্টি উড়ে যা নবধ্বনিগো বাড়িতে যা।
৯৫। হাতটা তাকে ধরতে দেওয়া উচিত!
যার স্পর্শে কোনো মিথ্যার আশ্বাস নেই!
৯৬। বৃষ্টি যখন আসে
মনটা আমার হাসে
হৃদয় জুড়ে বেজে ওঠে
স্নিগ্ধ কোমল বাঁশি ।
কিন্তু ভুলি কেমন করে
ভাসছে যারা বৃষ্টি ঝড়ে
ঘর হারা আজ কেমন করে
আছেরে বানভাসি ।
বিন আফজাল
৯৭। তুমি বলো, তুমি বৃষ্টি ভালোবাসো,
কিন্তু তার তলে তুমি ছাতা নিয়ে হাটো।
তুমি বলো, তুমি সূর্য ভালোবাসো,
কিন্তু রোদের দিনে তুমি ছায়া খুজো।
তুমি বলো, তুমি বাতাস ভালোবাসো,কিন্তু যখন সে আসে তুমি জানালা বন্ধ করে দাও।
~_তাই আমি ভয় পাই-~
যখন তুমি বলো, তুমি আমাকে ভালোবাসো
৯৮। আমি মেঘ হলে
তুমি বৃষ্টি হবে !
আমি ঝড় হলে
তুমি বিজলী হবে !
৯৯। এই যে বৃষ্টির ফোঁটা
উৎস তার কোথা ,
সৃষ্টির এতো সজীব প্রাণ ,
পায় সে বল কোথা ?
১০০। রোদ-বৃষ্টি খেলছে কেমন লুকোচুরি খেলা,
ঘরে-বাইরে কাপড় নেড়ে কাটছে আমার বেলা।
১০১। আষাঢ়ে, শ্রাবণে
আকাশ সাজে মেঘে।
ঝনঝন শব্দ-সুরে,
রিমঝিম ছন্দে—বৃষ্টি ঝরে,
আমি শুনি আনমনে।
—নাসীম আরাফাত
১০২। বাদলের এই দিনে
বৃষ্টিরা ঝরে পড়ে,
রিমঝিম ছন্দে
অনাবিল আনন্দে,
প্রতিটি ফোটায় ফোটায়
উষ্ণতা হারিয়ে যায়,
গুঞ্জন ওঠে বনে
শিহরণ জাগে মনে
ক্ষণে ক্ষণে বেজে উঠে
ব্রজ্রের ধ্বনি।
১০৩। মেঘ ছেয়ে যায়
আষাঢ়ে সন্ধ্যায়।
জল ভরা চোখে
চেয়ে রয় আকাশ
কান পেতে শোনে বুড়ো শালিক
বাতাসের দীর্ঘশ্বাস!
১০৪। বৃষ্টি তো ভাই রাগ করে সে
মামার বাড়ি যায়
রোদে পুড়ে কয়লা হলাম
এবার তুই তো আয়।
আগে তুই তো রোজি আসতি
রাগ ছিল তোর কম
আর পারছি না গরমে ভাই
বেরিয়ে যাচ্ছে দম।
আম জাম কাঁঠাল লিচু দিব
আরও ভিন্ন ফল,
এবার একটু মন খুলে তুই
দিস না রে তোর জল।
তোর জলেতে ভিজে যাবো
মনটা হবে ভালো
আবার না হয় হাসব দুজন
ধুয়ে মনের কালো।
১০৫। যেভাবে বৃষ্টি নিয়ে কবিতা লিখছে সবাই,
আগামী সংখ্যাটা বৃষ্টি নিয়ে হলে বেশ জম্পেশ হতো।
১০৬। মেঘ কেটে গেলে আকাশ হয়ে যায় ছাপ….!