বেচাকেনার হালচাল
দীন মুহাম্মদ
বৃদ্ধ গোয়ালা এক হেঁটেহেঁটে
দুধ ফেরি করে ফেরে
চর্বি ক্ষয়েক্ষয়ে পেটের চামড়া
যেন ঠিক রশুনের খোসা।
বয়সের ভারে শরীর নুয়ে গেছে
অবাধ্য পা হাঁটতে চায় না
খেয়ে তো বাঁচতে হবে
পাকে জোর করে হাঁটতে বাধ্য করে।
কেউ কেউ বলে দুধে পানি মেশানো
রাগে,দুঃখে তার চিৎকার করতে মন চায়।
বৃদ্ধের ছোটভাই নিজের বাড়িতেই
খুলেছে শুঁড়িখানা
দিন নাই,রাত নাই
সেখানে বহু খদ্দেরের আনা-গোনা।
তিনশোর মাল ছয়শোতে বিকোয়
পানি মিশিয়ে বিক্রি করে
তারপরেও টানাটানি।
শুঁড়ির সম্পদ ফুলেফেঁপে ওঠে
তার পেটও পাল্লা দিয়ে ফোলে।
কলেজ- প্রাঙ্গণে বইমেলা হচ্ছে
গুটিকয়েক লোক মেলায় এসেছে
নানান বই নেড়েচেড়ে দেখছে,কিনছে না
রেখে দিয়ে আরেক স্টলে যাচ্ছে।
বিক্রেতাদের মুখের হাসি হারিয়ে গেছে।
বইমেলার কাছাকাছি যাত্রাপালা হচ্ছে
ওখানে অগণিত লোকের ভীড়
দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে লোকে টিকিট কিনছে।
কারো শার্টের বোতাম ছিড়ে যাচ্ছে
দু’শোর টিকিট ব্লাকে তিনশোতে বিকোচ্ছে
অনেকে টিকিট না পেয়ে হাহুতাশ করছে।
আয়োজকদের চোখেমুখে আনন্দের ছাপ।