ছোটদের হাসানুল বান্না বইয়ের রিভিউ, লেখক কাজী গোলাম আহমদ

ছোটদের হাসানুল বান্না

মহান ব্যক্তির নেতৃত্বে ইতিহাসের কোনো কোনো অধ্যায় গৌরবময় ভূমিকা রাখে। এ সকল ব্যক্তিদের সংগ্রামী জীবনকথা যত বেশী পঠিত হবে শিশু-কিশোরেরা তত বেশি ইসলামের আলোকে উজ্জীবিত হবে।

কাজী গোলাম আহমদের লেখা “ছোটদের হাসানুল বান্না” এমনই একটি বই যা পাঠ করলে শিশু-কিশোরেরা তাদের ইসলামের ইতিহাসের ব্যক্তিদের কথা জানতে পারবে এবং এ থেকে তারাও ভালো শিক্ষা নিতে পারবে জীবনে।

১৯০৬ সালে মিসরের আলেকজান্দ্রিয়া শহরে জন্ম হাসানুল বান্নার।শহীদ হাসানুল বান্না মুসলিম দুনিয়ায় অতি পরিচিত একটি নাম।তার পিতার নাম শায়খ আবদুর রহমান আল- বান্না।ছোটোবেলা থেকেই হাসানুল বান্না ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী এবং চরিত্রবান।শৈশবেই তিনি কুরআনে হাফিজ হন।পরে মাদ্রাসা শিক্ষা লাভ করেন এবং কিছুকাল শিক্ষকতাও করেন।

ছাত্রজীবনেই বিভিন্ন সামাজিক সংস্থার নিষ্ঠাবান কর্মী হিসেবে তিনি পরিচিতি লাভ করেন এবং স্ব্দেশে ইসলাম-বিরোধী বিদেশী ও বিজাতীয় আধিপত্য বিস্তারের ষড়যন্ত্র লক্ষ্য করেন।এই ষড়যন্ত্রের হাত থেকে মিসরকে রক্ষার জন্য এবং দেশের মানুষের মনে ইসলামিক চেতনা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ১৯২৮সালের মার্চ মাসে নিজেই একটি সমিতি গঠন করেন যেখানে প্রথমে মোট সদস্য ছিলেন ৬জন।সমিতির নাম দেন-‘ইখওয়ানুও মসলেমীন’।বিজাতীয়, বিধর্মীদের অনুকরণ না করে নিজ ধর্ম,কুরআন অনুসরণ করে তাদের আল্লাহর পথে বারবার দাওয়াত দিয়েছেন হাসানুল বান্না এই সমিতির মাধ্যমে। তার জিবনের ২০বছর ধরে এই কাজ চলার পরে সমিতির লোকের সংখ্যা হয় ২০ লক্ষ্য যারা সবাই হাসানুল বান্নার কথার গুরুত্ব বুঝে প্রকৃত মুসলিম হন।

১৯৪৮সালে মিসরের তদানিন্তন বাদশাহ ফারুক বিজাতীদের সম্মানের জন্য ‘ইখওয়ানুল মুসলেমীন’কে বেআইনী ঘোষণা করেন।১৯৪৯সালের ১২ই ফেব্রুয়ারী রাতের অন্ধকারে ‘ইখওয়ানুল মুসলেমীন’এর প্রতিষ্ঠাতা -হাসানুল বান্না আততায়ীর গুলীতে শহীদ হন।

 

নিয়মিত পড়ুন এবং লেখুন জনপ্রিয় প্লাটফর্ম চিরকুটে সাহিত্যে

আরো পড়ুনঃ  অমর একুশে বইমেলা ২০২৩ উপলক্ষে বিপুল চন্দ্র রায় ও সেলিম কাজী'র সম্পাদনায় ’অমৃতস্মৃতি’’যৌথ কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হচ্ছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *