Ailing Education System
বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা কাক আর ময়ূরের নাচের মত হয়ে গেছে!
বাংলাদেশ জাপানিজ স্টাডি সিস্টেম কে ফলো করতে যেয়ে, নিজের Own সিস্টেমে গড়বড় করে ফেলেছে!
এই তো কিছুদিন আগে আমার ছোট ৩ ভাই পরীক্ষা দিতে গেলো। তো ২ ঘণ্টা পর একজন আসলো। (ও ক্লাস ফাইভে) আরেকজন ৩ ঘণ্টা পর আসলো। (আর ও Ten এ)
আরেকজনের আসার কোনো খবর নাই, আমি ভাবতেছি কি হলো ওর! ৩ টা বেজে গেলো এখনো আসছে না কেন!
একটু পড়ে দেখি ও আসলো। জিজ্ঞেস করলাম এত টাইম কইছিলি?
বলতেছে ওর পরীক্ষাই নাকি হয়েছে ৫ ঘণ্টা ধরে, তাও আবার বিরতিহীন!
কৌতূহল বসতো জিজ্ঞেস করলাম কিভাবে হয়, আর কি লিখিস তোরা ৫ ঘণ্টা ধরে!?
বলতেছে আর বইলো না!
প্রশ্ন দিয়ে প্রশ্ন বোঝাতে বোঝাতেই ২ ঘণ্টা চলে যায়! তারপর আমাদের কে একে অন্যের হেল্প নিয়ে লিখতে বলে, না পারলে লেখতে গাইড, ফোন, বই যেকোনো ভাবেই দেখে লিখতে পারবো। তারপরেও পোলাপান পারে না, তারপর স্যার দেখিয়ে দেয় এভাবে এভাবে লেখো! তারপরেও কেউ বোঝে না। তারপর স্যার আমাদের কে বোর্ডে লিখে দেয়! এমন দেখাদেখির পরীক্ষা যেন নাকি আবার, কাল ক্লাস হবে আগামী পরীক্ষায় কি আসবে সেটা নিয়ে।
ধুর ক্ষুধা লাগছে, আমসির এক্সাম দিচ্ছি! এতক্ষণে খেয়ে ঘুমাতেও পারতাম!
এটা বলে ও চলে গেলো!
আর অথচ আমাদের এক্সাম শেষে বাসায় এসে প্রশ্ন মেলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়তাম কয়টা MCQ হয়েছে আর কয়টা হয়নি। কত মার্ক আসতে পারে এসব নিয়ে! তারপর নেইক্সট পরীক্ষার পড়া নিয়ে কখন বসবো সেই টেনশন কাজ করতো।
অথচ ওদের মধ্যে না আছে কোনো টেনশন, আর না আছে পড়াশোনা। উল্টো ওরা চরম বিরক্ত!
কিছুদিন আগে আমার মেজো ভাইয়া কিছু পেপারস দিয়ে গেলো; বললো একটু দেখে দিতাম ভাইয়া একটু ব্যস্ত। (উনি টিচার)
তো দেখতে নিলাম, দেখি একটা টপিকের উপর এক, দেড় পৃষ্ঠা লেখা এতেই নাকি এক বিষয় শেষ! নাম্বারিং করতে যেয়ে দেখি কিছু পোলাপান লিখেও নাই অথচ তারাও পাস!
আর নাম্বারিং বলছিই বা কেন! এখানে তো ত্রিভুজ, চতুর্ভুজের খেলা…!
আজিব! আমাদের প্রতিযোগিতাই তো হতো নাম্বার নিয়ে; সেখানে নাম্বারিং সিস্টেমি গায়েব!!
ভাবছি, ভালোই হয়েছে আমরা যে এইদিন আসার আগে এসব ক্লাস পার করে এসেছি। আবার বিষণ্ণ হয়ে যাচ্ছি এটা ভেবে যে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কি হবে! এটা কি আদৌ কোনো স্টাডি সিস্টেম হতে পারে!
এখন তো দেখা যাচ্ছে, শুধু হায়ার স্টাডি না, বাচ্চাকে প্লে তে ভর্তি করাতে হলেও উন্নত রাষ্ট্রে যেতে হবে!
একটা বিষয় মনে পড়লো, একদিন আমার
নানার সাথে বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলছিলাম। তো এ প্রসঙ্গে নানা আমাকে বললেন..
“ফেরাউন (ওলিদ) তার বন্ধু হামাদ কে বললো,, আমি নিজেকে খোদা বলে ঘোষণা দিতে চাই। তখন হামাদ বললো,, এটা তুমি এখন ঘোষণা দিও না। সময় হলে আমি তোমাকে বলবো। তারপর হামাদ ঘোষণা দিলো কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দেশে চলবে না। সব বন্ধ করে দেওয়া হোক। এর ১০ বছর পর হামাদ ওলিদ (ফেরাউন) কে বললো এবার তুমি খোদা দাবি করতে পারো। প্রতিবাদ করার মতো এখন আর কেউ নেই।”
জানিনা এই নড়বড় সিস্টেমে বাংলাদেশ কতটুকু এগোতে পারবে, আর কি হবে এদেশের ভবিষ্যৎ..!