বসন্তের রং দোসর
আসিফা সুলতানা প্রমা
নাকের ডগার বিন্দু বিন্দু ঘাম দেইখ্যাঁ দাদী য্যাঁইদিন কইছিলো, দেখিসরে মুখপুরী স্বামীর ব্যাভাগ ভালোবাসা পাইবি।
জানেন তো, আমার অবচেতন মন সেদিনই আপনার প্রেমে পইরা গেছিলো।
আপনার সাথে ভালোবাসা কিংবা প্রেমের সুশ্রী সৃতি ছিল না কোনোদিনও। জানেন, তারপরও না আমি আপনার সাথে ছোট খাটো একটা সংসার পাতার স্বপ্ন দ্যাঁইখা নিছিলাম। ক্যাঁন জানি তহন, কল্পনা করতে ব্যাঁভাগ ভালোবাসতাম।
মনে আছে আপনার?? প্রথম যেই দিন আমাগো বাড়িতে আইছিলেন!!? সাথে আপনার পরিবারের মুরুব্বিরাও আইছিলো!! খোদা সাক্ষী! আপনার সামনে যহন আমি অ্যাঁইলাম!! কি যে লজ্জা লাগতাছিলো আমার! এক্কেবারে দম বন্ধ হইঁয়া যাওনের অবস্থা। কলিজাটা বাঁইড় অয় অয় অবস্থা !!
একদিন আমাদের বিয়াও অইলো।৷ বিশ্বাস করেন, আপনি যহন প্রত্থমবার আমার হাতটা ধরলেন,!! আমি শুধুই তখন বসন্তের অন্ধকারে দিশাহারা একখান নিশাচর পাখি। পথ খ্যোইঁজা পাইতাছিলাম না কোনো হানেই। শুধু অনুভব করবার পারছিলাম, আমার কল্পনার সেই সুদর্শন পুরুষটা আপনিই ছিলেন। যার ভালোবাসা পাওয়ার তীব্র প্রতিক্ষায় নিইঁয়া এতো দিন বইঁসা ছিলো এক নব কিশোরীর প্রেমময় কোমলমতি অন্তর আত্মা ।
আপনিই ছিলেন আমার প্রথম প্রণয়। সে যে কি তৃপ্তি, কি যে মুগ্ধতা, কি যে মায়া ছিলো তার!! সে যেনো এক গরল বিশ্বাসী শিল্পীর মাটির বীনার সাথে তৈরি হওয়া এক প্রেমের স্ফীতি। সেই স্ফীতির মোহে, চারপাশের সব দৃশ্য থামিয়ে দিয়ে শুধু আপনাকেই দেখতাম।
ভালোবাসতে চাইতাম, প্রচন্ড ভাবে ভালোবাসতে চাইতাম।
ধরে রাখতে চাইতাম শক্ত করে। সঙ্গে দিতে চাইতাম আমার দ্বিধাগ্রস্ত পৃথিবী, লজ্জা, ভয় সব শেষে আমার অক্ষত যৌবনের প্রথম প্রেম।
কিন্তু, আপনি কিছুই নিলেন না। শেষ রাত্রিরের ট্রেন ফেল করা যাত্রীর মতো আমাকে ফেলে দিলেন। অসহায় করে দিলেন।
সঙ্গে অসহায় হয়ে গেলো পরে রইলো, আপনার নামে লেখা ভালোবাসা নামক শ্যামলী শ্যামলী চিঠিদের আলাপন ।